নির্বাচনকমিশন
অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল ভারতের নির্বাচন কমিশন
অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচলপ্রদেশ, ওড়িশা ও সিকিমে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণও ঘোষিত হয়েছে
Posted On:
16 MAR 2024 5:54PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৬ মার্চ, ২০২৪
অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ আজ ঘোষণা করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের মতোই এবারও সারা দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৭ দফায়। আগামী ১৯ ও ২৬ এপ্রিল, ৭, ১৩, ২০ ও ২৫ মে এবং পয়লা জুন অনুষ্ঠিত হবে দেশের বিভিন্ন সংসদীয় কেন্দ্রের নির্বাচন। ভোট গণনার তারিখ ধার্য হয়েছে আগামী ৪ জুন মঙ্গলবার।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৭ দফায়। বিহার এবং উত্তর প্রদেশেও এবার ৭ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে, ৪ দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খন্ডে। আবার ৫ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মহারাষ্ট্র এবং জম্মু ও কাশ্মীরে। ৩ দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে উত্তর পূর্ব ভারতের আসাম এবং ছত্তিশগড়ে। কর্ণাটক, রাজস্থান, ত্রিপুরা এবং মণিপুরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২ দফায়। এক দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে বাকি ২২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।
লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি চারটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্টও প্রকাশিত হয়েছে। এই রাজ্যগুলি হল - সিকিম, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং অরুণাচলপ্রদেশ। অরুণাচলপ্রদেশের ৬০টি বিধানসভা আসনের জন্য ভোট গ্রহণ করা হবে ১৯ এপ্রিল। ওই রাজ্যের দুটি লোকসভা আসনেও ওই একই দিনে ভোট গ্রহণ করা হবে। ১৯ এপ্রিল সিকিম বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই রাজ্যের ৩২টি আসনের জন্য ভোট গ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে, ১৩ মে ভোট গ্রহণ করা হবে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার মোট ১৭৫টি আসনে। ওড়িশায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মোট চার দফায়। ১৪৭টি আসনের জন্য ওই রাজ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ভোট গৃহীত হবে যথাক্রমে ১৩ ও ২০ মে। তৃতীয় ও চতুর্থ দফার জন্য দিন নির্দিষ্ট হয়েছে যথাক্রমে ২৫ মে ও পয়লা জুন।
উল্লেখ্য, লোকসভার ভোট গণনার সঙ্গে সঙ্গে চার রাজ্যের বিধানসভা আসনের জন্য ভোট গণনা হবে ওই একই দিন অর্থাৎ ৪ জুন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশের সপ্তদশ লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে এবছরের ১৬ জুন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পাশাপাশি সমগ্র নির্বাচন প্রক্রিয়া অবাধ, শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন।
বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি পর্বের বিষয়টি পর্যালোচনার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন অনেকগুলি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ইতিমধ্যেই সফর করে এসেছে। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জেলা পর্যায়ের আধিকারিক, এসএসপি ও এসপি, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ আইজি, সিএস, ডিজিপি এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গেও আলোচনা ও মত বিনিময় করেছে নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশনের পদস্থ আধিকারিকরা বেশ কয়েকটি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করেছেন। সুষ্ঠু, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছেই সহযোগিতার আর্জি জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
মণিপুরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে ঐ রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রের বহু ভোটদাতা সাম্প্রতিক সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। মণিপুরের বিভিন্ন জেলার ত্রাণশিবিরগুলিতে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে নির্বাচন কমিশন এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে বিশেষ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে ওই ত্রাণশিবিরগুলির আশেপাশে, যাতে সেখানে আশ্রয় নেওয়া ভোটদাতারা ইভিএম-এর মাধ্যমে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
একই ভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্যেও পৃথক ভোট গ্রহণ ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। সেখানে সাম্প্রতিক অশান্তির আবহে বহু নাগরিকই অন্যত্র আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। তাই বৈধ নাগরিকরা যাতে তাঁদের ভোটদানের কাজে কোন ভাবে বাধাপ্রাপ্ত না হন, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
সারা দেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য পর্যায়ের পুলিশবাহিনীকে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যথাযথ ভাবে মোতায়েন করা হবে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও কর্মীরা যাতে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট গ্রহণের অনেক আগেই পৌঁছে যেতে পারেন, সেজন্য বিশেষ ট্রেনেরও ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রেল পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং রেলমন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা ও পরীক্ষার কথা বিশেষ ভাবে চিন্তা করে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের দিনক্ষণ স্থির করেছে। কারণ ভোট গ্রহণ কেন্দ্রগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিদ্যালয় ভবনগুলিতে স্থাপন করা হয় এবং শিক্ষকদের অনেকেই সেখানে ভোট গ্রহণের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। তাই, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা ও পরীক্ষা যাতে কোন ভাবে ব্যহত না হয়, সেদিকে চিন্তা করেই যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন এবং ভোটগ্রহণ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে https://eci.gov.in-এই ওয়েবসাইটটিতে।
PG/SKD/AS
(Release ID: 2015265)