রেলমন্ত্রক

কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আরও সুসংবদ্ধ প্রয়াস গ্রহণে ভারতীয় রেলের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ

Posted On: 03 APR 2020 4:25PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৩ এপ্রিল, ২০২০

 

 


কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সুসংবদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গ হিসাবে ভারতীয় রেল আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রেলমন্ত্রী এবং বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রীরা সহ রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান গত ৫ই মার্চ থেকে সংক্রমণ প্রতিরোধে যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন। আধিকারিক পর্যায়ে এই প্রয়াস রেলের সমস্ত বিভাগের মধ্যে আরও কার্যকর সমন্বয় ও ব্যবস্থা গ্রহণে বড় ভূমিকা পালন করছে।


ভারতীয় রেল পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে –

অত্যাবশ্যক সামগ্রীর সরবরাহ ও যোগান সুনিশ্চিত রাখতে দিবারাত্রি পণ্যবাহী ট্রেন চালানো হচ্ছে। গত ২৪শে মার্চ থেকে দোসরা এপ্রিল পর্যন্ত ৪ লক্ষেরও বেশি ওয়াগনকে অত্যাবশ্যক পণ্য সামগ্রী সরবরাহের কাজে লাগানো হয়েছে।

ভারতীয় রেলের কর্মীরা অত্যাবশ্যক পণ্য সামগ্রী যাতে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্য দিবারাত্রি স্টেশন, কন্ট্রোল রুম এবং পণ্য ওঠা-নামার শেডগুলিতে কাজ করে চলেছেন।


পণ্যবাহী ট্রেনগুলির চলাচল তথা পণ্য ওঠা-নামার ক্ষেত্রে যাতে কোনও রকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়, তার জন্য রেলের জোনগুলিতে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।

অত্যাবশ্যক পণ্য সামগ্রী মানুষের কাছে লকডাউন চলাকালীন সময়ে পৌঁছে দিতে বিশেষ পার্সেল ট্রেন চালানো হচ্ছে।

ড্যামারেজ তথা এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ম-নীতি শিথিল করা হয়েছে, যাতে বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে পরিষেবা ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

খালি ওয়াগনগুলির সুষ্ঠু যাতায়াত সুনিশ্চিত করতে কোনও রকম মাশুল নেওয়া হচ্ছে না।

রেল প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তথ্য ও পরামর্শ আদান-প্রদানের লক্ষ্যে নির্দেশক পদের আধিকারিকদের নেতৃত্বে রেল বোর্ডে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল সেল চালু করা হয়েছে।

দুটি হেল্পলাইন 139 ও 138 দিবারাত্রি চালু রয়েছে।

কোয়ারেন্টাইনের জন্য ১১ হাজার শয্যার পাশাপাশি, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১৭টি হাসপাতাল ও ৩৩টি হাসপাতাল ব্লকে প্রায় ৫ হাজার শয্যার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

রেলের ৫ হাজার কামরাকে কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত করা হয়েছে। চিকিৎসা সরঞ্জাম, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও ভেন্টিলেটর সংগ্রহ করা হয়েছে।

কর্মক্ষেত্রে করোনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে কর্মীদের মনোবল বাড়াতে মাস্ক ও  হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। সাবানা জল দিয়ে বারবার হাত ধোওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে তাদের সতর্ক করা হছে।

রেলের পক্ষ থেকে পিএম-কেয়ার্স তহবিলে ১৫১ কোটি টাকা দান করা হয়েছে। এছাড়াও, রেল কর্মীরা একদিনের বেতন পিএম-কেয়ার্স তহবিলে দান করবেন।

আইআরসিটিসি-র পক্ষ থেকে আর্ত মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ২৫টি জায়গায় প্রায় ২ লক্ষ ২৫ হাজার মিল তথা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

রেলের কর্মীদের পাশাপাশি, চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের বেতন মেটাতে ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বন করা হছে।

 

 


CG/BD/SB



(Release ID: 1610760) Visitor Counter : 119