প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
তামিলনাড়ুর দিন্দিগুল-এ গান্ধীগ্রাম রুরাল ইনস্টিটিউটের ৩৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ
Posted On:
11 NOV 2022 6:03PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১১ নভেম্বর, ২০২২
তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল শ্রী আর এন রবিজি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এম কে স্ট্যালিনজি, চ্যান্সেলর ডঃ কে এম আন্নামালাইজি, উপাচার্য অধ্যাপক গুরমিত সিং-জি, গান্ধীগ্রাম রুরাল ইনস্টিটিউটের কর্মী ও আধিকারিকবৃন্দ, সম্ভাবনায় উজ্জ্বল ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের গর্বিত পিতা-মাতা,
বনক্কম!
আজ এখানে যাঁরা স্নাতক ডিগ্রি লাভ করছেন সেই তরুণ ছাত্রছাত্রীদের জানাই আমার অভিনন্দন। তাঁদের পিতা-মাতাদেরও সেইসঙ্গে অভিনন্দন জানাই। আপনাদের ত্যাগ স্বীকারের মধ্য দিয়েই আজকের এই বিশেষ দিনটি আমাদের সকলের সামনে উপস্থিত। শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী সহ সকলেই এজন্য প্রশংসার পাত্র।
বন্ধুগণ,
আজ এখানে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা আমার কাছে এক বিশেষ প্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা। গান্ধীগ্রামের সূচনা হয়েছিল স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী। এখানকার সরল অথচ মননশীল পরিবেশ, নিত্যদিনের স্বাভাবিক পল্লী জীবন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য – সবকিছুর মধ্যে মহাত্মা গান্ধীর পল্লী উন্নয়নের ভাবনা সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আমার তরুণ বন্ধুরা, আপনারা সকলেই এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করছেন কারণ, আজকের দিনে গান্ধীবাদ ও তার মূল্যবোধ আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। সংঘাতের অবসান অথবা জলবায়ু সমস্যার মোকাবিলা – প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমাধানের পথ আমরা খুঁজে পাই মহাত্মা গান্ধীর চিন্তাদর্শের মধ্যে। গান্ধীবাদে বিশ্বাসী আপনাদের সকলের মধ্যেই আজ এক বিশেষ সুযোগ এসেছে এই মূল্যবোধকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
বন্ধুগণ,
মহাত্মা গান্ধীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রেষ্ঠ উপায় হল তাঁর অতি প্রিয় চিন্তাভাবনাকে অনুসরণ করা। খাদি দীর্ঘকালব্যাপী ছিল অবহেলিত ও বিস্মৃতপ্রায় একটি শিল্প-সংস্কৃতি। কিন্তু ‘জাতির জন্য খাদি, ফ্যাশনের জন্য খাদি’ – এই অভিযানের মধ্য দিয়ে তা আবার বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। গত আট বছরে খাদি বিপণন বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০০ শতাংশেরও বেশি। শুধুমাত্র গত বছরই ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন নথিভুক্ত হয়েছে খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশনে। এমনকি, ফ্যাশন দুনিয়ার বড় বড় ব্র্যান্ডগুলির মধ্যেও এখন পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে খাদি ব্যবহারের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কারণ, খাদি হল একটি পরিবেশ-বান্ধব বস্ত্র যা এই পৃথিবীর পক্ষে খুবই উপযোগী। এই পরিবর্তন তথা রূপান্তরকে ব্যাপক উৎপাদনের বিপ্লব বলে আমি বর্ণনা করতে চাই না। আমি এটিকে সাধারণ মানুষের উৎপাদন প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এক বিশেষ বিপ্লব বলে মনে করি। পল্লী জীবনে খাদিকে আত্মনির্ভরতার এক হাতিয়ার বলে মনে করতেন মহাত্মা গান্ধী। গ্রামগুলির আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার প্রচেষ্টার মধ্যে এক আত্মনির্ভর ভারত গঠনের বীজকে তিনি লক্ষ্য করেছিলেন। তাঁর সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এক আত্মনির্ভর ভারত গঠনের কাজে আমরা ব্রতী হয়েছি। তামিলনাড়ু এক সময় হয়ে উঠেছিল স্বদেশী আন্দোলনের এক বিশেষ কেন্দ্রবিন্দু। আত্মনির্ভর ভারত গঠনের ক্ষেত্রেও এই রাজ্যটি আরও একবার তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েই এই প্রচেষ্টায় সামিল হবে।
বন্ধুগণ,
পল্লী উন্নয়ন সম্পর্কে মহাত্মা গান্ধীর চিন্তাদর্শ উপলব্ধির বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাম জীবনের অগ্রগতির কথা চিন্তা করতেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি আগ্রহী ছিলেন পল্লী জীবনের মূল্যবোধগুলির সংরক্ষণে। গ্রামোন্নয়ন সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনা তাঁর সেই আদর্শেই অনুপ্রাণিত। আমাদের লক্ষ্যই হল – ‘আত্মা গাঁও কি, সুবিধা শহর কি’।
শহর ও গ্রাম জীবনের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে সেটা আমরা স্বীকার করি। কিন্তু এই দুটি জীবনযাত্রার মধ্যে কোনো বৈষম্যকে আমরা মেনে নিতে পারি না। দীর্ঘকাল ধরে গ্রাম ও নগর জীবনের মধ্যে সমতার অভাব আমরা লক্ষ্য করেছি। কিন্তু বর্তমানে তা সংশোধনের সুযোগ আজ জাতির সামনে উপস্থিত। সম্পূর্ণ গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ৬ কোটিরও বেশি বাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ, ২.৫ কোটির মতো বিদ্যুৎ সংযোগ, আরও বেশি সংখ্যক গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ – এই সমস্ত উন্নয়ন প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের দ্বারপ্রান্তে আমরা পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তথা স্বাস্থ্যরক্ষার বিষয়টি হল এমনই একটি ধারণা যা ছিল মহাত্মা গান্ধীর কাছে প্রিয় একটি ভাবনার বিষয়। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মধ্য দিয়ে এই ক্ষেত্রটিতেও বিপ্লব ঘটে গেছে। কিন্তু শুধুমাত্র ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার মধ্যেই আমরা আমাদের কাজকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। তাই, আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সুযোগ আজ পৌঁছে যাচ্ছে একটির পর একটি গ্রামে। দেশের প্রায় ২ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতকে ৬ লক্ষ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে অপটিক ফাইবার কেবলের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে। অল্প খরচে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ লাভ করছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। সমীক্ষায় প্রকাশ যে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেটের ব্যবহার আরও বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পথ ধরে নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধার এক জগৎ দেশবাসীর কাছে আজ উন্মুক্ত। দেশের কৃষকদেরও যুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন অ্যাপ-এর সঙ্গে। মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোটি কোটি কার্ড বন্টন করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। অনেক কিছু করা হয়েছে একথা যেমন সত্য, তেমনই অনেক কিছু করা যে এখনও বাকি রয়েছে তাও অবশ্য স্বীকার্য। তরুণ প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরাই এই ভিতকে সম্বল করে গ্রামোন্নয়নের কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
বন্ধুগণ,
গ্রামোন্নয়ন প্রচেষ্টাকে নিরন্তর করে তোলার লক্ষ্যে আমাদের অবশ্যই যত্নবান হতে হবে। এক্ষেত্রে নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে হবে তরুণ যুব সমাজকে। দেশের গ্রামাঞ্চলের ভবিষ্যতই হল নিরন্তর কৃষি প্রচেষ্টা। প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতি তথা রাসায়নিক সারমুক্ত কৃষিকর্ম সম্পর্কে উৎসাহ ও আগ্রহ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে, বিদেশ থেকে সার আমদানির ওপর নির্ভরতাও ক্রমশ কমে আসছে। মাটির স্বাস্থ্য তথা মানব স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও এটি মঙ্গলদায়ক। এই লক্ষ্যে আমরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছি। অর্গ্যানিক কৃষি পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের যে কর্মসূচিটি রয়েছে তা বিস্ময়করভাবে কাজ করে চলেছে। বিশেষত, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এর সাফল্য উল্লেখ করার মতো। গত বছরের বাজেটে প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতি সম্পর্কে একটি নীতির কথাও আমরা ঘোষণা করেছি। দেশের গ্রামগুলিতে প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতার প্রসারে আপনাদের অর্থাৎ, তরুণ ছাত্রছাত্রীদের এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও ভূমিকা রয়েছে।
নিরন্তর কৃষি পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করে তুলতে দেশের তরুণদের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে যে কৃষিক্ষেত্রে একটিমাত্র ফলনই এখন আর যথেষ্ট নয়। মোটা দানাশস্য, বাজরা এবং অন্য শস্য ফলনের সুপ্ত সম্ভাবনাকে আবার জাগিয়ে তুলতে হবে। এই সঙ্গম অর্থাৎ, মিশ্রণ বা সঙ্করের যুগে বিভিন্ন ধরনের মিলেট উৎপাদন সম্ভব। প্রাচীন তামিলনাড়ুর জনসাধারণের কাছে তা এক সময় ছিল খুবই প্রিয়। এই ফসলগুলি একদিকে যেমন পুষ্টিকর, অন্যদিকে তেমনই যে কোনো ধরনের জলহাওয়ার উপযোগী। তাছাড়াও, শস্য ফলনের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য জল ও মাটির পক্ষে খুবই উপকারী। তরুণ ছাত্রছাত্রীরা, আপনাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম পরিচালিত হয় পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে। গত আট বছরে সংস্থাপিত সৌরশক্তির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২০ গুণ। গ্রামগুলিতে সৌরশক্তির ব্যাপক ব্যবহার সম্ভব করে তোলা হলে শক্তি তথা জ্বালানি ক্ষেত্রেও ভারত স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারে।
বন্ধুগণ,
গান্ধীবাদী চিন্তাবিদ বিনোবা ভাবে এক সময় বলেছিলেন যে গ্রাম পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে যথাযথ পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিৎ। গুজরাটে আমরা শুরু করেছিলাম ‘সমরস গ্রাম যোজনা’। ঐকমত্যের ভিত্তিতে গ্রামবাসীরা তাঁদের নেতাদের বেছে নিয়েছিলেন। ফলে, সামাজিক সংঘাত ও সংঘর্ষ সেখানে কমে এসেছিল অনেকটাই। তরুণ ও যুবকরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সারা দেশজুড়েই এই ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন। সমস্ত গ্রামবাসী যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে যে কোনো ধরনের অপরাধ, মাদকের কারবার এবং সমাজ বিরোধী কাজকর্মের মোকাবিলা করা সম্ভব।
বন্ধুগণ,
