বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক
                
                
                
                
                
                    
                    
                        ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের ২০২৩-এর বর্ষশেষ পর্যালোচনা
                    
                    
                        
                    
                
                
                    Posted On:
                26 DEC 2023 1:01PM by PIB Kolkata
                
                
                
                
                
                
                নয়াদিল্লি, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গান্ধীনগরে তিনদিনের সেমিকন ইন্ডিয়া, ২০২৩-এর উদ্বোধন করে দৈনন্দিন জীবনে সেমি-কন্ডাক্টরের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। সেইসঙ্গে তিনি বলেন যে, ভারত সেমিকন ইন্ডিয়া কর্মসূচির অধীন সেমি-কন্ডাক্টর নির্মাণ পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে দায়বদ্ধ। কেন্দ্রীয় ইলেক্ট্রনিক্স, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ এবং রেল মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিভাবে ইলেক্ট্রনিক্স নির্মাণ, বিশেষত সেমি-কন্ডাক্টরের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই রূপান্তর ঘটাচ্ছেন।
ইলেক্ট্রনিক্সের ওপর গুরুত্ব দিয়ে ভারত প্রযুক্তি বিপ্লবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই বিপ্লবসাধনের পথে সেমি-কন্ডাক্টর এক অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে, যার প্রভাব যোগাযোগ থেকে প্রতিরক্ষা, অটোমোবাইল এবং কম্পিউটার সামগ্রীর ওপরও রয়েছে। দেশের অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভকে শক্তিশালী করে তুলতে ইলেক্ট্রনিক্স এক অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে। সেইসঙ্গে, ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর দৃষ্টিভঙ্গীকে শক্তি যোগাচ্ছে। ভারত এই মূল্যশৃঙ্খলকে প্রসারিত করে বিশ্বস্তরে সেমি-কন্ডাক্টর নির্মাণ পরিমণ্ডল গড়ে তুলছে। জুলাই মাসে সেমিকন ইন্ডিয়া, ২০২৩ সম্মেলনের আয়োজন করে ইন্ডিয়া সেমি-কন্ডাক্টর মিশন। ২৩টিরও বেশি দেশ থেকে ৮ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দেন। মাইক্রন টেকনলজি, অ্যাপ্লায়েড ম্যাটেরিয়ালস, ফক্সকন, কেডেন্স এবং এএমডি সহ বিশ্বের প্রথম সারির কোম্পানির শিল্প নেতৃত্ব এতে যোগ দেন।
নতুন দিল্লিতে তিনদিনের জিপিএআই শিখর সম্মেলনে ১৫০টিরও বেশি স্টার্ট-আপ এবং প্রথম সারির প্রযুক্তি সংস্থাগুলি কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ প্রদর্শন করে। গ্লোবাল এআই এক্সপো-তে সে সমস্ত পণ্য তুলে ধরা হয়। জিপিএআই-এর সভাপতির আসন অলঙ্কৃত করায় ভারত ডিসেম্বরের ১২-১৪ নতুন দিল্লিতে জিপিএআই-এর শিখর সম্মেলনের আয়োজন করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ ২৮টি দেশের প্রতিনিধিরা এতে যোগ দেন। কৃত্রিম মেধা পরিমণ্ডল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই মঞ্চে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এই শিখর সম্মেলনে জিপিএআই নতুন দিল্লি ঘোষণাপত্র সদস্য দেশগুলির সহমতের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। তাতে নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং বিশ্বাসযোগ্য কৃত্রিম মেধাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয় এবং সেইসঙ্গে জিপিএআই প্রকল্পের সুস্থায়ীত্বের ক্ষেত্রে তা যাতে সহায়তা প্রদান করতে পারে তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী কৃত্রিম মেধার নৈতিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্ব পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। এআই সংক্রান্ত মেধা এবং এআই সংক্রান্ত ধারনার ক্ষেত্রে ভারতের নির্ণায়ক ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। কৃত্রিম মেধা নিয়ে ফলিত গবেষণা, স্টার্ট-আপগুলিকে তার সঙ্গে যুক্ত করা এবং যুব ও ছাত্র সম্প্রদায়ের কাছে কৃত্রিম মেধার বিষয়টিকে পৌঁছে দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে, কৃত্রিম মেধাকে ঘিরে প্রযুক্তি, নীতি, পরিকাঠামো, তার নৈতিক দিক, ব্যবসায়িক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তার প্রয়োগের বিষয়ের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। 
