প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘রিচিং দ্য লাস্ট মডেল’ শীর্ষক বাজেটোত্তর ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বঙ্গানুবাদ

Posted On: 27 FEB 2023 11:08AM by PIB Kolkata

 

নয়াদিল্লি, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আমাদের দেশের সংসদের বাজেটের পর এ বিষয়ের নানা দিক নিয়ে আলাপ-আলোচনার পরম্পরা রয়েছে। এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আর উপযোগীও। কিন্তু, আমাদের সরকার এই বাজেট নিয়ে আলোচনাকে আরেক কদম এগিয়ে নিয়ে গেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের সরকার বাজেট রচনার আগে একবার আর বাজেটের পর আরেকবার সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে নিবিড় আলাপ-আলোচনার নতুন পরম্পরা চালু করেছে। এই আলোচনা প্রয়োগের দিক থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে, করদাতাদের কষ্টোপার্জিত প্রতিটি টাকার সঠিক ব্যবহার সুনিশ্চিত হয়। বিগত কয়েকদিন ধরে আমি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাজেট পরবর্তী আলোচনা করছি। আজ ‘রিচিং দ্য লাস্ট মাইল’ বা ‘প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছনো’র উদ্দেশ্য নিয়েই এই ওয়েবিনার। মহাত্মা গান্ধীজী বলতেন, আপনাদের নীতি ও প্রকল্পগুলি সমাজের শেষ সীমায় থাকা মানুষটির কাছে কত দ্রুত পৌঁছবে আর কিভাবে পৌঁছবে – এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আজ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে এই আলোচনার ব্যবস্থা যাতে আমাদের বাজেট জনকল্যাণে কাজে লাগে, আমরা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রত্যেক সুবিধাভোগীর কাছে একে পৌঁছে দিতে পারি।

বন্ধুগণ,

আমাদের দেশে একট পুরনো ধারণা ছিল যে, জনগণের কল্যাণ এবং দেশের উন্নয়ন শুধু টাকা খরচ করলেই হয়। আসলে তা নয়। জনগণের কল্যাণ এবং দেশের উন্নয়নের জন্য অর্থের প্রয়োজন ঠিকই রয়েছে। কিন্তু, ধন – এর পাশাপাশি মন-ও চাই। সরকারি কাজ ও প্রকল্পগুলির সাফল্যের সবচেয়ে অনিবার্য শর্ত হ’ল সুশাসন, সংবেদনশীল শাসন এবং সাধারণ মানুষের প্রতি সমর্পিত শাসন। যখন সরকারের কাজ পরিমাপযোগ্য হয়, তার প্রতিনিয়ত তদারকি হয় আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লক্ষ্য পূরণ সুনিশ্চিত হয়, তখনই কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায়। সেজন্য আমরা সুশাসনের উপর যতটা জোর দেব, তত দ্রুত আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রান্তিক মানুষের কাছে সমস্ত প্রকল্পের সুফল পৌঁছে দিতে পারবো। আপনারা মনে করুন, আগে দেশের দূরদূরান্ত এলাকায় টিকাকরণ অভিযান পৌঁছতে কয়েক দশক লেগে যেত। দেশের কোটি কোটি শিশু, বিশেষ করে যারা গ্রামে বা জনজাতি এলাকায় বসবাস করে, তাদের জীবন রক্ষাকারী অনেক টিকার জন্য বহু বছর অপেক্ষা করতে হ’ত। যে কোনও টিকাকে ১০০ শতাংশ সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছতে কয়েক দশক লেগে যেত। আমরা নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে এই কাজ শুরু করি। মিশন ইন্দ্রধনুষের মাধ্যমে সারা দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় সংস্কার আনি। ফলে, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর সময় এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই অতিদ্রুত দেশে দূরদূরান্তে টিকাকরণ সম্ভব হয়। আমি মনে করি, সুশাসন এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর শক্তিই করোনা টিকাকরণকে ১০০ শতাংশ সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার সাফল্য এনেছে।

বন্ধুগণ,

‘রিচিং দ্য লাস্ট মাইল’ বা ‘প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছনো’র দৃষ্টিকোণ আর ১০০ শতাংশ সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছনোর নীতি পরস্পরের পরিপূরক। একটা সময় ছিল যখন গরীবদের বিভিন্ন পরিষেবার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারি অফিসে ঘুরে বেড়াতে হ’ত। অনেকে আবার দালালের মাধ্যমেও পরিষেবা পেতেন। ফলে, দুর্নীতি বাড়তো আর জনগণের অধিকারও হনন হ’ত। এখন সরকার গরীবের দরজায় গিয়ে তাঁকে পরিষেবা দিচ্ছে। যেদিন আমরা ঠিক করবো যে, প্রত্যেক মৌলিক পরিষেবা প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিককে কোনও রকম বৈষম্য না রেখেই পৌঁছে দেব, তবেই দেখবেন, স্থানীয় স্তরেও কর্মসংস্কৃতিতে কত বড় পরিবর্তন আসবে। সম্পৃক্ত বিন্দুতে পৌঁছনোর নীতির পেছনে এই ভাবনাই রয়েছে। যখন আমরা প্রত্যেকের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবো, তখন কোনও বৈষম্য, দুর্নীতি, সজন-পোষনের সুযোগই থাকবে না। তবেই আমরা ‘রিচিং দ্য লাস্ট মাইল’ বা ‘প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছনো’র লক্ষ্য পূরণ করতে পারবো। আপনারা দেখুন, আজ প্রথমবার দেশে পিএম স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে ফুটপাতের দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হকার, ঠেলাওয়ালা এবং রেললাইনের দু-পাশে পসরা সাজানো হকাররা ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আজ প্রথমবার দেশে বাঞ্জারা, ঘুমন্তু, অর্ধঘুমন্তু যাযাবরদের জন্য ওয়েলফেয়ার বোর্ড গড়ে উঠেছে। গ্রামে গ্রামে গড়ে ওঠা ৫ লক্ষেরও বেশি কমনসার্ভিস সেন্টার সরকারি পরিষেবাগুলিকে প্রত্যেক গ্রামের প্রান্তিক মানুষের কাছে নিয়ে গেছে। আমি গতকালই ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বিস্তারিতভাবে বলেছি, কিভাবে দেশে ১০ কোটিরও বেশি টেলিমেডিসিন পরিষেবা বাস্তবায়িত হয়েছে। এটিও আমাদের স্বাস্থ্য নিয়ে ‘রিচিং দ্য লাস্ট মাইল’ বা ‘প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছনো’র প্রতিফলন।

বন্ধুগণ,

ভারতের জনজাতীয় এলাকা, গ্রামীণ ক্ষেত্রে প্রান্তিক মানুষের কাছে ‘রিচিং দ্য লাস্ট মাইল’ এর মন্ত্র নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য এবারের বাজেটে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে। জল জীবন মিশন – এর মাধ্যমে প্রত্যেকের বাড়িতে নলবাহিত জল সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমাদের দেশের গ্রামীণ এলাকায় মাত্র ৩ কোটি বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে যেত। এখন এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ কোটিরও বেশি। মাত্র এক বছরের মধ্যে দেশে প্রায় ৬০ হাজার অমৃত সরোবরের কাজ শুরু হয়েছে। আর আমাকে বলা হয়েছে যে, ইতিমধ্যেই ৩০ হাজারেরও বেশি অমৃত সরোবর গড়ে উঠেছে। এই অভিযান দূরদূরান্তে বসবাসকারী প্রত্যেক ভারতবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটিয়েছে। যাঁরা অনেক দশক ধরে এ ধরনের পরিষেবার প্রতীক্ষায় ছিলেন।

কিন্তু বন্ধুগণ,

আমরা এখানেই থেমে থাকতে চাই না, আমাদের এমন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে আমরা নলবাহিত জলের নতুন সংযোগে জল ব্যবহারের নমুনা তদারকি করতে পারি। এই সমীক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেজন্য ‘পানী সমিতি’গুলিকে আরও কার্যকরি করে তুলতে হবে। গ্রীষ্মকাল প্রায় এসে গেছে। এখন থেকেই আমাদের ‘পানী সমিতি’গুলিকে জল সংরক্ষণের জন্য কার্যকর করে তুলতে হবে। বর্ষা আসার আগেই ‘ক্যাচ দ্য রেন’ বা ‘বৃষ্টির জল সংরক্ষন’ অভিযানের জন্য জনগণকে প্রশিক্ষিত করতে হবে।

বন্ধুগণ,

এ বছরের বাজেটে আমরা দরিদ্রদের জন্য গৃহ নির্মাণ খাতে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি। সকলের জন্য গৃহ – এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছি। এই গৃহ নির্মাণ যজ্ঞকে কিভাবে প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করে কম খরচে বেশি টেকসই এবং মজবুত গৃহ নির্মাণ করতে পারি, পরিবেশ-বান্ধব শক্তি ব্যবহারের উপযোগী, যেমন – এই বাড়িগুলিতে সৌরশক্তির ব্যবহার চালু করা, গ্রুপ হাউসিং – এর নতুন মডেল গ্রাম ও শহরে কার্যকর করা – এইসব বিষয় নিয়ে নিবিড় আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আপনাদের অভিজ্ঞতার নির্যাস নিয়েই এই কাজে সাফল্য আসবে।

