প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ত্রিনিদাদ ও ট্যোবাগোয় ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন
प्रविष्टि तिथि:
04 JUL 2025 6:46AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৪ জুলাই ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ত্রিনিদাদ ও ট্যোবাগোয় ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের বিশাল এক সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী কমলা পেরসাদ-বিসেসর উপস্থিত ছিলেন। তিনি ছাড়াও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য, সাংসদ এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা এই সমাবেশে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে বর্ণময় ভারতীয়-ত্রিনিদাদীয় প্রথায় সম্বর্ধনা জানানো হয়।
শ্রী মোদীকে স্বাগত জানিয়ে ত্রিনিদাদ ও ট্যোবাগোর প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী কমলা পেরসাদ-বিসেসর ঘোষণা করেন, “দ্য অর্ডার অফ দ্য রিপাবলিক অফ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো” সম্মানে ভূষিত করা হবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে। এই সম্মান সে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার। প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণায় শ্রীমতী পেরসাদ-বিসেসরকে এবং ত্রিনিদাদ ও ট্যোবাগোর জনসাধারণকে তাঁর আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ত্রিনিদাদ ও ট্যোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ জানান। দুটি দেশের মধ্যে প্রাণবন্ত বিশেষ এক সম্পর্ক গড়ে তোলায় তাঁর অবদানের কথা স্বীকার করেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, তাঁর এই সফর এমন এক সময়ে হল যখন এই দেশে প্রথম ভারতীয় অভিবাসীর পদার্পণের ১৮০ বছর পূর্তি উদযাপিত হচ্ছে। এক অর্থে, তাঁর এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
ত্রিনিদাদ ও ট্যোবাগোয় বসবাসরত ভারতীয় সম্প্রদায়ের প্রাণশক্তি, সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি এবং ঐ রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাঁদের প্রশংসা করেন। যেভাবে তাঁরা ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে রক্ষা করে চলেছেন, তারও প্রশংসা করেন শ্রী মোদী। এই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশে তিনি জানান, ত্রিনিদাদ ও ট্যোবাগোয় বসবাসরত ষষ্ঠ প্রজন্মের ভারতীয় সম্প্রদায়ের জনসাধারণকে ওসিআই কার্ড দেওয়া হবে। এই বিশেষ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত জনতা হর্ষধ্বনি দিয়ে ওঠেন। গিরমিতিয়া ঐতিহ্যকে লালন করার জন্য ভারত সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী পরিকাঠামো, ডিজিটাল প্রযুক্তি, নির্মাণ ক্ষেত্র, পরিবেশ-বান্ধব পরিবহণ ব্যবস্থাপনা, মহাকাশ, উদ্ভাবন এবং স্টার্ট-আপ বা নতুন উদ্যোগ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের নতুন উদ্ভাবন ও পরিবর্তনের কথা তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন। গত এক দশকে ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমন্বিত উন্নয়ন ঘটেছে, যার ফলশ্রুতিতে ২৫ কোটি নাগরিক দারিদ্র্যের নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়েছেন।
ভারতের উন্নয়নের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই বিশ্বের প্রথম তিনটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক রাষ্ট্রের মধ্যে ভারত স্থান করে নিতে চলেছে। কৃত্রিম মেধা, সেমি-কন্ডাক্টর এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এ জাতীয় মিশনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।
ভারতে ইউপিআই-ভিত্তিক ডিজিটাল লেনদেনের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি আশা করেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোও এই ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগাতে পারবে। ভারতের দীর্ঘদিনের দর্শন – ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব অভিন্ন এক পরিবার – এই ধারণা কোভিড মহামারীর সময় প্রতিফলিত হয়েছে। ত্রিনিদাদ ও ট্যোবাগোর উন্নয়ন ও রাষ্ট্র গঠনের কাজে ভারত তার সমর্থন যুগিয়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই অনুষ্ঠানে ৪ হাজারের বেশি শ্রোতা-দর্শক উপস্থিত ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী ইনস্টিটিউট ফর কালচারাল কো-অপারেশন সহ অন্যান্য সংস্থার শিল্পীরা এই সমাবেশে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
SC/CB/DM..
(रिलीज़ आईडी: 2142296)
आगंतुक पटल : 21
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English
,
Urdu
,
Marathi
,
हिन्दी
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam