ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক
পেঁয়াজের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এনসিসিএফ, নাফেড, কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার এবং রাজ্য সমবায়গুলির মাধ্যমে কেজি প্রতি ২৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত
Posted On:
04 NOV 2023 2:04PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৪ নভেম্বর, ২০২৩
মজুতভাণ্ডার থেকে খুচরো কেজি প্রতি ২৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সাম্প্রতিককালে বাজারে পেঁয়াজের অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে ভর্তুকি দিয়ে এই পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রধানত খরিফ মরশুমের ফলন বিলম্বিত হওয়ায় পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকার গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে এনসিসিএফ, নাফেড, কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার এবং রাজ্য সমবায়গুলির মাধ্যমে কেজি প্রতি ২৫ টাকা দরে সাধারণের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। এজন্য কাজে লাগানো হবে মোবাইল ভ্যানগুলিকেও। গত ২ নভেম্বর পর্যন্ত ৩২৯টি খুচরো বিক্রয় কেন্দ্র চিহ্নিত করেছে নাফেড। দেশের ২১টি রাজ্যের ৫৫টি শহরে স্থায়ী বিক্রয় কেন্দ্র এবং অস্থায়ী মোবাইল ভ্যান থেকে এই পেঁয়াজগুলি জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, দেশের ২০টি রাজ্যের ৫৪টি শহরে ৫৫৭টি খুচরো বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করবে এনসিসিএফ। দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে গত ৩ নভেম্বর থেকে এইভাবে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট খুচরো বিক্রয় কেন্দ্রগুলি ছাড়াও সফল মাদার ডেয়ারি থেকে এই পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। তেলেঙ্গানা সহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্যগুলির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এই পেঁয়াজ জনসাধারণের মধ্যে বিপণনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিপণনের দায়িত্ব বহন করছে হায়দরাবাদ কৃষি সমবায় সমিতি (এইচএসিএ)।
রবি ও খরিফ শস্য মরশুমে দামের এই ওঠা-নামা নিয়ন্ত্রণে সরকার রবি মরশুমে উৎপাদিত পেঁয়াজের মজুতভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত রেখেছে। বিগত আর্থিক বছরে, অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালে পেঁয়াজ সংগ্রহের পরিমাণ ২.৫ লক্ষ মেট্রিক টন থেকে ৭ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৫.০৬ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ সংগৃহীত হয়েছে। বাকি ২ লক্ষ মেট্রিক টন সংগ্রহের কাজ চলছে।
সরকার গৃহীত পদক্ষেপের দ্রুত্ সুফল মিলতেও শুরু করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ। আগামী সপ্তাহ থেকে বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও হ্রাস পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করে যেতে পারে যে এ বছর জুনের শেষ সপ্তাহে বাজারে টোম্যাটোর মূল্য যখন হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করে, তখন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে টোম্যাটো উৎপাদক কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মহারাষ্টের মতো রাজ্যগুলি থেকে সরকার টোম্যাটো সংগ্রহ করে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে উচ্চ ভর্তুকি দিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। কেজি প্রতি ৯০ টাকা থেকে পরে তা কেজি প্রতি ৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। খোলা বাজারে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে টোম্যাটোর কিলো প্রতি মূল্য ছিল ১৪০ টাকার মতো। কিন্তু, সরকার গৃহীত বিশেষ পদক্ষেপের সুবাদে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে টোম্যাটোর দাম হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় কেজি প্রতি ৪০ টাকা।
এখানে আরও একটি উল্লেখ করার মতো বিষয় হল, অধিকাংশ ভারতীয় পরিবারগুলিতে পুষ্টির মূল উৎস হল ডালশস্য। সাধারণ পরিবারগুলির কাছে ন্যায্য ও সুলভ মূল্যে ডাল পৌঁছে দিতে সরকার কেজি প্রতি ৬০ টাকা দরে ‘ভারত ডাল’-এর প্যাকেট পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করে। ৩০ কেজির ‘ভারত ডাল’-এর প্যাকেটের দাম রাখা হয় কেজি প্রতি ৫৫ টাকা। সাধারণ ক্রেতা ছাড়াও সেনাবাহিনী এবং কল্যাণমূলক কর্মসূচির আওতাভুক্ত সুফলগ্রহীতাদের কাছেও এই ডাল সরবরাহ করা হয়। সরকারি এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করা হয় নাফেড, এনসিসিএফ, কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার, সফল মাদার ডেয়ারি এবং রাজ্য নিয়ন্ত্রিত তেলেঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রের সমবায়গুলিকেও। আগামীদিনগুলিতে আরও বেশি পরিমাণে ‘ভারত ডাল’ সরবরাহ করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। দেশের ক্রেতা সাধারণের কাছে ৪ লক্ষ টনেরও বেশি ‘ভারত ডাল’ পৌঁছে দেওয়া হবে।
PG/SKD/DM/
(Release ID: 1974774)
Visitor Counter : 122