বন্ধুগণ,

আমাদের দেশে জনজাতি সমাজের বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রথমবার দেশে এত ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবারের বাজেটেও জনজাতি উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একলব্য মডেল আবাসিক বিদ্যালয়গুলিতে অধিক সংখ্যক শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বিদ্যালয়গুলিতে নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিক্রিয়া জানার প্রক্রিয়া চলছে। এই ব্দ্যালয়গুলি থেকে পড়াশোনা করে ছাত্রছাত্রীরা দেশের বড় বড় শহরে কী ধরনের কাজ পাচ্ছেন, এই বিদ্যালয়গুলিতে কিভাবে অধিক সংখ্যক অটল টিঙ্কারিং ল্যাব গড়ে তোলা যায় – এইসব বিষয় নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। এই বিদ্যালয়গুলিতে যদি আমরা এখন থেকেই স্টার্টআপ – এর জন্য, ডিজিটাল মার্কেটিং – এর জন্য কর্মশালা শুরু করাতে পারি, তা হলে আমাদের দেশের জনজাতি সমাজ অনেক উপকৃত হতে পারেন। তবেই একলব্য মডেল স্কুল থেকে পাশ করে ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের এলাকার জনজাতি উৎপাদিত পণ্যগুলিকে কিভাবে প্রমোট করবেন আর কিভাবে অনলাইন ব্র্যান্ডিং করবেন – তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

বন্ধুগণ,

এই প্রথমবার আমরা জনজাতিদের মধ্যেও যাঁরা সবচেয়ে বঞ্চিত, তাঁদের জন্য একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। দেশের ২০০টিরও বেশি জেলায় ২২ হাজারেরও বেশি গ্রামে জনজাতি ভাই-বোনদের দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দেবো। তেমনই, আমাদের সংখ্যালঘু সমাজে বিশেষ করে আমাদের মুসলমান সমাজের অন্তর্গত পশমন্দা সমাজে দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দেব, যাঁরা স্বাধীনতার এত বছর পরেও অনেক পেছনে রয়ে গেছে। এবারের বাজেটে তাঁদেরকে সম্পূর্ণ শৃঙ্খল মুক্ত করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। সেজন্য ‘রিচিং দ্য লাস্ট মাইল’ বা ‘প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছনো’র মনোভাবের প্রয়োজন। স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে দ্রুতগতিতে কাজ করতে হবে।

বন্ধুগণ,

আমাদের উচ্চাকাঙ্খী জেলা প্রকল্পও এই ‘রিচিং দ্য লাস্ট মাইল’ বা ‘প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছনো’র ক্ষেত্রে একটি সাফল্যের মডেল হয়ে উঠেছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই এখন দেশের ৫০০টি পিছিয়ে থাকা ব্লককে নিয়ে উচ্চাকাঙ্খী ব্লক প্রকল্পও শুরু করা হচ্ছে। এই উচ্চাকাঙ্খী ব্লক প্রকল্পের জন্য আমাদের সমস্ত তুলনামূলক মাপদন্ডের কথা মাথায় রেখে সেভাবেই কাজ করতে হবে। যেভাবে আমরা উচ্চাকাঙ্খী জেলা প্রকল্পের ক্ষেত্রে করেছিলাম। আমাদের প্রতিটি উচ্চাকাঙ্খী ব্লকের মধ্যে প্রতিযোগিতার আবহ গড়ে তুলতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই ওয়েবিনার থেকে ‘রিচিং দ্য লাস্ট মাইল’ বা ‘প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছনো’ সংক্রান্ত নতুন নতুন ভাবনা ও পরামর্শ উঠে আসবে। এই মন্থন থেকে উঠে আসা অমৃত দূরদূরান্তের মানুষের কাছে সমস্ত পরিষেবা দ্রুত পৌঁছে দিতে সহায়ক হবে। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য ভাবতে হবে, বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে আর প্রযুক্তির সর্বাধিক প্রয়োগের মাধ্যমে স্বচ্ছতা সুনিশ্চিত করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রত্যেকেই যথাযথ পরিষেবা পাবেন - যেদিন প্রত্যেক গরীবের মনে এই বিশ্বাস জন্মাবে, সেদিন থেকে তাঁরা প্রত্যেকেই দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সৈনিক হয়ে উঠবেন। আমাদের তাঁদের মনে দারিদ্র্যকে পরাস্ত করার শক্তি যোগাতে হবে। প্রত্যেক গরীবকে এই সংকল্প নিতে হবে যে, এখন আমি আর গরীব থাকবো না। আমার পরিবারকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করতে হবে। সরকার আমার হাত ধরছে – আমি এগিয়ে যাব। আমাদের এমন আবহই গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য আপনাদের মতো সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের কাছে আমি সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আজকের এই ওয়েবিনার ‘সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখায়’ – এই মন্ত্রের বাস্তবায়নে সংকল্প নিয়ে লক্ষ্য পূরণের কারণ হয়ে উঠবে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভকামনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

PG/SB/SB



(Release ID: 1903063) Visitor Counter : 114