প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
দিল্লি জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ন্ত্রণে জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে
উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সচিব ডঃ পি কে মিশ্র
Posted On:
13 OCT 2023 6:58PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩
দিল্লি - জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের বায়ু দূষণ সম্পর্কে আজ এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ডঃ পি কে মিশ্র। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্সের এই বৈঠকে দিল্লি জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের বায়ু দূষণের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে বিশদ ভাবে পর্যালোচনা করা হয়। উল্লেখ্য, আসন্ন শীতের শুরুতেই এই ধরনের বায়ু দূষণ দিল্লি জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে জনজীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
বৈঠকে বায়ু দূষণের বিভিন্ন উৎসের প্রভাব কিভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব সেসম্পর্কে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মতবিনিময় করেন বৈঠকে অংশগ্রহণকারী অন্যান্যদের সঙ্গে। শিল্প ও কলকারখানা থেকে নির্গত দূষণ, যানদূষণ, নির্মাণ প্রকল্পগুলি থেকে উদ্ভূত দূষণ, রাস্তাঘাটে ধুলোবালি ও আবর্জনা থেকে নির্গত দূষণ সহ বিভিন্ন উৎসের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বৈঠকে পর্যালোচনা করা হয়। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবুজায়ন ও বৃক্ষরোপনের প্রস্তুতি ও উদ্যোগ সম্পর্কেও আলোচনা স্থান পায় এদিনের বৈঠকে।
গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (জিআরএপি) বাস্তবায়নের বিষয়টিও আলোচনাকালে উত্থাপন করেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। তিনি বলেন যে অ্যাকশন প্ল্যানে যেসমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে, তা অবশ্যই অক্ষরে অক্ষরে পালিত হওয়া উচিত। কারণ, তাতে বায়ু দূষণ ও তার ক্ষতিকর প্রভাব অনেকটাই রোধকরা সম্ভব হবে।
সিএকিউএম-এর চেয়ারম্যান ডঃ এম এম কুট্টি জানান যে জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের শিল্পগুলিকে আরও বেশি মাত্রায় বিশুদ্ধ জ্বালানী ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৪০টি শিল্প তালুকের মধ্যে ২১১টিতে ইতিমধ্যেই সিএনজি সংযোগ পৌঁছে গেছে। অন্যদিকে, ৭,৭৫৯টি জ্বালানী নির্ভর শিল্পের মধ্যে ৭,৪৪৯টিতেই পিএনজি-র মতো পরিবেশবান্ধব জ্বালানী ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ডঃ কুট্টি আরও জানান যে দিল্লি জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে বৈদ্যুতিন যানবাহনের সংখ্যা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই তালিকাভুক্ত হয়েছে ৪,১২,৩৯৩টি বৈদ্যুতিন যান। অন্যদিকে, বৈদ্যুতিন বাস এবং ব্যাটারি চার্জিং স্টেশনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
নির্মাণ প্রকল্প এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে সিএকিউএম-এর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থাকে বিশেষভাবে জোরদার করা হয়েছে। দিল্লি ছাড়াও হরিয়ানাতেও এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে আপৎকালীন ভিত্তিতে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিকেও।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে ধানের খড় পোড়ানোর ফলে যেভাবে বায়ু দূষণ বৃদ্ধি পেতে থাকে তার উল্লেখ করে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ঐ তিনটি রাজ্যের মুখ্যসচিবদের জোর নজরদারি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে পরিবেশবান্ধব ডিকম্পোজারের সাহায্যে এই ধরণের দূষণ কমিয়ে আনারও পরামর্শ দেন ডঃ পি কে মিশ্র। এছাড়াও ধানের খড় ভালোভাবে বেঁধে তা মজুত করারও পরামর্শ দেন তিনি। কারণ এই খড়কে ভবিষ্যতে পরিবেশবান্ধব অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করা সম্ভব। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নিয়ে বায়ু দূষণ রোধে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি।
উচ্চ পর্যায়ের এই পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, কৃষি, বিদ্যুৎ, পেট্রোলিয়াম, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক, আবাসন ও নগরায়ন বিষয়ক, পশুপালন ও দুগ্ধ উৎপাদন সহ বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের মুখ্যসচিবরাও যোগ দেন এই বৈঠকে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে।
PG/SKD/AS
(Release ID: 1974932)
Read this release in:
Assamese
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Hindi
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Kannada
,
Malayalam