প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
দ্রাসে কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
Posted On:
26 JUL 2024 1:26PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৬শে জুলাই , ২০২৪
ভারত মাতার জয়!
ভারত মাতার জয়!
এই আওয়াজ পাহাড়ের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে পড়ুক,
ভারত মাতার জয়!
ভারত মাতার জয়!
লাদাখের উপরাজ্যপাল, বি.ডি. মিশ্রজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ, জেনারেল অনিল চৌহান, তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, কার্গিল যুদ্ধের সময় যিনি সেনাপ্রধান ছিলেন জেনারেল ভি.পি. মালিকজি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে জী, সাহসিকতার পুরষ্কার প্রাপ্ত বীর সৈনিক এবং অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক, সাহসী মা, ও বোনেরা, এবং কার্গিল যুদ্ধের বীর সৈনিকদের পরিবারের সদস্যরা, সেনাবাহিনীর বীর সৈনিকরা এবং আমার প্রিয় দেশবাসী,
আজ, লাদাখের এই মহান ভূমিতে কার্গিল বিজয়ের ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। কার্গিল বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে দেশের জন্য করা ত্যাগ সব সময়ই সম্মানের । দিন, মাস, বছর, দশক, শতাব্দী চলে যায়, ঋতু পরিবর্তন হয়, কিন্তু দেশের রক্ষার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের নাম অম্লান থাকে। এই দেশ আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বীরদের কাছে চিরকাল ঋণী। এই জাতি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
বন্ধুগণ
কার্গিল যুদ্ধের সময় একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমাদের সৈন্যদের মধ্যে থাকতে পেরে আমি ভাগ্যবান। আজ, যখন আমি কার্গিলের মাটিতে ফিরে এসেছি, তখন সেই স্মৃতিগুলি স্বাভাবিকভাবেই আমার মনে পড়ছে। আমার মনে আছে আমাদের বাহিনী এত উঁচুতে উঠে কঠিন এক সমরাভিযান পরিচালনা করেছিল। আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে সেই সব সাহসী যোদ্ধাদের স্যালুট জানাই যারা আমাদের দেশের জন্য জয় এনেছিলেন। কার্গিলে মাতৃভূমি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী শহীদদের আমি শ্রদ্ধা জানাই।
বন্ধুগণ
কার্গিলে আমরা কেবল যুদ্ধে জয়ী হইনি, বরং 'সত্য, সংযম এবং শক্তির' এক চমৎকার উদাহরণও রেখেছি। আপনারা জানেন, ভারত সেই সময় শান্তির জন্য চেষ্টা করছিল। বিনিময়ে পাকিস্তান আবারও তার অবিশ্বস্ত আচরন দেখিয়েছে। কিন্তু সত্যের কাছে মিথ্যা ও সন্ত্রাসবাদ পরাজিত হয়েছিল।
বন্ধুগণ
অতীতে পাকিস্তান যতবার খারাপ কাজ করেছে, তাদের ততবার পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান তার ইতিহাস থেকে কিছুই শেখেনি। সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে তারা প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু, আজ যখন আমি এমন এক জায়গা থেকে কথা বলছি যেখানে সন্ত্রাসবাদের প্রভুরা সরাসরি আমার কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছে। আমি সন্ত্রাসবাদের এই পৃষ্ঠপোষকদের বলতে চাই যে তাদের অশুভ পরিকল্পনা কখনই সফল হবে না। আমাদের সাহসী সৈন্যরা পূর্ণ শক্তি দিয়ে সন্ত্রাসবাদকে ধ্বংস করবে, শত্রুকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
বন্ধুগণ,
