ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক

ভারতের খাদ্য নিগম(এফ সি আই) এই লকডাউন পরিস্থিতিতে সারা দেশ থেকে তাদের গড় মাত্রার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে

प्रविष्टि तिथि: 16 APR 2020 7:23PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৬ এপ্রিল, ২০২০

 

 

 

বিশ্বের সবথেকে বড়ো খাদ্যশস্য গণবন্টন সংস্থা এফ সি আই এই সংক্রমণ ও তার পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে লকডাউন চলাকালে এক বড়ো চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেছে। এফ সি আই য়ের গোটা কর্মিবৃন্দ গত ২২ দিন ধরে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে কাজ চালিয়ে সফল হয়েছে। এফ সি আই এই কয়েকদিনে রেকর্ড পরিমান খাদ্যশস্য সংগ্রহ করেছে।রাজ্য গুলি থেকে এই লকডাউন সময়ে অতিরিক্ত প্রায় ৩'৭৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন(এম এম টি) খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য ১৩৩৫ টি ট্রেন ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১'৭ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে ০.৮ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হয়। এখন তা স্বাভাবিকের থেকে দ্বিগুণেরও বেশি। একই সময়ে স্বত্বভোগীদের প্রয়োজনে গণবন্টনের জন্য রাজ্যগুলিতে ৩.৩৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনার অধীনে ২'৫৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ভাণ্ডার ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য,এই যোজনার অধীনে প্রতি স্ত্বভোগী জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী ৫ কিলোগ্রাম খাদ্যশস্য বিনামূল্যে তিন মাস ধরে পাবেন। এই আইন সহ অন্যান্য জনকল্যাণ মূলক প্রকল্পের অধীনে,এই লক ডাউন সময়কালে এফ সি আই দেশজুড়ে প্রায়৩.৯৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ছেড়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে গত ২২ দিনে এই পরিমাণ হলো ৬.৫৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন। গড়ে প্রতিদিন খাদ্যশস্য ছাড়া হয়েছে ৩.২৭ লক্ষ মেট্রিক টন। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে স্বত্বভোগীরা যাতে যথাযথ খাদ্যশস্য পায় তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার গুলির হাতে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য তুলে দেওয়া হয়েছে।


জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন(এন এফ এস এ)এর অধীনে থাকা গ্রাহকদের পাশাপাশি যারা এই গ্রাহক নন তাদের জন্য নির্দিষ্ট কার্ডের মাধ্যমে রাজ্য সরকার গুলি এই মজুত ভাণ্ডার থেকে ২১ টাকা কেজি দরে গম আর ২২ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করতে পারবে। এছাড়াও রাজ্যগুলিকে এর অতিরিক্ত প্রয়োজনে এফ সি আই এর কাছ থেকে সরাসরি ২২ টাকা ৫০ পয়সা দামে চাল কেনারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর জন্য রাজ্যগুলি কে কোনো নিলামে অংশগ্রহণ করতে হবে না। খোলাবাজারে খাদ্যশস্যের দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে এবং গমের আটা যথেষ্ট পরিমাণে যোগানের জন্য এফ সি আই এর কাছ থেকে বাজার দর অনুযায়ী আটা কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।


চাল ও গম বিক্রির জন্য যে সাপ্তাহিক নিলাম হয়, সেটা ছাড়াই এটি অতিরিক্ত উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে। ২৪ শে মার্চ,২০২০ থেকে সব প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে ৩'৭৪ লক্ষ মিলিয়ন টন গম এবং ৩'৩৫ লক্ষ মিলিয়ন টন চাল বাজারে এসে গেছে।


যে সব অসরকারি সংস্থা এবং অন্যান্য জনকল্যাণমূলক সংস্থা গুলি দেশের এই সঙ্কট কালে,দরিদ্র মানুষদের জন্য খাদ্য ত্রাণের উদ্যোগ নিয়েছে,ভারত সরকার তাদের জন্য ২১ টাকা কেজি দরে গম আর ২২ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির প্রকল্প নিয়েছে। এই দামে দেশের যে কোনো এফ সি আই গুদাম থেকে যে কোনো পরিমানে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা যেতে পারে।


এই সঙ্কট্কালে এফ সি আই দেশজুড়ে খাদ্যশস্য সরবরাহ অব্যহত রাখা নিশ্চিত করেছে। এই কাজে ভারতীয় রেল,কেন্দ্রীয় পণ্য গুদাম  নিগম(সি ডব্লিউ সি),রাজ্য পণ্য গুদাম নিগম(এস ডব্লিউ সি) এবং এফ সি আইয়ের কর্মী এবং শ্রমিক রা পূর্ণ সহযোগিতা করে চলেছে।

 

 


CG/PPM


(रिलीज़ आईडी: 1615277) आगंतुक पटल : 364
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: Assamese , English , Gujarati , Urdu , हिन्दी , Punjabi , Tamil , Telugu , Kannada