প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী রাজস্থানের আবু রোডে ব্রহ্মকুমারীদের শান্তিবন প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেছেন


সুপার স্পেশালিটি চ্যারিটেবল গ্লোবাল হসপিটাল এবং শিবমণি ওল্ড এজ হোম-এর দ্বিতীয় পর্যায় ও নার্সিং কলেজের সম্প্রসারণের কাজের শিলান্যাস করেছেন

Posted On: 10 MAY 2023 5:06PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১০ মে, ২০২৩


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ রাজস্থানের আবু রোডে ব্রহ্মকুমারীদের শান্তিবন প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করলেন। তিনি সুপার স্পেশালিটি চ্যারিটেবল গ্লোবাল হসপিটাল এবং শিবমণি ওল্ড এজ হোম-এর দ্বিতীয় পর্যায় ও নার্সিং কলেজের সম্প্রসারণ কাজের শিলান্যাস করলেন। প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও দেখেন।

সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিভিন্ন সময়ে ব্রহ্মকুমারীদের শান্তিবন প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করার সুযোগ পাওয়ার উল্লেখ করেন এবং বলেন, যখনই তিনি এই স্থানে আসেন তখনই ভেতর থেকে একটি আধ্যাত্মিক অনুভূতি হয়। তিনি জানান, গত কয়েক মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁর সুযোগ হয়েছে ব্রহ্মকুমারীদের কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার। এ বছর ফেব্রুয়ারি ‘জল জন অভিযান’-এর উদ্বোধন করার সুযোগ পাওয়ার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ব্রহ্মকুমারীদের সঙ্গে নিরন্তর সম্পর্ক রাখার ওপর জোর দেন এবং পরম পিতার আশীর্বাদ ও রাজযোগিনী দাদিজির স্নেহের কথা বলেন। শ্রী মোদী জানান, সুপার স্পেশালিটি চ্যারিটেবল গ্লোবাল হসপিটাল শিলান্যাসের পাশাপাশি শিবমণি ওল্ড এজ হোম ও নার্সিং কলেজের সম্প্রসারণের কাজও শুরু হল। এজন্য তিনি ব্রহ্মকুমারীদের অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমৃতকালের এই মহা সময়ে সব সামাজিক এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বড় ভূমিকা আছে। তিনি বলেন, “এই অমৃতকাল দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য কর্তব্যকাল। এর অর্থ আমাদের দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন করতেই হবে।” তিনি বলেন, সমাজ ও দেশের স্বার্থে আমাদের ভাবনা ও দায়িত্বের সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্রহ্মকুমারী সমাজের নৈতিক মূল্যবোধ দৃঢ় করতে কাজ করে থাকে। বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতা প্রসারে তাদের অবদানের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ক্ষেত্র তাদের কাজের কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত-এর কথা বিস্তারিতভাবে জানান। “দেশ স্বাস্থ্য ও পরিষেবা ক্ষেত্রে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে চলেছে” - একথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের মধ্যে চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ হয়েছে। এটা শুধু সরকারই না, বেসরকারি হাসপাতালের দরজাও খুলে গেছে গরীব মানুষের জন্য। তিনি জানান, ৪ কোটির বেশি দরিদ্র মানুষ এই কর্মসূচির সুযোগ পেয়েছেন। বেঁচেছে ৮০ হাজার কোটি টাকা। একইরকমভাবে জন ঔষধি কর্মসূচিতে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ২০ হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় হয়েছে। তিনি ব্রহ্মকুমারীদের সরকারি কর্মসূচি সম্পর্কে সচেতনা প্রসারের অনুরোধ জানান।

দেশের চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা-কর্মীদের ঘাটতি মেটাতে উল্লেখযোগ্য কাজের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, গত ৯ বছরে গড়ে প্রায় প্রতি মাসে একটি করে মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন হয়েছে। ২০১৪-র আগে যেখানে ১৫০-রও কম মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন হয়েছিল, সেখানে গত ৯ বছরে সরকার ৩৫০-এরও বেশি মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন করেছে। ২০১৪-র আগে ও পরের মধ্যে তুলনা করে শ্রী মোদী বলেন, প্রতি বছর দেশে ৫০ হাজার এমবিবিএস-এর আসন ছিল যা এখন পৌঁছে গেছে ১ লক্ষেরও বেশিতে। স্নাতকোত্তর শিক্ষার আসন মোটামুটি ৩০ হাজার থেকে বেড়ে ৬৫ হাজারের বেশি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “যখন উদ্দেশ্য স্পষ্ট থাকে এবং সামাজিক কাজের জন্য একটা মন থাকে, তার জন্য যে সঙ্কল্প নেওয়া হয় তা পূরণও হয়।”

নার্সিং-এর ক্ষেত্রে কি কি সুযোগ তৈরি হয়েছে তা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতার পরের সাত দশকে যত চিকিৎসক তৈরি হয়েছিল, আগামী এক দশকে সেই সংখ্যক চিকিৎসকই তৈরি হবেন।” তিনি জানান, দেশে ১৫০-এর বেশি নার্সিং কলেজের প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র রাজস্থানেই ২০টি নার্সিং কলেজ হতে চলেছে যার ফলে নির্মীয়মান সুপার স্পেশালিটি চ্যারিটেবল গ্লোবাল হসপিটালের উপকার হবে।

ভারতের সমাজে ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানের সামাজিক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ভূমিকার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্রহ্মকুমারীদের অবদানের কথা বলেন। মানবতার স্বার্থে এই প্রতিষ্ঠানের একাত্মতার বিষয়ে তাঁর নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জানান। ‘জল জীবন মিশন’-এর মতো বিষয়কে মানুষের আন্দোলনে পরিণত করার জন্য ব্রহ্মকুমারীদের প্রশংসা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রহ্মকুমারীদের প্রতিষ্ঠান সব সময় প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গেছে। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর সময় আয়োজিত যোগ শিবিরের উদাহরণ দেন তিনি। তিনি বলেন, ব্রহ্মকুমারীদের এইসব কাজের ফলে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাঁর আস্থা বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে প্রত্যাশাও বেড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী অন্ন-র কথা বলেন। মিলেটকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের উদ্যোগের কথা জানান। তিনি বলেন, দেশ জৈব চাষ, নদী দূষণমুক্তিকরণ, জল সংরক্ষণের মতো অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এই বিষয়গুলি আমাদের দেশের হাজার বছরের পুরনো সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত। ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী ব্রহ্মকুমারীদের দেশ গঠনে নতুন নতুন বিষয় উদ্ভাবন করার আবেদন করেন। শ্রী মোদী সবশেষে বলেন, “এই প্রয়াসে যতই সহযোগিতা পাবেন, দেশ ততই সেবিত হবে। উন্নত দেশ গঠনে আমরা বিশ্বের জন্য ‘সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ’ মন্ত্রকে আত্মস্থ করব।”


PG/AP/DM/


(Release ID: 1923449)