মন্ত্রিসভারঅর্থনৈতিকবিষয়সংক্রান্তকমিটি
azadi ka amrit mahotsav

২০২৩-২৪ বিপণন মরশুমে রবি শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

Posted On: 18 OCT 2022 1:34PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৮ অক্টোবর ২০২২

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে আজ আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি ২০২৩-২৪ বিপণন মরশুমের জন্য নির্ধারিত রবি শস্যের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে।

২০২৩-২৪ বিপণন মরশুমে রবি শস্যের ক্ষেত্রে উৎপাদকরা যাতে তাঁদের পণ্যের লাভদায়ক দাম পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করেছে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সর্বাধিক বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মুসুর ডালের জন্য, ক্যুইন্টাল প্রতি ৫০০ টাকা। রেপসিড এবং সর্ষের ক্ষেত্রে ক্যুইন্টাল প্রতি ৪০০ টাকা আর কুসুম বীজের তেলের জন্য ক্যুইন্টাল প্রতি ২০৯ টাকা বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গম, ছোলা এবং বার্লির জন্য যথাক্রমে ক্যুইন্টাল প্রতি ১১০ টাকা, ১০৫ টাকা এবং ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে কৃষকদের উৎপাদন মূল্যের দেড়গুণ বেশি দেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই মতো ২০২৩-২৪ বিপণন মরশুমে রবি শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানো হয়েছে। রেপসিড এবং সর্ষের ক্ষেত্রে ১০৪ শতাংশ, গমের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ, মুসুর ডালের ক্ষেত্রে ৮৫ শতাংশ ছোলার ক্ষেত্রে ৬৬ শতাংশ, বার্লির ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ এবং কুসুম বীজের তেলের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ বিনিময় মূল্য পাবেন কৃষকরা।

২০১৪-১৫ সাল থেকেই তৈলবীজ ও দানাশস্যের ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হয়। ২০১৪-১৫ সালে যেখানে তৈলবীজের উৎপাদন ছিল ২৭.৫১ মিলিয়ন টন, সেখানে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের চতুর্থ আগাম হিসাব অনুযায়ী তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭.৭০ মিলিয়ন টন। দানাশস্যের ক্ষেত্রেও অনুরূপ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।

তৈলবীজ এবং দানাশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি সরকারের অগ্রাধিকার হিসেবে আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য পূরণ করছে। ক্ষেত্র বিন্যাস এবং উচ্চ ফলনশীল বীজ, ন্যূনতম সহায়ক ও প্রক্রিয়াকরণকে অঙ্গ করে এই উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশলগত দিক স্থির করা হয়েছে।

দেশের কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিকাজকে আরও উন্নত করে তোলা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, কৃষিক্ষেত্রে উন্নতমানের ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগ, ইন্টারনেট অফ থিংস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ড্রোন প্রযুক্তি, ব্লক চেন পদ্ধতি ইত্যাদির ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও, মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কাজ চলছে। এক্ষেত্রে কৃষিক্ষেত্রে স্টার্ট-আপ-এর প্রসার এবং কৃষি-উদ্যোগপতিদের সরকার সহায়তা করছে।


PG/AB/DM



(Release ID: 1868810) Visitor Counter : 428