ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্রওমাঝারিশিল্পমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

২০২১-২২ অর্থবর্ষে পিএমইজিপি-র আওতায় সর্বাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে কেভিআইসি বিগত সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে

Posted On: 19 APR 2022 2:38PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৯ এপ্রিল, ২০২২

 

প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচি (পিএমইজিপি) রূপায়ণের মাধ্যমে বিগত বছরটিতে খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশন (কেভিআইসি) ঐতিহাসিক কৃতিত্ব অর্জন করেছে। নজিরবিহীনভাবে ১ লক্ষ ৩ হাজার নতুন উৎপাদন ও পরিষেবা ইউনিট স্থাপন এবং ৮ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করে পিএমইজিপি ২০২১-২২ এ ধারাবাহিকতার দিক থেকে সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময় গত অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাস আংশিক লকডাউন সত্ত্বেও কর্মসংস্থানের নিরিখে এই অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। 

২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচি শুরুর সময় থেকে এই প্রথম খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশন কেবল একটি অর্থবর্ষেই ১ লক্ষেরও বেশি নতুন উৎপাদন ও পরিষেবা ইউনিট গড়ে তুলেছে। নতুন ১ লক্ষ ৩ হাজার ২১৯টি ইউনিট গড়ে তোলার জন্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে কমিশন মার্জিন মানি ভর্তুকি বাবদ ২ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা খরচ করেছে। বাকি প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ সহায়তা হিসাবে পাওয়া গেছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে মার্জিন মানি ভর্তুকি বাবদ কমিশন যে ২ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা দিয়েছে, তা ২০০৮ থেকে সর্বাধিক। সারা দেশে পিএমইজিপি কর্মসূচির মাধ্যমে ৮ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৫২টি নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে, যা এ যাবৎ সর্বোচ্চ। 

২০২০-২১ এর তুলনায় পিএমইজিপি-র আওতায় গত অর্থবর্ষে উৎপাদন ও পরিষেবা ইউনিটের সংখ্যা এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ৩৯ শতাংশ অগ্রগতি ঘটেছে। একইভাবে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২২-২৩ এ মার্জিন মানি বন্টনের (ভর্তুকি) ক্ষেত্রেও ৩৬ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। 

বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে পিএমইজিপি-র আওতায় ২০১৪-১৫ থেকে উৎপাদন ও পরিষেবা ইউনিটের সংখ্যায় ১১৪ শতাংশ, কর্মসংস্থানের নিরিখে ১৩১ শতাংশ এবং মার্জিন মানি বন্টনের ক্ষেত্রে ২০২১-২২ এ ১৬৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। 

স্বনির্ভরতা অর্জনে স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী যে অগ্রাধিকার দিয়েছেন, তার ফলেই কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে বলে কমিশনের চেয়ারম্যান শ্রী বিনয় কুমার সাক্সেনা অভিমত প্রকাশ করেছেন। কোভিড-১৯ মহামারী সত্ত্বেও স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই সাফল্য আখেরে বিস্ময়ের মতো। পিএমইজিপি-র আওতায় বিপুল সংখ্যায় যুবক-যুবতী মহিলা ও প্রবাসী শ্রমিকরা স্বনিযুক্তির পেশায় যুক্ত হয়েছেন। এমনকি, কমিশন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রকের একাধিক কার্যকর সিদ্ধান্ত কর্মসংস্থানমুখী বিভিন্ন কর্মসূচির রূপায়ণ ত্বরান্বিত করেছে। এর ফলে, কমিশনও সেরা সাফল্য পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচি রূপায়ণে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কমিশন একাধিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কমিশন ইতিমধ্যেই পিএমইজিপি-র জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করেছে। অনলাইন পোর্টাল চালু হওয়ার ফলে বার্ষিক প্রায় গড়ে ৪ লক্ষ আবেদনপত্র জমা পড়ছে। এমনকি, অনলাইন ব্যবস্থায় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এসেছে। 

 

CG/BD/SB


(Release ID: 1818065) Visitor Counter : 267