প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
গুজরাটে সুরাট হীরা বাণিজ্য কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ
प्रविष्टि तिथि:
17 DEC 2023 4:03PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভুপেন্দ্রভাই প্যাটেল, স্থানীয় সাংসদ শ্রী সি আর পাটিল, মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মীবৃন্দ, দেশের হীরা শিল্পের সব উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব, অন্য প্রতিনিধিবৃন্দ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, নমস্কার!
সুরাটে নিজস্ব প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। এখানকার ইতিহাস তাৎপর্যপূর্ণ, বর্তমান সম্ভাবনাময় এবং দিশাদর্শী ভবিষ্যৎ রয়েছে। উন্নয়নের পথকে সুচারু করতে কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ এখানে বাকি রাখা হয়নি। নানা কাজে সুরাটের মানুষদের ব্যস্ত থাকতে হলেও খাওয়ার দোকানের বাইরে আধঘন্টা অপেক্ষা করতে তাদের অসুবিধা নেই। প্রবল বৃষ্টিতেও হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে থেকেও সুরাটের কাউকে পকোড়া স্টলের বাইরে লাইন দিতে দেখা যায়। তবে, সুরাটবাসীদের সারা বিশ্ব ঘুরে বেরাতে দেখা যায়।
বন্ধুগণ,
এই হীরা বাণিজ্য কেন্দ্র সুরাট শহরের মহিমায় আর এক সংযোজন। বিশ্বের বেশ কিছু বৃহত্তম অট্টালিকাকেও এই হীরা কেন্দ্র ছাপিয়ে যাবে। কিছুক্ষণ আগে বল্লভভাই, লালজিভাই অত্যন্ত বিনম্রতার সঙ্গে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করছিলেন। এই বিনম্রতাই তাঁদের সাফল্যের মূল এবং তাঁদের এই গুণই সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে শিখিয়েছে।
কেউ যদি হীরা বাণিজ্য কেন্দ্রের কথা বলেন, তাহলে এখন আর সুরাট তথা ভারতের কথা বাদ যাবে না। সুরাটের এই বাণিজ্য কেন্দ্র ভারতীয় নকশা ও নকশাকারী, এখানের দ্রব্য এবং ধারণাকে তুলে ধরবে। নব ভারতের সংকল্প এবং নতুন সম্ভাবনার এক প্রতীক হচ্ছে এই ভবন।
পরিবেশবান্ধব এই ভবনের প্রতি সকলকে আলোকপাত করতে আমি অনুরোধ করছি। আধুনিক ভবনের কাঠামো কী রকম হতে পারে, তার নমুনা দেশের স্থাপত্য ও কারিগরি বিদ্যার ছাত্রদেরকে দেখতে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। ভূমির নকশা কী রকম হওয়া উচিত এবং পঞ্চতত্ত্বের ধারণা কী, তাও পর্যালোচনা করতে সকলকে আমি অনুরোধ করব।
বন্ধুগণ,
আজ সুরাটের জনসাধারণ, বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়ীরা আরও দুটি উপহার লাভ করছেন। সুরাট বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনালের আজ উদ্বোধন হয়েছে। এছাড়াও, সুরাট বিমানবন্দর, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মর্যাদা পেলো। বছরের পর বছর ধরে সুরাটবাসীদের চাহিদা আজ পূর্ণ হলো। আমার মনে পড়ছে পূর্বে আমি যখন এখানে আসতাম সুরাট বিমানবন্দরের থেকে বাস স্টেশনকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগতো। বিমানবন্দর ছিল একটা ছোট্ট কুড়ে ঘরের মতো। তবে, আজ এই বিমানবন্দরের নব সৌকর্যে সুরাটের শক্তি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
সুরাট থেকে দুবাই বিমান চলাচল আজ শুরু হচ্ছে। শীঘ্রই হংকং-এ যাওয়া যাবে। সুরাটের এই বিমানবন্দরের ফলে গুজরাটের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংখ্যা বেড়ে হলো তিন। কেবলমাত্র হীরাই নয়, বস্ত্র, পর্যটন, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন শিল্প সমস্ত ক্ষেত্রই এর ফলে উপকৃত হবে। অসাধারণ টার্মিনাল এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য সুরাট তথা গুজরাটবাসীকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আমার পরিবারের সদস্যরা,
গুজরাটের সঙ্গে আমার গভীর ভালোবাসা সম্পর্ক প্রকাশের ভাষা নেই। এখানকার মানুষদের আমি অত্যন্ত ভালোভাবে চিনি। সুরাট থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। চেষ্টা থাকলে বিরাট চ্যালেঞ্জেরও যে মোকাবিলা করা সম্ভব, সুরাট তা আমাকে শিখিয়েছে। সুরাটের মানুষের সামর্থ এককথায় অতুলনীয়।
সুরাট শহর অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে। এই শহরের মহিলায় আকৃষ্ট হয়ে ব্রিটিশরা প্রথমে সুরাটে আসে। এক সময়ে সুরাটে বিশ্বের সব থেকে জাহাজ তৈরি হয়েছিল। ইতিহাসের প্রেক্ষাপট থেকে দেখলে বলা যায়, অনেক বিরাট সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে সুরাটবাসীদের। কিন্তু তারা ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করেছেন। এমন একটা সময় ছিল, এখানকার জাহাজগুলিতে ৮৪-টি দেশের পতাকা দেখা যেতো। আজ মাথুরভাই জানালেন, ১২৫-টি দেশের পতাকা এখন উড়তে দেখা যায়।
কয়েকবার সুরাটকে কঠিন অসুখে পীড়িত হতে দেখা যায়। কয়েকবার তাপ্তি নদীর বন্যার প্রভাব পড়ে। রাজ্যকে নেতিবাচকতার প্রভাবদীর্ণ হতেও দেখেছি আমি। যাতে গুজরাটের উদ্যম রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। তবে, আমার স্থির বিশ্বাস ছিল, এই যাবতীয় সঙ্কট কাটিয়ে উঠে নব শক্তিতে গুজরাট বিশ্ব ক্ষেত্রে তার নিজের জায়গা প্রতিষ্ঠিত করবে। আজ এই শহর বিশ্বের প্রথম ১০-টি দ্রুত বিকাশশীল শহরের একটি।
সুরাটের পথের ধারের খাবার, সেখানকার স্বচ্ছতা, দক্ষতা বিকাশে তার নৈপুন্য সবই এক কথায় অসাধারণ। সুরাটকে এক সময়ে সূর্যনগরী বলা হতো। এখানকার জনসাধারণ তাদের কঠিন পরিশ্রমবলে সেই শহরকে হীরক নগরী এবং সিল্ক নগরী করে তুলেছে। আপনাদের কঠোর পরিশ্রমেই সুরাট সেতুবন্ধের শহর হয়ে উঠেছে। আজ সুরাট লক্ষ লক্ষ যুবকের স্বপ্নের শহর। তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এই শহর এগিয়ে চলেছে। আধুনিক সুরাটকে তুলে ধরতে এই হীরা বাণিজ্য কেন্দ্রের বৃহদায়তন এই বাড়ি এক অনন্যতার সাক্ষ্য বহন করছে।
বন্ধুগণ,
আজ আপনারা সকলেই মোদীর গ্যারান্টি নিয়ে অনেক কথা শুনছেন। সাম্প্রতিক নির্বাচনী ফলাফলের পরে এই আলোচনায় আরও গতির সঞ্চার হয়েছে। কিন্তু সুরাটের মানুষ মোদীর গ্যারান্টি অনেক আগে থেকেই জানেন। এখানকার কঠোর পরিশ্রমী মানুষ দেখেছেন মোদীর গ্যারান্টির বাস্তবায়নকে। আজ সুরাট হীরা বাণিজ্য কেন্দ্র এই গ্যারান্টিরই সাক্ষ্য বহন করছে।
আমার মনে আছে, আমার বন্ধুবর্গ আপনাদের সমস্যা সম্পর্কে কয়েক বছর আগেই আমায় ওয়াকিবহাল করেন। এখানকার লক্ষ লক্ষ মানুষের এক বিরাট সম্প্রদায় ছোট-বড় ব্যবসায়ী ও কারিগররা হীরা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাদের একটা প্রধান সমস্যা ছিল, প্রত্যেকটি কারণেই তাদের দীর্ঘ পথ সফর করতে হতো। কাঁচা হীরা কিনতে বা যাচাই করতে কারোর বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল। সরবরাহশৃঙ্খলে এই সমস্যার কারণে হীরা ব্যবসার উপরেও প্রভাব পড়ে। এই সমস্যা সমাধানে তারা আমাকে বারংবার অনুরোধ করেন।
এই প্রেক্ষাপটে ২০১৪ সালে দিল্লিতে বিশ্ব হীরা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ঠিক সেই সময়ে আমি হীরার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রজ্ঞাপিত এলাকা গঠনের কথা ঘোষণা করি। এটাই এই হীরা বাণিজ্য কেন্দ্র গঠনের স্বপ্নকে সাকার করে তুলেছে। আমরা আইনের সংশোধন ঘটিয়েছি এবং বৃহদায়তন এই বাণিজ্য কেন্দ্র হীরা বাণিজ্য কেন্দ্র রূপে দেখা দিয়েছে। কাঁচা হীরা বা পালিশ করা হীরা অথবা পরীক্ষাগারে প্রস্তুত হীরা বা তৈরি অলংকার আজ এই একই ছাতার তলায় সমস্তরকম ব্যবসা সম্ভব। কর্মী বা কারিগর বা ব্যবসাদার, সুরাট হীরা বাণিজ্য কেন্দ্র সকলকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে।
