আদিবাসীবিষয়কমন্ত্রক

কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মহামারী সংক্রমণ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয় মন্ত্রক বিভিন্ন সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে

Posted On: 21 APR 2020 12:34PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২১ এপ্রিল, ২০২০

 



কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মহামারী সংক্রমণ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয় মন্ত্রক দেশের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে লকডাউনের সময় নানা প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ কার্যকর করতে, এবং লকডাউনের পরে অর্থনীতিতে  গতি ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী ১৫ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সঠিকভাবে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে (এমএসপি)-তে ক্ষুদ্র অরণ্য সামগ্রী (এমএফপি) সংগ্রহের জন্য প্রত্যেক রাজ্যের নোডাল এজেন্সিগুলিকে সংবেদনশীল করতে বলেছেন। এই রাজ্যগুলি হল উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, আসাম, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, ওডিশা, ছত্তিসগড় ও ঝাড়খণ্ড।

কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মহামারী সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনের পরে অর্থনীতিতে গতি  ফিরিয়ে আনার জন্য রোডম্যাপ তৈরি করতে এবং এর প্রতিটি উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রক তিনটি কর্মকর্তার দল গঠন করেছে।

তপশিলি জনজাতি এবং সারা দেশের বনাঞ্চলের অন্যান্য বনবাসীদের দ্বারা নন টিম্বার ফরেস্ট প্রোডাকস (এনটিএফপি) এবং ক্ষুদ্র অরণ্য সামগ্রী (এমএফপি) সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ১৬/০৪/২০১০ তারিখের ডিএম -১০ (আ) এর নং ৪০-৩ / ২০২০-এর আওতাভুক্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

এই নির্দেশে মন্ত্রক ছুটি পুনর্নির্ধারনের মাধ্যমে একলব্য মডেল আবাসিক স্কুল এবং একলব্য মডেল ডে বোর্ডিং স্কুলগুলি (ইএমআরএস এবং ইএমডিবিএস)-তে ২২.০৫.২০২০ অব্দি সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। তাছাড়া ২৪.০৩.২০২০ তারিখে ঘোষিত সম্পূর্ণ লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে  রাজ্যগুলিকে বিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মসূচী যথাসম্ভব কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড পরীক্ষার্থী এবং বিশেষ ক্লাসে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে যথাযথ যত্ন সহকারে থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এই জাতীয় শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট পরীক্ষাগুলি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়িতে পাঠানো যেতে পারে। অ্যাকাডেমিক ব্লক, ছাত্রাবাস এবং অন্যান্য সাধারণ অঞ্চল সহ স্কুল ক্যাম্পাসকে স্যানিটাইজ করার জন্য বিশেষ উদ্যোগকে উত্সাহ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলী কঠোরভাবে মেনে চলার বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে। ফলাফল ঘোষণা শেষে শিক্ষকরা ছুটি পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের ডাকব্যবস্থার মাধ্যমে এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানাতে হবে। নতুন অ্যাকাডেমিক সেশন শুরুর জন্য ক্যাম্পাসকে প্রস্তুত রাখতে অবকাশকালীন ছুটির দিনগুলিতে সাধারণ কর্মকাণ্ড চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়গুলি পুনরায় খোলার আগে এই সময়ের মধ্যে সমস্ত ক্ষেত্রে ৬ ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি এবং নবম ও একাদশ শ্রেণীতে ল্যাটারেল অ্যাডমিশন এর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

এইসব ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয় মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট সকল রাজ্য সরকার/ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনকে উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল এবং উপজাতি জনগোষ্ঠীর পর্যাপ্ত পরিমাণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত তফসিলি উপজাতিদের ছাত্রাবাস, এসটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আশ্রম স্কুল ইত্যাদির জন্য তফসিলি জনজাতি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলিকেও কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মহামারী সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশাবলী মেনে চলার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। যথাযথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ঘন ঘন এবং ভালভাবে হাত ধোয়া, পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ ও ব্যবহার, সমস্ত গোষ্ঠীবদ্ধ কর্মসূচী বাতিল করা, বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশিত  স্যানিটাইজেশন সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞাগুলি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রক আরও কিছু নিম্নলিখিত উদ্যোগ নিয়েছেঃ

১. সমস্ত বিবেচনাধীন জাতীয় ফেলোশিপস এবং জাতীয় শীর্ষ-শ্রেণীর ছাত্রবৃত্তির ফল, যেগুলি ২০২০ সালের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত প্রকাশ করা যায়নি, সেগুলি প্রকাশের প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।

২. কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রক সকল রাজ্যকে সমস্ত প্রি-ম্যাট্রিক এবং পোস্ট-ম্যাট্রিক ছাত্রবৃত্তির বিষয়ে সুবিধাভোগীদের বৃত্তির পরিমাণ নির্ধারণ করতে বলেছে। এক্ষেত্রে রাজ্যগুলির তহবিলে কোনও ঘাটতি থাকলে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে।

৩. বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসগুলির মাধ্যমে প্রাপ্ত বিদেশে পাঠরত জাতীয় বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের সমস্ত অনুরোধ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

৪. ইউনিসেফ(UNICEF )-এর সহযোগিতায় ট্রাইফেড(TRIFED) একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে, যেখানে বনধন বিকাশ কেন্দ্রের সদস্যদের কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মহামারী প্রতিরোধে সংস্লিস্ট স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিয়ে সচেতন করা হয়েছে।

৫. কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের অর্থানুকূল্যে কিছু সংখ্যক অসরকারি সংস্থা শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার সরবরাহ, মোবাইল ডিসপেনসারির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা সেবা সরবরাহ ইত্যাদি ত্রাণ কাজে নিযুক্ত রয়েছে। তাদের উদ্যোগগুলি উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের এনজিও বিভাগ ফেসবুক পৃষ্ঠায় শেয়ার করা হচ্ছে ।

৬. উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের সঙ্গে নিবন্ধিকৃত সমস্ত এনজিওগুলির জন্য ২০১৯-২০২০-র জন্য নির্ধারিত তহবিল প্রকাশ করা হয়েছে এবং যদি কোনও অভিযোগ থাকে সেগুলি এনজিও পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে সমাধান করা হচ্ছে।

 

 


CG/SB



(Release ID: 1616914) Visitor Counter : 191