গ্রামোন্নয়নমন্ত্রক
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি রাজ্যগুলিকে রেকর্ডস অফ রাইটস (আরওআর)-এর সঙ্গে আধার নম্বর যুক্ত করার কাজ সম্পূর্ণ করার আবেদন জানিয়েছেন
Posted On:
15 MAY 2025 2:22PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৫ মে, ২০২৫
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নোয়ন এবং যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী শ্রী চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি রাজ্যগুলিকে রেকর্ডস অফ রাইটস (আরওআর)-এর সঙ্গে আধার নম্বর যুক্ত করার কাজ সম্পূর্ণ করার আবেদন জানিয়েছেন – এই সংস্কারে জমির মালিকানার সঙ্গে ইউনিক ডিজিটাল আইডেন্টিটি যুক্ত করতে, বেনামদারদের দূর করতে, এবং এগ্রিস্ট্যাক, পিএম কিষাণ এবং শস্যবিমার মতো সুবিধাগুলি উদ্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছোনো নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। আজ অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরে ডিজিটাল ইন্ডিয়া ল্যান্ড রেকর্ডস মডার্নাইজেশন প্রোগাম (ডিআইএলআরএমপি) –এর অধীনে সমীক্ষা/ পুন:সমীক্ষা সংক্রান্ত দুদিনের জাতীয় কর্মশালার উদ্বোধন করে মন্ত্রী বলেছেন, পুন:সমীক্ষা, ডিজিটাইজেশন, কাগজ ছাড়া অফিস, আদালতে মামলার ব্যবস্থাপনা এবং আধার সংযুক্তির মতো সংস্কার জমির সার্বিক এবং স্বচ্ছ প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলবে। তিনি জানান যে, সঠিক সমীক্ষায় জমির অর্থনৈতিক সম্ভাবনার পথ উন্মুক্ত হয় যখন নথির সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির মিল ঘটে তখন ব্যঙ্কগুলি নির্দ্বিধায় ঋণ দিতে পারবে, ব্যবসায়ীরা নিশ্চিন্তে লগ্নি করতে পারবে এবং কৃষকরা কৃষি সহায়তা পাবে। দীর্ঘদিন বকেয়া পড়ে থাকা স্পষ্ট, চূড়ান্ত এবং বর্তমান জমির নথির কাজ সম্পূর্ণ করতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, ডিআইএলআরএমপি-এর ভাবনা করা হয়েছিল, প্রযুক্তির সঙ্গে ডিজিটাইজেশন ইন্টিগ্রেশন এবং মডার্নাইজেশনের মাধ্যমে ভূমি প্রশাসনের রূপান্তর ঘটাতে। মন্ত্রী বলেছেন, “যদি আমরা দ্রুতগামী সড়ক, স্মার্টসিটি, সুরক্ষিত আবাসন, সুস্থিত কৃষি চাই তাহলে আমাদের আক্ষরিক অর্থে জমি দিয়েই শুরু করতে হবে।”
তিনি বলেন যে, যদিও ডিআইএলআরএমপি-এর অধীনে যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটেছে তবুও অনেক কাজ বকেয়া আছে। মাত্র ৪ শতাংশ গ্রামে এপর্যন্ত সমীক্ষা এবং পুন:সমীক্ষার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে যেহেতু এই কাজের সঙ্গে প্রশাসনিক কারিগরী এবং সাধারণ মানুষের বিশাল যোগদান দরকার।
শ্রী চন্দ্রশেখর বলেছেন, ভারতে জমি শুধুমাত্র একটি সম্পত্তি নয়, এটি পরিচিতি নিরাপত্তা এবং মর্যাদার প্রতীক। আমাদের ৯০ শতাংশ নাগরিকের কাছে জমি এবং সম্পত্তি সবচেয়ে মূল্যবান অধিকার। তথাপি নানা ধরনের বিবাদের মূলে দীর্ঘদিন ধরেই দায়ী জমির ত্রুটিপূর্ণ এবং তামাদি হয়ে যাওয়া নথি। ফলে উন্নয়নে গতি আসেনি এবং উপযুক্ত বিচারও পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন যে, আদালতের পরিসংখ্যান থেকে অনেককিছু জানা যাবে। নিম্ন আদালতে দেওয়ানি মামলার ৬৬ শতাংশের বেশি জমি এবং সম্পত্তি বিবাদ সংক্রান্ত এমনকি সুপ্রিমকোর্টে বকেয়া মামলার এক চতুর্থাংশই জমি সংক্রান্ত। ফলে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নই সবচেয়ে বড় সমস্যা।
১০০ বছর আগে ১৮৮০ থেকে ১৯১৫-র মধ্যে চেনের মতো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সমীক্ষা হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের অনেক জায়গায় বিশেষ করে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে সমীক্ষা এমনকি সম্পূর্ণই হয়নি। যে রাজ্যগুলি সমীক্ষার চেষ্টা করেছিল তারা দেখেছে এই কাজে প্রচুর লোক লাগে।
শ্রী চন্দ্রশেখর বলেন, “অনেক রাজ্যই মানচিত্রের ভিত্তিতে উপবিভাগ করেনি, অথবা নথির সঙ্গে প্রকৃত পরিমাপ খতিয়ে দেখা হয়নি ফলে বর্তমানে ওই মানচিত্র তামাদি হয়ে গেছে।আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং জোরালো সমন্বয় ছাড়া সমীক্ষা গতি পায় না এবং অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সেই কারণেই ভারত সরকার একবিংশ শতাব্দীতে জমির নথি তৈরি করতে কেন্দ্রীয় স্তরে সুসংহত অভিযান শুরু করার সংকল্প নিয়েছে।”
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বিষয়ে আরও ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী জানান, এটা হবে প্রযুক্তি নির্ভর। ড্রোন এবং বিমানের মাধ্যমে আকাশপথে সমীক্ষার ওপর জোর দেওয়া হবে। খরচা পড়বে পূর্বেকার পদ্ধতিতে যে খরচ হতো তার মাত্র ১০ শতাংশ। এআই,জিআইএস এবং অতি নিখুঁত যন্ত্রও ব্যবহার করা হবে। কেন্দ্র অর্থ এবং প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করবে। রাজ্যগুলি নীতি রূপায়ণে সাহায্য করবে। কর্মসূচিটি রূপায়িত হবে পাঁচটি পর্যায়ে। তিন লক্ষ বর্গ কিলোমিটার ক্ষেত্র দিয়ে শুরু করা হবে। প্রথম পর্যায়ে দুবছরে খরচ করা হবে ৩ হাজার কোটি টাকা।
মন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার এনএকেএসএইচএ নকশা কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে যা শহর এবং শহর সংলগ্ন অঞ্চলের জমির নথি তৈরির একটি প্রথম সারির উদ্যোগ। দেড়শোর বেশি শহরাঞ্চলকে এর আওতায় আনা হয়েছে। শহরে জমির দাম বেশি। হাত বদলও হয় ঘন ঘন। বহুতল বাড়ি তৈরি হচ্ছে। ফলে আরও বেশি বিবাদ-বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। নিষ্পত্তি হচ্ছে অনানুষ্ঠানিকভাবে। সেইজন্য নগর পরিকল্পনা এবং সুলভ আবাসন ও পুরসভা রাজস্বের জন্য ত্রুটিহীন নথি জরুরি। জমি সম্পদ দফতর রাজ্যগুলিকে নথিভুক্তির ব্যবস্থা এবং রেভেনিউ কোর্ট কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আরসিসিএমএস)-কে অনলাইন এবং কাগজহীন করতে আবেদন করেছে যাতে জমি সংক্রান্ত মামলাগুলির খোঁজখবর রাখতে সুবিধা হয়। সময় বাঁচে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে এই কাজ করা যায়।
SC/ AP /AG
(Release ID: 2128983)