প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

তামিলনাড়ুর গঙ্গাইকোন্ডা চোলাপুরম মন্দিরে আদি থিরুভাথিরাই উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 27 JUL 2025 5:15PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৭ জুলাই, ২০২৫

 


ভানাক্কম চোলা মন্ডলম,

পরম শ্রদ্ধেয় আধেনম মাথাধিশগণ, চিন্ময় মিশনের স্বামীজীরা, তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আর এন রবিজী, মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী ডঃ এল মুরুগানজী, স্থানীয় সাংসদ থিরুমা-ভালাভনজি, অনুষ্ঠানে উপস্থিত তামিলনাড়ুর মন্ত্রিসভার সদস্যরা, সংসদে আমার সহকর্মী শ্রদ্ধেয় শ্রী ইলিয়ারাজাজী, অদুভারগণ, উপস্থিত ভক্তবৃন্দ, ছাত্রছাত্রীরা, সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, ঐতিহাসিকগণ, আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা! নমঃ শিবায়

‘নমঃ শিবায় বালছা, নাদন নাল বালছা, ইমেই পলুদুম, ইয়েন নেঞ্জিল নিঙ্গাদান তাল বালছা!!’

আমি খেয়াল করেছি, যখনই নায়ানার নাগেন্দ্রানের নাম উচ্চারিত হয়, তখন এখানকার পরিবেশ অদ্ভূতভাবে বদলে যায়, এক উৎসাহ উদ্দীপনা চতুর্দিকে সঞ্চারিত হয়। 

বন্ধুগণ,

এক অর্থে পূজ্যপাদ রাজরাজার এই স্থান। ইলিয়ারাজা আমাদের ভগবান শিবের বন্দনায় যুক্ত করেছেন, এই পবিত্র ভূমিতে, শ্রাবণ মাসে রাজরাজার পবিত্র ভূমিতে, কী অদ্ভূত এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমি কাশীর সাংসদ। আমি যখন শুনি, ওঁ নমঃ শিবায়, আমি তখন উদ্বেলিত হয়ে উঠি। 

বন্ধুগণ, 

শিব দর্শনে অদ্ভুত এক শক্তি অর্জিত হয়, শ্রী ইলিয়ারাজার সঙ্গীত, অদুভারদের মন্ত্রোচ্চারণ, এক অধ্যাত্ম পরিবেশ প্রকৃত অর্থেই মনে শান্তির সঞ্চার করে।

বন্ধুগণ,

পবিত্র এই শ্রাবণ মাসে বৃহদেশ্বর শিব মন্দিরের নির্মাণ কাজ সূচনার ১ হাজার তম বর্ষের এই সন্ধিক্ষণে ভগবান বৃহদেশ্বর শিবের পদতলে উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আমি তার পুজো করেছি। আমি ১৪০ কোটি ভারতবাসীর কল্যাণে এবং দেশের অব্যাহত এই উন্নয়ন যাত্রার জন্য ঐতিহাসিক মন্দিরে প্রার্থনা করেছি। প্রত্যেকে ভগবান শিবের আশির্বাদপ্রাপ্ত হোন। নমোঃ পার্বতী পতয়ে হর হর মহাদেব! 

বন্ধুগণ,

এখানে আসতে আমার দেরি হয়েছে। আসলে আমি আগেই এখানে এসে পৌঁছেছি, কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের দুর্দান্ত এক প্রদর্শনী ঘুরে দেখছিলাম। আমাদের পূর্বপুরুষরা ১ হাজার বছর আগে মানবকল্যাণের জন্য কীভাবে কাজ করতে হয়, তার দিক নির্দেশ করেছেন। তথ্যবহুল এই প্রদর্শনী ঘুরে দেখার সময়ে আমি সেই কথাই ভাবছিলাম। গত এক সপ্তাহ ধরে হাজার হাজার মানুষ এই প্রদর্শনী দেখতে এসেছেন। বিরাট এই প্রদর্শনী প্রত্যক্ষ করা সত্যিই অনবদ্য। আমি সকলকে এটি ঘুরে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

চিন্ময় মিশনের উদ্যোগে তামিলভাষায় গীতার অ্যালবাম উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আমাদের ঐতিহ্যকে রক্ষা করার যে সংকল্প আমরা নিয়েছি, সেটি বাস্তবায়নে আরও একধাপ অগ্রসর হলাম। এই উদ্যোগে যাঁরা যুক্ত আছেন, তাঁদের সকলকে অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,

চোল রাজারা শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ সহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে তাদের কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কের প্রসার ঘটিয়েছিলেন। এটি নিছকই এক কাকতালীয় ঘটনা যে, গতকালই আমি মালদ্বীপ থেকে এসেছি। আর আজ তামিলনাড়ুর এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি।

শিবের মধ্যে বিলীন হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে শিব ভক্তরা অবিনশ্বর হয়ে উঠেন। আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থগুলি সেকথাই বলে। আর তাই, ভারতের চোল ঐতিহ্য শিব ভক্তির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। রাজরাজা চোল, রাজেন্দ্র চোল – এই নামগুলি ভারতের গর্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। চোল সাম্রাজ্যের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য অত্যন্ত গর্বের। এই সাম্রাজ্য, ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করে। উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি। এই আবহে আমি মহান রাজেন্দ্র চোলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। গত কয়েকদিন যাবৎ আপনারা সকলে আদি থিরুভাথিরাই উৎসবে মেতে উঠেছেন। আজ যার পরিসমাপ্তি হতে চলেছে। এই উৎসবের সঙ্গে যুক্ত সকলকে আমি অভিনন্দন জানাই।  

ঐতিহাসিকরা মনে করেন, চোল সাম্রাজ্য ভারতের স্বর্ণযুগ। এই সময়কালে ভারতের কৌশলগত ক্ষেত্রের ক্ষমতা প্রকাশিত হয়েছে। গণতন্ত্রের জননী হিসেবে ভারতের ঐতিহ্যকে চোল সম্রাটরা লালিত করেন। ঐতিহাসিকরা গণতন্ত্রের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার সময়ে ব্রিটেনের ম্যাগনা কার্টার কথা বলেন। কিন্তু বহু শতাব্দী আগে চোল সাম্রাজ্যেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো। ‘কু়ড়াভোলাই আমাই’ থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উদ্ভব হয়েছে। আজ জল ব্যবস্থাপনা এবং বাস্তুতন্ত্রের সংরক্ষণ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা হচ্ছে। অথচ, আমাদের পূর্বপুরুষরা বহু যুগ আগেই এগুলির গুরুত্ব অনুধাবন করেছিলেন। আমরা শুনেছি, অনেক রাজা রাজ্য জয়ের পর সেখান থেকে সোনা, রুপো, পশু সম্পদ নিয়ে আসতেন। কিন্তু দেখুন রাজেন্দ্র চোল এনেছিলেন গঙ্গার জল। তিনি উত্তর ভারত থেকে গঙ্গার জলকে নিয়ে এসে দক্ষিণে প্রতিষ্ঠা করেন। সেই জল নিয়ে এসে চোল গঙ্গা হ্রদে মিশিয়ে দেন, যা আজ পোন্নেরি হ্রদ হিসেবে পরিচিত। 

বন্ধুগণ,

রাজেন্দ্র চোল গঙ্গাই-কোন্ডাচোলপুরম কোভিল-এর প্রতিষ্ঠাতা। এই মন্দিরের স্থাপত্য সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময় সৃষ্টি করে। মা গঙ্গার এই উৎসব, মা কাবেরীর ভূমিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা আসলে চোল সাম্রাজ্যের উপহার। আরও একবার কাশী থেকে গঙ্গার জল নিয়ে এসে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। চিরায়ত রীতিনীতি অনুসারে আমি যখন পুজো করছিলাম, গঙ্গার জল দিয়ে তখন অভিষেক করেছি। আমি কাশীর জনপ্রতিনিধি, সেই সময়ে আমি মা গঙ্গার সঙ্গে আমার শাশ্বত বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি উপলব্ধি করছিলাম। চোল রাজাদের এই কীর্তি, তাঁদের প্রচলন করা এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে পেরে আমার মধ্যে নতুন শক্তি সঞ্চারিত হচ্ছে। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর উদ্যোগ এর ফলে নতুন গতি পেলো।    

ভাই ও বোনেরা,  

চোল রাজারা ভারতকে একতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন। চোল যুগের নীতিই বর্তমান সময়কালে আমাদের সরকার অনুসরণ করছে। আমরা কাশী তামিল সঙ্গমম এবং সৌরাষ্ট্র তামিল সঙ্গমমের মতো বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে ঐক্যের প্রাচীন এই ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছি। গঙ্গাই-কোন্ডাচোলাপুরমের মতো প্রাচীন তামিল মন্দিরগুলিকে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ সংরক্ষণ করে থাকে। দেশের নতুন সংসদ ভবন যখন উদ্বোধন করা হয়, সেই সময়ে আমাদের শিব আধেনম সন্ন্যাসীরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আজ এখানেও উপস্থিত রয়েছেন। তামিল সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত পবিত্র সেঙ্গল আজ সংসদ ভবনে স্থাপিত হয়েছে। এই বিষয়টি যখন আমার মনে পরে, তখন আমি খুব গর্ববোধ করি।

বন্ধুগণ,

আমি চিদাম্বরমে নটরাজ মন্দিরে কয়েকজন দীক্ষিতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তাঁরা এই পবিত্র মন্দিরের প্রসাদ আমাকে দিয়েছেন। এখানে ভগবান শিব নটরাজ রূপে পূজিত হন। আমাদের দর্শন ও বিজ্ঞান সত্ত্বার প্রতীক নটরাজ। দিল্লিতে, ভারত মন্ডপমের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেও ভগবান নটরাজের একটি আনন্দ তাণ্ডব মূর্তি বসানো হয়েছে। এই ভারত মন্ডপমে জি-২০ গোষ্ঠীর বৈঠকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।    
 
বন্ধুগণ,

ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গঠনের ক্ষেত্রে শৈব রীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চোল সম্রাটরা এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন। আর তাই, আজও শৈব রীতির অন্যতম পীঠস্থান হিসেবে তামিলনাড়ুতে বেশ কয়েকটি জায়গা রয়েছে। নায়ানমার অনুসারীদের ঐতিহ্য, তাঁদের আধ্যাত্মিক সাহিত্য, তামিল সাহিত্য, পূজনীয় আধেনম – সব মিলিয়ে আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক জগতে নতুন এক যুগের সৃষ্টি হয়েছে।  

বন্ধুগণ,

আজ সারা বিশ্ব অস্থিতিশীলতা, সংঘাত এবং পরিবেশের নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত। তিরুমুলার লিখেছিলেন, “অন্বে শিবম”, অর্থাৎ ভালোবাসাই শিব, শিবই ভালোবাসা! আজ সারা বিশ্ব যদি এই ভাবনাকে অনুসরণ করে তাহলে বেশিরভাগ সমস্যারই সমাধান হবে। এই ভাবনা থেকেই ভারত এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যতের ধারণাকে সারা পৃথিবীর কাছে উপস্থাপিত করেছে। 

বন্ধুগণ,

আজ ভারত যখন উন্নয়নের পথ ধরে এগিয়ে চলেছে, তখন এদেশের ঐতিহ্যকেও অনুসরণ করা হচ্ছে। ভারত তার ইতিহাসের জন্য গর্বিত। গত এক দশক ধরে আমরা এদেশের ঐতিহ্যকে রক্ষা করার জন্য উদ্যোগী হয়েছি। ভারতের হারিয়ে যাওয়া যেসব প্রাচীন মূর্তি ও সৌধ বিদেশে বিক্রি হয়েছিল সেগুলিকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে এরকম ৬০০টি মূর্তি নিয়ে আসা হয়েছে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে। এর মধ্যে ৩৬টি তামিলনাড়ুর। আজ আবারও এই পবিত্র ভূমিতে নটরাজ, লিঙ্গোদ্ভব, দক্ষিণা মূর্তি, অর্ধনারীশ্বর, নন্দীকেশ্বর, উমা পরমেশ্বরী, পার্বতী, সমবান্দর-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যগুলি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের ঐতিহ্য এবং শৈব দর্শনের প্রভাব শুধুমাত্র ভারত অথবা পৃথিবীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে তা পৌছে গেছে। ভারতই প্রথম রাষ্ট্র যে সেখানে পৌঁছতে পেরেছে। আমরা সেই জায়গাটির নাম রেখেছি শিব শক্তি। অর্থাৎ চাঁদের ওই গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি শিব শক্তি নামে পরিচিত। 

বন্ধুগণ,

চোল যুগে ভারতের অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত গুরুত্ব যে উচ্চতায় পৌঁছেছিল তা আজও আমাদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। রাজরাজা চোল একটি শক্তিশালী নৌ বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। রাজেন্দ্র চোল সেই বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তোলেন। তাঁর সময়কালে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সংস্কার কার্যকর করা হয়। তিনি স্থানীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে শক্তিণশালী করে তোলেন। এছাড়াও একটি বলিষ্ঠ রাজস্ব নীতি কার্যকর হয়েছিল। সমুদ্রপথে ব্যবসা-বাণিজ্য হতো। এছাড়াও শিল্প সংস্কৃতির প্রসার ঘটেছিল। ভারত সব দিক থেকেই সেই সময়ে এগিয়ে ছিল। 

বন্ধুগণ,

প্রাচীন যুগে চোল সাম্রাজ্য নতুন ভারত গড়ে তোলে। আমরা যদি উন্নত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই, তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের নৌ বাহিনীকে শক্তিশালী করতে হবে, সেনা বাহিনীকেও শক্তিশালী করে তুলেতে হবে। আমাদের নতুন নতুন সুযোগ খুঁজতে হবে। আর এর সঙ্গে আমাদের মূল্যবোধকেও রক্ষা করতে হবে। চোল যুগের সেই উদ্যোগগুলি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ এগিয়ে চলেছে, যা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। 

বন্ধুগণ,

আজ ভারত তার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুরের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্ব দেখেছে, কেউ যদি ভারতের সুরক্ষা ব্যবস্থায় এবং সার্বভৌমত্বে আঘাত হানে তাহলে কীভাবে তাকে জবাব দেওয়া হয়। ভারতের শত্রুদের, জঙ্গিদের কোথাও নিরাপদ কোনো স্থান নেই, অপারেশন সিন্দুর তা দেখিয়ে দিয়েছে। আজ যখন আমি হেলিপ্যাড থেকে এই ৩-৪ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে এলাম, তখন একটি পথ সভা আমার নজরে এসেছে, যেখানে সকলে অপারেশন সিঁদুরের জয়গান করছিলেন। দেশজুড়ে অপারেশন সিন্দুরের কারণে এক নতুন চেতনার উদ্ভব হয়েছে। আত্মপ্রত্যয়ী ভারতের শক্তি সারা বিশ্ব উপলব্ধি করেছে।    

বন্ধুগণ,

আমরা সকলেই জানি, রাজেন্দ্র চোল যখন গঙ্গাই-কোন্ডাচোলাপুরম নির্মাণ করেছিলেন, সেই সময়ে তিনি এর শিখরকে তাঞ্জাভুরের বৃহদেশ্বর মন্দিরে চূড়া থেকে ছোট আকারের করেছিলেন। আসলে তিনি চেয়েছিলেন তাঁর বাবার নির্মিত মন্দিরের উচ্চতা বেশি থাকুক। এর মধ্য দিয়ে মহান রাজেন্দ্র চোলের বিনয়ী স্বভাবের দিকটি ফুটে ওঠে। আজ নতুন ভারত সেই একই পথ অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছে। আমরা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছি, কিন্তু আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধ বিশ্বের কল্যাণে নিয়োজিত। 

বন্ধুগণ,

আমরা আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি গর্ববোধ করি। আজ আমি এখানে একটি শপথ গ্রহণ করছি। আগামী দিনে আমরা তামিলনাড়ুতে রাজরাজা চোল এবং তাঁর পুত্র, মহান শাসক প্রথম রাজেন্দ্র চোলের সু-বৃহৎ মূর্তি বসাবো। এই প্রতিকৃতিগুলি আধুনিকযুগে ইতিহাসের বিষয়ে আমাদের সচেতনতার প্রতিফলন হবে। 

বন্ধুগণ,

আজ ডঃ এ পি জে আব্দুল কালামজীর মৃত্যু বার্ষিকী। উন্নত ভারত গড়তে আমাদের ডঃ কালাম, চোল রাজাদের মতো লক্ষ লক্ষ যুবক যুবতী প্রয়োজন। এই যুব সম্প্রদায় ১৪০ কোটি দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণের শক্তি হয়ে উঠবেন। একযোগে আমরা এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত-এর সংকল্পকে বাস্তবায়িত করবো। এই আশা নিয়ে আরও একবার আপনাদের সকলকে আমি অভিনন্দন জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমার সঙ্গে আপনারও বলুন,

ভারত মাতা কি জয়,

ভারত মাতা কি জয়,

ভারত মাতা কি জয়,

ভানাক্কম

(প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন)

 

 

SC/CB/SKD


(Release ID: 2149251)