কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা

কয়লা খনি এলাকা (অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৫৭-র আওতায় অধিগ্রহণ করা জমি ব্যবহারের নীতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন


এই পরিবর্তনের ফলে অ-খননযোগ্য জমিতে কয়লা ও জ্বালানি সংক্রান্ত পরিকাঠামো স্থাপন ও তার উন্নয়ন করা যাবে

Posted On: 13 APR 2022 3:26PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৩ এপ্রিল, ২০২২
 
কয়লা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা কয়লা খনি এলাকা (অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৫৭-র আওতায় অধিগ্রহণ করা জমি ব্যবহারের নতুন নীতি অনুমোদন করেছে। এর ফলে, যেসব খনির কয়লা নিঃশেষিত অথবা যেখানে খনন করা সম্ভব নয়, সেই সব জমি কয়লা ও জ্বালানি সংক্রান্ত পরিকাঠামো স্থাপন এবং তার উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে। 
 
কয়লা খনি এলাকা (অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন) আইনে, যেসব এলাকায় মাটির নীচে কয়লা আছে সেইসব এলাকা সরকারকে অধিগ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অধিগ্রহণের পর সরকার সেগুলি কোনো সরকারি সংস্থাকে দিতে পারে। নতুন নীতিতে এই ধরণের অধিগৃহীত জমি ব্যবহারের সুস্পষ্ট নীতিকাঠামোর দিশা নির্দেশ করা হয়েছে। এর আওতায় যেসব জমি পড়বে তা হল –
 
ক) যেসব জমি আর কয়লা খননের উপযুক্ত বা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয়;
খ) যেসব জমির তলায় থাকা কয়লার ভাণ্ডার নিঃশেষিত।
 
এই ধরণের জমির মালিকানা কোল ইন্ডিয়া এবং তার অধীনস্থ সংস্থার মতো সরকারি কোম্পানীগুলির হাতেই থাকবে। অনুমোদিত নীতিতে যেসব নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের উল্লেখ করা হয়েছে, কেবলমাত্র সেইসব উদ্দেশ্যেই জমি লিজ দেওয়া যেতে পারে। কয়লা ও জ্বালানি সংক্রান্ত পরিকাঠামো নির্মাণে যৌথ উদ্যোগের ক্ষেত্রে সরকারি কয়লা সংস্থাগুলিকে বেসরকারি পুঁজি আমন্ত্রণের অধিকার দেওয়া হয়েছে। 
 
সরকারি কোম্পানীগুলির মালিকানায় থাকা এই ধরণের জমি, অনুমোদিত নীতির শর্ত মেনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লিজ দেওয়া যেতে পারে। লিজ দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে সর্বোত্তম মূল্য পাওয়া যায় সেজন্য একটি স্বচ্ছ, ন্যায্য এবং প্রতিযোগিতামূলক বিডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লিজ গ্রহণকারীকে নির্বাচন করতে হবে। লিজ দেওয়া জমিতে যেসব কাজ করা যাবে তা হল – 
 
১) কয়লা ধোয়ার কারখানা স্থাপন;
২) কনভেয়ার সিস্টেম স্থাপন;
৩) কয়লা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপন;
৪) রেলওয়ে সাইডিং নির্মাণ;
৫) এই আইন বা অন্য কোনো আইনের আওতায় জমি অধিগ্রহণের ফলে প্রভাবিত পরিবারগুলির পুর্নবাসন;
৬) তাপবিদ্যুৎ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রকল্প স্থাপন;
৭) ক্ষতিপূরক বনসৃজন সহ কয়লা উন্নয়নমূলক পরিকাঠামো নির্মাণ;
৮) পথের অধিকার প্রদান;
৯) কয়লা গ্যাসীয়করণ এবং রাসায়নিক কারখানা স্থাপন; এবং 
১০) জ্বালানি সংক্রান্ত যে কোনো পরিকাঠামো নির্মাণ।
 
যেসব জমি থেকে কয়লা উত্তোলন হয়ে গেছে অথবা যেগুলি খননের অনুপযুক্ত, প্রায়শই সেখানে জমি জবরদখলের সমস্যা দেখা যায়। এজন্য এইসব জমির নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়, যা এড়ানো সম্ভব। অনুমোদিত নতুন নীতিতে এইসব জমিতে কয়লা ও জ্বালানি সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। এতে জমির মালিকানা সরকারি সংস্থাগুলির হাতেই থেকে যাবে, উপরন্তু বিপুল সংখ্যক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। 
 
অ-খননযোগ্য জমির এই বিকল্প ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ায় কোল ইন্ডিয়ার ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যয়ও কমবে। এই জমিতে কোল ইন্ডিয়া, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সৌরশক্তি উৎপাদনের কারখানা অথবা অন্য কোনো ধরণের কয়লা ও জ্বালানি সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারবে। এখানে কয়লার গ্যাসীয়করণ প্রকল্প স্থাপন করলে সেটিও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হতে পারে, কারণ এক্ষেত্রে কাছেই কয়লা থাকায় পরিবহণ খরচ বাঁচবে।
 
এই ধরণের জমি পুনর্বাসনে ব্যবহার করা হলে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমি সম্পদের অপচয় রোধ করবে, প্রভাবিত পরিবারগুলির পুনর্বাসনের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না। এতে প্রকল্পগুলির উপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ এড়ানো যাবে এবং প্রকল্পগুলির লাভযোগ্যতা বাড়বে। বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলির চাহিদাও এতে মিটবে, কারণ তারা সাধারণত তাদের আগেকার বসবাসের জায়গার কাছাকাছি থাকতেই পছন্দ করেন। এর জেরে কয়লা প্রকল্পগুলির জন্য স্থানীয় সমর্থন বাড়বে। রাজ্য সরকারগুলি এই জমিতে বনসৃজনও করতে পারে। সেক্ষেত্রে যে বনভূমি কয়লা খননের জন্য দেওয়া হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব হবে। 
 
এই নীতি দেশীয় উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে উৎসাহ দিয়ে, আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। এর সুবাদে দেশের পিছিয়ে থাকা এলাকাগুলিতেও কয়লা ও জ্বালানি সংক্রান্ত পরিকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ দেখা দেবে। অধিগৃহীত জমির সুচারু ব্যবহার, নতুন করে জমির অপ্রয়োজনীয় অধিগ্রহণ বন্ধ করবে এবং স্থানীয় উৎপাদন ও শিল্পকে উৎসাহিত করবে।
 
CG/SD/AS/


(Release ID: 1816690) Visitor Counter : 254