পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

উষ্ণ জলবায়ুর দেশগুলিতে ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বিস্তার জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় এক কার্যকর হাতিয়ার : শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

Posted On: 08 NOV 2022 5:33PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৮ নভেম্বর ২০২২

 

ম্যানগ্রোভ হল পৃথিবীর অনুকূল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পক্ষে বিশেষভাবে সহায়ক। উষ্ণ জলবায়ুর দেশগুলির সমুদ্র উপকূলবর্তী এই ধরনের অরণ্য একদিকে যেমন অসংখ্য প্রজাতির গাছপালার জন্ম দেয়, অন্যদিকে তেমনই উপকূলকে রক্ষা করে ক্ষয়ের হাত থেকে। সেইসঙ্গে, চারদিকের পরিবেশকে কার্বনমুক্ত করে কোটি কোটি মানুষের গ্রাসাচ্ছাদনের সুযোগ এনে দেয়। এমনকি, বিভিন্ন ধরনের পশুপাখির এক অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে ওঠার পক্ষেও তা যথেষ্ট অনুকূল।

ঈজিপ্টে সিওপি-২৭ সম্মেলনের পাশাপাশি জলবায়ু সংরক্ষণ সম্পর্কিত একটি অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে এই মন্তব্য করেন ভারতের পরিবেশ, অরণ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র যাদব। জলবায়ু সংরক্ষণে ম্যানগ্রোভের প্রসার ও বিস্তার সম্পর্কিত এক সহযোগিতা মঞ্চের সূচনা অনুষ্ঠানে তিনি ভাষণ দিচ্ছিলেন।

শ্রী যাদব বলেন, বিশ্বের ট্রপিক্যাল অঞ্চলগুলির উপকূল এলাকার অর্থনৈতিক ভিত প্রস্তুত করে দেয় ম্যানগ্রোভ। ‘নীল অর্থনীতি’র সংরক্ষণে গড়ে তোলা এই ধরনের অরণ্য স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক স্তরে উপকূল এলাকাগুলিতে নানা ধরনের গাছপালা ও পশুপাখির অভয়ারণ্য হয়ে ওঠা ছাড়াও তা মানুষের জীবন ও জীবিকার সুযোগ এনে দেয়। প্রাকৃতিক দিক থেকে উষ্ণ জলবায়ুর দেশগুলিতে উপকূল রক্ষার কাজে ম্যানগ্রোভকে সশস্ত্র প্রহরী রূপে বর্ণনা করেন তিনি। শ্রী যাদব বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় হল ম্যানগ্রোভের মতো অরণ্যের প্রসার ও বিস্তার।

তিনি বলেন, আরও বেশি মাত্রায় বৃক্ষরোপণ ও বনসৃজনের মাধ্যমে ভারত আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সমীক্ষা ও গবেষণায় এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে সমতল এলাকার অরণ্যের তুলনায় ম্যানগ্রোভ চার থেকে পাঁচগুণ বেশি কার্বন শোষণ করে নিতে পারে। শুধু তাই নয়, এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে সমুদ্র ও মহাসাগরের জলে অম্লের উপাদান কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও ম্যানগ্রোভ বিশেষভাবে কার্যকর। এই কারণে জলবায়ু ও প্রাকৃতিক পরিবেশের সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় ভারত দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। ভারতে ম্যানগ্রোভের প্রসার ও বিস্তার তারই একটি ফলশ্রুতি।

শ্রী যাদব তাঁর ভাষণে আরও বলেন যে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যে সমস্ত ম্যানগ্রোভ ছড়িয়ে রয়েছে তার মধ্যে জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে ভারতের সুন্দরবন এলাকা বিভিন্ন দিক দিয়ে স্বতন্ত্র। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে গাছপালা ও জীবজন্তুর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার মতো অনুকূল পরিবেশ যেমন রয়েছে, অন্যদিকে তেমনই বিপন্ন প্রজাতির কুমির ও অজগরের সন্ধানও সেখানে বিরল নয়। পৃথিবী বিখ্যাত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের বাসভূমিও হল এই সুন্দরবন অঞ্চল। আবার, আন্দামান, সুন্দরবন এবং গুজরাট অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ব্যাপক প্রসার ও বিস্তারও একটি আশাব্যঞ্জক ঘটনা। গত পাঁচ দশক ধরে ম্যানগ্রোভ গড়ে তোলার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভারত পথ দেখিয়ে আসছে। দেশের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল বরাবর লুপ্তপ্রায় ম্যানগ্রোভগুলির পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টাতেও ভারত সাফল্য দেখিয়েছে। ভারতের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় হারিয়ে যাওয়া ম্যানগ্রোভগুলির পুনরুদ্ধারের কাজে সাফল্য এনে দিতে পারে।

জোটবদ্ধভাবে ম্যানগ্রোভ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার এক বিশেষ মঞ্চ গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবক’টি দেশকেই ধন্যবাদ জানান শ্রী ভূপেন্দ্র যাদব।

 
PG/SKD/DM/


(Release ID: 1874695) Visitor Counter : 449