অর্থমন্ত্রক
অমৃতকালে প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান ভিত্তিক ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব
प्रविष्टि तिथि:
01 FEB 2023 1:03PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৭টি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য সপ্তঋষি পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সংসদে আজ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশের সময় তিনি অমৃতকালে প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান ভিত্তিক ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও বেশি করে সংস্কার মূলক উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, একটি শক্তিশালী সরকারি আর্থিক ব্যবস্থা এবং বিপুল আর্থিক ক্ষেত্রের সাহায্যে এই সংস্কার বাস্তবায়িত করা যাবে। এক্ষেত্রে সবকা সাথ, সবকা প্রয়াস ভাবনার মাধ্যমে জনভাগিদারী বা সকলের অংশগ্রহণের ওপর তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেন।
কেন্দ্রীয় বাজেট উপস্থাপন করার সময় মন্ত্রী বলেন, আধার, কো-উইন এবং ইউপিআই-এর মতো সর্বসাধারণের জন্য আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো গড়ে তোলা, দ্রুত হারে অভূতপূর্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে কোভিডের টিকাকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা, মিশন লাইফ এবং জাতীয় হাইড্রোজেন মিশন গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে দেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পৌঁছাতে পেরেছে।
কৃষক কেন্দ্রিক ডিজিটাল সরকারি পরিকাঠামো
কৃষিকাজের পরিকল্পনা এবং ফসলের স্বাস্থ্যের জন্য একটি সমন্বিত কৃষক কেন্দ্রিক তথ্য পরিষেবা গড়ে তোলা হবে। এর মধ্য দিয়ে জমিতে ফসলের গুণমান, ঋণ ও বীমা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে। এর জন্য বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেটে কৃষক কেন্দ্রিক একটি ডিজিটাল সরকারি পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই উদ্যোগের ফলে কৃষি ভিত্তিক শিল্প এবং স্টার্টআপ সংস্থাগুলির উপকৃত হবেন।
শিশু-কিশোরদের জন্য জাতীয় ডিজিটাল গ্রন্থাগার
সার্বিক উন্নয়নের জন্য শ্রীমতী সীতারমন শিশু-কিশোরদের জন্য জাতীয় ডিজিটাল গ্রন্থাগার গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই সব পাঠাগারে ভূগোল, বিভিন্ন ভারতীয় ভাষা সহ নানা বিষয়ের ওপর ভালো মানের বই পাওয়া যাবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজ্যগুলিকে পঞ্চায়েত এবং তৃণমূল স্তরে লাইব্রেরি গড়ে তোলার জন্য উৎসাহিত করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ডিজিটাল গ্রন্থাগার সংশ্লিষ্ট লাইব্রেরিগুলির সম্পদকে ব্যবহার করতে পারে।
ভারত শ্রী (ভারত শেয়ার্ড রিপোজিটারি অফ ইনস্ক্রিপশনস্)
অর্থমন্ত্রী দেশজুড়ে ডিজিটাল শিলালিপি সংগ্রহশালা গড়ে তোলার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রথম পর্বে প্রাচীন যুগের ১ লক্ষ শিলালিপির ডিজিটাইজেশনের কাজ করা হবে।
ফাইভ-জি পরিষেবা
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ফাইভ-জি পরিষেবায় ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এবারের বাজেটে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানে ১০০টি পরীক্ষাগার গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্যে দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এই পরীক্ষাগারগুলি স্মার্ট ক্লাসরুম, নিখুঁত কৃষিকাজ এবং পরিবহন ব্যবস্থাপনায় যথাযথ তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ভাবনের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনটি কৃত্রিম মেধা উৎকর্ষ কেন্দ্র
দেশে কৃত্রিম মেধা উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটে শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনটি কৃত্রিম মেধা উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন। এইসব কেন্দ্রে কৃষি, স্বাস্থ্য এবং সুস্থায়ী শহরগুলির বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণা করা হবে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে উন্নত মানব সম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
গ্রাহক পরিচিতি সংক্রান্ত সহজ পদ্ধতি
গ্রাহকদের পরিচিতির জন্য একই ধরনের ব্যবস্থার পরিবর্তে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটে প্রস্তাব দিয়েছেন। আর্থিক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলিকে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র চাহিদা অনুযায়ী গ্রাহক পরিচিতি ব্যবস্থাপনাটির সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ফিনটেক পরিষেবা
শ্রীমতী সীতারমন বলেছেন, আধার, পিএম জনধন যোজনা, ভিডিও কেওয়াইসি, ইন্ডিয়া স্টক এবং ইউপিআই-এর মতো আমাদের ডিজিটাল পরিষেবাগুলিকে সহায়তা করার জন্য ফিনটেক পরিষেবাকে আরও সক্রিয় করে তুলতে হবে। বাজেটে এই পরিষেবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্ভাবনমূলক উদ্যোগে উৎসাহিত করতে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ব্যক্তি বিশেষের জন্য ডিজি লকারে আরও বেশি নথিপত্র রাখা যাবে।
ডিজি লকার
অণু, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পোদ্যোগী সংস্থা, বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং সাহায্যকারী সংস্থাগুলির ট্রাস্টের জন্য একটি বিশেষ ডিজি লকারের প্রস্তাব এবারের বাজেটে রাখা হয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং কর্তৃপক্ষ যাচাই করতে পারবে।
বৈদ্যুতিন-আদালত
দক্ষ বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শ্রীমতী সীতারমন বৈদ্যুতিন-আদালত বা ই-কোর্টের সম্প্রসারণের জন্য ৭ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করেছেন। ই-কোর্ট ব্যবস্থাপনার তৃতীয় পর্যায়ে এই অর্থ ব্যায় করা হবে।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন
শ্রীমতী সীতারমন জানিয়েছেন ২০২২ সালে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, আর্থিক মূল্যের নিরিখে যা ৯১ শতাংশ। ডিজিটাল লেনদেনের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় অর্থমন্ত্রী এই পদ্ধতিতে লেনদেনের জন্য বর্তমান অর্থবর্ষে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব করেছেন।
PG/CB/NS
(रिलीज़ आईडी: 1895454)
आगंतुक पटल : 244