লাদাখ হোক বা জম্মু ও কাশ্মীর, ভারত উন্নয়নের পথে আসা প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করবে। আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই, ৫ আগস্ট, ৩৭০ ধারা বাতিলের পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। আজ, জম্মু ও কাশ্মীর একটি নতুন ভবিষ্যতের কথা বলছে, বড় বড় স্বপ্নের কথা বলছে। জম্মু কাশ্মীর জি-২০-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি, জম্মু, কাশ্মীর, লেহ এবং লাদাখে পর্যটনশিল্পরও দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। কয়েক দশক পর, কাশ্মীরে একটি সিনেমা হল আবার খুলেছে। সাড়ে তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো শ্রীনগরে তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের ভূস্বর্গ দ্রুত শান্তি ও সম্প্রীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আজ লাদাখেও উন্নয়নের এক হয়েছে, 'শিংকুন লা' সুড়ঙ্গের নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এই সুড়ঙ্গপথের মাধ্যমে, লাদাখ সারা বছর, প্রতিটি ঋতুতেই দেশের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এই সুড়ঙ্গটি লাদাখের উন্নয়ন এবং উন্নত ভবিষ্যতের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে লাদাখের মানুষ যে কষ্টের সম্মুখীন হয় তা আমরা সকলেই জানি। এই সুড়ঙ্গ নির্মাণের ফলে এই অসুবিধাগুলি দূর হবে। এর কাজ শুরু হওয়ার জন্য আমি লাদাখের আমার ভাইবোনদের বিশেষ অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
লাদাখের জনগণের কল্যাণ সবসময়ই আমাদের অগ্রাধিকার। আমার মনে আছে কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়, কার্গিল অঞ্চলের আমাদের অনেক মানুষ ইরানে আটকা পড়েছিলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলাম। তাদের ইরান থেকে এনে জয়সলমীরে রাখা হয়েছিল এবং স্বাস্থ্যগত দিক থেকে সম্পূর্ণ সন্তোষজনক রিপোর্ট পাওয়ার পর, তাদের সকলকে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। আমরা খুশি যে আমরা এত জীবন বাঁচাতে পেরেছি। ভারত সরকার এখানকার মানুষের সুযোগ-সুবিধা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ৫ বছরে আমরা লাদাখের বাজেট ১১০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার কোটি টাকা করেছি। অর্থাৎ, প্রায় ছয় গুণ বৃদ্ধি! আজ এই অর্থ লাদাখের মানুষের উন্নয়নে এবং এখানে সুবিধাগুলি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। আপনি দেখুন, রাস্তা, বিদ্যুৎ, জল, শিক্ষা, বিদ্যুৎ সরবরাহ, কর্মসংস্থান - লাদাখের চিত্রটি প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রথমবারের মতো, এখানে সামগ্রিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। জল জীবন মিশনের কারণে, এখন লাদাখের ৯০ শতাংশেরও বেশি বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌছে গেছে । লাদাখের যুবসম্প্রদায়ের উচ্চ গুনমানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা্র জন্য, সিন্ধু কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এখানে নির্মিত হচ্ছে। পুরো লাদাখ অঞ্চলকে ফোর জি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ চলছে। ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ জোজিলা টানেলের কাজও চলছে। এ্টি নির্মাণের ফলে এক নম্বর জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে সব আবহাওয়ায় যোগাযোগ থাকবে।
বন্ধুগণ,
আমরা দেশের সীমান্ত অঞ্চলে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি । সীমান্ত সড়ক সংগঠন জাতীয় লক্ষ্যগুলি পূরণের জন্য অভূতপূর্ব গতিতে কাজ করেছে। এরা গত তিন বছরে ৩৩০ টিরও বেশি পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্প শেষ করেছে। এর মধ্যে লাদাখে উন্নয়নমূলক কাজ এবং উত্তর -পূর্বের সেলা সুড়ঙ্গে র মতো প্রকল্পগুলি রয়েছে। পাথুরে মাটিতে উন্নয়নের এই গতি নতুন ভারতের সম্ভাবনাকে তুলে ধরে।
বন্ধুগণ,
বর্তমান বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি আগের চেয়ে আলাদা। অতএব, আমাদের সেনা বাহিনীর অস্ত্র ও সরঞ্জামের পাশাপাশি, কার্যকরভাবে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য আধুনিক হওয়া উচিত। দেশ কয়েক দশক ধরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিল। সেনাবাহিনী নিজেই বছরের পর বছর ধরে এই দাবি করে আসছিল। তবে, দুর্ভাগ্যক্রমে এর আগে এটিকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। গত ১০ বছরে, আমরা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রতিরক্ষা সংস্কার করেছি। এই সংস্কারগুলির কারণে, আজ আমাদের বাহিনী আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং স্বনির্ভর হয়ে উঠছে। আজ, ভারত প্রতিরক্ষা শিল্পকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহের ক্ষেত্রে গুরত্ব দিচ্ছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন বাজেটের ২৫ শতাংশ বেসরকারী ক্ষেত্রের জন্যও সংরক্ষিত রয়েছে। এ জাতীয় প্রচেষ্টার ফলে ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উত্পাদন এখন ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি পৌঁছেছে। ভারতকে একসময় অস্ত্র আমদানিকারক দেশ হিসাবে বিবেচিত ছিল। এখন ভারত রফতানিকারক দেশ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে । আমি খুশি যে আমাদের বাহিনী ৫০০০- এরও বেশি অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামের একটি তালিকা তৈরি করেছে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এখন এই ৫০০০- টি সরঞ্জাম বাইরে থেকে আমদানি করা হবে না। আমি এর জন্য সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
আমি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করতে চাই। আমাদের বাহিনী বছরের পর বছর ধরে অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অগ্নিপথ সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদাহরণ। কয়েক দশক ধরে, সংসদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কমিটিতে বাহিনীতে তরুণদের আরও অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশ্বর নানা দেশের সেনাবাহিনীর গড় বয়সের তুলনায় ভারতীয় সৈন্যদের গড় বয়স আমাদের সকলের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং, এই বিষয়টি বছরের পর বছর ধরে অনেক কমিটিতে উত্থাপিত হয়েছে। তবে দেশের সুরক্ষার সাথে সম্পর্কিত এই চ্যালেঞ্জটি সমাধান করার জন্য আগে কোনও ইচ্ছা দেখানো হয়নি। সম্ভবত কিছু লোকের মানসিকতা এমন ছিল যে সেনাবাহিনী মানে নেতাদের প্রনাম করা এবং কুচকাওয়াজ করা। আমাদের জন্য, সেনাবাহিনী মানে ১৪০ কোটি দেশবাসীর বিশ্বাস; আমাদের জন্য, সেনাবাহিনী মানে ১৪০ কোটি দেশবাসী শান্তির গ্যারান্টি; আমাদের জন্য, সেনাবাহিনী মানে দেশের সীমানার সুরক্ষার গ্যারান্টি।
দেশ অগ্নিপথের মাধ্যমে এই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান করেছে। অগ্নিপথের লক্ষ্য হ'ল সেনাবাহিনীকে তরুণ করা, অগ্নিপথের লক্ষ্য হ'ল সেনাবাহিনীকে ক্রমাগত যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত রাখা। দুর্ভাগ্যক্রমে, কিছু লোক জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে রাজনীতির বিষয় যুক্ত করে একটি সংবেদনশীল বিষয় সৃষ্টি করেছে। কিছু লোক সেনাবাহিনীর এই সংস্কারে এমনকি তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে মিথ্যার রাজনীতি করছেন। এই একই ব্যক্তিরা বাহিনীতে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করে আমাদের বাহিনীকে দুর্বল করেছিলেন। এই একই ব্যক্তিরা বিমান বাহিনীর জন্য কখনও আধুনিক যুদ্ধ বিমান পেতে চান নি। এই মানুষগুলিই একটি বাক্সে তেজস যুদ্ধ বিমানকে ঢুকিয়ে রাখার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
