প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্স অফ ইন্ডিয়া আয়োজিত বড়দিন উদযাপনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ

Posted On: 23 DEC 2024 9:21PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ 


                                                                                                                 
সম্মানীয় সুধীবৃন্দ...!
আমার প্রিয় দেশবাসী এবং আপনাদের সকলকে, তদুপরি বড়দিন উপলক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে খ্রীষ্ট্র সম্প্রদায়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা। শুভ বড়দিন! 

কেবল তিন-চারদিন আগে আমাদের মন্ত্রিসভার আমার সহকর্মী জর্জ কুরিয়ানের বাড়িতে আয়োজিত বড়দিন উদযাপনে আমি উপস্থিত ছিলাম। আর আজ আপনাদের সকলের মধ্যে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্স অফ ইন্ডিয়া (সিবিসিআই) আয়োজিত এই অনুষ্ঠান আপনাদের সকলের মধ্যে বড়দিন ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এবারের এই অনুষ্ঠান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ, সিবিসিআই-এর এবছর তাদের প্রতিষ্ঠার ৮০ বছর উদযাপন করছে। এই উপলক্ষ্যে তাদের এবং তাদের সঙ্গে জড়িত সকলকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। 

বন্ধুগণ, 
প্রধানমন্ত্রী নিবাসে গতবছর বড়দিন উদযাপনের আমার সুযোগ হয়েছিল। আজ সিবিসিআই ক্যাম্পাসে আমরা সকলে উপস্থিত। এবছরের শুরুতে ইতালিতে জি-৭ শিখর সম্মেলনে মহামান্য পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ-এর সুযোগ হয়। গত তিন বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হল। তাঁকে আমি ভারত সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এছাড়াও, কার্ডিনাল পিঁয়েত্রো প্যারোলিনের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। এই আধ্যাত্মিক মেলবন্ধন এবং আলোচনা সেবার কাজে আমাদের শক্তি এবং সংকল্প জোগায়। 

বন্ধুগণ, 
সম্প্রতি কার্ডিনাল জর্জ কোভাকাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে তাঁকে সম্মান জানানোর সুযোগ আমার হয়েছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই মহামান্য পোপ তাঁকে কার্ডিনাল উপাধিতে সম্মানিত করেছেন। এই উপলক্ষ্যে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জর্জ কুরিয়ানের নেতৃত্বে একটি উচ্চ- পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সেখানে পাঠানো হয়। কোনও ভারত সন্তান যখন সাফল্যের শিখর স্পর্শ করেন স্বাভাবিকভাবেই তা দেশবাসীর কাছে অপরিসীম গর্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কার্ডিনাল জর্জ কোভাকাদকে আমার তরফ থেকে অভিনন্দন ও আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। 

বন্ধুগণ,
আপনাদের মধ্যে আজ উপস্থিত থাকতে পেরে অনেক স্মৃতি আমার মধ্যে ভিড় করে আসছে। এক দশক আগে যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে ফাদার অ্যালেক্সিস প্রেম কুমারকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে পারা আমাদের কাছে গভীর আনন্দের মুহুর্ত ছিল। তিনি বিরাট বিপদের মধ্যে পড়েছিলেন। আটমাস তাঁকে পণবন্দি করে রাখা হয়েছিল। আফগানিস্তানের তখনকার বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতি আপনাদের সকলেরই অনুমেয়। তা সত্ত্বেও আমরা সফল হয়েছিলাম। এরপর ফাদার টম ইয়েমেনে পণবন্দি হন। আমাদের সরকার নিরাপদে তাঁকে গৃহে ফিরিয়ে আনতে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছিল। ভারতে প্রত্যাবর্তনের পর আমি তাঁকে আমার বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। উপসাগরীয় দেশগুলির কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের সেবিকা ভগিনীরা আটকে পড়ায় তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সমগ্র দেশ উদ্বিগ্ন ছিল, তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। এগুলি কেবলমাত্র আমাদের কাছে কূটনৈতিক বিষয় নয় বরং তার আবেগগত দায়বদ্ধতা। বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে কোনও ভারতবাসী বিপদে পড়লে তাঁকে সেই সংকট থেকে উদ্ধার করাকে আজকের ভারত তার দায়িত্ব বলে মনে করে। 

বন্ধুগণ, 
ভারত কেবলমাত্র জাতীয় স্বার্থ অগ্রাধিকার দেয় তা নয় তার বিদেশনীতিতে মানবিক স্বার্থও নিহিত রয়েছ। কোভিড-১৯ অতিমারির সময় সারা বিশ্ব তা প্রত্যক্ষ করেছে। অনেক দেশ আছে যারা মানবাধিকার ও মানবতার কথা বলে। কিন্তু গরীব বা ছোট দেশ বিপদে পড়লে তাদের কূটনৈতিক নীতি সর্বস্বতাকে জলাঞ্জলি দিতে দেখা যায়। তারা কেবলমাত্র নিজেদের স্বার্থ নিয়েই চিন্তিত। ভারত এমন এক ব্যতিক্রমী দেশ যা নিজের সাধ্যের বাইরে গিয়েও মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে অন্য দেশকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায়। বিশ্বের ১৫০টি দেশে আমরা কোভিড টিকা এবং ওষুধ পাঠিয়েছি যার এক সদর্থক ফল প্রত্যক্ষ করা গেছে। সম্প্রতি আমরা গায়ানা এবং কুয়েত সফরে ভারতের উচ্চসিত প্রশংসা প্রত্যক্ষ করা গেছে। 

বন্ধুগণ, 
প্রভু যিশু ভালোবাসা, ঐক্য এবং সৌভ্রাত্বের শিক্ষা দিয়েছেন। আমাদের সকলকে অনুরূপ মনোভাবাপন্ন হয়েই কাজ করা উচিত। সমাজে যখন হিংসা এবং দ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হতে দেখি তা আমাকে কষ্ট দেয়। কিছুদিন আগেই জার্মানির খ্রীস্টমাস বাজারে অনুরূপ ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। ২০১৯-এর ইস্টারে শ্রীলঙ্কার চার্চের ওপর আক্রমণ হয়েছিল। বোমাবর্ষণে নিহতদের প্রতি কলম্বো সফরে আমি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। এইসব চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করা দরকার। 

বন্ধুগণ, 
এই বড়দিন জয়ন্তী বর্ষ হিসেবে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি আপনাদের সকলকে এই উপলক্ষ্যে বিশেষ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জয়ন্তী বর্ষে আপনাদের ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। পবিত্র বাইবেল দেখায় আশাবাদের মধ্যেই শক্তি এবং শান্তির সূত্র নিহিত। আমরা চাই, শান্তি, প্রগতি এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও উন্নত বিশ্ব গড়ে উঠুক। 

বন্ধুগণ, 
বিগত ১০ বছরে ২৫ কোটি মানুষকে আমরা দারিদ্রসীমার উপরে তুলে আনতে সমর্থ হয়েছি তার কারণ, দরিদ্র মানুষরা মনে করেছেন, দারিদ্রবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় এবং সেই লক্ষ্যে তারা সফল হয়েছেন। এই সময়কালে ভারত বিশ্বের দশম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ থেকে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে উঠে এসেছে। এর কারণ আমাদের নিজেদের প্রতি বিশ্বাস এবং লক্ষ্য অর্জনে সংকল্পবদ্ধতা। ভারতে বিগত ১০ বছর নতুন আশা এবং অনাগত বছরগুলির জন্য অনন্ত প্রেরণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্টার্টআপ থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, ক্রীড়া, উদ্যোগক্ষেত্র সমস্তক্ষেত্রেই আমাদের সংকল্পবদ্ধ যুগশক্তি দেশকে অগ্রগতির নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। বিকশিত ভারত তথা উন্নত ভারতের স্বপ্ন নিসন্দেহে সফল হবে। বিগত দশকে আমাদের মহিলারা স্বশক্তিকরণের নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। উদ্যোগক্ষেত্র থেকে ড্রোন এমনকি বিমান চালানো থেকে শুরু করে স্বশস্ত্র সেনাবলে দায়িত্ব পর্যন্ত তাঁরা সামলাচ্ছেন। সব জায়গাতেই মহিলারা তাঁদের কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন। 

বিগত এক দশকে ভারত অগ্রগতির নতুন নতুন ক্ষেত্র রচনা করেছে। মোবাইল নির্মাণ বা সেমি কন্ডাক্টর সমস্ত ক্ষেত্রেই ভারত বিশ্ব নির্মাণ হাব হিসেবে নিজেদের জায়গা প্রতিষ্টিত করেছে। প্রযুক্তি থেকে ফিনটেক সমস্তক্ষেত্রেই ভারত নিজেকে বিশ্ব প্রযুক্তি হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন ঘটাচ্ছে। আমরা কেবলমাত্র হাজার হাজার কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করে থেমে থাকছে না, আমাদের গ্রামগুলিতে গ্রামীণ রাস্তার সঙ্গে যুক্ত করছে। পরিবহণ ক্ষেত্রের সম্প্রসারণ হচ্ছে। কয়েকশো কিলোমিটার মেট্রোপথ নির্মিত হচ্ছে। এই যাবতীয় সাফল্য আমাদের মধ্যে নতুন আশাবাদের জন্ম দিচ্ছে এবং অবিশ্বাস্য গতিতে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে চলেছি।        

বন্ধুগণ, 
বাইবেল আমাদেরকে শিক্ষা দেয় অন্যের ভার বহন করার। পরস্পরের কল্যাণে আমাদের যত্নশীল হতে হবে। জনসেবায় আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার আলোকবর্তিকা পৌঁছে দিয়ে প্রত্যেকটি সম্প্রদায়কে উন্নত করে তোলা, অথবা স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা প্রদান এগুলিকে আমরা যৌথ দায়বদ্ধতা হিসেবেই দেখি। 

বন্ধুগণ, 
প্রভু যিশু নিস্বার্থ সেবা এবং ভালোবাসার পথ দেখিয়েছেন আমাদের। বড়দিন উদযাপনের মধ্যে দিয়ে এই মূল্যবোধ আমাদের মধ্যে উজ্জ্বীবিত হোক। আজকের ভারত অনুরূপ মনোভাবাপন্ন হয়ে “সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা প্রয়াস”-এর সংকল্প নিয়েছে। মানবতার প্রেক্ষিতে এইসব বিষয়গুলি পূর্বে কখনও বিবেচিত হয়নি। আমরা এগুলিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি, আমাদের মূল লক্ষ্য অর্জনে সরকারী নীতির বেড়াজালকে ঠেলে আমরা বেরিয়ে আসছি। প্রত্যেক মানুষের পাকা বাড়ি, গৃহে বিদ্যুৎ সংযোগ, পরিশ্রুত পাইপ বাহিত পানীয় জলের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি অর্থাভাবে কেউ যেন চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন সেই পরিষেবা সুনিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। 

দরিদ্র মানুষেরা সরকারি তরফে যখন এই নিশ্চয়তার আশ্বাস পান তাঁরা অনেকখানি চিন্তামুক্ত হতে পারেন। বাড়ির মহিলার নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাকা বাড়ির সংস্থান, মহিলাদের ক্ষমতায়নে এক উল্লেখযোগ্য নজির স্থাপন করেছে। নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়মের মধ্যে দিয়ে সংসদে মহিলাদের আরও বেশি অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করেছি আমরা। দিব্যাঙ্গ অর্থাৎ অন্যভাবে সক্ষম মানুষেরা যাতে সমাজে তাদের ন্যায়্য মর্যাদা পান সেজন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে দিব্যাঙ্গ সম্প্রদায়কে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। 

বন্ধুগণ, 
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনুভূতিপ্রবণ সরকার এক বিরাট নির্ণায়ক তার প্রত্যক্ষ উদাহরণ আপনারা প্রত্যক্ষ করেছেন আমাদের দেশের তিন কোটি মৎস্যজীবী এবং মৎস্য চাষীদের উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে। ইতিপূর্বে তাদের সেই মর্যাদা দেওয়া হয়নি। তাদের উন্নতির লক্ষ্যে পৃথক মন্ত্রক তৈরি করা হয়েছে এবং কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মতন সুবিধা তাদের প্রদান করা হচ্ছে। আমরা মৎস্যসম্পদ যোজনা চালুর পাশাপাশি সমুদ্রে তাদের নিরাপত্তার লক্ষ্যে নানাবিধ কর্মসূচিও নিয়েছি। এতে তাদের জীবনধারণের পরিবর্তন এসেছে এবং দেশের অর্থনীতিও শক্তিশালী হয়েছে।    

বন্ধুগণ, 
লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমি সবকা প্রয়াসের কথা বলেছি, এর অর্থ হল, সঙ্ঘবদ্ধ প্রয়াস। দেশগঠনে প্রত্যেকের নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে। সকলে একযোগে কাজ করলে তা অসাধারণ কিছুর জন্ম দেয়। আজ সমাজ সচেতন ভারতীয়রা গণ-আন্দোলনে শক্তি জোগাচ্ছেন। স্বচ্ছ ভারত, পরিচ্ছন্ন ভারতকে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা নিয়েছে। মহিলা এবং শিশুদের স্বাস্থ্যে তা এক সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে। মিলেট অর্থাৎ শ্রী অন্ন দেশ তথা বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে। ভোকাল ফর লোকাল-এর মাধ্যমে কারিগর এবং শিল্পক্ষেত্র উৎসাহিত হচ্ছে। ‘এক পেড় মা কে নাম’ অর্থাৎ মায়ের নামে একটি বৃক্ষরোপণ জনমানসে বিশেষ সমাদৃত হয়েছে। খ্রীস্ট সম্প্রদায়ের বহু মানুষ এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন। এই সম্প্রদায়ের যুব গোষ্ঠীকে এই উদ্যোগে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। উন্নত ভারত গড়ে তুলতে এবং আমাদের লক্ষ্য সাধনে এই জাতীয় যৌথ উদ্যোগ জরুরি। 

বন্ধুগণ, 
আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের যৌথ প্রয়াস বিকশিত ভারতের লক্ষ্য অর্জনকে সফল করবে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উজ্জ্বল ভারত গড়ে তোলা আমাদের দায়বদ্ধতা আরও একবার আপনাদের সকলকে বড়দিন এবং জয়ন্তী বর্ষের অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 
অনেক অনেক ধন্যবাদ।। 

প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি রয়েছে হিন্দিতে।। 

 

SC/ AB /AG


(Release ID: 2177222) Visitor Counter : 4