কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা
azadi ka amrit mahotsav

ভারতের রপ্তানি পরিমণ্ডলকে জোরদার করতে ২৫,০৬০ কোটি টাকার রপ্তানি প্রসার অভিযানে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা

प्रविष्टि तिथि: 12 NOV 2025 8:15PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১২ নভেম্বর ২০২৫


রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতীয় পণ্যের বিপণন বাড়াতে, বিশেষত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, শ্রম নিবিড় ক্ষেত্র এবং প্রথমবার রপ্তানির কর্মকান্ডে সামিল সংস্থাগুলির সহায়তায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রপ্তানি প্রসার অভিযান (এক্সপোর্ট প্রোমোশন মিশন - ইপিএম)-এ অনুমোদন দিয়েছে। ২০২৫-২৬ কেন্দ্রীয় বাজেটে এই বিষয়ে ঘোষণা করা হয়েছিল। 

এই কর্মসূচি বাবদ ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ থেকে ২০৩০-৩১ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ২৫,০৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। খণ্ডিত, ফলাফল ভিত্তিক এবং সময় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরিবর্তে ধারাবাহিকভাবে রপ্তানির প্রসারে একটি অভিন্ন প্রকল্প হিসেবে কাজ করবে ইপিএম। 

ইপিএম- এ যুক্ত থাকছে বাণিজ্য দপ্তর, অণু-মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প মন্ত্রক, অর্থমন্ত্রক এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, রপ্তানি প্রসার পর্ষদ, পণ্য পর্ষদ, শিল্প সংগঠন এবং প্রাদেশিক সরকার সহ প্রাসঙ্গিক নানা পক্ষ। 

ইপিএম-এর মধ্যে থাকছে দুটি উপপ্রকল্প :

•    নির্যাত প্রোৎসাহন – এর লক্ষ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সম্পদের  সংস্থান। এই কাজ হবে সুদে ছাড়, জামিন, ক্রেডিট কার্ড, এক্সপোর্ট ফ্যাক্টারিং (তাৎক্ষণিকভাবে নগদ টাকা পাওয়ার জন্য তৃতীয় কোন সংস্থার কাছে ইনভয়েসের মূল্যের ১৭ থেকে ৯০ শতাংশ বিক্রয়) ইত্যাদির মাধ্যমে। 
•    নির্যাত দিশা – এক্ষেত্রে বাজারের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলায় সহায়তা করা, পণ্যের গুণমান, যাবতীয় নিয়মবিধি পালন, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং, প্যাকেজিং, বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ, লজিস্টিকস, পণ্য পরিবহণ, প্রয়োজনীয় তথ্যের সংস্থান ইত্যাদি বিষয়ে লক্ষ্য দেওয়া হবে। 

ইপিএম-এর মাধ্যমে ইন্টারেস্ট ইকোয়ালাইজেশনের স্কিম (আইইএস) এবং মার্কেট অ্যাক্সেস ইনিশিয়েটিভ (এমএআই)-এর মধ্যে সমন্বয়সাধন করে বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলতি প্রবণতাগুলির সঙ্গে গোটা প্রক্রিয়াটিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলা হবে। 

ইপিএম ভারতের রপ্তানি ক্ষেত্রে কাঠামোগত নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে, যেমন :

•    অর্থায়নের ক্ষেত্রে সীমবদ্ধতা এবং প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহে মাত্রাতিরিক্ত খরচ। 
•    আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি সংক্রান্ত গুণমান যাচাইয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খরচ। 
•    রপ্তানি ব্র্যান্ডিং-এর অপর্যাপ্ততা এবং বাজার ধরার ক্ষেত্রে খণ্ডিত উদ্যোগ। 
•    প্রান্তিক এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা অঞ্চলগুলিতে লজিস্টিক্স সংক্রান্ত অসুবিধা। 

সম্প্রতি বিশ্বের বাজারে শুল্ক ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বস্ত্র, চর্মজাত পণ্য, রত্নালঙ্কার, প্রযুক্তি সামগ্রী প্রভৃতি ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সেজন্যই এই ক্ষেত্রগুলির রপ্তানিকারকরা যাতে বিদেশী বরাত পান, কর্মসংস্থান হ্রাস না পায় এবং নতুন অঞ্চলে রপ্তানির প্রসার ঘটে সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। 

বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত মহানির্দেশনালয় (ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড)-এর মাধ্যমে এই প্রকল্প রূপায়িত হবে। একটি সুনির্দিষ্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মও থাকছে এই জন্য। 

বিকশিত ভারত @২০৪৭-এর স্বপ্ন পূরণে ইপিএম বিশেষ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

 

***

SC/AC/AS/


(रिलीज़ आईडी: 2189556) आगंतुक पटल : 38
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English , Urdu , Marathi , हिन्दी , Assamese , Manipuri , Punjabi , Gujarati , Odia , Tamil , Telugu , Kannada , Malayalam