বন্ধুগণ,
প্রকৃত সত্য হ'ল অগ্নিপথ দেশের শক্তি বাড়িয়ে তুলবে এবং দেশের যুবকরাও মাতৃভূমির সেবা করতে এগিয়ে আসবে। বেসরকারী ক্ষেত্র এবং আধাসামরিক বাহিনীতে অগ্নিবীরর অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছে। আমি অবাক হয়ে যায়, কিছু লোকের কী বুঝতে কোন সমস্যা হয়? তাদের চিন্তাভাবনা কি হয়েছে? তারা বলছেন পেনশনের অর্থ বাঁচাতে সরকার এই প্রকল্পটি নিয়ে এসেছে। আমি এই জাতীয় লোকদের চিন্তাভাবনা নিয়ে অবাক হয়েছি, এই জাতীয় লোকদের জিজ্ঞাসা করা উচিত, দয়া করে আমাকে বলুন, মোদীর শাসনের সময় যারা আজ নিয়োগ দেওয়া হবে তাদের পেনশন কবে দেওয়া হবে? তাকে পেনশন দেওয়ার সময় ৩০ বছর পরে আসবে। তখন তো মোদীর বয়স ১০৫ বছর হবে , তারপরেও কি মোদীর সরকার থাকবে? বন্ধুগণ, আমি দেশকে অগ্রাধিকার দিই, পার্টিকে নয়। আজ আমি গর্বের সাথে বলতে চাই, আমরা সেনাবাহিনীর নেওয়া সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছি। আমরা রাজনীতির জন্য কাজ করি না। আমরা দেশের সুরক্ষা কে অগ্রাধিকার দিই । আমাদের জন্য, ১৪০ কোটি নাগরিকের শান্তি গুরুত্বপূর্ণ।
বন্ধুগণ,
যারা দেশের যুবসম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছেন , ইতিহাস বলে তাঁরা সৈন্যদের কল্যানের কথা কখনও ভাবেন নি। এরাই এক পদ এক পেনশনের বিষয়ে মিথ্যা কথা বলেছিলেন । আমাদের সরকার কিন্তু এক পদ এক পেনশন বাস্তবায়ন করেছে। এরাই সাত দশক স্বাধীনতার পরেও সেনাবাহিনীর দাবি এবং সৈন্যদের পরিবারের দাবি সত্ত্বেও, আমাদের শহীদদের জন্য যুদ্ধের স্মৃতিসৌধ তৈরি করেনি, এটি স্থগিত করে রেখেছিল। , এই একই ব্যক্তিরা সীমান্তে মোতায়েন করা আমাদের সৈন্যদের পর্যাপ্ত বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট সরবরাহ করেননি। এরা কারগিল বিজয় দিবসকে উপেক্ষা করেছেন। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের আশীর্বাদে আমি তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠনের সুযোগ পেয়েছি এবং তাই আজ আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ ঐ তিহাসিক ঘটনাটি স্মরণ করতে সক্ষম হয়েছি। অন্যথায়, যদি তাঁরা ক্ষমতায় আসলে এই বিষয়টি মনে রাখতেন না।
বন্ধুগণ,
কার্গিলের বিজয় কোনও সরকারের বিজয় ছিল না, কার্গিলের বিজয় কোনও দলের ছিল না। এই জয় ছিল দেশের । এটি দেশের গর্ব এবং আত্ম-সম্মানের উত্সব। আবারও, ১৪০ কোটি দেশবাসীর পক্ষে, আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে আমাদের সাহসী সৈন্যদের প্রণাম জানাই। আমি আবারও কার্গিল বিজয়ের ২৫ বছর উপলক্ষ্যে সমস্ত দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। আমার সঙ্গে বলুন - ভারত মাতার জয় !!! এই ভারত মাতা্র জয় আমরা বলব সেই সাহসী শহীদদের জন্য, দেশের সাহসী ছেলেদের জন্য।
ভারত মাতার জয়!
অনেক অনেক ধন্যবাদ !!!
(প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন)
SSS/ CB
(Release ID: 2177563)
Visitor Counter : 8
Read this release in:
English
,
Urdu
,
Marathi
,
हिन्दी
,
Hindi_MP
,
Assamese
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam