প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

নতুন দিল্লির ভারত মণ্ডপম-এ আয়োজিত ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো ২০২৫-এ প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত ভাষণের বাংলা অনুবাদ

Posted On: 17 JAN 2025 2:01PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী নীতিন গডকড়ি জি, জিতন রাম মাঞ্জি জি, মনোহর লাল জি, এইচ ডি কুমারস্বামী জি, পীযূষ গয়েল জি, হরদীপ সিং পুরী জি, দেশ-বিদেশের অটো শিল্পের সকল শীর্ষস্থানীয় সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ, অন্যান্য অতিথি এবং উপস্থিত শুভানুধ্যায়ীগণ!

গতবার আপনাদের মাঝে আসার সময় লোকসভা নির্বাচন একেবারেই কাছে ছিল। সেই সময় আপনাদের সকলকে আমি বলেছিলাম যে, আগামীবারও অবশ্যই ইন্ডিয়া মোবিলিটি এক্সপোতে আসব। দেশ আমাদের তৃতীয়বারের মতো আশীর্বাদ দিয়েছে। আপনারা সবাই আবার আমাকে এখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, আমি আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বন্ধুগণ,

এই বছর ইন্ডিয়া মোবিলিটি এক্সপোর ব্যাপ্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। গত বছর এখানে ৮০০-রও বেশি সংস্থা অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং দেড় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটেছিল। এবার ভারত মণ্ডপম ছাড়াও দ্বারকার যশোভূমি এবং গ্রেটার নয়ডার ইন্ডিয়া এক্সপো সেন্টারেও এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ৫-৬ দিনে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে, এবং এখানে বহু নতুন গাড়িও উদ্বোধন করা হবে। এর মাধ্যমে ভারতের গতিশীলতার ভবিষ্যৎ নিয়ে যে অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে, তার প্রতিফলন ঘটেছে। আমি কিছু প্রদর্শনী ঘুরে দেখার সুযোগও পেয়েছি, এবং বলতেই হবে যে ভারতের অটোমোবাইল শিল্প কেবল আকর্ষণীয়ই হয়ে ওঠেইনি, বরং ভবিষ্যতের জন্যও প্রস্তুত। আপনাদের সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

ভারতের অটোমোবাইল শিল্পের এমন এক উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানে আজ আমি রতন টাটা জি এবং ওসামু সুজুকি জিকেও স্মরণ করতে চাই। এই দুই মহান ব্যক্তি ভারতের অটো শিল্পের বিকাশে অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির আকাঙ্ক্ষা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমার বিশ্বাস, রতন টাটা জি এবং ওসামু সুজুকি জির উত্তরাধিকারীরা ভারতের সমগ্র গতিশীল শিল্পকে অনুপ্রাণিত করে যাবে।

বন্ধুগণ,

আজ ভারত উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং যুবশক্তিতে ভরপুর এক দেশ, এবং আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি যে এই আকাঙ্ক্ষাগুলো ভারতের অটোমোবাইল শিল্পে প্রতিফলিত হচ্ছে। গত এক বছরে ভারতের অটোমোবাইল শিল্প প্রায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। "মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড" মন্ত্র গ্রহণ করে রপ্তানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতে প্রতিবছর বিক্রি হওয়া গাড়ির সংখ্যা বহু দেশের মোট জনসংখ্যাকেও অতিক্রম করেছে। বছরে প্রায় ২.৫ কোটি গাড়ি বিক্রি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বৃদ্ধি ভারতের অগ্রগতিকে উজ্জ্বল করে তুলছে।

বন্ধুগণ,

আজ ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি, আর যাত্রীবাহী যানবাহনের বাজারের কথা এলে আমরা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে আছি। ভারত যখন বিশ্বের শীর্ষ তিন অর্থনীতির মধ্যে একটিতে পরিণত হবে, তখন আমাদের অটোমোবাইল বাজারের সম্ভাবনা কী হতে পারে, একবার কল্পনা করুন। উন্নত ভারতের এই যাত্রা এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন এবং সম্প্রসারণের সাক্ষী হবে। দেশের যুব জনসংখ্যা, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি, দ্রুত নগরায়ন, আধুনিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং "মেক ইন ইন্ডিয়া" উদ্যোগ থেকে সাশ্রয়ী মূল্যের গাড়ির সুলভ্যতা—এই সবই ভারতের ভবিষ্যৎকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই উপাদানগুলো শুধু ভারতের অটো শিল্পের বৃদ্ধিতে ইন্ধন যোগাচ্ছে না, বরং নতুন শক্তি এবং গতি প্রদান করছে।

বন্ধুগণ,

অটো শিল্পের বিকাশে মানুষের প্রয়োজন এবং আকাঙ্ক্ষাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং সৌভাগ্যক্রমে আজ ভারতে দুটোই সমাবেশিত হয়েছে। ভারত বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ দেশ, আর এই তরুণ জনগোষ্ঠীই আপনাদের সবচেয়ে বড় গ্রাহক। কল্পনা করুন, এত বিশাল এবং গতিশীল যুব জনসংখ্যা কত অসীম চাহিদা সৃষ্টি করবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রাহকভিত্তি হলো ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণি। গত দশকে প্রায় ২৫ কোটি ভারতীয় দারিদ্র্য থেকে উঠে এসেছে, এবং এই নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণি এখন প্রথমবারের মতো যানবাহন ক্রয় করছে। তারা যত এগিয়ে যাবে, ততই অটো শিল্প উপকৃত হবে।

বন্ধুগণ,

আগে প্রশস্ত ও উন্নত সড়কের অভাব ভারতে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা ছিল। তবে এখন পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। ভ্রমণের সহজলভ্যতা আজ ভারতের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয় হয়ে উঠেছে। গত বছরের বাজেটে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছিল। সারা দেশে বহু লেনযুক্ত মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে, এবং পিএম গতিশক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে বহুমুখী সংযোগ আরও গতি পাচ্ছে। এর ফলে লজিস্টিক খরচ হ্রাস পাচ্ছে। জাতীয় লজিস্টিক নীতি চালুর পর ভারত বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক লজিস্টিক প্রদান করবে। এই সব প্রচেষ্টা অটো শিল্পের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে, যা দেশে গাড়ির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বন্ধুগণ,

আজ শক্তিশালী পরিকাঠামো বিকাশের পাশাপাশি গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা উন্নত করতে নতুন প্রযুক্তিও সংযুক্ত করা হচ্ছে। ফাস্ট ট্যাগ সমগ্র ভারতে ভ্রমণকে যথেষ্ট সহজ করেছে, আর ন্যাশনাল কমন মবিলিটি কার্ড ভ্রমণকে নিরবচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করছে। আমরা এখন স্মার্ট মোবিলিটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ভারত ইভি এবং স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং-এর ক্ষেত্রেও দ্রুত অগ্রগতি করছে। এই উন্নয়নগুলো দেশের পরিবহণ ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করছে।

বন্ধুগণ,

"মেক ইন ইন্ডিয়া" উদ্যোগের শক্তি ভারতের অটোমোবাইল শিল্পের বৃদ্ধির সম্ভাবনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ (পিএলআই) প্রকল্পের মাধ্যমে এই অভিযানে নতুন গতি এসেছে। পিএলআই প্রকল্প ইতিমধ্যেই ২.২৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি মূল্যের উৎপাদনকে প্রোৎসাহিত করেছে এবং সরাসরি এই খাতে ১.৫ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। আপনারা জানেন, কর্মসংস্থানের প্রভাব শুধু অটোমোবাইল শিল্পেই সীমাবদ্ধ থাকে না; এর অন্যান্য খাতের ওপরও বহুগুণ প্রভাব পড়ে। আমাদের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই), যা বিপুল পরিমাণ গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরি করে, তাতেও এর সুফল পড়ছে। অটো শিল্প যতই প্রসারিত হবে, তার সঙ্গে এমএসএমই, লজিস্টিকস, পর্যটন এবং পরিবহন খাতেও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।

বন্ধুগণ,

ভারত সরকার অটোমোবাইল খাতকে প্রতিটি স্তরে সহযোগিতা প্রদান করছে। গত দশকে এই শিল্পে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই), প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কেবল গত চার বছরে এই খাতে ৩৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি এফডিআই প্রবাহিত হয়েছে এবং আগামী বছরগুলোতে তা বহুগুণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হলো এখানেই ভারতে অটোমোবাইল উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত পুরো পরিবেশতন্ত্র গড়ে তোলা, আত্মনির্ভরতা নিশ্চিত করা এবং এই শিল্পকে আরও অধিক বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করা।

বন্ধুগণ,

মনে আছে, গতিশীলতার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি কর্মসূচিতে আমি "সেভেন-সি ভিশন"এর কথা বলেছিলাম। আমাদের সমাধানগুলো হতে হবে সহজ (Simple), সংযুক্ত (Connected), সুবিধাজনক (Convenient), যানজটমুক্ত (Congestion-free), চার্জযুক্ত (Charged), পরিচ্ছন্ন (Clean) এবং অত্যাধুনিক (Cutting-edge)। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবেশবান্ধব যানবাহনের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। আজ আমরা এমন এক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছি, যা অর্থনীতি ও পরিবেশ দুটোকেই সহায়তা করবে। এই ব্যবস্থা আমাদের জীবাশ্ম জ্বালানির আমদানি বিল কমাতে সাহায্য করবে। এর ফলে আমরা সবুজ প্রযুক্তি—যেমন বৈদ্যুতিক যান (ইভি), হাইড্রোজেন জ্বালানি এবং জৈব জ্বালানির বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। এই ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় বৈদ্যুতিক গতিশীলতা মিশন এবং সবুজ হাইড্রোজেন মিশনের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বন্ধুগণ,

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে বৈদ্যুতিক গতিশীলতার দ্রুত বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। গত দশকে বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিক্রি ৬৪০ গুণ বেড়েছে। দশ বছর আগে বছরে মাত্র প্রায় ২৬০০ বৈদ্যুতিক যান বিক্রি হতো, অথচ ২০২৪ সালে ১৬.৮ লক্ষেরও বেশি বৈদ্যুতিক যান বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ আজ মাত্র এক দশক আগের পুরো বছরের বিক্রির তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বৈদ্যুতিক যান এখন প্রতি মাসে বিক্রি হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, এই দশকের শেষ নাগাদ ভারতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের সংখ্যা আটগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মাধ্যমে এই খাতের অসীম বৃদ্ধির সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

বন্ধুগণ,

বিদ্যুৎচালিত গতিশীলতাকে প্রসারিত করা এবং এই খাতকে সহায়তা করার জন্য সরকার ধারাবাহিকভাবে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে। পাঁচ বছর আগে শুরু হয়েছিল এফএমই-২ কর্মসূচি, যেখানে ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি সাহায্য প্রদান করা হয়েছিল। এই অর্থ বৈদ্যুতিক যানবাহন ক্রয় এবং চার্জিং পরিকাঠামো উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে, যার ফলে ৫ হাজারেরও বেশি বৈদ্যুতিক বাসসহ ১৬ লক্ষাধিক ইভি উপকৃত হয়েছে। শুধু দিল্লিতেই বর্তমানে কেন্দ্র সরকারের সহায়তায় ১২০০-রও বেশি বৈদ্যুতিক বাস চলছে। আমাদের তৃতীয় মেয়াদে আমরা পি এম ই-ড্রাইভ কর্মসূচি চালু করেছি, যা দুইচাকা, তিনচাকা, ই-অ্যাম্বুলেন্স, ই-ট্রাকসহ প্রায় ২৮ লক্ষ বৈদ্যুতিক যান ক্রয়ে সহায়তা করবে। এর পাশাপাশি প্রায় ১৪ হাজার বৈদ্যুতিক বাস ক্রয় করা হবে, এবং সারা দেশে ৭০ হাজারেরও বেশি ফাস্ট চার্জার বসানো হবে। পি এম ই-বাস সেবাও চালু হয়েছে, যেখানে কেন্দ্র সরকার ছোট শহরে প্রায় ৩৮,০০০ বৈদ্যুতিক বাস চলাচলে সহায়তা করছে। ভারতে ইভি গাড়ি উৎপাদনে আগ্রহী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে ইভি উৎপাদন শিল্পকে সহায়তা করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মাধ্যমে ভারতের ইভি উৎপাদন পরিবেশতন্ত্র আরও প্রসারিত হবে এবং একটি শক্তিশালী বাজার গড়ে উঠবে।

বন্ধুগণ,

বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় আমাদের সৌরশক্তি ও বিকল্প জ্বালানির প্রচার অব্যাহত রাখতে হবে। জি-২০-এর সভাপতিত্বের সময় ভারত পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিল। আজ বৈদ্যুতিক যানবাহনের পাশাপাশি সৌরশক্তির ক্ষেত্রেও ভারত যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে, বিশেষত পি এম সূর্যঘর মুক্ত বিদ্যুৎ কর্মসূচির আওতায় সৌর উদ্যোগকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ব্যাটারি এবং স্টোরেজ সিস্টেমের চাহিদা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃদ্ধিকে সহায়তা করতে সরকার উন্নত রাসায়নিক কোষ বানানোর জন্য ১৮ হাজার কোটি টাকার পিএলআই কর্মসূচি চালু করেছে। এটি এই খাতে বিনিয়োগের জন্য এক বিরল সুযোগ উপস্থাপন করছে। দেশের তরুণ প্রজন্মকেও স্টার্টআপের মাধ্যমে শক্তি সংরক্ষণ খাতে উদ্ভাবন করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ক্ষেত্রে যথেষ্ট কাজ চলছে, তবে মিশন মোডে এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

বন্ধুগণ,

কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য স্পষ্ট। নতুন নীতি প্রবর্তন হোক বা সংস্কার বাস্তবায়িত করা হোক, আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখন, এই পদক্ষেপগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করা আপনাদের দায়িত্ব। এরকম একটি পদক্ষেপ হল যানবাহন বাতিল নীতি, এবং আমি সব নির্মাতাকে এর পূর্ণ সুবিধা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা নিজেদের কোম্পানির মধ্যেও প্রণোদনামূলক প্রকল্প চালু করতে পারেন, যাতে আরও বেশি মানুষ পুরোনো যানবাহন বাতিল করতে উৎসাহিত হয়। এই ধরনের উৎসাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি কেবল আপনাদের ব্যবসাকে উপকৃত করবে না, বরং পরিবেশকে রক্ষাও করবে।

বন্ধুগণ,

অটোমোবাইল শিল্পটি উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত। উদ্ভাবন হোক, প্রযুক্তি হোক, দক্ষতা হোক কিংবা চাহিদা – ভবিষ্যৎ এশিয়ার, ভারতের। গতিশীলতার ভবিষ্যৎ খুঁজে পেতে ভারত বিনিয়োগকারীদের জন্য একমাত্র গন্তব্য। আমি আবারও আপনাদের আশ্বস্ত করছি, আপনাদের প্রতিটি পদক্ষেপে আপনারা আমাদের পাশে পাবেন। "মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড" এই মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলুন। আপনাদের সবাইকে আবারও শুভেচ্ছা জানাই।

অশেষ ধন্যবাদ!
(মূল ভাষণটি প্রধানমন্ত্রী হিন্দিতে প্রদান করেছিলেন। এটি তার অনুবাদিত সংস্করণ।)

 

SC/PK.


(Release ID: 2160413) Visitor Counter : 6