প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
প্রধানমন্ত্রী ১৩-১৫ সেপ্টেম্বর মিজোরাম, মণিপুর, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার সফর করবেন
Posted On:
12 SEP 2025 2:12PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩-১৫ সেপ্টেম্বর, মিজোরাম, মণিপুর, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার সফর করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৩ সেপ্টেম্বর মিজোরাম সফর করবেন। সফরকালে তিনি ৯,০০০ কোটি টাকা মূল্যের একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় আইজলে পৌঁছবেন। তিনি সেখানে একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
এর পর প্রধানমন্ত্রী মণিপুর যাবেন। সেখানে বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে চূড়াচাঁদপুরে ৭,৩০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। সেখানে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার পর বেলা ২টো ৩০ মিনিটে যাবেন ইম্ফলে। সেখানেও ১,২০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন তিনি। ইম্ফলেও প্রধানমন্ত্রী এক জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
শ্রী মোদী এর পর আসাম সফর করবেন। তিনি গুয়াহাটিতে বিকেল ৫টায় ভারতরত্ন ডঃ ভূপেন হাজারিকার জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং ভাষণও দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৪ সেপ্টেম্বর আসামে ১৮,৫৩০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। বেলা ১১টার সময়ে দরং-এ এক জনসভায় ভাষণও দেবেন তিনি। শ্রী মোদী বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে গোলাঘাটে নুমালিগড় শোধনাগারে আসাম বায়ো-ইথানল প্রাইভেট লিমিটেডের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও গোলাঘাটে একটি পলিপ্রোপিলিন প্ল্যান্টের শিলান্যাস করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী গন্তব্য পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতায় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে তিনি ষোড়শ কম্বাইন্ড কম্যান্ডার্স কনফারেন্স ২০২৫-এর উদ্বোধন করবেন।
এর পর প্রধানমন্ত্রী যাবেন বিহারে। পুর্ণিয়া বিমানবন্দরে বেলা ২টো ৪৫ মিনিটে নতুন টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন ছাড়াও ৩৬,০০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি। এছাড়াও একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন শ্রী মোদী। পাশাপাশি বিহারে জাতীয় মাখানা পর্ষদের সূচনা করবেন তিনি।
মিজোরামে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আইজলে ৯,০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলি রেল, সড়ক, জ্বালানী এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নতমানের পরিকাঠামো নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী দায়বদ্ধ। মিজোরামের রাজধানীর সঙ্গে এই প্রথম দেশের অন্যান্য অংশে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ৮,০৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে বৈরাবি-সাইরাং রেল পথের উদ্বোধন করবেন। এক জটিল ভৌগলিক পরিবেশে এই প্রকল্পটি নির্মিত হয়েছে। পুরো প্রকল্পে ৪৫টি সুড়ঙ্গ, ৫৫টি বড় এবং ৮৮টি ছোট সেতু আছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে মিজোরামের জনসাধারণ একটি সুরক্ষিত, দক্ষ ও ব্যয়সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে দেশের অন্যত্র সফর করতে পারবেন। এর ফলে, মিজোরামের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের খাদ্যশস্য, সার সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সহজেই পরিবহণ করা যাবে।
প্রধানমন্ত্রী তিনটি নতুন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রার সূচনা করবেন। এগুলি হল – সাইরাং (আইজল)-দিল্লি (আনন্দ বিহার) রাজধানী এক্সপ্রেস, সাইরাং-কলকাতা এক্সপ্রেস এবং সাইরাং-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। রাজধানী এক্সপ্রেস দিল্লির সঙ্গে, গুয়াহাটি এক্সপ্রেস আসামের সঙ্গে এবং কলকাতা এক্সপ্রেস কলকাতার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। ফলস্বরূপ হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের বিভিন্ন অংশের বাজারে সহজেই পৌঁছনো যাবে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটবে এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
প্রধানমন্ত্রী আইজল বাইপাস রোড, থেনজল-সিয়ালসুক সড়ক এবং খানকাওন-রংগুড়া সড়ক সহ একগুচ্ছ সড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। পিএম ডিভাইন প্রকল্পের আওতায় আইজল শহরকে যানজটমুক্ত করতে এবং আইজলের সঙ্গে লুংলেই, সিয়াহা, লংলাই, লেংপুই বিমানবন্দর এবং সাইরাং রেল স্টেশনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলবে এই প্রকল্পগুলি। এর ফলে, আইজল থেকে দক্ষিণের জেলাগুলিতে দেড় ঘণ্টায় পৌঁছনো যাবে। থেনজল-সিয়ালসুক সড়ক প্রকল্পটি উদ্যানপালনের সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের জন্য সহায়ক হবে। বিশেষ করে ড্রাগনফল, আদা এবং ধান চাষীরা উপকৃত হবেন। সারচিপ জেলায় আদা চাষীরা প্রস্তাবিত আদা প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় যাতে সহজেই পৌঁছতে পারেন তার জন্য খানকাওন-রংগুড়া সড়ক প্রকল্পটি সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী ছিমতুইপুই নদী সেতুর শিলান্যাসও করবেন। এই সেতু নির্মিত হলে যাত্রীদের দু ঘন্টা সময় সাশ্রয় হবে। কালাদান মাল্টিমডেল ট্রানজিট ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় এই সেতু সীমান্তের অন্যপারে ব্যবসা-বাণিজ্যে সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী তুইপুয়ালে খেলো ইন্ডিয়া মাল্টিপারপাস ইন্ডোর হলের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্যের যুবক-যুবতীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন খেলাধুলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। এছাড়াও তিনি আইজলের মুয়ালখাং-এ একটি এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টের শিলান্যাস করবেন। মিজোরাম এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে পরিবেশবান্ধব রান্নার জ্বালানী সরবরাহ নিশ্চিত করতে এই প্রকল্প সহায়ক হবে। এর ফলে, কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে।
শ্রী মোদী কাওরথাহ-তে প্রধানমন্ত্রী জনবিকাশ কার্যক্রমের আওতায় একটি আবাসিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করবেন। উচ্চাকাঙ্ক্ষী মামিত জেলায় এই স্কুলটিতে অত্যাধুনিক শ্রেণীকক্ষ থাকবে। এছাড়াও ফুটবল খেলার জন্য কৃত্রিম ঘাসযুক্ত খেলার মাঠের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১০,০০০ শিশু-কিশোর এই প্রকল্পে উপকৃত হবে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী লাংনুয়াম-এ একলব্য মডেল আবাসিক বিদ্যালয়েরও উদ্বোধন করবেন। আদিবাসী তরুণদের সর্বাঙ্গীন শিক্ষা নিশ্চিত করতে এবং স্কুলছুটের হার কমাতে এই স্কুল সহায়ক হবে।
মণিপুরে প্রধানমন্ত্রী
মণিপুরে সুস্থায়ী ও সর্বাঙ্গীন উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাঁর এই অঙ্গীকারের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তিনি চূড়াচাঁদপুরে ৭,৩০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে ৩,৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মণিপুর আর্বান রোড, নিকাশি ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প সহ আরও কয়েকটি প্রকল্প। এছাড়াও ২,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫টি জাতীয় সড়ক প্রকল্পেরও শিলান্যাস করবেন তিনি। রাজ্যের ৯টি স্থানে কর্মরতা মহিলাদের জন্য হস্টেল প্রকল্পেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ইম্ফলে প্রধানমন্ত্রী ১,২০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে রয়েছে : মন্ত্রীপুখরিতে পুলিশের নতুন সদর দপ্তর ও সিভিল সেক্রেটরিয়েট, তথ্য প্রযুক্তির জন্য এসইজেড ভবন, দিল্লি ও কলকাতায় মণিপুর ভবন এবং ইমাবাজার। মহিলা পরিচালিত এই বাজারটি রাজ্যের চারটি জেলায় গড়ে উঠবে।
আসামে প্রধানমন্ত্রী
১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন ডঃ ভূপেন হাজারিকার জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন গুয়াহাটিতে। ডঃ হাজারিকা অসমিয়া সঙ্গীত, সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের এক বর্ণময় চরিত্র। তাঁর জীবন ও কাজকে সম্মান জানাতেই এই আয়োজন। প্রধানমন্ত্রী ১৪ সেপ্টেম্বর, আসামে ১৮,৫৩০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।
শ্রী মোদী দরং-এ যে প্রকল্পগুলির শিলান্যাস করবেন সেগুলি হল : দরং মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জিএনএম স্কুল, বিএসসি নার্সিং কলেজ, গুয়াহাটি রিং রোড প্রকল্প ব্রহ্মপুত্র হ্রদের উপর কুরুয়া-নারেঙ্গি সেতু।
প্রধানমন্ত্রী গোলাঘাটের নুমালিগড়ে আসাম বায়ো-ইথানল প্ল্যান্টের উদ্বোধন করবেন। জীবাশ্ম জ্বালানীর উপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানীর ব্যবহার বাড়াতে এই প্রকল্পটি সহায়ক হবে। নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেডে একটি পলিপ্রোপিলিন প্ল্যান্টের শিলান্যাসও করবেন তিনি। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটি ওই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে তুলবে।
পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শক্তিশালী, সুরক্ষিত ও স্বনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। তিনি কলকাতায় ১৫ সেপ্টেম্বর ষোড়শ কম্বাইন্ড কম্যান্ডার্স কনফারেন্স ২০২৫-এর উদ্বোধন করবেন। সশস্ত্র বাহিনীগুলির এই নীতি নির্ধারণী সম্মেলনে দেশের সামরিক ও অসামরিক ক্ষেত্রের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ যোগ দেবেন। সম্মেলনে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনার উন্নতি নিয়ে তারা মতবিনিময় করবেন। দ্বিবার্ষিক এই সম্মেলনের এবারের মূল ভাবনা ইয়ার অফ রিফর্মস – ট্রান্সফর্মিং ফর দ্য ফিউচার (একগুচ্ছ সংস্কারের বাস্তবায়নের বছর – ভবিষ্যতের জন্য পরিবর্তন)।
বিহারে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বিহারে জাতীয় মাখানা পর্ষদের সূচনা করবেন। মাখানা চাষে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, ফসল উৎপাদনের পর তার যথাযথ সংরক্ষণ, বাজারজাত করা এবং রপ্তানি করার ক্ষেত্রে এই পর্ষদ বিহার ও দেশের অন্যান্য অংশের কৃষকদের সহায়তা করবে। দেশে মোট উৎপাদিত মাখানার ৯০ শতাংশই বিহারে হয়। মধুবনী, দারভাঙ্গা, সীতামাঢ়ী, সহর্ষ, কাটিহার, পূর্ণিয়া, সুপৌল, কিষানগঞ্জ এবং আরারিয়া জেলায় মূলত মাখানা চাষ হয়। বিহারে মাখানা পর্ষদ রাজ্য সহ দেশের সর্বত্র এই ফসল উৎপাদনে গুণমান বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। বিহারকে আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিতি নিয়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রী পূর্ণিয়া বিমানবন্দরে নতুন সিভিল এনক্লেভে টার্মিনাল বিল্ডিং-এর উদ্বোধন করবেন। ফলস্বরূপ, ওই বিমানবন্দরে আরও বেশি সংখ্যায় যাত্রী ওঠা-নামা করবে। এছাড়াও তিনি পূর্ণিয়ায় ৩৬,০০০ কোটি টাকা মূল্যের একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ভাগলপুরের পীরপাইতিঁতে ২,৪০০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষম একটি বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস করবেন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ২৫,০০০ কোটি টাকা। এই কেন্দ্রের থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে বিহারে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী কোশী-মেচি-আন্তঃরাজ্য নদী সংযোগ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২,৬৮০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটি বিভিন্ন খাল সহ নদীর পলি তুলতে সহায়ক হবে। এর ফলে, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার কিউসেক জল সরবরাহ করা যাবে। উত্তরবিহারে এই প্রকল্পের ফলে সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষি কাজের সুবিধা হবে।
দেশজুড়ে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকারবদ্ধ। বিহার সফরকালে তিনি একগুচ্ছ রেল প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। গঙ্গা নদীর দু পারের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তুলতে বিক্রমশিলা-কাটারিয়ার মধ্যে সংযোগকারী রেল প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন শ্রী মোদী। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২,১৭০ কোটি টাকা। এছাড়াও ৪,৪১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আরারিয়া-গলগলিয়া (ঠাকুরগঞ্জ) রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। এই প্রকল্প রাজ্যের উত্তরপূর্বাঞ্চলের আরারিয়া ও কিষানগঞ্জ জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ঘটাবে। প্রধানমন্ত্রী যোগবাণী ও দানাপুরের মধ্যে একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রার সূচনা করবেন। এছাড়াও সহর্ষ ও ছেহারতা (অমৃৎসর) এবং যোগবাণী ও ইরোডের মধ্যে দুটি অমৃৎ ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রার সূচনা করবেন তিনি। এই ট্রেনগুলি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে উন্নত রেল পরিষেবা প্রদান করবে। পাশাপাশি এই অঞ্চলে আর্থ-সামাজিক অবস্থার মানোন্নয়ন ঘটাতে সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী পূর্ণিয়ায় উন্নত প্রজাতির গবাদি পশু প্রজননের জন্য একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশনের আওতায় এই প্রকল্পে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গবাদি পশুর বীর্য সংরক্ষণ করা হবে। পূর্ব ও উত্তরপূর্ব ভারতে এধরণের কেন্দ্র এই প্রথম। আত্মনির্ভর ভারত ও মেক ইন ইন্ডিয়ার আওতায় ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দেশীয় প্রযুক্তিতে যে যন্ত্র নির্মিত হয় তার মাধ্যমে উন্নত প্রজাতির গবাদি পশু প্রজননে ভবিষ্যতে নতুন যুগের সূচনা হবে। এর ফলে, বকনা বাছুর বেশি পরিমাণে জন্ম দেওয়া সম্ভব হবে। ফলস্বরূপ, অতিক্ষুদ্র ও প্রান্তিক গোপালকরা উপকৃত হবেন। তাদের আয় বাড়বে এবং দেশে দুধ বেশি পরিমাণে উৎপাদিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী পিএমএওয়াই (আর) প্রকল্পের আওতায় গ্রামাঞ্চলে ৩৫,০০০ সুবিধাপ্রাপক এবং পিএমএওয়াই (ইউ) প্রকল্পের আওতায় শহরাঞ্চলে ৫,৯২০ সুবিধাপ্রাপকের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি কয়েকজনের হাতে নতুন বাড়ির চাবি তুলে দেবেন। এছাড়াও বিহারে ডিএওয়াই-এনআরএলএম -এর আওতায় কমিউনিটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড থেকে ৫০০ কোটি টাকার চেক ক্লাস্টার পর্যায়ের সংস্থাগুলির সভাপতিদের হাতে তুলে দেবেন।
SC/CB/SKD
(Release ID: 2166174)
Visitor Counter : 2
Read this release in:
Odia
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Hindi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Gujarati
,
Tamil
,
Kannada
,
Malayalam