কৃষিমন্ত্রক

উচ্চাকাঙ্খী প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা নিয়ে সংসদে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর উত্তর

Posted On: 06 AUG 2024 3:54PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৬ আগষ্ট, ২০২৪


কেন্দ্রীয় কৃষি, কৃষক কল্যাণ ও গ্রামোন্নোয়ন মন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান আজ সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে  প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেন, পূর্ববর্তী শস্য বিমা যোজনায় বেশ কিছু অসুবিধা ছিল। কৃষকদের উচ্চহারে প্রিমিয়াম দিতে হত এবং তাদের দাবি দাওয়া নিষ্পত্তিতেও বিলম্ব হত। কৃষক এবং কৃষক সংগঠনগুলির এই নিয়ে নানা অভিযোগ ছিল। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন ফসল বিমা যোজনা নিয়ে আসার পর আপনারা তুলনা করলে দেখবেন যে আগে যেখানে কেবলমাত্র ৩.৫১ কোটি আবেদনপত্র জমা পড়ত, এখন সেখানে ৮.৬৯ কোটি আবেদন পত্র জমা পড়ে। এর থেকেই বোঝা যায় নতুন এই বিমা যোজনাকে ঘিরে কৃষকদের আস্থা কতখানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অতীতে সরকারের সময়কালে অঋণী কৃষকদের বিমা পলিসি-র মোট আবেদনের পরিমাণ ছিল ২০ লক্ষ, এখন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৪৮ কোটিতে। অতীতে সরকারের সময়কালে মোট কৃষক আবেদনের সংখ্যা ছিল ৩.৭১ কোটি। এখন সেই সংখ্যা ১৪.১৭ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা প্রিমিয়াম দিয়েছেন ৩২,৪৪০ কোটি টাকা। যেখানে তাদের দাবি মেটানো হয়েছে ১.৬৪ লক্ষ কোটি টাকা। 

শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, অতীতে সরকারের সময়ে পুরনো শস্য বিমা যোজনা বাধ্যতামূলকভাবে করতে হত এবং ব্যাঙ্কগুলি বিমার প্রিমিয়াম নিজেরাই কেটে নিত। আমাদের সরকার এই বৈষম্য দূর করেছে। এখন কৃষক যদি চান তিনি বিমা করতে পারেন। তিনি না চাইলে করবেন না। আগে অঋণী কৃষক বিমার সুবিধা পেতেন না, এখন তারা চাইলে বিমা করতে পারেন। ৩ কোটি ৯৭ লক্ষ কৃষক বিমার আওতায় এসেছেন এবং সেই সংখ্যা আরও বাড়ছে। সরকার এই প্রকল্পের সরলীকরণ করেছে। যাতে কৃষকদের এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে কোনো অসুবিধা না হয়। 
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আরও একটি উদ্ভাবনী দিক নিয়ে আসা হয়েছে, তা হল কেবল চোখে দেখেই চাষে  ক্ষতির পরিমাণ হিসাব বাধ্যতামূলক না করে বরং দূর নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মাধ্যমে কম করে ৩০ শতাংশ ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নির্ণয় করা। অনেক সময় বিমার টাকা পেতে বিলম্ব হয়, সেক্ষেত্রে বিমা কোম্পানিগুলিকে ১২ শতাংশ পেনাল্টি প্রদান করতে হবে এবং তা যাবে সরাসরি কৃষকের অ্যাকাউন্টে। এই বিলম্ব কেন ঘটে তার কারণ নির্ণয় করতে গেলে আমরা দেখব, বেশিরভাগ রাজ্যই প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে যে ভর্তুকি দেয় সেক্ষেত্রে বিলম্ব ঘটায়। অনেক সময় যথাযথ তথ্য এসে পৌঁছোয় না। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় বিমা সংস্থা এবং রাজ্যগুলির মধ্যে দাবিদাওয়া সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে। অতীতে যে ব্যবস্থা ছিল তাতে রাজ্যসরকার তাদের বরাদ্দ অর্থ দিলে, তবেই কেন্দ্রীয় সরকার তাদের বরাদ্দ অর্থ প্রদান করত। এখন রাজ্য সরকারের দেয় ভাগের সঙ্গে কেন্দ্রের বিষয়টিকেই সম্পূর্ণ আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। কৃষকের টাকা পেতে যাতে দেরি না হয়, তার জন্য কেন্দ্র সরাসরি তাদের টাকা দিয়ে দেয়। যাতে করে কৃষকরা অন্তত কেন্দ্রের দেওয়া টাকা হাতে পান। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা দেশের প্রত্যেকটি জেলায় প্রত্যেকটি কৃষকের জন্য। এর ৩ টি মডেল রয়েছে। এক্ষেত্রে এই পলিসি-র দায়ভার কেন্দ্রেরই। রাজ্য তার নিজের পছন্দের ভিত্তিতে মডেল তৈরি করতে পারে। এই ফসল বিমা যোজনা করতে প্রত্যেক রাজ্য দায়বদ্ধও নয়। কোনো রাজ্য তা গ্রহণ করতে না চাইলে তারা তা গ্রহণ করতে নাও পারেন। তিনি বলেন, বিহারে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা রূপায়ণ করা হয়নি। তাদের নিজস্ব প্রকল্প রয়েছে। সেই প্রকল্প মোতাবেকই তারা কৃষকদের সুবিধার্থে কাজ করে থাকে। 

PG/AB /SG



(Release ID: 2042378) Visitor Counter : 21