পেট্রোলিয়ামওপ্রাকৃতিকগ্যাসমন্ত্রক
ভারতের বিকাশ জ্বালানী ক্ষেত্র এবং সামুদ্রিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত – হরদীপ সিং পুরী
प्रविष्टि तिथि:
29 OCT 2025 2:06PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী মুম্বাইয়ে ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক ২০২৫ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে আয়োজিত ‘রিভাইটালাইজিং ইন্ডিয়াজ মেরিটাইম কনফারেন্স’ – এ ভাষণ দিয়েছেন। ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি জ্বালানী ক্ষেত্র এবং জাহাজ চলাচল ক্ষেত্রের উন্নয়নের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শ্রী পুরী বলেন, ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। বর্তমানে জিডিপি’র পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪.৩ ট্রিলিয়ন ডলার। এক্ষেত্রে প্রায় ৫০ শতাংশই আসে আমদানী, রপ্তানী এবং বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়দের অর্থ প্রেরণ থেকে।
ভারতে বর্তমানে অপরিশোধিত তেলের দৈনিক চাহিদা ৫৬ লক্ষ ব্যারেল, যা দেড় বছর আগে ছিল ৫০ লক্ষ ব্যারেল। খুব শীঘ্রই দৈনিক চাহিদা দাঁড়াবে ৬০ লক্ষ ব্যারেলে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার সর্বশেষ হিসেবানুযায়ী, আগামী দু’দশকে বিশ্বে জ্বালানীর চাহিদা বৃদ্ধিতে প্রায় ৩০ শতাংশ অবদান থাকবে ভারতে। এই চাহিদা মেটাতে আরও তেল ও গ্যাসবাহী জাহাজের প্রয়োজন।
২০২৪-২৫ সময়কালে ভারত প্রায় ৩০ কোটি মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল ও পেট্রো পণ্য আমদানী করেছে। এই ক্ষেত্রে ঐ একই সময়ে রপ্তানীর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন। ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ২৮ শতাংশ জুড়ে রয়েছে তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র। বর্তমানে দেশের অপরিশোধিত তেলের চাহিদার ৮৮ শতাংশ এবং গ্যাসের চাহিদার ৫১ শতাংশ মেটানো হয় আমদানী থেকে। ফলে, দেশের জ্বালানী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জাহাজ চলাচল শিল্পের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
শ্রী পুরী বলেন, আমদানী বাবদ খরচের একটি বড় অংশ যায় পণ্য পরিবহণের মাশুল গুণতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ ব্যারেল তেল আনার খরচ প্রায় ৫ ডলার। মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আনার খরচ ব্যারেল প্রতি ১.২ ডলার। বিগত ৫ বছরে ভারতের বিভিন্ন তেল ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা জাহাজ ভাড়া বাবদ প্রায় ৮০০ কোটি ডলার খরচ করেছে।
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বলেন, দেশের বাণিজ্যিক আদান-প্রদানের মাত্র ২০ শতাংশ নির্বাহ হয় ভারতের পতাকা লাগানো জলযানের মাধ্যমে। এই পরিপ্রেক্ষিতে জাহাজ নির্মাণে আরও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। সরকার এজন্য নির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন করেছে।
বিগত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের সামুদ্রিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের ইতিবাচক পরির্তন এসেছে বলে শ্রী পুরী মন্তব্য করেন। ২০১৪’য় দেশের বন্দরগুলি ৮৭ কোটি ২০ লক্ষ মেট্রিক টন পণ্য আদান-প্রদানে সক্ষম ছিল। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১৬৮ কোটি ১০ লক্ষ মেট্রিক টনে। বন্দরে জাহজ আটকে থাকার সময়ও কমেছে। দেশের বন্দরগুলিকে আরও আধুনিক করে তুলতে সাগরমালা কর্মসূচির আওতায় ৫.৫ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কলকাতার গার্ডেনরিচ সহ মাঝগাঁও, কোচিন, বিশাখাপত্তনম শিপইয়ার্ডে তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক জলযান।
শ্রী পুরী বলেন, সমুদ্র বাণিজ্য ক্ষেত্রে ২০৪৭ সাল নাগাদ ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। এই ক্ষেত্রে ৮ ট্রিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত – মধ্যপ্রাচ্য – ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর, আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ করিডর – এর মতো নানা পথে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে ইউরোপ, মধ্য এশিয়া ও আফ্রিকার বন্দরগুলি।
আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সহায়তার মাধ্যমে ভারত নিজের সামুদ্রিক ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করতে চায়। সেক্ষেত্রে স্বনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণ আরও নিশ্চিত হবে।
SC/AC/SB…
(रिलीज़ आईडी: 2183766)
आगंतुक पटल : 28