প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

মহারাষ্ট্রের পালঘরে ৭৬ হাজার কোটি টাকার বাদাবন বন্দর প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকার ২১৮টি মৎস্যচাষ প্রকল্প এবং জাতীয় স্তরে প্রায় ৩৬০ কোটি টাকার ভেসেল কম্যুনিকেশন এবং সাপোর্ট সিস্টেমের উদ্বোধন ও শিলান্যাসও করলেন তিনি

Posted On: 30 AUG 2024 5:33PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩০ অগাস্ট, ২০২৪ 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মহারাষ্ট্রের পালঘরে বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে – ৭৬ হাজার কোটি টাকার ভাদাবন বন্দর প্রকল্প। এর পাশাপাসি, মোট ১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকার ২১৮টি মৎস্য চাষ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসও করেন তিনি। জাতীয় স্তরে ভেসেল কম্যুনিকেশন অ্যান্ড সাপোর্ট সিস্টেমের সূচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের ব্যয় ৩৬০ কোটি টাকা। মৎস্য চাষ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি পরিকাঠামো প্রকল্পের শিলান্যাসও হ’ল আজ। এর মধ্যে রয়েছে – বিভিন্ন মৎস্য বন্দরের আধুনিকীকরণ এবং মৎস্য বাজার। মৎস্যজীবীদের হাতে ট্রান্সপন্ডার সেট এবং কিষাণ ক্রেডিট কার্ড তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। 
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শুরু করেন সন্ত শিবাজী মহারাজের পুণ্যতিথিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। সিন্ধু দুর্গে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিবাজী মহারাজ কেবলমাত্র একটি নামই নয়, তিনি কার্যত ভগবান। দেশ মাতৃকার কৃতি সন্তানদের যাঁরা অসম্মান করতে চায়, তাদের ভাবধারা ও সংস্কৃতি ভিন্ন। বীর সাভারকারকেও অবমাননা করার প্রবণতা রয়েছে যাদের, তাদের বিষয়ে সাবধান থাকতে সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দেন তিনি। 
বিকশিত ভারত – এর স্বপ্ন পূরণে মহারাষ্ট্রের বিশেষ ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এই রাজ্যের বিকাশে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি। এ প্রসঙ্গে উঠে আসে দীঘিবন্দর শিল্প এলাকা প্রসঙ্গ। তিনি জানান, এই শিল্প অঞ্চল গড়ে উঠবে রায়গড়ে, যা ছিল ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের রাজ্যের রাজধানী। 
মৎস্যচাষীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে আজ মৎস্যচাষ সংক্রান্ত মোট ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস এবং মোট ৪০০ কোটি টাকা প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে। 
প্রধানমন্ত্রী ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলের বিকাশের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে বাদাবান বন্দর বিশেষ ভূমিকা নেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই প্রকল্পের বিষয়ে আগেকার সরকার দীর্ঘদিন উদাসীন ছিল বলে তাঁর অভিযোগ। ২০২০ সালে এখানে বন্দর তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর, দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়েছে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পের সুবাদে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। 
মৎস্যচাষ ক্ষেত্রে ভারতের দ্রুত অগ্রগতির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪’য় দেশে মৎস্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৮০ লক্ষ টন, যা এখন দাঁড়িয়েছে ১৭০ লক্ষ টনে। নীল বিপ্লব কর্মসূচির জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে তিনি মনে করিয়ে দেন। এ প্রসঙ্গে পিএম – মৎস্য সম্পদা যোজনার প্রসঙ্গ উঠে আসে তাঁর ভাষণে।
মহারাষ্ট্রে নারী নেতৃত্বাধীন বিকাশের যে উদ্যোগ প্রতিফলিত, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ঐ রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ নানা পদে মহিলাদের আসীন হওয়া একবিংশ শতকের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তার প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতিফলন বলে তিনি মন্তব্য করেন। 
পরিশেষে তিনি বলেন, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ – এর মন্ত্রে অবিচল তাঁর সরকার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী সি পি রাধাকৃষ্ণণ, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্ডে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং শ্রী অজিত পাওয়ার, কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, কেন্দ্রীয় মৎস্যচাষ, পশুপালন ও দুগ্ধ উৎপাদন মন্ত্রী শ্রী রাজীব রঞ্জন সিং প্রমুখ। 

 

PG/AC/SB



(Release ID: 2050328) Visitor Counter : 24