প্রথম ইন্ডিয়া স্ট্যাক নির্মাণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০২৩-এর জানুয়ারিতে। কেন্দ্রীয় ইলেক্ট্রনিক্স, তথ্যপ্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্যোগ প্রতিমন্ত্রী শ্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এর উদ্বোধন করেন। জি-২০ দেশগুলি থেকে প্রতিনিধিরা এতে যোগ দেন। ডিজিটাল রূপান্তরসাধনে যে সমস্ত দেশ এবং উদ্যোগ সংস্থা এগিয়ে আসছে, তাদের কাছে ইন্ডিয়া স্ট্যাক পৌঁছে দেওয়া ভারতের লক্ষ্য বলে মন্ত্রী জানান।
রুপে ডেবিট কার্ড এবং ভীম ইউপিআই-এর প্রসারে এপ্রিল, ২০২২ থেকে এক বছরের জন্য অনুদান-ভিত্তিক প্রকল্পের অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই অনুদান ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য এই খাতে অর্থ বরাদ্দ হয় ২,৬০০ কোটি টাকা। পিওএস এবং ই-কমার্সের জন্য ইস্যু করা রুপে ডেবিট কার্ড এবং ভীম ইউপিআই-এর জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। ২০২০-২১ থেকে ২০২১-২২-এর মধ্যে এই বৃদ্ধির পরিমাণ ৫৯ শতাংশ। ভীম ইউপিআই-এর মাধ্যমে লেনদেন এক বছরের ১০৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্য বিধানে ইউআইডিএআই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বিধানের পাশাপাশি ডেটা সুরক্ষা এবং সুশাসনের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। গুজরাটের কেভাডিয়ায় ইউআইডিএআই-এর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে ইউআইডিএআই-এর সিইও ডঃ সুভাষ গর্গ বলেন, জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্য বিধানকে সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি, বিভিন্ন পরিষেবার সুযোগ যাতে নাগরিকরা পেতে পারেন তা সুনিশ্চিত করাই এর লক্ষ্য। 
আধারের প্রমাণীকরণে আঙুলের ছাপকে অপরিহার্য করে ইউআইডিএআই সুরক্ষার এক নতুন নজির তৈরি করেছে। ব্যাঙ্কিং, আর্থিক ক্ষেত্র, টেলিকম এবং বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে আধারের এই প্রমাণীকরণের ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। ইলেক্ট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সাফল্যের সঙ্গে এর সুরক্ষা পরিমণ্ডল গড়ে তোলে। এর ফলে, প্রকৃত ব্যক্তিকে যেমন চিহ্নিত করা যায়, সেইসঙ্গে কারচুপি বন্ধেও এর একটা উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। 
ভারত সাফল্যের সঙ্গে ২০২৩-এর ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্ণৌতে জি-২০-র ডিজিটাল অর্থনীতি কর্মীগোষ্ঠীর প্রথম বৈঠকের আয়োজন করে। ডিজিটাল জন-পরিকাঠামো, সাইবার নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল দক্ষতা প্রসারের ক্ষেত্রে ভারত জি-২০-র সদস্য দেশগুলির মধ্যে সহমত গড়ে তুলতে এক নির্ণায়ক ভূমিকা নেয় এবং ঐ বৈঠকে ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রায় ভারতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির দিককে তুলে ধরা হয়। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ডিজিটাল ক্ষেত্রে সক্ষম  কর্মী সম্প্রদায় গড়ে তোলার যে প্রস্তাব ভারত দেয়, সদস্য দেশগুলি তাতে সর্বতোভাবে সম্মতি জানায় এবং তা অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়। ডিজিটাল জন-পরিকাঠামো, ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল দক্ষতা প্রসারের ক্ষেত্রের ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়। 