মহাত্মা গান্ধী এক স্বাধীন ও ঐক্যবদ্ধ ভারতের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। ভারতের ঐক্যের সেই কাহিনীর সাক্ষী থেকেছে এই গান্ধীগ্রাম। এখানকার হাজার হাজার গ্রামবাসী গান্ধীজিকে একবার দেখার জন্য সমবেত হয়েছিলেন। গান্ধীজি কোন রাজ্যের মানুষ ছিলেন, সেটি বড় কথা নয়। বড় কথা হল, গান্ধীজি এবং গ্রামবাসী সকলেই ছিলেন ভারতীয়। তামিলনাড়ু বরাবরই জাতীয় বিবেক বোধের এক জাগ্রত ভূমি রূপেই পরিচিত। এখানে বিদেশ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর বীরোচিত সংবর্ধনা লাভ করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। গত বছরটিতেও আমরা সাক্ষী থেকেছি ‘বীর বনক্কম’ – এই মন্ত্রোধ্বনির। তামিল জনসাধারণ যেভাবে জেনারেল বিপিন রাওয়াতের উদ্দেশে তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলেন তা ছিল গভীরভাবে হৃদয়স্পর্শী। কাশী তামিল সঙ্গমম অনতিবিলম্বেই বাস্তবায়িত হতে চলেছে কাশীতে। এর মধ্য দিয়েই উদযাপিত হবে কাশী ও তামিলনাড়ুর মধ্যে পারস্পরিক বন্ধনের বিষয়টি। কাশীর অধিবাসীরা তামিলনাড়ুর ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে উদযাপন করতে আগ্রহী। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর এ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার এই মানসিকতার মধ্যেই ফুটে উঠেছে আমাদের ঐক্যের মূল সুরটি। তাই, জাতীয় ঐক্যকে সুদৃঢ় করে তোলার লক্ষ্যে সকলকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার আমি আবেদন জানাই তরুণ স্নাতক বন্ধুদের কাছে।
বন্ধুগণ,
আজ আমি এখানে এমন একটি অঞ্চলে এসে উপস্থিত হয়েছি যা ছিল নারীশক্তির এক বিশেষ উৎসস্থল। এখানেই রানি ভেলু নাচিয়ার অবস্থান করেছিলেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রামকালে। আজ এখানে স্নাতক ডিগ্রি লাভের জন্য যে তরুণীরা উপস্থিত রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আমি পরিবর্তনের দিশারী হয়ে ওঠার উজ্জ্বল সম্ভাবনা লক্ষ্য করতে পারছি। আপনারাই পারেন গ্রামীণ মহিলাদের সাফল্যকে নিশ্চিত ও ত্বরান্বিত করতে। তাঁদের সাফল্যের মধ্যেই নিহিত রয়েছে সমগ্র জাতির সাফল্য।
বন্ধুগণ,
সমগ্র বিশ্ব যখন এক কঠিনতম সঙ্কটের সম্মুখীন, ভারত তখন হয়ে উঠেছে তাদের কাছে এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযান, দরিদ্রতম মানুষটির জন্য খাদ্য নিরাপত্তা, বিশ্বের চালিকাশক্তি হয়ে ওঠা – এ সমস্ত কিছুর মধ্য দিয়ে ভারত প্রমাণ করেছে যে তার প্রকৃত শক্তি কি ও কোথায়। তাই, ভারত আরও বড় কিছু করে দেখাক, এটাই এখন বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা। ভারতের ভবিষ্যৎ গঠনের দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের হাতেই। তাঁদের দক্ষতাই সবকিছু সম্ভব করে তুলতে পারে।
আজকের তরুণরা শুধুমাত্র চ্যালেঞ্জের মোকাবিলাই করেন না, বরং এই কাজের মধ্য দিয়ে তাঁরা আনন্দ খুঁজে পান। তাঁরা শুধুমাত্র প্রশ্ন করেই থেমে থাকেন না, প্রশ্নের উত্তর খোঁজারও চেষ্টা করেন। আজকের তরুণ প্রজন্ম শুধুমাত্র সাহসীই নয়, তারা একইসঙ্গে নিরলস পরিশ্রমীও। তাঁরা শুধু স্বপ্নই দেখেন না, স্বপ্নকে কিভাবে সফল করে তুলতে হয় তাও তাঁদের অজানা নয়। তাই, আজকে এখানে যাঁরা তরুণ স্নাতক উপস্থিত রয়েছেন, তাঁদের সকলের উদ্দেশে আমি একটাই বার্তা দিতে চাই এবং তা হল এই যে আপনারাই হলেন নতুন ভারতের রূপকার। স্বাধীনতার অমৃতকালে অর্থাৎ, আগামী ২৫ বছরের মধ্যে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব রয়েছে আপনাদের হাতেই। আমি আরও একবার আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই।
সকলকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা!
PG/SKD/DM/
(Release ID: 1875573)
Visitor Counter : 233
Read this release in:
English
,
Urdu
,
Hindi
,
Marathi
,
Assamese
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam