স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

ডাঃ হর্ষ বর্ধন কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন


লকডাউন ২.০ -এর সময়কালে শৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়টি কোভিড-১৯ প্রতিহত করতে বিশেষ লাভজনক ফল দেবে

ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেছেন এই সময়ে স্বাস্থ্যযোদ্ধাদের পরিষেবার জন্য দেশ কৃতজ্ঞ

प्रविष्टि तिथि: 19 APR 2020 6:08PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৯ এপ্রিল ২০২০

 



ডাঃ হর্ষ বর্ধন কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আজ রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৪৫০ টি বেড রয়েছে, যার মধ্যে পর্যাপ্তসংখ্যক আইসলেশন ওয়ার্ডও রয়েছে। এটি কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসাবে কাজ করছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফ্লু কর্নার, আইসোলেশন ওয়ার্ড,  অবসারভেশন ওয়ার্ড, সি সিইউ / আইসিইউ, কোভিড করিডোর, কোভিড এরিয়া, কোভিড ওপিডি, কোভিড নমুনা সংগ্রহ ইউনিট, ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পোষাক পরিবর্তনের এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি  এই ওয়ার্ডগুলির চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের আরএমও হোস্টেলে জীবাণুমুক্ত করার জন্য বিশেষ স্নান,  পোষাক পরিবর্তন এবং স্প্রের সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা দেখে সন্তোষপ্রকাশ করেছেন ।যাতায়াতের সমস্যা এড়াতে এবং তাদের পরিবারগুলির সংস্পর্শ আসা রোধ করতে আশেপাশের কয়েকটি হোটেলে স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোভিড ওয়ার্ডে মন্ত্রী এমন একজন রোগীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কথা বলেছেন যিনি নিজেই একজন চিকিৎসক, বিমানবন্দরে এবং নারেলা কোয়ারান্টিনে চিকিৎসা পরিষেবায় যুক্ত থাকাকালীন তিনি কোভিড পজিটিভ চিহ্নিত হন। ঐ চিকিৎসক এখন সুস্থ হচ্ছেন বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও চত্বর পরিদর্শন শেষে তিনি বিভিন্ন ইউনিটের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার সাথে যুক্ত নার্স, ডাক্তার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের মতো সামনে থেকে লড়াই করা মানুষদের কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ২৯ শে মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে কোভিড-১৯ রোগীর ঠিক হওয়ার পরিসংখ্যান ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে এই সপ্তাহে হয়েছে ১২% । এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় ভারতের প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের যত্নের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। এদের পরিষেবায় সমগ্র দেশ কৃতজ্ঞ বলে মন্তব্য করেন ডঃ হর্ষ বর্ধন।

ডাঃ হর্ষ বর্ধন আরও বলেছেন যে দেশে কোভিড-১৯ এর প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে সমস্ত পদক্ষেপ রাজ্যগুলির সঙ্গে নিয়মিত সহযোগিতায় ভিত্তিতে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেছেন, “নতুন করে সংক্রমন বৃদ্ধির হার কিছু সময়ের জন্য স্থিতিশীল রয়েছে। লকডাউনের আগে ভারতে প্রায় 3 দিন ধরে এই হার দ্বিগুণ ছিল। আজ সকালে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত সাত দিন ধরে, এই দ্বিগুণ হওয়ার হার ৭.২ দিন, গত ১৪ দিন ছিল ৬.২ এবং গত ৩ দিনের মধ্যে এটি দাঁড়িয়েছে ৯.৭। প্রতিদিনের পরীক্ষার সংখ্যা প্রায় ১৪ গুণ বেড়েছে। একইভাবে, যদি বৃদ্ধির বিষয়টি লক্ষ্য করা যায় - ১৫ ই মার্চ থেকে ৩১ শে এপ্রিল পর্যন্ত এটি ২.১ ছিল, যেখানে এপ্রিলে এটি নেমে এসেছে ১.২ অর্থাৎ  ৪০%  কমেছে যা ইতিবাচক ইঙ্গিত এবং এটি পুরো দেশের জন্য সত্যিই যথেষ্ট উৎসাহজনক খবর। এটি ইঙ্গিত করছে যে মোট কোভিড-১৯ সংক্রমনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে না এবং স্থিতিশীল হতে চলেছে। 

ডাঃ হর্ষ বর্ধন ভারতের জনগণকে লকডাউনের বর্ধিত সময়কাল (৩ রা মে, ২০২০) মেনে চলতে এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণ বন্ধ করার কার্যকর পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। লকডাউন ২.০ -এর সময়কালে শৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়টি কোভিড-১৯ প্রতিহত করতে বিশেষ লাভজনক ফল দেবে বলে তিনি জানিয়েছেন। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত জিতবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। 

 

 


CG/TG


(रिलीज़ आईडी: 1616205) आगंतुक पटल : 292
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English , Marathi , हिन्दी , Assamese , Punjabi , Gujarati , Tamil , Telugu , Kannada