অর্থমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

আর্থিক সুসংহতকরণ সহ বিশ্বজুড়ে দূরে হটছে বিশ্বায়ন, মাথাচাড়া দিচ্ছে ভূ-অর্থনৈতিক বিভাজন : আর্থিক সমীক্ষা ২০২৪-২৫

प्रविष्टि तिथि: 31 JAN 2025 2:14PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

 

"বিশ্বজুড়ে দূরে হটছে আর্থিক সুসংহতকরণ। বিশ্বায়নের জায়গা নিচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক বিভাজন। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক পুনর্বিন্যাস ও পুনর্গঠন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে।" সংসদে আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের পেশ করা ২০২৪-২৫-এর আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে এই অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। 

 

ঠাণ্ডা যুদ্ধের পরবর্তী যুগে বিশ্ব আজ দুটি ব্লকে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক দেশই নিজের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান অনুযায়ী বন্ধু খুঁজে নিচ্ছে। বাণিজ্য, প্রযুক্তিগত মান ও সুরক্ষা নিয়ে বহু বছর ধরে অস্থিরতা বজায় রয়েছে, যা বর্তমান বিশ্বের পারস্পরিক আস্থা ও অগ্রগতিকে পিছনে ঠেলে ফেলে দিচ্ছে। আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাজন তৈরি হচ্ছে। 

 

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লুটিও)-র প্রকাশ করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩-এর অক্টোবর থেকে ২০২৪-এর অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ১৬৯টি নতুন বাণিজ্য-নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, মার্কিন মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৮৭.৭ বিলিয়ন ডলার। 

 

বাণিজ্য বিস্তার ও বিনিয়োগের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের ফলে বিশ্বজুড়ে আর্থিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে ভিত্তিগত পরিবর্তন আসছে, বিশ্বে বাণিজ্যের অগ্রগতির ওপর  যার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।  

 

আইএমএফ-এর মতে, বাণিজ্যিক বিভাজনের জন্য অনেক বেশি মূল্য দিতে হবে। আন্তর্জাতিক এফডিআই প্রবাহের ক্ষেত্রে এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক উৎপাদন ও শক্তির রূপান্তরের পরিমণ্ডলের ক্ষেত্রে প্রভাব সৃষ্টিকারী শক্তি হিসেবে চিনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।

 

 আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলের ক্ষেত্রে আর্থিক নীতি নির্ধারণে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে চাইছে চিন। ইউনিডো-র হিসেব বলছে, আন্তর্জাতিক উৎপাদনের ৪৫ শতাংশই চিনের দখলে থাকবে, যা এককভাবে আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলির সমান বা তার চেয়ে বেশি। আন্তর্জাতিক শক্তির ক্ষেত্রে চিন এখন সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে। উৎপাদনের প্রতিটি স্তরে চিনের তৈরি সৌর প্যানেল ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশ্বে ব্যাটারি উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রায় ৮০ শতাংশই চিনে তৈরি। বিশ্বে বায়ু শক্তির ৬০ শতাংশেরই উৎস হল চিন। 

 

বর্তমানে বিশ্বের অর্থনীতি এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে, যেখানে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা নীতির পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে। 

 

SC/MP/NS...


(रिलीज़ आईडी: 2098337) आगंतुक पटल : 92
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English , Urdu , हिन्दी , Marathi , Assamese , Punjabi , Gujarati , Odia , Tamil , Malayalam