এখানে আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কিং এবং সুরক্ষিত ভল্ট-এর সুবিধা রয়েছে। অলংকার মল বা খুচরো অলংকার ব্যবসা যাবতীয় ক্ষেত্রে সুরাটের হীরা নগরী ৮ লক্ষেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করেছে। আজ এই হীরা বাণিজ্য কেন্দ্র হওয়ায় আরও দেড় লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আপনাদের সকলের উদ্যমের আমি প্রশংসা করছি।
বন্ধুগণ,
সুরাট, গুজরাট এবং দেশকে অনেক কিছু দিয়েছ। তবে, তার আরও সম্ভাবনা রয়েছে। এটা সূচনা মাত্র। আমাদের আরও পথ অতিক্রম করতে হবে। আপনারা সকলেই অবগত, বিগত ১০ বছরে ভারত বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে দশম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে মোদী দেশকে গ্যারান্টি দিয়েছে, ভারত বিশ্বের প্রথম তিনটি অর্থনীতির একটি হয়ে উঠবে।
সরকার আগামী ২৫ বছরের জন্য লক্ষ্য পথ স্থির করেছে। ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বা ১০ ট্রিলিয়ন সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা কাজ করে চলেছি। দেশের রপ্তানিকে রেকর্ড সীমায় পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। এই প্রেক্ষাপটে সুরাটের গুরুত্ব বিশেষত, সুরাটের হীরা শিল্পের গুরুত্ব বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুরাট শহরের উচিত লক্ষ্য পথ স্থির করে দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির পথে আরও বৃহত্তর অংশগ্রহণে সামিল হওয়া।
হীরা বা রত্নালংকার শিল্পে সমস্যা এবং সম্ভাবনা দুইই রয়েছে। ভারত হীরা অলংকারের রপ্তানিতে অনেক এগিয়ে। আমরা সিলভারকাট হীরা অথবা পরীক্ষাগারে নির্মিত হীরার নেতৃত্ব দিচ্ছি। সমগ্র রত্নালংকার শিল্পের কথা যদি ধরতে হয়, বিশ্বে তার রপ্তানি ক্ষেত্রে ভারতের ৩.৫ শতাংশ ভাগ রয়েছে। সুরাট যদি তার লক্ষ্য স্থির করে রত্নালংকার ক্ষেত্রে এই রপ্তানিকে আমরা দ্বিগুণ সীমায় পৌঁছে দিতে পারি।
রপ্তানি প্রসারের স্বার্থে এই ক্ষেত্রকে আমরা বিশেষভাবে চিহ্নিত করেছি। নকশা ক্ষেত্রে পেটেন্টকে উৎসাহ দেওয়া হোক বা রপ্তানি বাণিজ্যের বৈচিত্রকরণ, অন্য দেশের সঙ্গে প্রযুক্তি সহযোগিতার পথ গড়ে তোলার ক্ষেত্রকে আমরা চিহ্নিত করছি। পরীক্ষাগারে নির্মিত হীরা অথবা সবুজ হীরা এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
সবুজ হীরাকে উৎসাহ দিতে সরকার বিশেষ সংস্থান রেখেছে। আজ নিশ্চয়ই আপনারা বিশ্বের নানা দেশ সফরের সময়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের প্রতি অনুকূল মনোভাব প্রত্যক্ষ করছেন। বিশ্বের নানা দেশের মানুষ আজ এখানে উপস্থিত। আজ বিশ্বজুড়ে ভারতের মর্যাদা বিরাট মাত্রা পেয়েছে। মেড ইন ইন্ডিয়া এখন এক শক্তিশালী ব্র্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। অলংকার শিল্প এতে উপকৃত হবে।
বন্ধুগণ,
সুরাটের আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার উপর আমরা জোর দিয়েছি। সুরাটে আজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে, নিজস্ব মেট্রো রেল পরিষেবা রয়েছে, সুরাট বন্দরে গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ওঠানামা করে, আজ সুরাটে হাজিরা বন্দর, ডিপ ওয়াটার এলএনজি টার্মিনাল এবং মাল্টি কার্গো বন্দর রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রগুলির সঙ্গে সুরাটের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। বিশ্বের নামমাত্র কয়েকটি শহরেই এর দৃষ্টান্ত মেলে। বুলেট ট্রেন প্রকল্পের সঙ্গেও সুরাটকে যুক্ত করা হয়েছে। এখানে পশ্চিমাঞ্চল ডেডিকেটেড ফ্রেড করিডোরের কাজ জোর গতিতে এগিয়ে চলেছে। এতে উত্তর এবং পূর্বাঞ্চল ভারতের সঙ্গে সুরাটের সংযোগ অনেক নিবিড় হবে। দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে সুরাটের ব্যবসা ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা সঞ্চার করবে।
সুরাট দেশের মধ্যে একমাত্র শহর আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধামন্ডিত। সুরাটের অগ্রগতি মানে গুজরাটের অগ্রগতি। গুজরাটের অগ্রগতি মানে দেশের অগ্রগতি। বিভিন্ন দেশের মানুষের এখানে আসা-যাওয়া মানে তা এক বিশ্ব শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে। এক কথায় তা এক ক্ষুদ্র ভারত হয়ে উঠছে।
সাম্প্রতিক জি২০ শিখর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যোগাযোগ স্বার্থে প্রযুক্তির আমরা পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছি। কোনো গাড়ির চালক যদি হিন্দিভাষী হয়ে থাকেন, আর সেই গাড়ির আরোহী যদি ফরাসী ভাষায় কথা বলেন, তাহলে তাদের মধ্যে কথাবার্তা কী করে সম্ভব? আমরা এমন এক মোবাইল অ্যাপ ব্যবস্থা করেছি, যাতে কেউ ফরাসী ভাষায় কথা বললেও গাড়ির চালক হিন্দিতে শুনতে পাবেন, আর গাড়ির চালক হিন্দিতে কথা বললে গাড়ির আরোহী ব্যক্তি তার ফরাসী রূপান্তর শুনবেন।
বিশ্বের নানা দেশের মানুষ আমাদের এই হীরা বাণিজ্য কেন্দ্রে আসবেন। ভাষাগত যোগাযোগের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার আপনাদের সবরকম সাহায্য করবে এবং কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে মোবাইলে ভাষিণী অ্যাপের মাধ্যমে।
মুখ্যমন্ত্রীকে আমি পরামর্শ দেবো, নর্মাদ বিশ্ববিদ্যালয় যাতে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যদি বিভিন্ন ভাষায় কথোপকথোনে পারদর্শী হয়ে ওঠেন তাহলে এখানে আসা বিদেশের বাণিজ্য দলকে তারা দ্বিভাষী হিসেবে সাহায্য করতে পারবেন। বিশ্ব হাব হিসেবে একে গড়ে তুলতে ভাষা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রযুক্তি এখানে সহায়ক হলেও নিজস্ব দক্ষতাও অনুরূপ গুরুত্বপূর্ণ। আমার বিশ্বাস খুব শীঘ্রই নর্মাদ বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও দ্বিভাষী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
আরও একবার সুরাট হীরা বাণিজ্য কেন্দ্র এবং নতুন সুরাট বিমানবন্দর টার্মিনালের জন্য আপনাদের অভিনন্দন। উজ্জীবিত গুজরাট শিখর সম্মেলন আগামী মাসেই অনুষ্ঠিত হবে। গুজরাটের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি। দেশের অগ্রগতিতে গুজরাটের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।
এখানে সমবেত আপনারা সকলে উন্নয়নের উৎসব উদযাপন করছেন। কি বিরাট পরিবর্তন না হয়েছে। এদেশের প্রত্যেকটি মানুষ এখন উন্নয়নে দায়বদ্ধ। ভারতের এগিয়ে যাওয়ার পথে এ এক মঙ্গল চিহ্ন। আরও একবার আমি বল্লভভাই এবং তাঁর পুরো দলকে আন্তরিক সাধুবাদ জানাই। আমি জানি কোভিড অতিমারীর প্রভাব যদি না পড়তো, তাহলে এই কাজ আরও আগে সম্পূর্ণ হয়ে যেতো। তবে আজ স্বপ্ন পূরণ হল দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক অভিনন্দন!!
ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের কিছুটা অংশ গুজরাটিতে হলেও তার অনুবাদ করা হয়েছে।
*****
SSS/AB/SKD
(रिलीज़ आईडी: 2179048)
आगंतुक पटल : 13
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English
,
Urdu
,
Marathi
,
हिन्दी
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam