প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
৩৫,৪৪০ কোটি টাকা মূল্যের দুটি বৃহৎ কৃষি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন
Posted On:
12 OCT 2025 6:30PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১২ অক্টোবর ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির ভারতীয় কৃষি গবেষণা সংস্থায় কৃষকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মিলিত হন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষককল্যাণ, স্বনির্ভরতা এবং গ্রামাঞ্চলে পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে। মূল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার আগে প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তিনি পিএম ধন ধান্য কৃষি যোজনার সূচনা করেছেন। এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪,০০০ কোটি টাকা। এছাড়াও, ডালশস্যের আত্মনির্ভরতার জন্য আরও একটি মিশনেরও সূচনা করেন তিনি। এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১১,৪৪০ কোটি টাকা। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী কৃষি, পশু ও মৎস্যপালন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫৪৫০ কোটি টাকার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনও করেছেন। এই অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির সঙ্গে ৮১৫ কোটি টাকার শিলান্যাস করেন তিনি।
হরিয়ানার হিসার জেলার এক কৃষক কাবুলি ছোলা চাষ করে তাঁর কৃষি জীবন শুরু করেন। তিনি জানান, চার বছর আগে তিনি এই চাষ শুরু করেন। বর্তমানে প্রতি একর জমিতে ১০ ক্যুইন্টাল কাবুলি ছোলা উৎপাদন করেন তিনি। সিম জাতীয় শস্যের কৃষিকাজের ক্ষেত্রে একই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলানোর বিষয়টি নিয়ে তাঁর কাছে বিস্তারিতভাবে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে, এই ধরনের ফসল ফলালে জমির ঊর্বরতা কতটা বৃদ্ধি পায় এবং অতিরিক্ত কত আয় হয়, সেই বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাছে জানতে চান।
ঐ কৃষক তাঁকে জানিয়েছেন, এই ধরনের শস্য চাষে তিনি উপকৃত হচ্ছেন। ছোলা চাষের ফলে জমিতে নাইট্রোজেন বাড়ে। ফলস্বরূপ, অন্যান্য শস্য চাষেও উপকার পাওয়া যায়। মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের সুস্থায়ী ব্যবস্থাপনা অন্যান্য কৃষকদেরও অনুসরণ করা উচিত বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের কৃষিকাজ দেশের অন্য কৃষকদের অনুসরণ করা উচিত। ঐ কৃষক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এই প্রথম আমার জীবনে কোনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রকৃত অর্থেই তিনি একজন ভালো নেতা, যিনি কৃষকদের সঙ্গে এবং দেশের সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন।”
এই কৃষক জানিয়েছেন তিনি একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং কৃষিকাজও করেন। কিষাণ পদক সংস্থানের তিনি যুক্ত। তাঁর ১৬ বিঘা পারিবারিক জমি রয়েছে যেখানে তিনি ডালশস্য চাষ করে থাকেন। এছাড়াও, তাঁর গ্রামের ২০ জন মহিলাকে নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তুলেছেন। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা ডালশস্য, রসুন, চিরায়ত পদ্ধতিতে পাপড় তৈরির মতো নানা কাজে যুক্ত। “আমরা আমাদের ব্র্যান্ডের নাম রেখেছি দুগারিওয়ালে। আমাদের গ্রামের নাম দুগারি। আমরা দুগারিওয়ালে চানা, রসুন ও পাপড় বিক্রি করি। জেম পোর্টালেও আমরা নাম তুলে রেখেছি। সেনাবাহিনী এই পোর্টাল থেকে আমাদের পণ্য কিনে থাকে।”
হরিয়ানার হিসারের আরও একজন চাষি জানিয়েছেন, ২০১৩-১৪ সাল থেকে তিনিও কাবুলি ছোলা চাষ করেন। প্রথমে এক একর জমিতে চাষ করা শুরু করলেও বর্তমানে তা ১৩-১৪ একর জমিতে পৌঁছেছে। “এর ফলে আমাদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর আমরা ভালো মানের বীজের সন্ধান করি। এইভাবে আমাদের উৎপাদন ক্রমশ বাড়ছে।”
প্রধানমন্ত্রী নিরামিষাশীদের জন্য ডালশস্যের পুষ্টিকর দিকের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। ডাল কৃষকদের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে। তিনি গোষ্ঠীবদ্ধ চাষের ওপর গুরুত্ব দেন। এই চাষে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষীরা একজোট হয়ে অর্থকরী কোনও ফসল চাষ করেন। ফলে, কৃষিকাজে ব্যয় যেমন হ্রাস পায়, পাশাপাশি, উৎপাদিত ফসল ভালো দামে বিক্রি করা সম্ভব হয়।
একজন কৃষক এই মডেলের সফল একটি উদাহরণ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, বর্তমানে তাঁরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ১,২০০ একর জমিতে কাবুলি ছোলার চাষ করছেন। তাঁরা ভালো বাজার পাচ্ছেন। ফলস্বরূপ, তাঁদের আয় বৃদ্ধি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী অন্ন চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। যেসব অঞ্চলে জলসঙ্কট আছে, সেখানে বাজরা এবং জোয়ার চাষের উপযোগীতার কথা তিনি তুলে ধরেন। এক কৃষক জানান, জোয়ার, বাজরা এবং রাগি চাষের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে তাঁরা ভালো দাম পাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট শস্যগুলির জনপ্রিয়তা ও মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে এটি সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “যেখানে জলসঙ্কট রয়েছে, সেই অঞ্চলে মিলেট শস্য লাইফলাইনের ভূমিকা পালন করছে। আজ আন্তর্জাতিক স্তরে মিলেটের বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
আলোচনায়, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে রসায়নমুক্ত কৃষিকাজের প্রসঙ্গটি স্থান পায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পদ্ধতি আরও বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। ক্ষুদ্র কৃষকরা এটি ব্যবহার করছেন। তিনি পরামর্শ দেন, জমির একটি অংশে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করুন, অন্য অংশে আগের মতোই চাষবাস চালান। এইভাবে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের বিষয়ে আস্থা অর্জন করুন।
একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক মহিলা সদস্য জানান, ২০২৩ সালে তাঁরা মুগের চাষ শুরু করেন। তাঁর ৫ বিঘা জমিতে এই চাষ করার ক্ষেত্রে পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। “প্রতি বছর ৬ হাজার টাকা পাওয়া দারুণ ব্যাপার। এই টাকা দিয়ে আমরা বীজ কিনতে পারি। ফলে, সঠিক সময়ে বীজ বপন করতে পারি।” আরও একজন কৃষক জানান, ছোলা, মুসুর ডালের মতো ডালশস্য চাষ তিনি শুরু করেন। প্রথমে ২ একর জমিতে এই চাষ শুরু হয়। এর ফলে, তাঁর আয় বৃদ্ধি পায়।
আরও একজন কৃষক অনুষ্ঠানে তাঁর অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। তিনি জানান, ২০১০ সালে একটি হোটেলে রুম বয়ের কাজ করতে তিনি। আর এখন তাঁর নিজের একটি গো-শালা রয়েছে, যেখানে ২৫০টি গির গরু আছে। তিনি তাঁর উদ্যোগের জন্য প্রাণীপালন মন্ত্রকের বিশেষ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি এই মন্ত্রকের থেকে যে মূলধন পেয়েছেন, সেখানে ৫০ শতাংশ ভর্তুকির সংস্থান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বেনারসের কৃষকদের গির গরু নিয়ে আরেকটি উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এক্ষেত্রে যে পরিবারগুলিকে এই প্রজাতির গরু দেওয়া হয়েছিল, তাদের গরু দেওয়ার সময় শর্ত ছিল, প্রথম বাছুরটি ফিরিয়ে দিতে হবে। ঐ বাছুর অন্য পরিবারকে দেওয়ার ফলে একটি সুস্থায়ী সম্প্রদায়গত শৃঙ্খল তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা (পিএমএমএসওয়াই)-র আওতায় বহু মৎস্যজীবীর জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। উত্তরপ্রদেশের একজন পিএইচডি প্রাপক জলসম্পদকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে চাকুরিপ্রার্থীর পরিবর্তে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন। তিনি উত্তরাখণ্ড থেকে ২৫ জন যুবককে তাঁর সংস্থায় কাজ দিয়েছেন। পিএমএমএসওয়াই সম্পর্কে জানতে পেরে এক কাশ্মীরি তরুণও মৎস্যচাষ শুরু করেন। এখন তাঁর সংস্থায় ১৪ জন কাজ করছেন। তিনি প্রতি বছর ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারছেন। উপকূলীয় অঞ্চলের এক মহিলা জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি ১০০ জনকে কাজ দিচ্ছেন। পিএমএমএসওয়াই-এর মাধ্যমে মাছ সংরক্ষণের জন্য হিমঘরের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। আরেকজন মৎস্যজীবী জানিয়েছেন, পিএমএমএসওয়াই দেশজুড়ে কৃষি সংক্রান্ত স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলিকে নতুন আশার আলো দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মৎস্যচাষের ফলে উদ্ভূত বিপুল সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
একটি সখি সংগঠনের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দুগ্ধপালন বা দোহ শিল্পে তাঁরা প্রথমে ২০ জন মহিলাকে তাদের সংস্থায় কাজে লাগান। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৯০ হাজার মহিলা এই কাজ করছেন। “সঙ্ঘবদ্ধ প্রয়াসে বর্তমানে ১৪ হাজারেরও বেশি মহিলা লাখপতি দিদিতে উন্নীত হয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী জানান, “এটি দারুণ এক উদ্যোগ।” তিনি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির প্রশংসা করেন।
ঝাড়খণ্ডের সারাইকেলা জেলার এক শিল্পোদ্যোগী সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ শুরু করেছেন। তিনি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের স্থানীয় ১২৫টি কৃষক পরিবারকে এই কাজে যুক্ত করেছেন। কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর “চাকুরিপ্রার্থী থেকে কর্মদাতা”র ধারণায় তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন, সেই তথ্য তিনি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কৃষকরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। কৃতজ্ঞচিত্তে এক কৃষক বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ যেন একটি ন্যাচারাল থেরাপি। কোনও নেতার সঙ্গে কথা বলছি, তা যেন মনেই হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, ঘরের কারোর সঙ্গে কথা বলছি।” আরেকজন কাশ্মীরি যুবক জানান, বর্তমান নেতৃত্বের অধীনে জম্মু-কাশ্মীরে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। “আপনাদের সরকার না থাকলে এ ধরনের পরিবর্তন হত না।”
অপর এক কৃষক জানিয়েছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আকর্ষণীয় কাজ ছেড়ে ২০১৪ সালে ভারতে ফিরে আসেন। তিনি মাত্র ১০ একর জমিতে কৃষিকাজ শুরু করেন। বর্তমানে ৩০০ একর জমিতে পশুপালন করে থাকেন। এছাড়াও, আরও ১০ হাজার একরের বেশি জমিতে তিনি বীজ তোলার কাজ করেন। ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়া-কালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে আর্থিক সহায়তা তিনি পেয়েছেন। মাত্র ৭ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করেও তিনি লাভের মুখ দেখেছেন। তাঁর সংস্থায় ২০০-র বেশি মানুষ কাজ করেন।
গুজরাটের আমরেলি জেলার ধারি গ্রামের কৃষিপণ্য উৎপাদক সংগঠনের এক সদস্যা জানিয়েছেন, তাঁদের সংগঠনে ১,৭০০ জন কৃষক রয়েছেন। ১,৫০০ একর জমিতে তাঁরা কৃষিকাজ করে থাকেন। গত চার বছর ধরে তাঁদের বার্ষিক লভ্যাংশের হার ২০ শতাংশ। সরকারের ২ কোটি টাকার বন্ধকীবিহীন ঋণ প্রকল্পের আওতায় তাঁরা প্রয়োজনীয় মূলধন পেয়েছেন। “কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম আমাদের জন্য যথেষ্ট লাভজনক ছিল, কারণ আমাদের কাছে প্রথমে কোনও মূলধন ছিল না।”
রাজস্থানের জয়সলমীরের আরেকটি কৃষিপণ্য উৎপাদক সংগঠনের সদস্য জানিয়েছেন, তাঁরা ইসবগুল এবং জিরা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষ করেছেন। এই পণ্যগুলি রপ্তানি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ইসবগুল দিয়ে আইসক্রিম বানানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কৃষকদের মধ্যে এই পরামর্শ যথেষ্ট উৎসাহের সঞ্চার করেছে। বারাণসীর কাছে মির্জাপুরের এক কৃষক তাঁর মিলেট চাষের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। উৎপাদিত কৃষিপণ্যকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তিনি বাজারজাত করে থাকেন। বর্তমানে তাঁর উৎপাদিত পণ্য প্রতিরক্ষা এবং এনডিআরএফ-এর কর্মীদের সরবরাহ করা হয়।
কাশ্মীরের এক আপেল চাষি জানান, তাঁর অঞ্চলে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠায় আপেল পরিবহণে যুগান্তকারী এক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে খুব সহজেই ৬০ হাজার টনের বেশি আপেল ও শাকসব্জি কাশ্মীর থেকে দিল্লি-সহ দেশের অন্যত্র পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের এক তরুণ শিল্পোদ্যোগী জানিয়েছেন, আলুর বীজ নিয়ে তাঁর চাষের কথা। মাটি ছাড়াই তিনি এই আলুর বীজের চাষ করে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী মজা করে একে ‘জৈন আলু’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এর ফলে জৈনদের সুবিধা হবে। অনেক জৈন মাটির তলার সব্জি খান না। রাজস্থানের বরন জেলার এক কৃষক তাঁর রসুন চাষের কথা জানিয়েছেন। উৎপাদিত রসুন পাউডার এবং পেস্টের মতো করে তিনি বাজারজাত করেন। ঐ কৃষক রপ্তানি করার লাইসেন্সও পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এই আলাপচারিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের অভিজ্ঞতার কথা শুনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
*****
SSS/CB/DM..
(Release ID: 2178462)
Visitor Counter : 3