প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

রাজস্থানের বিকানিরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 22 MAY 2025 3:31PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২২ মে, ২০২৫

 

ভারতমাতার জয়!
ভারতমাতার জয়!
ভারতমাতার জয়!

থানে সংগ্লা নে রাম-রাম!

রাজস্থানের রাজ্যপাল হরিভাও বাগড়েজি, এখানকার জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ভজনলালজি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বোন বসুন্ধরা রাজেজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী অশ্বিনী বৈষ্ণবজি, অর্জুন রাম মেঘওয়ালজি, রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দীয়া কুমারীজি, প্রেমচাঁদজি, রাজস্থান সরকারের অন্য মন্ত্রীরা, সংসদে আমার সহকর্মী মদন রাঠোরজি, অন্য সাংসদ ও বিধায়করা এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।

আপনারা সকলে এখানে বিপুল সংখ্যায় সমবেত হয়েছেন। এই ভয়ঙ্কর গরমের মধ্যেও আপনারা এখানে এসেছেন। আজ এই অনুষ্ঠানে দেশের অন্য ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ অনলাইনে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, উপ-রাজ্যপাল ও অন্য জনপ্রতিনিধিরাও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমি সমগ্র দেশ থেকে যেসব মহান ব্যক্তি, জনতা-জনার্দন এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের সকলকে অভিনন্দিত করছি। 

ভাই ও বোনেরা,

আমি এখানে করণি মাতার আশীর্বাদ নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। করণি মাতার আশীর্বাদে বিকশিত ভারত তৈরি করার ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্কল্প আরও মজবুত হচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত ২৬ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে এখানে। আমি এই প্রকল্পগুলির জন্য দেশবাসীকে, রাজস্থানের আমার ভাই-বোনেদেরকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,

বিকশিত ভারত তৈরি করার জন্য আজ দেশে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার মহাযজ্ঞ চলছে। আমাদের দেশের সড়ক আধুনিক হবে, বিমানবন্দর আধুনিক হবে, রেলপথ এবং রেল স্টেশন আধুনিক হবে। এজন্য বিগত ১১ বছরে অভূতপূর্ব গতিতে কাজ চলছে। আপনারা কল্পনা করতে পারবেন যে এই পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত কাজগুলিতে দেশে আগে যা খরচ হত তার তুলনায় বর্তমানে প্রায় ছ’গুণ বেশি অর্থ খরচ করা হচ্ছে। ছ’গুণ বেশি। বর্তমানে ভারতে যে উন্নয়নের কাজ চলছে, তা দেখে সমগ্র বিশ্ব আশ্চর্যান্বিত হয়ে পড়ছে। আপনারা দেশের উত্তরাংশে যান, দেখবেন ঝিলাম নদীর ওপর যে সেতু নির্মাণ হয়েছে তা আশ্চর্য করার মতো। দেশের পূর্ব দিকে যদি যান, তাহলে দেখবেন অরুণাচল প্রদেশের সেলা সুড়ঙ্গ, আসামের বোগিবিল সেতু আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছে। পশ্চিম ভারতে গেলে দেখতে পাবেন মুম্বইয়ে সমুদ্রের ওপর তৈরি হওয়া অটল সেতু আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। সুদূর দক্ষিণে দেখবেন দেশে তৈরি হওয়া সমুদ্রের ওপর  পম্বন ব্রিজ আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছে।

বন্ধুগণ,

বর্তমানে ভারত নিজের ট্রেন নেটওয়ার্কের আধুনিকীকরণ করছে। বন্দে ভারত ট্রেন, অমৃত ভারত ট্রেন, নমো ভারত ট্রেন, দেশের নতুন গতি ও প্রগতির পরিচায়ক। দেশে বর্তমানে প্রায় ৭০টি পথে বন্দে ভারত ট্রেন চলাচল করে। দূরদুরান্তের এলাকাতেও আধুনিক রেল ব্যবস্থা পৌঁছে গেছে। বিগত ১১ বছরে শত শত সড়ক ও সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তৈরি হয়েছে ভূগর্ভস্থ সড়ক ও সেতু। ৩৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি নতুন রেললাইন বিস্তার করা হয়েছে। ব্রডগেজ লাইনগুলিতে এখন পারাপারের জন্য মানুষ নিয়োগ ইতিহাস। মালগাড়ির জন্য আমরা বিশেষ লাইন চালু করেছি। ফ্রেট করিডরের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। অনেকাংশে কাজ সম্পন্নও হয়েছে। দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন প্রোজেক্টের কাজ চলছে। এই সবকিছুর সঙ্গে আমরা একসঙ্গে দেশের প্রায় ১,৩০০-র বেশি রেল স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজ করছি।

বন্ধুগণ,

আধুনিকভাবে নির্মিত এই রেল স্টেশনগুলিকে দেশে অমৃত ভারত স্টেশন নাম দেওয়া হয়েছে। আজ এর মধ্যে ১০০-র বেশি অমৃত ভারত স্টেশন তৈরি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমেও আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই রেল স্টেশনগুলির আগে কি পরিস্থিতি ছিল, আর এখন তার বদলে যাওয়া ছবিটাই বা কি।

বন্ধুগণ,

ঐতিহ্য বজায় রেখে উন্নয়ন – এই মন্ত্রে এই অমৃত ভারত রেল স্টেশনগুলির কাজ করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কলা, সংস্কৃতিকে প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে এই স্টেশনগুলিতে। রাজস্থানের মণ্ডলগড় রেল স্টেশনে রাজস্থানী কলা-সংস্কৃতি দেখতে পাবেন। আবার, বিহারে থাওয়ে স্টেশনে মা থাওয়েওয়ালি মন্দিরের এবং মধুবনী চিত্রকলার নিদর্শন দেখতে পাওয়া যাবে। মধ্যপ্রদেশের ওরছা রেল স্টেশনে আপনারা ভগবান রামের আভাস দেখতে পাবেন। শ্রীরঙ্গম স্টেশনের নকশা ভগবান শ্রীরঙ্গনাথ স্বামীজির মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে। গুজরাটের ডাকোর স্টেশন রণছোড়রাইজির থেকে প্রেরণা নিয়ে তৈরি হয়েছে। বেগমপেট স্টেশনে আপনারা কাকতীয় সাম্রাজ্যের সময়ের নকশা দেখতে পাবেন। অর্থাৎ, প্রতিটি অমৃত স্টেশনেই আপনারা ভারতের হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্যের দর্শন করতে পারবেন। এই স্টেশন প্রতিটি রাজ্যে পর্যটনে উৎসাহ দেবে। বাড়াবে কর্মসংস্থান। আমি সেইসব শহরের নাগরিকদের এবং রেলে যাত্রীদের কাছে প্রার্থনা করছি যে এইসব সম্পত্তির মালিক আপনারাই। কখনই সেইসব স্থান নোংরা করবেন না। সম্পত্তির যেন ক্ষতি না হয়। কেননা, আপনারাই এগুলির মালিক।

বন্ধুগণ,

পরিকাঠামো তৈরির জন্য অর্থ খরচ করে সরকার। কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয় এখান থেকে। বাণিজ্যেও উৎসাহ বৃদ্ধি হয়। সরকার যে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে, তা শ্রমিকদের পকেটে যাচ্ছে। দোকানদাররা তা পাচ্ছেন। দোকান বা কারখানায় যাঁরা কাজ করেন, সেইসব মানুষ এই অর্থ পাচ্ছেন। এই পরিকাঠামো যখন তৈরি হয়ে যায়, তখন তার অনেকগুণ বেশি লাভ পাওয়া যায়। কৃষক কম খরচে নিজের পণ্য বাজারে পৌঁছতে পারেন। তাঁর উৎপাদিত পণ্য নষ্ট হয় কম। সড়ক যদি ভালো হয়, নতুন নতুন ট্রেন যদি পৌঁছয়, তাহলে সেইসব স্থানে নতুন উদ্যোগ তৈরি হয়, পর্যটনও বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ, পরিকাঠামোর পেছনে খরচ করা প্রতিটি অর্থ বিশেষভাবে আমাদের দেশের শ্রমিক পরিবারের কাছে পৌঁছয়।

বন্ধুগণ,

পরিকাঠামো ক্ষেত্রে যে কাজ হচ্ছে, তা থেকে রাজস্থানও ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছে। রাজস্থানের গ্রামে গ্রামে এখন উন্নত সড়ক তৈরি হচ্ছে। সীমান্ত এলাকাতেও দারুণ রাস্তা তৈরি হয়েছে। এজন্য বিগত ১১ বছরে কেবলমাত্র রাজস্থানেই প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। রাজস্থানে রেলের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এ বছর প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে, ২০১৪ সালের তুলনায় যা ১৫ গুণ বেশি। এই কিছুক্ষণ আগে এখান থেকে মুম্বই পর্যন্ত একটি নতুন ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়েছে। আজই বেশ কিছু এলাকায় স্বাস্থ্য, জল এবং বিদ্যুতের সঙ্গে যুক্ত প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন হয়েছে। এইসব প্রয়াসের লক্ষ্য হল আমাদের রাজস্থানের শহর বা গ্রাম – সব অঞ্চলই যেন দ্রুতগতিতে উন্নত হয়। রাজস্থানের যুবক-যুবতীরা যেন তাঁদের নিজেদের শহরে কাজের ভালো সুযোগ পান।

বন্ধুগণ,

রাজস্থানে উন্নয়নের জন্য ডবল ইঞ্জিন সরকার দ্রুতগতিতে কাজ করছে। পৃথক পৃথক ক্ষেত্রে এখানে ভজনলালজির সরকার নতুন নীতি তৈরি করেছে। বিকানিরে এইসব নতুন নীতি থেকে উপকৃত হচ্ছেন মানুষ। আপনারা তো জানেন, বিকানিরের কথা যখন ওঠে, তখন বিকানিরের ভুজিয়ার স্বাদ ও বিকানিরের রসগোল্লার মিষ্টতা সমগ্র বিশ্বে এই স্থানের পরিচয় আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেয়। রাজস্থানে রিফাইনারির কাজ প্রায় শেষ হতে চলেছে। এর ফলে, রাজস্থান পেট্রোলিয়াম সম্পর্কিত উদ্যোগ বিশেষভাবে উপকৃত হবে। গড়ে উঠবে হাব। অমৃতসর থেকে জামনগর পর্যন্ত যে ছ’লেনের অর্থনৈতিক করিডর তৈরি হচ্ছে, তা রাজস্থানে শ্রীগঙ্গানগর, হনুমানগড়, বিকানির, যোধপুর, বারমেঢ় ও জালোর হয়ে যাবে। দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের কাজও রাজস্থানে প্রায় সম্পূর্ণ। সংযোগ স্থাপনের এই অভিযান রাজস্থানে উদ্যোগ ক্ষেত্রের উন্নয়নে নতুন উচ্চতা স্থাপন করবে।

বন্ধুগণ,

রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর বিনামূল্য বিদ্যুৎ প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এই প্রকল্পের আওতায় রাজস্থানে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ যুক্ত হয়েছেন। এর আওতায় জনগণের বিদ্যুতের বিল আসছে শূন্য। মানুষ সৌরবিদ্যুৎ তৈরি করে রোজগারের নতুন পন্থা খুঁজে পাচ্ছেন। আজ এখানে বিদ্যুতের সঙ্গে যুক্ত অনেক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে। রাজস্থানে আরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা হয়েছে। 

বন্ধুগণ,

রাজস্থানের এই ভূমি, বিকানির, মরুভূমিতে সবুজায়ন সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে মহারাজা গঙ্গা সিংজির পবিত্র ভূমি। আমাদের জন্য জলের কি গুরুত্ব, তা এই অঞ্চলের থেকে বেশি ভালো কে-ই বা জানে! আমাদের বিকানির, শ্রীগঙ্গানগর, হনুমানগড় - পশ্চিম রাজস্থানের এমন অনেক ক্ষেত্রের উন্নয়নে জলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এজন্য একদিকে জল সিঞ্চন প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে নদীগুলিকে যুক্ত করা হচ্ছে। পার্বতী-কালিসিন্ধ-চম্বল সংযোগকারী প্রকল্প থেকে রাজস্থানের অনেক জেলা উপকৃত হবে। এখানকার কৃষক উপকৃত হবেন। 

বন্ধুগণ,

রাজস্থানের এই ধাতৃভূমি আমাদের শেখায় যে, দেশ এবং দেশবাসীর থেকে বড় অন্য আর কিছু নয়। ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসবাদীরা ধর্ম জিজ্ঞাসা করে আমাদের বোনেদের সিঁথির সিঁদুর মুছে দিয়েছে। সেই গুলি পহেলগাঁও-এ চালানো হয়েছিল, কিন্তু তা ১৪০ কোটি দেশবাসীর বুকে এসে লেগেছে। এরপর থেকে দেশবাসী একত্রিত হয়ে সঙ্কল্প গ্রহণ করে যে জঙ্গিদের ধূলিসাৎ করতে হবে, তাদের কল্পনার অতীত শাস্তি দিতে হবে। আজ আপনাদের আশীর্বাদে দেশের সেনা বীরত্বের সঙ্গে আমাদের সকলের এই প্রতিজ্ঞা পালনে সক্ষম হয়েছে। আমাদের সরকার তিন বাহিনীর সেনাদের নিজের মতো করে পদক্ষেপ গ্রহণের স্বাধীনতা দিয়েছিল। তিন বাহিনী মিলে এমন চক্রব্যুহ তৈরি করেছে, যা পাকিস্তানকে পুরো পর্যদুস্ত করতে বাধ্য করেছে।

বন্ধুগণ,

২২ তারিখের এই হামলার জবাবে আমরা ২২ মিনিটে জঙ্গিদের ন’টি সবচেয়ে বড় ঠিকানা ধ্বংস করে দিয়েছি। সমগ্র বিশ্ব এবং শত্রুরা দেখেছে, যখন সিঁদুর বারুদে রূপান্তরিত হয়, তখন তার ফল কি হয়।

বন্ধুগণ,

পাঁচ বছর আগে যখন বালাকোটে বিমানপথে হামলা করা হয়েছিল, তারপরে আমার প্রথম জনসভা রাজস্থানের সীমানাতেই হয়েছিল। আজও দেখুন, আমি এসেছি রাজস্থানে। এবার যখন অপারেশন সিন্দুর সম্পন্ন হল, তারপর আমার প্রথম জনসভা আবারও এই বীরভূমি রাজস্থানের সীমানায় বিকানিরেই আপনাদের সকলের মাঝে চলছে। 

বন্ধুগণ,

চুরুতে আমি বিমান হামলার পর বলেছিলাম, “এই পবিত্র মাটির প্রতিজ্ঞা নিয়ে বলছি, আমি দেশকে কখনই ঝুঁকতে দেব না।” আজ আমি রাজস্থানের এই মাটি থেকে দেশের জনগণকে বিনম্রভাবে বলতে চাই, যারা সিঁদুর মুছে দিতে এসেছিল, আমরা তাদের ধূলিসাৎ করেছি। যারা ভারতবর্ষে রক্তপাত ঘটিয়েছে, দেশ যথাযথভাবে তার হিসেব নিয়েছে। যারা ভাবছিল ভারত চুপ করে থাকবে, যারা নিজেদের অস্ত্রের ওপর অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী ছিল, তারা সকলেই আজ ভারতের শক্তি দেখেছে।

আমার প্রিয় দেশবাসী,

এটা কোনো প্রতিশোধের খেলা নয়, এটি হল ন্যায়ের নতুন রূপ। এ হল অপারেশন সিন্দুর। এ কেবলমাত্র আমাদের আক্রোশ নয়, এটি হল সক্ষম ভারতের রুদ্র রূপ। এ হল ভারতের নতুন স্বরূপ। এর আগে আমরা বাড়িতে ঢুকে জঙ্গিদের ওপর হামলা চালিয়েছিলাম, আর এবারে সরাসরি বুকের ওপর আঘাত করেছি। জঙ্গিদের সমস্ত আস্ফালন ধ্বংস করেছি। এটিই ভারতের নীতি, এটিই হল নতুন ভারত। সকলে মিলে বলুন – 

ভারতমাতার জয়।
ভারতমাতার জয়।
ভারতমাতার জয়।


বন্ধুগণ,

অপারেশন সিন্দুর সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তিনটি সূত্র স্থির করে দিয়েছে। প্রথমটি হল, ভারতের ওপর যদি জঙ্গি হামলা হয় তাহলে কঠোর জবাব মিলবে। সময় স্থির করবে আমাদের সেনা। কিভাবে জবাব দেওয়া হবে তাও স্থির করবে আমাদের সেনা। আর শর্তও হবে আমাদেরই। দ্বিতীয়টি হল, পরমাণু বোমার হুমকিতে ভারত আর ভয় পায় না। তৃতীয় হল, আমরা জঙ্গিদের এবং তাদের সাহায্যকারী সরকারকে পৃথকভাবে দেখব না। তাদের এক বলেই মনে করব। পাকিস্তানের এই খেলা এখন আর চলবে না। আপনারা দেখেছেন, পাকিস্তানের স্বরূপ প্রকাশিত হওয়ার পর সে সম্পর্কে সমগ্র বিশ্বকে জানাতে কিভাবে আমাদের প্রতিনিধিদল বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। এই দলে দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা রয়েছেন। রয়েছেন, দেশের গণ্যমান্য নাগরিক। এখন পাকিস্তানের স্বরূপ সমগ্র বিশ্বের কাছে উন্মোচিত হবে। 

বন্ধুগণ,

পাকিস্তান কখনই ভারতের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না। যখনই সরাসরি লড়াই হয়, তখন বারবার পাকিস্তান মুখ থুবড়ে পড়ে। এজন্য পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সাহায্যে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। স্বাধীনতার পর বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে এটাই চলে আসছে। পাকিস্তান সন্ত্রাস ছড়িয়ে নির্দোষ মানুষকে হত্যা করছে। ভারতে ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু পাকিস্তান ভুলে গেছে, মা ভারতীর সেবক মোদী এখানে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মোদীর মন ঠান্ডা, কিন্তু  রক্ত গরম। আর এখন তো মোদীর শিরায় শিরায় রক্ত নয়, বরং সিঁদুর প্রবাহিত হচ্ছে। ভারত এখন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে সন্ত্রাসবাদী হামলা হলে পাকিস্তানকে তার অনেক বড় মাশুল দিতে হবে। আর এই মাশুল দেবে পাকিস্তানের সেনা, পাকিস্তানের অর্থ ব্যবস্থা।

বন্ধুগণ,

আমি দিল্লি থেকে এখানে যখন আসছিলাম, তখন বিকানিরে নাল বিমানবন্দরে নেমেছি। পাকিস্তান এই বিমানঘাঁটিটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোরও চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু, এই বিমানঘাঁটির বিন্দুমাত্র ক্ষতিও হয়নি। কিন্তু, এখান থেকে কিছুদূরে সীমান্তের ওপারে পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খান বিমানঘাঁটি রয়েছে। জানিনা, সেই বিমানঘাঁটি কবে খুলবে। তা এখন আইসিইউ-তে রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর যথাযথ হামলায় সেই বিমানঘাঁটি তছনছ হয়ে গেছে।

বন্ধুগণ,

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য হবে না, আলোচনাও হবে না। কথা যদি বলতে হয় তাহলে কেবলমাত্র পাকিস্তান কাশ্মীরের যে অংশ কব্জা করে রেখেছে, সেই পিওকে নিয়ে কথা হবে। আর পাকিস্তান যদি জঙ্গি রপ্তানি চালু রাখে, তাহলে তাদেরকে তার মূল্য চোকাতে হবে। পাকিস্তানকে ভারত একবিন্দু জলও দেবে না। ভারতীয়দের রক্তের সঙ্গে খেলা করার কড়া মাশুল পাকিস্তানকে এখন দিতে হবে। এটিই ভারতের সঙ্কল্প। আর বিশ্বের কোনো শক্তিই আমাদের এই সঙ্কল্প থেকে সরাতে পারবে না। 

ভাই ও বোনেরা,

বিকশিত ভারত গড়ে তোলার জন্য সুরক্ষা ও সমৃদ্ধি দুটিই জরুরি। তখনই তা সম্ভব, যখন ভারতের প্রতিটি প্রান্ত মজবুত হয়ে উঠবে। আজকের এই অনুষ্ঠান ভারতে দ্রুতগতির উন্নয়নের ভারসাম্য বজায় রাখার যথাযথ উদাহরণ। আমি আরও একবার এই বীর ভূমি থেকে সকল দেশবাসীকে অভিনন্দিত করছি। আমার সঙ্গে বলুন, আপনাদের দুই হাতের মুঠো বন্ধ করে সমস্ত শক্তি দিয়ে বলুন – 

ভারতমাতার জয়।
ভারতমাতার জয়।
ভারতমাতার জয়।

বন্দে মাতরম। বন্দে মাতরম।
বন্দে মাতরম। বন্দে মাতরম।
বন্দে মাতরম। বন্দে মাতরম।
বন্দে মাতরম। বন্দে মাতরম।
বন্দে মাতরম। বন্দে মাতরম।
বন্দে মাতরম। বন্দে মাতরম।

 

SC/PM/DM...


(Release ID: 2130564)