প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী সুরাট তিরঙ্গা যাত্রায় ভাষণ দিয়েছেন


“আমাদের ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা আমাদের অতীতের গর্ব, বর্তমানের সময়ের অঙ্গীকার ও ভবিষ্যত স্বপ্নের প্রতিফলন”

“আমাদের জাতীয় পতাকা দেশের বস্ত্র শিল্পের, খাদি ও আমাদের আত্মনির্ভরতার প্রতীক”

“আমাদের ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা ভারতের ঐক্য, সংহতি এবং বৈচিত্র্যের প্রতীক”

“জনঅংশীদারিত্বের এই অভিযান নতুন ভারতের ভিতকে শক্তিশালী করবে”

Posted On: 10 AUG 2022 6:58PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১০ অগাস্ট, ২০২২

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুরাটে তিরঙ্গা যাত্রায় ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণের শুরুতেই তিনি সকলকে অমৃত মহোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আর কয়েকদিন পরই ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা সকলে দেশের প্রতিটি প্রান্তে ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

শ্রী মোদী বলেছেন, এই উতসবকে ঘিরে গুজরাটের প্রতিটি প্রান্তে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। আর সুরাটও সেই উদ্যোগে সামিল হয়েছে। তিনি বলেন, “আজ সারা দেশ সুরাটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এক কথায় তিরঙ্গা যাত্রায় ছোটখাটো একটি ভারতবর্ষের প্রতিফলন নজরে আসছে। সমাজের প্রতিটি অংশের মানুষ এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করছেন”। তিনি আরও বলেন, সুরাট তার ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের জন্য সারা বিশ্বের দরবারে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। আজ এই তিরঙ্গা যাত্রা সারা বিশ্বের কাছে আগ্রহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শ্রী মোদী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের উদ্দীপনা আজ এই তিরঙ্গা যাত্রার মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হচ্ছে। “বস্ত্র বিক্রেতা, দোকানদার, তাঁত যন্ত্র নির্মাতা, সূচি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি, পরিবহণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি - সকলেই আজ এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন। সুরাটের বস্ত্রশিল্পের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিরঙ্গা যাত্রাকে জনঅংশীদারিত্বে পরিণত করায় এটি মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। এর জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের, বিশেষ করে শ্রী সানওয়ার প্রসাদ বুধিয়া এবং ‘সাকেত – পরিষেবা প্রদানই মূল লক্ষ্য’ গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশংসা করেছেন। এই উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করায় তিনি সাংসদ শ্রী সি আর পাতিলজীকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের জাতীয় পতাকা দেশের বস্ত্র শিল্পের, খাদি ও আমাদের আত্মনির্ভরতার প্রতীক”। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে সুরাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাপুর নেতৃত্বে গুজরাট স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং স্বাধীনতার পর ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর বীজ লৌহমানব সর্দার প্যাটেল বপন করেছেন। বারদোলি আন্দোলন এবং ডান্ডি যাত্রার মধ্য দিয়ে গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।

শ্রী মোদী বলেছেন, ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা শুধুমাত্র তিনটি রঙ-এর সমারোহই নয়, এই পতাকা আমাদের অতীতের গর্ব, বর্তমান সময়ের অঙ্গীকার ও ভবিষ্যতে স্বপ্নের প্রতিফলন। আমাদের ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা ভারতের ঐক্য, সংহতি এবং বৈচিত্র্যের প্রতীক। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ত্রিবর্ণরঞ্জিত এই জাতীয় পতাকার মধ্য দিয়ে দেশের ভবিষ্যতের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নকে কখনই অবহেলা করা যাবে না। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষের পর যখন আমরা নতুন ভারত গঠনের পথে এগোচ্ছি, তখন এই পতাকা আরও একবার দেশের ঐক্য ও চেতনার প্রতিনিধিত্ব করছে।

দেশ জুড়ে তিরঙ্গা যাত্রা অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’র প্রতি দেশবাসীর নিষ্ঠা প্রতিফলিত হচ্ছে। “১৩-১৫ অগাস্ট দেশের প্রত্যেক বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রত্যেক প্রান্তের মানুষ এই উদ্যোগে অগশগ্রহণ করবেন, যা ভারতীয় নাগরিকদের সচেতনতার পরিচয় বহন করে”।

শ্রী মোদী বলেছেন, ভারতমাতার সন্তানের পরিচয়ই হ’ল - জাতীয় পতাকা। পুরুষ ও মহিলা, যুবসম্প্রদায়, প্রবীণ নাগরিক – সকলেই ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিতে সামিল হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। দরিদ্র মানুষ, তন্তুবায় সহ বহু মানুষ ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানের থেকে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পেরেছেন। তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। এর মাধ্যমে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে যেসব সংকল্প নেওয়া হয়েছে, সেগুলি বাস্তবায়নে নতুন উৎসাহ তৈরি হবে। জনঅংশীদারিত্বের এই অভিযান নতুন ভারতের ভিতকে শক্তিশালী করবে।

 

PG/CB/SB



(Release ID: 1852328) Visitor Counter : 142