নির্বাচনকমিশন
azadi ka amrit mahotsav

ভোটারদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভারতের নির্বাচন কমিশনের সি-ভিজিল অ্যাপ : সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৭৯,০০০ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জমা পড়েছে এই অ্যাপের মাধ্যমে, ৯৯%-এর নিষ্পত্তি হয়েছে

নির্বাচন প্রক্রিয়া অবাধ ও সুষ্ঠু রাখতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের অন্যতম অঙ্গ হল সি-ভিজিল

Posted On: 29 MAR 2024 1:52PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৯ মার্চ, ২০২৪

 

নির্বাচন নিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে ভারতে নির্বাচন কমিশনের সি-ভিজিল অ্যাপ নাগরিকদের কাছে অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠেছে। সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ ঘোষিত হওয়ার পর আজ পর্যন্ত ৭৯,০০০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। এর ৯৯%-এরই মীমাংসা হয়েছে। ৮৯% ক্ষেত্রে নিষ্পত্তি হয়েছে অভিযোগ জমা পড়ার ১০০ ঘণ্টার মধ্যে। সি-ভিজিল অ্যাপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, দ্রুততা এবং স্বচ্ছতা। 

বেআইনি হোর্ডিং এবং ব্যানার নিয়ে জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যা প্রায় ৫৮,৫০০ (মোট জমা পড়া অভিযোগের ৭৩%)। ১৪০০-রও বেশি অভিযোগ হল টাকা-পয়সা, উপহার কিম্বা মদ বিতরণ সংক্রান্ত। অভিযোগের প্রায় ৩% (২৪৫৪)সম্পত্তি বিকৃত করে দেওয়ার বিষয়ে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখানোর বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে ৫৩৫টি। এর ৫২৯টি ক্ষেত্রে মীমাংসা হয়ে গেছে। নির্দিষ্ট সময়সীমার পর লাউড স্পিকার ব্যবহার করে প্রচার- ইত্যাদি বিষয়ে ১০০০ অভিযোগ জমা পড়েছে।  

নির্বাচনে নজরদারির ক্ষেত্রে সি-ভিজিল অ্যাপ চালু করা এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। নির্বাচন ঘোষণার সময় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার শ্রী রাজীব কুমার এই অ্যাপ ব্যবহার করে আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত ঘটনা কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্য ভোটারদের কাছে আবেদন রেখেছিলেন। 

সি-ভিজিল ব্যবহার করা সহজ। এর মাধ্যমে নাগরিকরা জেলার কন্ট্রোল রুম, রির্টানিং অফিসার এবং ফ্লাইং স্কোয়াডের সঙ্গে অনায়াসে যোগাযোগ করতে পারেন। বাড়িতে বসেই অভিযোগ জানাতে পারেন মাত্র কয়েক মিনিট খরচ করে। জমা পড়া অভিযোগের ক্ষেত্রে একটি ইউনিক আইডি দিয়ে দেওয়া হয় এবং নিষ্পত্তির কাজ কতদূর এগোল তা অভিযোগকারী জানতে পারেন মোবাইল ব্যবহার করেই। 

সি-ভিজিলকে সফল করে তুলতে কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। তাৎক্ষণিক ভিত্তিতে অডিও, ছবি কিম্বা ভিডিও সংগ্রহ করেন ব্যবহারকারী এবং ১০০ মিনিটের মধ্যে কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া জানা যায়। অ্যাপটিতে রয়েছে জিও ট্যাগিং-এর ব্যবস্থা। ফলে ব্যবহারকারী সি-ভিজিল-এ থাকা ক্যামেরা অন করলেই সংশ্লিষ্ট জায়গাটি চিহ্নিত হয়ে যায়। ফলে ভ্রাম্যমান নজরদারি দল সহজে সেখানে পৌঁছে যেতে পারে। সংগৃহীত ছবি আদালতে পেশ করা যায় নথি হিসেবে। পরিচয় গোপন রেখেও অভিযোগ জানাতে পারেন নাগরিকরা। 

নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু রাখার পাশাপাশি ভোটার এবং রাজনৈতিক দলগুলিকেও সহায়তা করার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারে কমিশনের প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে এই অ্যাপ। 

    


PG/AC/NS…


(Release ID: 2016688) Visitor Counter : 173