ইউআইডিএআই সম্পূর্ণ নিখরচায় হাজার হাজার নাগরিকের সুবিধার্থে অনলাইন-ভিত্তিক তথ্যের আপডেটের সুযোগ করে দিয়েছে। জনকেন্দ্রিক এই উদ্যোগে উপকৃত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে ইউআইডিএআই myAadhaar পোর্টালে সম্পূর্ণ নিখরচায় সাধারণ নাগরিকদের তথ্যের আপডেট করার সুযোগ করে দেয়। এটা মনে রাখা দরকার যে নিখরচায় এই সুযোগ কেবলমাত্র myAadhaar পোর্টালেই রয়েছে। তবে, আধার সেন্টারে গিয়ে তথ্যের এই আপডেটের ক্ষেত্রে ৫০ টাকা করে দিতে হয়। এর ফলে জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্য বিধান এবং পরিষেবা প্রদান সুনিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি, প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রেও সাফল্য লাভ করা গেছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচি প্রসারে ১৪৯০৩.২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সরকার ২০১৫ সালের জুলাই মাসে যে ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচি চালু করে তার মূল উদ্দেশ্য হল প্রত্যেক নাগরিকের কাছে ডিজিটাল পরিকাঠামো এক ব্যবহারযোগ্য মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলা, পরিচালন এবং চাহিদার ভিত্তিতে পরিষেবার পাশাপাশি নাগরিকদের ডিজিটাল সশক্তিকরণ। এর সার্বিক লক্ষ্য, নাগরিকদের জীবনধারণের মানোন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে সুনিশ্চিত করা, ভারতে ডিজিটাল অর্থনীতির প্রসার ঘটানো এবং বিনিয়োগ ক্ষেত্র প্রস্তুত করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অধীন ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ পর্যন্ত ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচির প্রসারে ২০২৩-এর আগস্টে সরকার ১৪৯০৩.২৫ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ করে। এর ফলে, নানাবিধ কর্মসূচি প্রসার লাভ করায় তাতে উপকৃত হন বহু মানুষ। ‘ফিউচার স্কিল প্রাইম’ কর্মসূচির অধীনে ৬ লক্ষ ২৫ হাজার তথ্যপ্রযুক্তি পেশাদারকে তাঁদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে ‘ইনফরমেশন সিকিউরিটি অ্যান্ড এডুকেশন অ্যাওয়ারনেস ফেজ’ (আইএসইএ) কর্মসূচিতে ২ লক্ষ ৬৫ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়াও, প্রায় ১২ কোটি সুবিধাভোগীকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ‘সাইবার অ্যাওয়ার ডিজিটাল নাগরিক’-এর আওতায় নিয়ে আসা হয়। নতুন প্রজন্মের পরিচালন ‘উমঙ্গ’ অ্যাপ / প্ল্যাটফর্মের ৫৪০টি অতিরিক্ত পরিষেবার প্রাথমিক সংস্থান রাখা হলেও, বর্তমানে এর মাধ্যমে পরিষেবার সংখ্যা ১,৭০০ পেরিয়ে গেছে। ন্যাশনাল সুপার কম্পিউটার মিশনের অধীন আরও ৯টি সুপার কম্পিউটারকে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ‘ভাষিনী’ - কৃত্রিম মেধা-বান্ধব বহু ভাষা অনুবাদের এই মাধ্যম বর্তমানে ১০টি ভাষার ক্ষেত্রে কৃত্রিম মেধা-ভিত্তিক অনুবাদের সুবিধা থাকলেও ক্রমে তা ৮ তপশিলভুক্ত ২২টি ভাষার ক্ষেত্রেও প্রসারিত হবে। ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্কের আধুনিকীকরণ ১,৭৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করবে। ডিজিলকারের অধীন ডিজিটাল তথ্য পরীক্ষার সুযোগ এখন থেকে এমএসএমই সহ অন্য সব কোম্পানির ক্ষেত্রেও প্রসারিত হবে। টিয়ার ২ / ৩ শহরে ১,২০০ স্টার্ট-আপ-এর সুবিধা প্রদান করা হবে। এছাড়াও, ন্যাশনাল সাইবার কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের সঙ্গে সাইবার সুরক্ষার ক্ষেত্রে ২০০ ওয়েবসাইটকে নিয়ে আসা হবে।
ডিজিটাইজেশন এবং ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নির্মাণের ক্ষেত্রে ভারত এবং সৌদি আরবের সঙ্গে সহযোগিতা সমঝোতাপত্রে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে ডিজিটাইজেশন, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নির্মাণ, ই-পরিচালন, স্মার্ট পরিকাঠামো, ই-হেলথ, ই-এডুকেশন, ডিজিটাল উদ্ভাবনের গবেষণার ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের প্রসার এবং কৃত্রিম মেধার মতো উদ্ভুত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা শক্তিশালী করাই এই সমঝোতাপত্রের উদ্দেশ্য। এছাড়াও রয়েছে ইন্টারনেট অফ থিংস, রোবট, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং ব্লক চেন। এই সমঝোতাপত্র ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে এসব ক্ষেত্রে পরিকাঠামো গড়ে তুলবে। এর ফলে উভয় ক্ষেত্রেই স্টার্ট-আপ প্রযুক্তির প্রসারের পাশাপাশি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
গুজরাটের সানন্দে ২২,৫১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মাইক্রনের সেমি-কন্ডাক্টর প্রকল্প কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরেই কেবল তিন মাসের মধ্যেই ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এর ফলে, আগামী পাঁচ বছরে ৫ হাজার প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ১৫ হাজার অপ্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে উঠবে। ১০ হাজার ইঞ্জিয়ারকে প্রশিক্ষণ দিতে গুজরাট সরকার এবং মাইক্রন একযোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় রেল, ইলেক্ট্রনিক্স, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব কেন্দ্র ও গুজরাট সরকারের এই সমন্বয়কে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, দেশে সেমি-কন্ডাক্টর নির্মাণের পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে ভারত দায়বদ্ধ এবং এজন্য যাবতীয় সুযোগ প্রদান করা হবে।
আইটি হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে উৎপাদন-ভিত্তিক ভর্তুকি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বের অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ২০২৩-এর মে মাসে ১৭ হাজার কোটি টাকা বাজেট ব্যয় বরাদ্দের এই অনুমোদন দেওয়া হয়। উৎপাদন-ভিত্তিক ভর্তুকি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বে আইটি হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে যুক্ত করা হবে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, অল-ইন-ওয়ান পিসি, সার্ভার প্রভৃতিকে। এই প্রকল্পের সময়কাল ছ’বছর। আশা করা হচ্ছে যে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৩৫ লক্ষ কোটিতে দাঁড়াবে। এর ফলে আশা করা যায় বর্ধিত বিনিয়োগ দাঁড়াবে ২,৪৩০ কোটি টাকা। বর্ধিত প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে ৭৫ হাজার।
সরকার আইটি হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে ২৭টি নির্মাণকারী সংস্থাকে উৎপাদন-ভিত্তিক ভর্তুকি প্রকল্পের আওতার দ্বিতীয় পর্বে নিয়ে এসেছে। মোবাইল ফোন নির্মাণে সাফল্যের ক্ষেত্রে উৎপাদন-ভিত্তিক ভর্তুকি প্রকল্পকে যুক্ত করা হয়েছে। এজন্য আইটি হার্ডওয়্যারের দ্বিতীয় দফার উৎপাদন-ভিত্তিক ভর্তুকি প্রকল্প কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয় ১৭ মে, ২০২৩-এ। এই প্রকল্পের আওতায় আসবে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, অল-ইন-ওয়ান পিসি, সার্ভার প্রভৃতি। ২৭টি তথ্যপ্রযুক্তি হার্ডওয়্যার নির্মাণকারী সংস্থাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পরিচিত নামগুলি হল – এসার, অ্যাসুস, ডেল, এইচপি, লেনোভো ইত্যাদি। এগুলির নির্মাণ কাজ ভারতেই হবে। এই প্রকল্প অনুমোদনের ফলে ২ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এর মধ্যে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে ৫০ হাজার। তথ্যপ্রযুক্তি হার্ডওয়্যার উৎপাদন হবে প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার এবং এই কোম্পানি মারফৎ বিনিয়োগ আসবে ৩ হাজার কোটি টাকার।
জি-২০ ডিজিটাল উদ্ভাবনী জোট কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় ব্যাঙ্গালোরে ২০২৩-এর ১৭-১৯ আগস্ট। এটির আয়োজন করে ইলেক্ট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। ২৩টি দেশ থেকে ১০৯টিরও বেশি স্টার্ট-আপ এতে যোগ দেয়। প্রথম সারির ৩০টি স্টার্ট-আপ পুরস্কৃত হয়। তিনদিনের এই অনুষ্ঠানে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক, রাজ্য সরকার সমূহ, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, বিভিন্ন কোম্পানি, আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় স্টার্ট-আপ সংস্থা তাদের বিভিন্ন পণ্য ২০০টিরও বেশি স্টলে প্রদর্শন করে।
 
PG/AB/DM
                
                
                
                
                
                (Release ID: 1990637)
                Visitor Counter : 152