প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে অংশগ্রহণকারী এনসিসি ও এনএসএস ক্যাডেটদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথন
प्रविष्टि तिथि:
25 JAN 2025 3:52PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
অংশগ্রহণকারী – স্যার, আজ আপনাকে দেখে আমার স্বপ্ন পূরন হলো।
প্রধানমন্ত্রী – খুব ভালো, হ্যাঁ তো তোমরা এখনও স্বপ্ন দেখছ নাকি?
অংশগ্রহণকারী – না, আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আমরা যেন সবচেয়ে বড় নায়ককে দেখছি।
অংশগ্রহণকারী – আমার খুব বড় স্বপ্ন ছিল এখানে আসব এবং সব বাহিনীকে দেখব। বিশেষ করে আমি আপনাকে দেখার জন্যই এসেছি।
প্রধানমন্ত্রী – আচ্ছা।
অংশগ্রহণকারী – এখনো বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমি আপনার সামনে দাঁড়িয়ে সরাসরি কথা বলছি।
প্রধানমন্ত্রী – এটাই ভারতের গণতন্ত্রের শক্তি।
অংশগ্রহণকারী – ধন্যবাদ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – কেউ অন্য রাজ্যের সাথীর সঙ্গে পরিচয় করে সেই রাজ্যকে জানার চেষ্টা করেছো এবং একটি বা দুটি বাক্য তার ভাষায় বলতে শিখেছ?
অংশগ্রহণকারী – স্যার, যেমন এখানে পশ্চিমবঙ্গের বন্ধুরা বসে আছেন, তাদের থেকে জানার চেষ্টা করছিলাম। আমরা যখন ভাত খাচ্ছিলাম তখন একজন বলছিল—“একটু ভাত খাবে।”
প্রধানমন্ত্রী – “একটু ভাত খাবে।” খাবে বলল না খাবো বলল?
অংশগ্রহণকারী – খাবো।
প্রধানমন্ত্রী – খাবো।
অংশগ্রহণকারী – স্যার, “জল খাবো।” আরেকটা কী ছিল? “আমি কেমন আছি, আমি ভালো আছি।”
অংশগ্রহণকারী – আমি মুঙ্গের থেকে এসেছি, আপনাকে মুঙ্গেরের সমগ্র জনতার পক্ষ থেকে প্রণাম জানাই, স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – আমার তরফ থেকে মুঙ্গেরের মাটিকে প্রণাম। মুঙ্গেরের ভূমি তো যোগব্যায়ামের জন্য সমগ্র বিশ্বে পরিচিত।
অংশগ্রহণকারী – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – তো তুমি এখানে সবার যোগগুরু হয়ে গেছ।
অংশগ্রহণকারী – মানে সবার তো হতে পারিনি স্যার, তবে আমাদের দলের কয়েকজন আর অন্য কয়েকটি দলের জন্য হ্যাঁ, হতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী – এখন তো পুরো বিশ্ব যোগের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।
অংশগ্রহণকারী – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – হ্যাঁ।
অংশগ্রহণকারী – আর আপনার জন্য আমরা দু’লাইন লিখেওছি কাল ন্যাশনাল রঙ্গশালা ক্যাম্পে—
“জয় হোক, ভারত মাতার জয় হোক, ভারতবাসীর জয় হোক,
নতুন পতাকার জয় হোক, জয় হোক, জয় হোক, জয় হোক।
সন্ত্রাসের কোনো ভয় না থাকুক, শত্রুর বিনাশ হোক,
সবার মনে প্রেম আর ভক্তি থাকুক, জয় হোক, জয় হোক, জয় হোক।”
প্রধানমন্ত্রী – জয় হোক।
অংশগ্রহণকারী – জয় হোক, অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অংশগ্রহণকারী – আপনি ক্লিন ইন্ডিয়া মিশন এবং সুস্থ ভারত মিশনের মতো যে প্রকল্পগুলি শুরু করেছেন, তাতে দেশের উন্নতি তো হয়েছে-ই, তার পাশাপাশি সব তরুণ আপনার প্রতি এতটাই আকৃষ্ট যে চুম্বকের মতো সবাই আপনার কাছে আসতে চায়। এটা আমাদের সবার জন্য গর্বের যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপনার মতো এক ব্যক্তিত্ব।
প্রধানমন্ত্রী – স্বচ্ছ ভারত গড়ার জন্য যদি একটি নীতি আমরা প্রয়োগ করতে চাই, তবে সেটা কী হতে পারে?
অংশগ্রহণকারী – আমাদের অন্যদেরকেও অনুপ্রাণিত করতে হবে। যেমন আমি নবরাত্রির সময় মন্দিরে গিয়েছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী – দেখ, ঠিক বলেছ। স্বচ্ছ ভারত গড়ার জন্য যদি ১৪০ কোটি মানুষ ঠিক করে নেয় যে আমরা নোংরা করব না, তবে আর কে নোংরা করবে? তখন তো দেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
অংশগ্রহণকারী – জয় হিন্দ স্যার। আমি সুষ্মিতা রোহিদাশ, ওডিশা থেকে এসেছি।
প্রধানমন্ত্রী – জয় জগন্নাথ।
অংশগ্রহণকারী – জয় জগন্নাথ স্যার। আপনি আমার আদর্শ, তাই আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে চাই—জীবনে সাফল্য পেতে হলে আমাকে কী করতে হবে এবং সাফল্যের প্রকৃত সংজ্ঞা কী?
প্রধানমন্ত্রী – ব্যর্থতাকে কখনোই মেনে নেওয়া উচিত নয়। যারা ব্যর্থতাকে মেনে নেয় আর ব্যর্থতার আশ্রয় নেয়, তারা কখনোই সফল হয় না। কিন্তু যারা ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেয়, তারা শিখরে পৌঁছে যায়। তাই ব্যর্থতাকে কখনো ভয় পাওয়া উচিত নয়; ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার জেদ থাকতে হবে। আর যে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেয়, সে শেষ পর্যন্ত শিখরে পৌঁছেই যায়।
অংশগ্রহণকারী – স্যার, আমার আপনার কাছে আরেকটা প্রশ্ন আছে। আমি শুনেছি আপনি দিনে মাত্র তিন থেকে চার ঘণ্টা বিশ্রাম নেন। এই বয়সেও আপনার উদ্যম আর শক্তি কোথা থেকে আসে?
প্রধানমন্ত্রী – এ তো কঠিন প্রশ্ন! আমি যখন তোমাদের মতো যুবকদের সঙ্গে দেখা করি, তখনই আমার শক্তি আসে। তোমাদের দেখে অনুপ্রেরণা পাই। কখনো দেশের কৃষকের কথা মনে হয়—ওরা কত ঘণ্টা কাজ করে! দেশের জওয়ানদের কথা মনে হয়—ওরা সীমান্তে কত ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে! মানে প্রত্যেকেই প্রচণ্ড পরিশ্রম করে। আমরা যদি তাদের দিকে একটু তাকাই, তাদের জীবনকে বোঝার চেষ্টা করি, তাহলে দেখবে আমাদেরও ঘুমোনোর অধিকার নেই, আরাম করার অধিকার নেই। ওরা তাদের কর্তব্যের জন্য এত কষ্ট করে, আমাকেও তো ১৪০ কোটি দেশবাসী কর্তব্য দিয়েছে। ভালো, বলো তো—বাড়ি ফিরে গিয়ে সকাল ৪টায় ওঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছো এমন কয়জন আছো? এখন তো ৪টায় উঠতে হয়, নাকি?
অংশগ্রহণকারী – উঠতে হয় স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – না না, এখনো কেউ না কেউ বাঁশি বাজায় নিশ্চয়ই। তখন মনে হয় না, ওকে যেতে দাও, আমি আরও পাঁচ মিনিট ঘুমাই? কিন্তু দেখো, সকালে তাড়াতাড়ি ওঠার অভ্যাস জীবনে ভীষণ কাজে আসে। আমিও তোমাদের মতো এনসিসি ক্যাডেট ছিলাম। তখন ক্যাম্পে যেতে হতো, ভোরে খুব তাড়াতাড়ি উঠতে হতো। এর ফলে শুধু শৃঙ্খলাই আসেনি, আজও ভোরে ওঠার অভ্যাস আমার বড় সম্পদ। পৃথিবী ঘুম থেকে ওঠার আগেই আমি আমার অনেক কাজ সেরে ফেলি। তোমরা যদি তাড়াতাড়ি ওঠার অভ্যাস তৈরি করো, তবে সেটা তোমাদের জীবনে খুব কাজে আসবে।
অংশগ্রহণকারী – আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই—যেমন ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ স্বরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তার পরে যদি কেউ হয়, তবে তিনি নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী – আমাদের শিখতে হবে, সবার কাছ থেকে শিখতে হবে। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের কাছ থেকেও শিখতে হবে। এখানে তোমরা কী শিখেছ বলতে পারবে?
অংশগ্রহণকারী – স্যার, এখানে এসে আলাদা আলাদা নির্দেশকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা, তাদের সঙ্গে কথা বলা, মিশে যাওয়া—মানে পুরো ভারত একসঙ্গে আসে।
প্রধানমন্ত্রী – যেমন বাড়িতে থাকলে হয়তো কোনো সবজিকে কখনো ছুঁয়েও দেখতে না, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করতে—“আমি এটা খাবো না।” কিন্তু এখানে এসে সেই সবজিই খেতে শিখে গেছ। এমন কিছু হয়েছে তো? জীবনে নতুন কিছু যোগ হলো?
অংশগ্রহণকারী – হ্যাঁ স্যার, সবরকম পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে শিখেছি।
অংশগ্রহণকারী – স্যার, আমি মূলত কাশ্মীরি পণ্ডিত ফ্যামিলির। আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি। ঘরের কোনো কাজ আজ পর্যন্ত করিনি, কারণ বাড়িতে থাকলে তো স্কুলে যাওয়া, সেখান থেকে ফিরে পড়াশোনা, টিউশন সব। কিন্তু এখানে এসে আমি যেটা সবচেয়ে বড় জিনিস শিখেছি, সেটা হলো স্বনির্ভর হওয়া। সব কাজ এখানেই শিখেছি, আর বাড়ি গিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি আমি এখন থেকে মাকে সাহায্য করব।
প্রধানমন্ত্রী – দেখো, এই ভিডিও তোমার মা’র কাছে পৌঁছে যাবে। তুমি ধরা পড়ে যাবে।
অংশগ্রহণকারী – স্যার, প্রথম জিনিস যা আমি এখানে এসে শিখেছি, তা হলো—পরিবার সবসময় শুধু সেই মানুষ নয়, যারা বাড়িতে আমাদের সঙ্গে থাকে। এখানে আমাদের যে বন্ধুরা আছে, সিনিয়ররা আছে, তারাও একটা বড় পরিবার। এটা আমি সবসময় মনে রাখব, আর এটা এখান থেকে শিখেছি।
প্রধানমন্ত্রী – এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত।
অংশগ্রহণকারী – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – ভালো, এই ৩০ দিনে কিছু মানুষ নিশ্চয়ই কুচকাওয়াজে অংশ নেবার সুযোগ পেয়েছে, আবার কিছু মানুষ পায়নি। তাই না? তাহলে তোমাদের কী মনে হয়? কিছুটা খারাপ লাগেনি?
অংশগ্রহণকারী – স্যার, নির্বাচিত হওয়া না হওয়া আলাদা ব্যাপার, কিন্তু তার জন্য চেষ্টা করাটাই একটা বড় ব্যাপার।
প্রধানমন্ত্রী – সেটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। আমাদের নির্বাচন হোক বা না হোক, কিন্তু আমি আমার সেরাটা দিয়েছি—এই ভাবনাটাই আসল। তো, এনসিসি?
অংশগ্রহণকারী – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – তাহলে বলো, তোমরা ইউনিফর্ম পরে আনন্দ পেয়েছ, নাকি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে?
অংশগ্রহণকারী – দুটোই।
প্রধানমন্ত্রী – তো এখানে এক মাস ধরে আছো, বাড়িতে কি ভিডিও কনফারেন্স করো?
অংশগ্রহণকারী – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – বন্ধুদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্স করো?
অংশগ্রহণকারী – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – এটা কেন করতে পারছো জানো? এক – প্রযুক্তি, দুই – ডিজিটাল ইন্ডিয়া, তিন – বিকসিত ভারত। দেখো, দুনিয়ায় খুব কম দেশ আছে যেখানে ডেটা এত সস্তা। আর তাই আমাদের এখানে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষও ভিডিও কনফারেন্সে নিজের পরিবারের সঙ্গে আরামে কথা বলে নিতে পারে। তোমাদের মধ্যে কতজন আছো যারা ইউপিআই ব্যবহার করো, ডিজিটাল লেনদেন করো?
বা:! নতুন প্রজন্ম তো আর পকেটে টাকা রাখেই না। এনসিসি তোমাদের জীবনে অনেক কিছু দিয়েছে। যে ভালো জিনিস হাতে পেয়েছো, যা আগে ছিল না, সেটা কী?
অংশগ্রহণকারী – জয় হিন্দ স্যার, নিয়মানুবর্তিতা, সময়ানুবর্তিতা আর তৃতীয় হলো নেতৃত্ব প্রদান।
প্রধানমন্ত্রী – ভালো, আর কিছু?
অংশগ্রহণকারী – স্যার, এনসিসি আমাকে সবচেয়ে বেশি শিখিয়েছে লোকসেবা। যেমন – রক্তদান, চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
প্রধানমন্ত্রী – দেখো, মাই ভারত – মাই যুবা ভারত নামে ভারত সরকার একটা প্ল্যাটফর্ম চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় তিন কোটিরও বেশি যুবক-যুবতী তাতে নাম নথিভুক্ত করেছে। আর এই মাই ভারত-এর সদস্যরা একটা বড় কাজ করেছে – বিকশিত ভারত নিয়ে ডিবেট করেছে সারা দেশে, প্রশ্নোত্তরের প্রতিযোগিতা করেছে, প্রবন্ধ লেখা হয়েছে, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা হয়েছে। আর এইসব কার্যক্রমে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ যুক্ত হয়েছিল। তো বাড়ি ফিরে গিয়ে প্রথম কী করবে?
অংশগ্রহণকারী – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী মাই ভারত-এ নাম নথিভুক্ত করবে।
অংশগ্রহণকারী – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – তো, এনসিসিতে যা শিখেছো তা তো কয়েক বছরের জন্য থাকবে, কিন্তু My Bharat তো সারাজীবনের জন্য থাকবে।
অংশগ্রহণকারী – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – তো, কিছু করবে ওখানে?
অংশগ্রহণকারী – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – ভারত আগামী ২৫ বছরের জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সেই লক্ষ্য কী জানো? জোরে বলো, হাত উঠিয়ে।
অংশগ্রহণকারী – উন্নত ভারত।
প্রধানমন্ত্রী – আর কোন সাল বলা হয়েছে?
অংশগ্রহণকারী – ২০৪৭!
প্রধানমন্ত্রী – আচ্ছা, এই ২০৪৭ কেন ঠিক করা হয়েছে?
অংশগ্রহণকারী – ১০০ বছর পূর্ণ হবে।
প্রধানমন্ত্রী – কার?
অংশগ্রহণকারী – স্বাধীনতার।
প্রধানমন্ত্রী – মোদীর? না, ভারতের স্বাধীনতার।
অংশগ্রহণকারী – ১০০ বছর পূর্ণ হবে।
প্রধানমন্ত্রী – আর ততদিন পর্যন্ত আমাদের লক্ষ্য কী?
অংশগ্রহণকারী – উন্নত ভারত।
প্রধানমন্ত্রী – এই দেশ উন্নত হওয়া উচিত। কে করবে সেটা?
অংশগ্রহণকারী – আমরা করব।
প্রধানমন্ত্রী – এমন তো নয় যে সরকারই করবে।
অংশগ্রহণকারী – না স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – ১৪০ কোটি ভারতীয় নাগরিক যদি এটা ঠিক করে নেয়, আর তার জন্য কিছু ইতিবাচক কাজ করে, তবে এই কাজ কঠিন নয়। দেখো, আমরা যদি আমাদের কর্তব্য পালন করি, আমরা উন্নত ভারত গড়তে বিরাট শক্তি হয়ে উঠতে পারি। তোমাদের মধ্যে কারা মাকে খুব ভালোবাসো? (সবার হাত ওঠে) ভালো! পৃথিবী মাকেও কারা ভালোবাসো? আচ্ছা, আমি একটি কর্মসূচির কথা বলেছিলাম—যেটা এমন এক কর্মসূচি যেখানে নিজের মায়ের প্রতিও শ্রদ্ধা প্রকাশ হয় এবং পৃথিবী মায়ের প্রতিও। সেটি হলো “মায়ের নামে একটি গাছ ”। আমার প্রত্যাশা হলো, তোমরা তোমার মাকে সঙ্গে নিয়ে একটি চারা গাছ লাগাবে এবং সবসময় মনে রাখবে—এটা আমার মায়ের নামে গাছ। আমি এটাকে কোনোদিন শুকিয়ে যেতে দেব না। আর এর উপকার কার আগে হবে? পৃথিবী মায়ের।
অংশগ্রহণকারী – আমার নাম বতামিপি। আমি দিওয়াং ভ্যালি জেলার আনিনি থেকে এসেছি। আমি ইদু মিশ্মি সম্প্রদায়ের মানুষ, আর অরুণাচল প্রদেশ থেকে এখানে এসেছি। যখন থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী সরকার চালাচ্ছেন, দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, আর দেশের কোণে কোণে সবাই সেটা জানে, সবাই দেখে।
প্রধানমন্ত্রী – অরুণাচলের একটি বিশেষত্ব আছে। আমরা সবাই জানি, ভারতে সূর্যের প্রথম রশ্মি যেখানে আসে, সেটি আমাদের অরুণাচল। কিন্তু অরুণাচলের আরেকটি বিশেষত্ব আছে। যেমন আমরা কোথাও দেখা হলে “রাম রাম” বলি, বা “নমস্তে” বলি, অরুণাচলের স্বভাব হলো তারা বলে “জয় হিন্দ”। আমার আজ থেকে তোমাদের কাছে অনুরোধ—যদি তোমরা বৈচিত্র্য দেখতে চাও, শিল্পকলার রূপ দেখতে চাও, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে চাও, সেখানকার মানুষের ভালোবাসা অনুভব করতে চাও, তাহলে সময় করে অরুণাচল, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়—এই পুরো এলাকা ঘুরে এসো। এত সুন্দর জায়গা যে, তুমি দু’মাস-তিন মাস সময় দিলেও শেষ করতে পারবে না। দেখার মতো কত কিছু আছে।
প্রধানমন্ত্রী – এমন কী কাজ তোমাদের ইউনিট করেছে, যা এনএসএসের টিম হিসেবে তোমরা করেছ, আর সবাই বলেছে—“বা! এরা দারুণ করছে, এরা দেশের জন্য কিছু করবে।”—এমন কোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করবে?
অংশগ্রহণকারী – স্যার, আমি বলতে চাই যে—
প্রধানমন্ত্রী – কোথা থেকে এসেছ তুমি?
অংশগ্রহণকারী – স্যার, আমার নাম অদয় মোদী, আমি ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছি। আর আমি বলতে চাই যে আমাদের ইউনিট—
প্রধানমন্ত্রী – তুমি মোদী নাকি মোতি?
অংশগ্রহণকারী – মোদী স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – আচ্ছা।
অংশগ্রহণকারী – আমি মোদীই।
প্রধানমন্ত্রী – তাই চট করে চিনে ফেললে।
অংশগ্রহণকারী – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – বলো।
অংশগ্রহণকারী – স্যার, আমাদের ইউনিট সবচেয়ে ভালো কাজ করেছে, যেমন আপনি বললেন যার প্রশংসা হয়েছে, সেটি হলো—আমাদের দুমকায় একটি মহিরি সম্প্রদায় আছে, যারা বাঁশ দিয়ে খুব ভালো জিনিস বানায়। কিন্তু সেগুলো শুধু মরশুমে বিক্রি হয়। আমরা কিছু মানুষকে খুঁজে বের করলাম যারা এই ধরনের কাজ করে, আর তাদের আমরা এমন কারখানার সঙ্গে যুক্ত করলাম যারা আগরবাতি তৈরি করে।
প্রধানমন্ত্রী – এই আগরবাতি শব্দটা কোথা থেকে এসেছে জানো? খুব ইন্টারেস্টিং। তোমরা একবার খুঁজে দেখো। ত্রিপুরার রাজধানীর নাম কী?
অংশগ্রহণকারী – আগরতলা স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – তার মধ্যে একটা শব্দ আছে কী? আর আমরা কী নিয়ে কথা বলছি?
অংশগ্রহণকারী – আগরবাতি।
প্রধানমন্ত্রী – ঠিক তাই। সেখানে ‘অগর’-এর জঙ্গল আছে। আর তার তেল থেকে যে গন্ধ বের হয়, সেটি অসাধারণ, আর ভীষণ দামি। পৃথিবীতে খুব কম তেল এত দামি হয়। তার গন্ধ এতই সুন্দর যে, সেই থেকেই ‘আগরবাতি’ বানানো শুরু হয়েছে। সরকার একটা জেম পোর্টাল চালু করেছে। তোমাদের এলাকাতেও কেউ যদি ওই পোর্টালে নিজের পণ্য নথিভুক্ত করে, দাম ইত্যাদি লিখে দেয়, তাহলে সরকারের প্রয়োজন হলে তারা সেখান থেকে অর্ডার করতে পারে। ফলে কাজ খুব দ্রুত হয়। তোমরা যেহেতু পড়াশোনা জানা যুবক, তোমাদের উচিত এইসব মানুষকে সেখানে নিবন্ধনে সাহায্য করা। আমার স্বপ্ন হলো—গ্রামে যে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী কাজ করছে, তাদের মধ্যে থেকে ৩ কোটি লাখপতি দিদি তৈরি করা। এক কোটি ৩০ লাখ পর্যন্ত আমরা পৌঁছে গেছি।
অংশগ্রহণকারী – আমার নিজের মা-ও সেলাই শিখে কাজ করছেন। উনি এতটাই সক্ষম হয়েছেন যে, উনি নবরাত্রিতে যে “চণিয়া” পরে, সেই চণিয়া বানাচ্ছেন। আর সেগুলো বিদেশেও যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী – খুবই ভালো।
অংশগ্রহণকারী – স্যার উন্নত ভারতের জন্য “লাখপতি দিদি” কর্মসূচি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী – আচ্ছা, তোমাদের সঙ্গে তো বিদেশের দলও রয়েছে। কতজন এমন আছ যাদের বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে ভাল বন্ধুত্ব হয়েছে? আচ্ছা, তারা কী কী প্রশ্ন করে, যখন তোমাদের সঙ্গে দেখা হয়? ভারতের বিষয়ে তারা কী জানতে চায়, কী জিজ্ঞেস করে?
অংশগ্রহণকারী – স্যার, তাঁরা ভারতের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ধর্ম, আর রাজনীতি সম্পর্কেও প্রশ্ন করে।
প্রধানমন্ত্রী – হুম, রাজনীতি সম্পর্কেও?
অংশগ্রহণকারী – নমষ্কার স্যার, আমি রোজিনা বান, নেপাল থেকে এসেছি। আমরা সত্যিই খুব উৎসাহিত ছিলাম ভারত ভ্রমণে আসতে পেরে এবং আপনাকে দেখতে পেরে। আমি আপনাকে আমাদের প্রতি প্রদর্শিত নিঃশর্ত আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অংশগ্রহণকারী – আমাদের যাত্রার প্রাক্কালে ভারতের হাই কমিশন, মরিশাসে আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তিনি বললেন—“ভারতে যাও, ওটা তোমাদের দ্বিতীয় ঘর।” তিনি ঠিকই বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী – বা:!
অংশগ্রহণকারী – আমরা নিজেদের ঘরের মতোই অনুভব করি, আর এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। মরিশাস ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা এবং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকুক।
প্রধানমন্ত্রী – এটা তোমাদের দ্বিতীয় ঘরই নয়, বরং তোমাদের পূর্বপুরুষদের প্রথম ঘরও।
অংশগ্রহণকারী – হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে!
অংশগ্রহণকারী – অতিথি দেবো ভব!
প্রধানমন্ত্রী – শাবাশ!
অংশগ্রহণকারী – আমাদের দেশ সকল দেশের সেরা।
প্রধানমন্ত্রী – অনেক অনেক অভিনন্দন ভাই ও বোনেরা।
অংশগ্রহণকারী – ধন্যবাদ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী – অনেক অনেক ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ।
SC/PK..
(रिलीज़ आईडी: 2160276)
आगंतुक पटल : 29
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
Tamil
,
English
,
Urdu
,
हिन्दी
,
Marathi
,
Assamese
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam