WAVES BANNER 2025
তথ্যওসম্প্রচারমন্ত্রক

ওয়েভস এক্সআর ক্রিয়েটার হ্যাকাথনের বিজয়ীরা এক্সআর উদ্ভাবনকে স্কুল, চিকিৎসালয়, বাড়ি ও বৃহত্তর পরিসরে ছড়িয়ে দিয়েছেন

 Posted On: 10 APR 2025 9:06PM |   Location: PIB Kolkata

মুম্বই, ১০ এপ্রিল, ২০২৫

 

বিজ্ঞানের পরীক্ষাগার থেকে শুরু করে ক্রস-প্ল্যাটফর্ম ওয়ার গেমস, সর্বত্রই আমরা কীভাবে শিখি, আরোগ্য লাভ করি, কেনাকাটা করি বা ঘুরে বেড়াই, ভারতের শীর্ষস্থানীয় এক্সটেন্ডেড রিয়্যালিটি (এক্সআর) উদ্ভাবকরা আজ তার নতুন সংজ্ঞা দিচ্ছেন। ওয়েভল্যাপস-এর সহযোগিতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক আয়োজিত ওয়ার্ল্ড অডিও ভিস্যুয়াল অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট সামিট-এর (ওয়েভস) অঙ্গ হিসেবে ক্রিয়েট ইন ইন্ডিয়া চ্যালেঞ্জ (সিআইসি) প্রথম পর্বের আওতায় এক্সআর ক্রিয়েটার হ্যাকাথনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উদীয়মান প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে হ্যাকাথনে ৫টি বিষয়ভিত্তিক বিভাগ ছিল- স্বাস্থ্য পরিচর্যা- শারীরিক সক্ষমতা ও সুস্বাস্থ্য, শিক্ষাগত রূপান্তর, পর্যটন, ডিজিটাল মিডিয়া ও বিনোদন এবং ই-কমার্স- খুচরো ক্ষেত্রের রূপান্তর।

ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২,২০০-রও বেশি প্রতিযোগী এই হ্যাকাথনে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। ৩ পর্বের মূল্যায়ণ শেষে ৫টি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এদের মধ্যে বিভিন্ন শহর ও প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া, পেশাদার ও উদ্যোক্তারা রয়েছেন। ইউটিউব লাইভ স্ট্রিমিং-এ ‘উইনার্স সেরিমনি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। 

বিজয়ী দলগুলি এবং তাদের এক্সআর প্রজেক্ট সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত তথ্য 

১. ‘শিক্ষাগত রূপান্তর’ বিভাগে বিজয়ী হয়েছে এক্সআর রানার্স, তাদের প্রজেক্টের নাম ‘এডুস্কেপ এক্সআর’

আইআইটি খড়গপুরের পড়ুয়াদের তৈরি করা এই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটিভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীব বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে পড়ুয়ারা হ্যান্ড ট্র্যাকিং ও কৃত্রিম মেধা নির্ভর ফিডব্যাকের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের বাস্তবসম্মত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারে। দেশের যেসব  স্কুল-কলেজে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগার ও এ সংক্রান্ত পরিকাঠামো নেই, সেখানে এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে পড়ুয়ারা বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারবে বলে দলের নেতা বেদান্ত হাজরা জানিয়েছেন। বেদান্ত ছাড়া এই দলে ছিলেন, সাহিল প্যাটেল ও শৌর্য্য বারানওয়াল। 

২. ‘স্বাস্থ্য পরিচর্যা- শারীরিক সক্ষমতা ও সুস্বাস্থ্য’ বিভাগের বিজয়ী কগনিহ্যাব, তাদের প্রজেক্টের নামও কগনিহ্যাব

এই প্ল্যাটফর্মে চোখের রোগ, স্ট্রোক, উদ্বেগের মোকাবিলায় যথাযথ সহায়তা এবং এক্সআর চালিত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। দলের নেতা ঋষভ কাপুর বলেছেন, তাঁরা চিকিৎসার ফলাফলের দিকে মনোনিবেশ করেছেন, এই হ্যাকাথন তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গী আরও তীক্ষ্ণ করতে এবং আরও বেশি মানুষের কাছে এই সমাধান পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে। এই দলে পিন্টু কুমার ও অন্যরা রয়েছেন। 

৩. পর্যটন বিভাগে বিজয়ী লুম এক্সআর, তাদের প্রজেক্টের নাম ‘ইমারসিভ ট্র্যাভল গাইড’

এই প্ল্যাটফর্মে থ্রি-ডি ম্যাপ, ড্রোন থেকে তোলা ছবি, সংযুক্ত ভিডিও প্রভৃতির মাধ্যমে পর্যটন সংক্রান্ত পরিকল্পনা ও গন্তব্য স্থির করতে সাহায্য করা হয়। প্রথাগত প্রচারপত্র বা ভিডিওতে যেসব তথ্য পাওয়া যায়, তার থেকে অনেক বেশি তথ্য মেলে এই এক্সআর ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে। লুম এক্সআর-এর দলনেতা স্যাভিও বলেছেন, এটা শুধুমাত্র একটা ট্র্যাভেল অ্যাপ নয়, এতে যেভাবে কোনো স্থানের সংস্কৃতি ও ইতিহাস বর্ণনা করা হয়, তাতে এর ব্যবহারকারীরা কোনো স্থানে যাওয়ার আগে সেই স্থানটি অনুভব করতে পারবেন। 

৪. ই-কমার্স ও খুচরো রূপান্তর বিভাগের বিজয়ী ইএমও, তাদের প্রজেক্টের নাম ‘হেভেন এস্টেট’

এই প্ল্যাটফর্মে বাড়ির মালিকরা এআর এবং থ্রি-ডি’তে তাঁদের গৃহসজ্জার নকশাগুলি দেখতে পান। ইন্টিরিয়ার ডিজাইনাররা যে নকশা আপলোড করছেন, গ্রাহকরা তা এখানে দেখতে পান। দলনেতা উৎকর্ষ রাই বলেছেন, তাঁরা বাড়ির মালিক ও পেশাদারদের মধ্যে সেতু বন্ধনের কাজ করতে চেয়েছেন। এই দলে উৎকর্ষ ছাড়াও রয়েছেন হিমাংশু মাহতো, আশুতোষ মিশ্র এবং ইশিতা গুয়ার। 

৫. ডিজিটাল মিডিয়া ও বিনোদন বিভাগের বিজয়ী ইয়ুথ বাজ, তাঁদের প্রকল্পের নাম ‘ইমারসিভ ওয়ারফেয়ার সিমুলেটর’

এরা গেম অফ ডাইমেনশনস নামে একটি ওয়ার গেম তৈরি করেছেন। ভার্চুয়াল রিয়্যালিটিতে হেডসেট ও মোবাইল ব্যবহার করে অনেকে মিলে এই খেলাটি খেলতে পারেন। দলের প্রধান মোহিত কুমার শর্মা বলেছেন, তাঁদের লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও রিয়্যালিটির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে একটি গেম তৈরি করা। দলের অন্য সদস্যরা হলেন, অনিশ ডোম্বালে, এ শিবম রাজ এবং যশ সাধুখাঁ। 

এক্সআর উদ্ভাবকরা টিয়ার ২ ও টিয়ার ৩ শহরে আসছেন

এই হ্যাকাথনের ৬৬ শতাংশ প্রতিযোগীই এসেছেন চেঙ্গলপেট, মনিপাল, ভিরাভি-র মতো টিয়ার ২ ও টিয়ার ৩ শহরগুলি থেকে। তাঁদের বয়স ১৭-৩৫ বছরের মধ্যে। যে ৪০টি দল চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছছে, তাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ পড়ুয়া, ৩৩ শতাংশ পেশাদার এবং ১৪ শতাংশ উদ্যোক্তা। আর একটি বিশেষ লক্ষ্য করার মতো তথ্য হল, ফাইনালিস্টদের মধ্যে ১৯ শতাংশ মহিলা- এক্সআর উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে লিঙ্গসাম্য যে বাড়ছে, এটা তার জ্বলন্ত নিদর্শন। 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক, ওয়েভল্যাপস এবং দুই প্রধান এক্সআর গোষ্ঠী ভারত এক্সআর ও এক্সডিজি-র সহায়তায় ফাইনালিস্টরা এখন বিশ্ব মঞ্চে পা রাখতে চলেছেন। শ্রেণীকক্ষ, হস্টেল, হোম স্টুডিওতে যেসব ধারণার জন্ম হয়েছে তা খুব শীঘ্রই বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। বিজয়ীদের নাম ঘোষিত হলেও এক্সআর ক্রিয়েটার হ্যাকাথন এখনও শেষ হয়ে যায়নি। ৫টি দলই এখন ওয়েভস সামিটে তাদের প্রজেক্ট প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উদ্যোগে মুম্বাইতে ১-৪ মে ২০২৫ এই অনুষ্ঠান হবে। 

‘এক্সআর ক্রিয়েটার হ্যাকাথন শুধু উদ্ভাবনকেই উৎসাহ দেয় না- এটি নতুন ডিজিটাল ভারতের ভিত্তি স্থাপন করছে। আমরা কীভাবে শিখবো, আরোগ্য লাভ করবো, ঘুরে বেড়াবো, সংযোগ স্থাপন করবো- সেই সব কিছুরই নতুন সংজ্ঞা দেবে এই হ্যাকাথন।’ – আশুতোষ কুমার, প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, ওয়েভল্যাপস। 


SC/SD/NS


Release ID: (Release ID: 2120920)   |   Visitor Counter: 23