প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনার সুবিধাপ্রাপকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথোপকথন
प्रविष्टि तिथि:
26 SEP 2025 2:49PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনার সুবিধাপ্রাপকদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলার জনজাতি মহিলা সুবিধাপ্রাপক শ্রীমতী রঞ্জিতা কাজি তাঁর এলাকায় রূপান্তরমূলক পরিবর্তন নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীশ কুমারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জীবিকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি বলেন, যে বনাঞ্চল এলাকা একসময় মৌলিক পরিকাঠামো থেকে বঞ্চিত ছিল। এখন সড়ক সংযোগ, বিদ্যুৎ, জল, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং শিক্ষার বন্দোবস্ত হয়েছে। মহিলাদেরকে ঘিরে নানা উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সরকারি চাকরি এবং পঞ্চায়েত রাজ প্রতিষ্ঠানে মহিলা প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে সংরক্ষণের সংস্থান করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সেইসঙ্গে সাইকেল এবং স্কুলের পোশাক দেওয়ার প্রশংসা করে তিনি বলেন, স্কুলের পোশাক পরে মেয়েদের সাইকেলে চড়ে যেতে দেখে তিনি রীতিমত গর্ব অনুভব করেন।
উজ্জ্বলা যোজনার জন্য রঞ্জিতা প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। এই যোজনায় মহিলাদেরকে সাশ্রয়ে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে, যা তাঁদের ধোঁয়াকীর্ণ রান্নাঘরের হাত থেকে রক্ষা করেছে, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যেরও পুনরুদ্ধার ঘটিয়েছে। আবাসন প্রকল্পের জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে তিনি এখন পাকা বাড়িতে থাকতে পারছেন।
তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেছেন। এতে ১২৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ নিখরচায় দেওয়া হচ্ছে এবং পেনশনের টাকা ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ১১০০ টাকা করা হয়েছে। এই উদ্যোগ মহিলাদের আস্থাবোধ বাড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনায় তিনি প্রাথমিক ১০,০০০ টাকা দিয়ে জোয়ার এবং বাজরা চাষের জন্য একটি পাম্প সেট কেনার পরিকল্পনা করেছেন এবং পরবর্তীকালে ২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে দেশজ শস্যের প্রসারে আটার ব্যবসা চালু করতে চান বলে জানান।
রঞ্জিতা দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, এই জাতীয় সহায়তা জীবিকা সংস্থানে সহায়ক হয়েছে, সেইসঙ্গে লাখপতি দিদি হওয়ার পথকেও প্রশস্ত করছে। তিনি জানান, তাঁর এলাকার মহিলারা নবরাত্রি উৎসবের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনাও উদযাপন করছেন। পশ্চিম চম্পারণের সমস্ত দিদিদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে সহায়তামূলক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ভোজপুর জেলার অপর সুবিধাপ্রাপক শ্রীমতী রীতা দেবী আরা-র সমস্ত মহিলাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীশ কুমারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি জানান, সশক্তিকরণের পথে তাঁর এই যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে একটা স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার মধ্যে দিয়ে। ভাইয়া পহল উদ্যোগের অধীন তিনি ৫০০০ টাকা পেয়েছিলেন। সেই টাকা দিয়ে চারটি ছাগল কিনে তিনি তাঁর জীবনধারণ শুরু করেন। ছাগল চাষ থেকে তাঁর অর্থোপার্জন ক্রমে তাঁকে ৫০টি মুরগি কিনতে সাহায্য করে এবং ডিম বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন তিনি। প্রতিটি ডিমের দাম ধার্য করেন ১৫ টাকা। তিনি একটি মাছের পাত্র ব্যবহার করে এবং তাতে আলোর বন্দোবস্ত করে ডিম ফুটিয়ে মুরগির ছানা বের করার বিষয়টি উদ্ভাবন করেন। এতে তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা অনেকটা ভালো হয়।
রীতা দেবী গর্বের সঙ্গে জানান, তিনি এখন লাখপতি দিদি এবং ড্রোন দিদি হয়ে উঠেছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা চালু করার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই উদ্যোগ তাঁদের গ্রাম এবং এলাকায় অপরিসীম আনন্দের কারণ হয়ে উঠেছে বলে তিনি জানান। জেলা জুড়ে মহিলারা নানান রকমের উদ্যোগ শুরু করেছে। কেউ গবাদি পশুর চাষ করছেন, কেউ ছাগল পালন করছেন, কেউ বা হাতের বালার দোকান চালাচ্ছেন। রীতা জানান প্রথম কিস্তির ১০,০০০ টাকা পেয়ে তিনি শীতের সময় ডিমের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে ১০০টি মরগি কিনেছিলেন। পরবর্তীকালে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে তিনি নিজস্ব পোলট্রি ফার্ম গড়ে তোলেন এবং ব্যবসা প্রসারের সাজসরঞ্জামের বন্দোবস্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সহ অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের প্রভাবের কথা তিনি স্বীকার করেন, যা তাঁর মাটির বাড়িকে পাকা বাড়িতে বদলে দিয়েছে। বর্ষার সময় সেই মাটির বাড়ি দিয়ে জল পড়ত। স্বচ্ছ ভারত মিশনে শৌচালয় নির্মাণ যে রূপান্তর নিয়ে এসেছে তার ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, মহিলাদের মাঠে গিয়ে শৌচকর্মের দিন শেষ হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রত্যেক গৃহে এখন শৌচালয় রয়েছে। নল-জল প্রকল্পের ফলে গ্রামবাসীরা এখন পরিচ্ছন্ন পানীয় জলের সুবিধা পাচ্ছেন। এতে তাঁদের স্বাস্থ্যের প্রভূত উন্নতি হয়েছে।
রীতা দেবী আরও জানান, উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস সংযোগ পাওয়ার পর থেকে তিনি আর প্রথাগত স্টোভে রান্না করেন না। ওই স্টোভ থেকে ক্ষতিকারণ ধোঁয়া নির্গত হত। গ্যাসে নিরাপদে রান্নার আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি। আয়ুষ্মান ভারত হেল্থ কার্ডেরও তিনি প্রশংসা করেছেন, যা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিখরচায় স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি জানান, ১২৫ ইউনিট পর্যন্ত নিখরচায় বিদ্যুৎ যে সব বাড়ি আগে অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতো, সেখানে আলো নিয়ে এসেছে, ফলে শিশুরা নিশ্চিন্তে পড়াশোনা করতে পারছে।
তিনি জোরের সঙ্গে বলেন, সরকারি প্রকল্পগুলি থেকে মহিলারা উপকৃত হলে তাতে তাঁদের শিশু সন্তানরাও উপকৃত হয়। আগে পড়াশোনার জন্য মেয়েদেরকে অনেক দূরের পথে যেতে হত। এখন শিশুরা স্কুলের পোশাক এবং সাইকেল পাওয়ায় এই সমস্যা দূর হয়েছে। রীতা তাঁর অতীতের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি নিজেও স্কুলের পোশার এবং সাইকেল পেয়েছিলেন। এতে গর্বের সঙ্গে তিনি স্কুলে যেতে পারতেন। সরকারি প্রকল্পসমূহের এই যাবতীয় সুবিধা প্রদানের জন্য উভয় নেতাকে তিনি প্রভূত ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিনম্রতার সঙ্গে উত্তরে রীতা দেবীর প্রশংসা করে বলেন, তাঁর চিন্তার স্বচ্ছতা এবং বিভিন্ন প্রকল্প উল্লেখ করার ক্ষেত্রে তাঁর তৎপরতা থেকেই বোঝা যায় এগুলির প্রভাব কতখানি। তিনি তাঁর শিক্ষাগত প্রেক্ষাপট জানতে চাইলে রীতা উত্তরে জানান, জীবিকা গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার পরেই তিনি পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। তিনি পূর্বে ম্যাট্রিক, ইন্টারমিডিয়েট এবং স্নাতক হওয়ার স্বপ্ন আগে সম্পূর্ণ করতে পারেননি। কিন্তু এখন গ্রামোন্নয়নে তিনি এমএ পরীক্ষার্থী হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। জেলার সমস্ত দিদিদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা এবং আশীর্বাদ জানিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্য সম্পূর্ণ করেন।
গয়া জেলার বোধগয়া ব্লকের ঝিকাটিয়া গ্রামের অধিবাসী এবং গুলাব জি বিকাশ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সভানেত্রী নূরজাহান খাতুন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীশ কুমারকে জেলার সমস্ত মহিলাদের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রথম কিস্তির ১০,০০০ টাকা পাওয়ায় তাঁর অপরিসীম আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনার অধীন মহিলাদেরকে এই টাকা দেওয়ার ঘোষণা সমস্ত বাড়িতে বাড়িতে এবং গ্রামে গ্রামে আনন্দের উন্মাদনা এবং আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। মহিলারা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত জীবনধারণের পরিকল্পনা করে তোলেন।
নূরজাহান জানান, তিনি এই ১০,০০০ টাকা দিয়ে তাঁর দর্জির দোকানটা বাড়াবেন। দোকানের কাউন্টারটা বড় করে সেখানে বিক্রির বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে সাজাবেন। তাঁর স্বামী একজন দক্ষ দর্জি এবং তিনি আগে গ্রামের বাইরে গিয়ে কাজ করতেন। এখন যৌথভাবে দোকান চালাচ্ছেন এবং ১০ জনের কর্মসংস্থান জুগিয়েছেন। তিনি জানান, ২ লক্ষ টাকা সহায়তা পেলে তিনি তাঁর ব্যবসা আরও বাড়াবেন, অতিরিক্ত মেশিন কিনবেন এবং আরও ১০ জনকে কাজে নিয়োগ করবেন।
মহিলাদের জীবনধারণের মানোন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রীর নিরলস প্রয়াসের তিনি প্রশংসা করেন। সেইসঙ্গে ১২৫ ইউনিট পর্যন্ত নিখরচায় বিদ্যুৎ পাওয়ার বিষয়টির ওপর আলোকপাত করে বলেন, এই সুযোগের ফলে তাঁকে বস্তুতপক্ষে আর বিদ্যুৎ বিলই মেটাতে হয় না। এর থেকে সঞ্চয়ের টাকা শিশুদের টিউশন খরচ হিসেবে তিনি ব্যবহার করেন। তিনি জানান, দরিদ্রতম মহিলারা যাঁরা আগে খরচের ভয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ এড়িয়ে চলতেন, তাঁদের ঘরও এখন পূর্ণ আলোকিত এবং শিশুরা বৈদ্যুতিক বাল্বের আলোয় পড়াশোনা করছে।
তাঁর জীবনের অতীতের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে নূরজাহান বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার আগে মহিলারা কদাচিৎ তাঁদের বাড়ির বাইরে পা ফেলতো এবং পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেও বাধা আসতো। তিনি বলেন, আজকে তাঁদের পরিবার থেকে উৎপাদনমুখী কাজে যুক্ত হতে তাঁদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তিনি কোনও কাজের খোঁজে অথবা প্রশিক্ষণের কাজে বেরোলে তাঁর পরিবার গর্ব অনুভব করে। দক্ষ দর্জি হিসেবে তাঁর স্বামীকে নিয়ে অন্যদেরকেও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, অতীতে তাঁর স্বামীকেই তাঁর সম্পদ বলে মনে হত। এখন তিনি নিজেকেও পরিবারের লাখপতি বলে গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন। ছাউনির বাড়িতে থেকে দারিদ্রের মধ্যে বড় হলেও এখন তিনি সুনির্মিত গৃহে বসবাস করেন। গয়া জেলার সমস্ত মহিলাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি তাঁর গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তাঁর কথার উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নূরজাহান খাতুনকে তাঁর চিন্তার স্বচ্ছতা এবং আন্তরিক প্রাঞ্জল ব্যাখ্যার জন্য প্রশংসা করেছেন। তিনি তাঁকে অনুরোধ করেন সপ্তাহের একটা দিন বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শনের জন্য উৎসর্গ করতে। সেখানে ৫০-১০০ জন মহিলার মধ্যে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতাকে ভাগ করে নিন। তাঁর জীবনের গল্প অন্যদের কাছে এক শক্তিশালী অনুপ্রেরণার কারণ হয়ে দেখা দেবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন ও তাঁর অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ভওয়ানিপুরের বাসিন্দা এবং মুসকান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সেক্রেটারি শ্রীমতী পুতুল দেবী প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীশ কুমারকে পূর্ণিয়া জেলার অধিবাসীদের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মহিলা কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধীন ১০,০০০ টাকা পাওয়ার আনন্দের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এখন তিনি লাড্ডুর মতো মিষ্টি বিক্রির দোকান চালাচ্ছেন। ক্রমে ব্যবসা বাড়িয়ে টিকরি বালুসাই, জিলাপি এবং বরফি-র মতো মিষ্টিকেও যুক্ত করতে চান। তিনি বলেন,আরও কঠোর পরিশ্রম করে ২ লক্ষ টাকা সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনকারী হয়ে উঠতে চান তিনি, যা তাঁর ব্যবসার পরিসর বাড়াবে এবং অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগও করতে পারবেন।
নতুন চালু হওয়া জীবিকা ব্যাঙ্কের সুবিধার ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, কম সুদে ঋণ নিয়ে তাঁর আর্থিক অবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে চান। দেশীয় উদ্যোগ প্রসারে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্র গঠনের কাজে তিনি যুক্ত হতে পেরেছেন বলে আনন্দ প্রকাশ করেন। তাঁর শাশুড়ির পেনশন ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০০ টাকা হওয়ায় এবং ১২৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ নিখরচায় পাওয়ার সুযোগে তিনি সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। এই টাকা সাশ্রয় করে তিনি তাঁর সন্তানের লেখাপড়ার কাজে বিনিয়োগ করতে চান। সমগ্র পূর্ণিয়ার সমস্ত বাড়িতে এইসব প্রকল্প আনন্দ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনায় উভয় নেতাকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তাঁর কথার উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর কাছে জানতে চান, ব্যবসা শুরুর সময় তাঁকে তাঁর পরিবার বা সম্প্রদায়ের কাছে প্রাথমিক কোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো কি না। পুতুল দেবী উত্তর বলেন, অনেক মানুষই তাঁর এই চেষ্টা নিয়ে ঠাট্টা-ইয়ার্কি করতো। কিন্তু তিনি সংকল্পবদ্ধ ছিলেন এবং লাড্ডু ও বাতাসা বিক্রির মতো ব্যবসা তিনি শুরু করেন। জীবিকা ব্যাঙ্কে নাম লিখিয়ে তিনি তাঁর গৃহ নির্মাণ এবং সন্তানের লেখাপড়ার জন্য ঋণ নেন। তাঁর সেই সন্তান এখন সরকারি পৃষ্টপোষকতায় কাটিহারে বি.টেক ডিগ্রি জন্য পড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী জিলাপির কথা উল্লেখ করে ঠাট্টার ছলে বলেন, এই মিষ্টি এক সময় দেশে রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় ছিল। তিনি তাঁকে হার্দ্য অভিনন্দন এবং তাঁর অনুপ্রেরণাদায়ক গল্পের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
SC/AB/NS
(रिलीज़ आईडी: 2171875)
आगंतुक पटल : 31
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English
,
Urdu
,
हिन्दी
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam