প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
প্রধানমন্ত্রী প্রথম জাতীয় স্রষ্টা পুরস্কার প্রাপকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন
দেশ গড়ার কাজে স্রষ্টাদের অবদানের কথা স্বীকার করেন তিনি
ইচ্ছাশক্তি, স্বতঃস্ফূর্ত মানসিকতা এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া ও বিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত অঞ্চলগুলির পুনরুন্নয়নের জন্য যে পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন স্রষ্টারা
Posted On:
08 MAR 2024 1:45PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৮ মার্চ, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির ভারত মণ্ডপমে প্রথম জাতীয় স্রষ্টা পুরস্কার প্রাপকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য সৃজনশীল ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এই পুরস্কারের প্রবর্তন করা হয়েছে।
নিউ ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে অভি অ্যান্ড নিউ-কে। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কাছে জানতে চান, নিছক কতগুলি তথ্য কিভাবে তাঁরা আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করেন। জবাবে এই গোষ্ঠীর সদস্যরা জানান, যেভাবে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে থাকেন, সেই একই ধারায় তাঁরাও শ্রোতাদের কাছে এই তথ্যগুলি নিয়ে হাজির হন। শ্রী মোদী গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের এই তথ্যগুলিকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার জন্য তাঁদের প্রশংসা করেন।
সেরা গল্প কথন পুরস্কার পেয়েছেন কীর্তিকা গোবিন্দস্বামী, যিনি কীর্তি হিস্ট্রি নামে পরিচিত। যখন কীর্তি প্রধানমন্ত্রীকে প্রণাম করেন, শ্রী মোদীও পালটা তাঁর পায়ে হাত দেন। তিনি বলেন, যখন কোনো মেয়ে তাঁর পা স্পর্শ করেন, তখন ব্যক্তিগতভাবে তিনি বিব্রত হয়ে পড়েন। কীর্তি জানান, তিনি হিন্দিতে সড়গড় নন। শ্রী মোদী তাঁকে যেকোনো ভাষায় কথা বলার আহ্বান জানান। “এই বৃহৎ দেশে আপনি এই ভাষা দেশের কোনো না কোনো প্রান্তে শুনতে পাবেন।” কীর্তি তামিল ভাষার প্রসারে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করেন। ইতিহাস এবং রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে যোগাযোগের কথা তিনি তুলে ধরেন। এগুলি সামাজিক মাধ্যমে মাঝে মাঝে বিতর্কের সৃষ্টি করে। ভারতের মহত্বের কথা কিশোর শ্রোতাদের কাছে তুলে ধরতে উৎসাহ বোধ করেন তিনি।
রনবীর আল্লাবাড়িয়া ডিজরাপ্টার অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী রনবীরকে পরামর্শ দেন, ঘুম সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য। তিনি যোগ নিদ্রার উপকারিতার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানী, আমেদাবাদের শ্রীমতী পংক্তি পান্ডে গ্রিন চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। মিশন লাইফ-এর বার্তাকে প্রচার করার জন্যই তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আমেদাবাদের জনসাধারণের মধ্যে প্রচলিত কিছু উপাখ্যান সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে হর্ষোল্লাসে ফেটে পড়েন। শ্রীমতী পংক্তি সকলকে তাঁদের বর্জ্য পদার্থগুলিকে পুনর্ব্যবহারের পন্থাপদ্ধতি উদ্ভাবনের পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে মিশন লাইফ সম্পর্কে বিস্তারিত পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর অনুরোধ করেন।
বেস্ট ক্রিয়েটিভ ফর সোশ্যাল চেঞ্জ পুরস্কার দেওয়া হয় জয়া কিশোরীকে। জয়া বর্তমান সময়কালের মীরা হিসেবে পরিচিত। তিনি ভগবদ্গীতা এবং রামায়ণের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন উপাখ্যান প্রচার করেন। অনুষ্ঠানে ‘কথাকার’ হিসেবে তাঁর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে জয়া জানান, আমাদের সংস্কৃতির এইসব মহাকাব্যগুলির বিস্তারিত তথ্য যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে আকর্ষণ সৃষ্টি করে। বাস্তব জীবনের বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে যথাযথ জীবনযাপনের সম্পর্কেও তিনি আলোচনা করেন।
মোস্ট ইম্প্যাক্টফুল এগ্রি ক্রিয়েটারের সম্মান প্রদান করা হয় লক্ষ দাবাসকে। লক্ষ, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সাহায্যে কৃষিকাজের মানোন্নয়নের জন্য এই পুরস্কার পেলেন। তাঁর হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁর ভাই, যিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে জানান, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের বিষয়ে তাঁরা ৩০ হাজার কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। বিভিন্ন জীবাণু এবং পতঙ্গের হাত থেকে ফসল রক্ষা করার পন্থা-পদ্ধতির কথাও তিনি তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ভাবনার প্রশংসা করেন এবং তাঁকে গুজরাটের রাজ্যপাল শ্রী আচার্য দেবব্রতজির সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দেন। তিনি লক্ষকে কৃষকদের সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানান।
মৈথিলী ঠাকুরকে কালচারাল অ্যাম্বাসাডার পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। মৈথিলী বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় প্রচলিত লোকগান সহ নানা ধরনের সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে তিনি মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে একটি ভক্তিগীতি পরিবেশন করেন। শ্রী মোদী বলেন, তাঁর একটি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তিনি ক্যাসেন্ড্রা মাই স্পিটমানকে নিয়ে এসেছিলেন, যিনি বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় ভক্তিগীতি পরিবেশন করেন।
বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তানজানিয়ার কীরি পাল, আমেরিকার ড্রু হিটস এবং জার্মানির ক্যাসেন্ড্রা মাই স্পিটমান। ড্রু প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। তিনি হিন্দি এবং বিহারী টানে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট করে থাকেন। তাঁর বাবার বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাটনার সঙ্গে যোগসূত্রের কারণে ভারতের সংস্কৃতির প্রতি তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়।
কার্লি টেলস-এর কামিয়া জানি সেরা পর্যটক স্রষ্টা পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর ভিডিওতে কার্লি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার পাশাপাশি, এ দেশের সৌন্দর্য সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে তিনি লাক্ষাদ্বীপ এবং দ্বারকার মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কথা উল্লেখ করলে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে দ্বারকায় স্নান করার পরামর্শ দেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তাঁর দ্বারকা দর্শনের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। তিনি পর্যটকদের মোট বাজেটের ৫-১০ শতাংশ স্থানীয় পণ্য কেনার অনুরোধ জানান। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতিকে সহায়তা করা হবে। পাশাপাশি, ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর ভাবনাকেও বিকশিত করা যাবে।
টেক ক্রিয়েটার পুরস্কার পেয়েছেন গৌরব চৌধুরি যিনি ‘টেকনিক্যাল গুরুজি’ নাম পরিচিত। গৌরব তাঁর চ্যানেলে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উন্নত ভবিষ্যতের জন্য আমাদের প্রয়োজন প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা। ইউপিআই যার সবথেকে বড় উদাহরণ। যখন এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা কার্যকর হবে, তখন সারা বিশ্বের উন্নতি হবে।” অনুষ্ঠানে গৌরব প্যারিসে তাঁর ইউপিআই ব্যবহারের অভিজ্ঞতার কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন।
পরিচ্ছন্নতার জন্য স্বচ্ছতা অ্যাম্বাসাডার পুরস্কার পেয়েছেন মালহার কালাম্বে। তিনি প্লাস্টিক থেকে সৃষ্ট দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ সম্পর্কে সকলক সচেতন করে তোলার কাজ চালাচ্ছেন। ‘বিচ প্লিজ’-এর প্রতিষ্ঠাতা মালহারকে প্রধানমন্ত্রী জানান, এখানে অনেক স্রষ্টা খাদ্য এবং পুষ্টির বিষয়ে তাঁকে পরামর্শ দিতে পারেন।
২০ বছর বয়সী জাহ্নবী সিং-কে হেরিটেজ ফ্যাশন আইকন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। জাহ্নবী ইনস্টাগ্রামে ভারতের ফ্যাশন এবং এ দেশের শাড়ি সম্পর্কে নানা তথ্য তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর উদ্যোগের প্রশংসা করেন। জাহ্নবী জানান, ভারতের সংস্কৃতি, শাস্ত্র এবং শাড়িকে তিনি তাঁর চ্যানেলে তুলে ধরছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সব সময়ই ফ্যাশনের জগতে প্রথম সারিতে থাকে।
শ্রদ্ধাকে বেস্ট ক্রিয়েটিভ ক্রিয়েটার – ফিমেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। শ্রদ্ধা বিভিন্ন ভাষায় কমেডি তৈরি করেন যা নানা বয়সী মানুষের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে তাঁর প্রচলিত বচনশৈলী ‘আইয়ো’ বলে সম্বর্ধনা জানান। প্রধানমন্ত্রীর স্বতঃস্ফূর্ততা এবং সকলের সঙ্গে মেলামেশার প্রশংসা করেন শ্রদ্ধা।
বেস্ট ক্রিয়েটিভ ক্রিয়েটার – মেল পুরস্কার দেওয়া হয় আরজে রৌনককে। রৌনক জানান, প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানটি বেতার জগতে এক নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। বেতার জগতের সকলের পক্ষ থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
খাদ্য বিভাগে শ্রেষ্ঠ স্রষ্টার পুরস্কার পায় কবিতাজ কিচেন। কবিতা একজন গৃহবধূ, যিনি তাঁর রান্নার মাধ্যমে ডিজিটাল জগতে শিল্পোদ্যোগী হয়ে ওঠেন। প্রধানমন্ত্রী মজা করে কবিতাকে তাঁর খেয়াল রাখার জন্য অনুরোধ জানান। কবিতা বলেন, বিদ্যালয়গুলিকে কৃষি সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে যাতে ছাত্রছাত্রীরা খাবার অপচয় না করে। শ্রী মোদী উপস্থিত সকলকে পরামর্শ দেন, কোথাও বেড়াতে গেল তাঁরা যাতে স্থানীয় খাবার খান। একইসঙ্গে তিনি মোটা দানার শস্য, অর্থাৎ শ্রীঅন্ন সম্পর্কে প্রচারেরও পরামর্শ দেন।
শিক্ষাক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ স্রষ্টার পুরস্কার পেয়েছেন নমন দেশমুখ। ইনস্টাগ্রামে নমন প্রযুক্তি, অর্থনীতি, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং, কৃত্রিম মেধা, কোডিং সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। নিরাপদে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে সচেতন করে তোলার উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ স্রষ্টার পুরস্কার দেন অঙ্কিত বাইয়ানপুরিয়াকে। অঙ্কিত জানান, তিনি ৭৫টি কঠিন চ্যালেঞ্জকে বাস্তবায়িত করেছেন। তিনি শ্রোতাদের সুষম জীবনযাত্রার পরামর্শ দেন।
গেমিং ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ট্রিগার্ড ইনসান নিশ্চয়। দিল্লির এই ইউটিউবার তাঁর কাজের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
বেস্ট মাইক্রো ক্রিয়েটারের সম্মান পেয়েছেন অরিদমন। বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্র এবং প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্য সম্পর্কে তিনি বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী একবার ট্রেনে একটি অসংরক্ষিত কামরায় হাত দেখা নিয়ে মজার গল্প বলেন। অরিদমন জানান, তিনি ধর্মশাস্ত্রের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পরিবেশন করেন।
উত্তরাখণ্ডের চামোলির পীযূষ পুরোহিত পেয়েছেন বেস্ট ন্যানো ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ড। পীযূষ স্বল্প পরিচিত বিভিন্ন স্থান এবং আঞ্চলিক উৎসব নিয়ে কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে কেরালার কয়েকজন বালিকা চামোলির একটি সঙ্গীত পরিবেশনের তথ্য তুলে ধরেন।
বোট-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক আমন গুপ্তা শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার জন্য বেস্ট সেলিব্রিটি ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। শ্রী গুপ্তা জানান, ২০১৬ সালে স্টার্ট-আপ এবং স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচি যখন শুরু হয় তখন তিনি তাঁর সংস্থা গড়ে তোলেন। খুব কম সময়ের মধ্যে এই সংস্থাটি বিশ্বের বৃহত্তম অডিও ব্র্যান্ড সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
PG/CB/DM
(Release ID: 2012920)
Visitor Counter : 171
Read this release in:
Tamil
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Hindi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam