প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে একটি ব্যাঙ্ক আমানত বীমা কর্মসূচিতে আমানতকারীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন


"বিগত কয়েকদিনে, এক লাখেরও বেশি আমানতকারী তাঁদের অর্থ ফেরত পেয়েছেন, যা বছরের পর বছর ধরে আটকে ছিল। এই অর্থের পরিমাণ ১৩০০ কোটি টাকারও বেশি"

"আজকের নতুন ভারত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে, আজকের ভারত সমস্যা এড়িয়ে যায় না"

"দরিদ্র মানুষের উদ্বেগ বুঝে, মধ্যবিত্তের উদ্বেগ বুঝে আমরা গ্যারান্টির পরিমাণ বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করেছি"

"আগে রিফান্ডের কোনো সময়সীমা ছিল না, এখন আমাদের সরকার ৯০ দিনের মধ্যে অর্থ ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে"

"দেশের সমৃদ্ধিতে ব্যাঙ্কের প্রধান ভূমিকা রয়েছে, আর ব্যাঙ্কের সমৃদ্ধির জন্য আমানতকারীদের অর্থ নিরাপদ থাকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি ব্যাংককে বাঁচাতে চাই তবে আমানতকারীদের রক্ষা করতে হবে"

"বিশ্বের উন্নত দেশগুলি যখন তাদের নাগরিকদের সাহায্য করতে হিমশিম খাচ্ছিল, তখন ভারত খুব দ্রুত দেশের প্রায় প্রতিটি স্তরে সরকারি সাহায্য প্রদান করেছে"

জনধন যোজনার অধীনে খোলা কোটি কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে অর্ধেকের বেশি মহিলাদের

Posted On: 12 DEC 2021 1:26PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লিতে "আমানতকারীদের জন্য প্রথম গ্যারান্টিযুক্ত সময় সীমাযুক্ত আমানত বীমা পেমেন্ট ৫ লক্ষ টাকা"শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর। প্রধানমন্ত্রী কয়েকজন আমানতকারীর হাতে চেকও তুলে দেন।
সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনটি ব্যাংকিং খাত এবং দেশের কোটি কোটি ব্যাঙ্ক আমানতকারীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। কেননা এই দিনটি সাক্ষী হয়ে রয়েছে যে কিভাবে কয়েক দশক ধরে চলে আসা একটি বড় সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। "ডিপোজিটার ফার্স্ট" এর স্পিরিট খুবই অর্থবহ। গত কয়েক দিনে এক লাখেরও বেশি আমানতকারী তাঁদের অর্থ ফেরত পেয়েছেন, যা বছরের পর বছর ধরে আটকে ছিল। এই অর্থের পরিমাণ ১৩০০ কোটি টাকারও বেশি বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো দেশই কেবল সময় মতো সমাধানের মাধ্যমে সমস্যাগুলিকে আরও প্রকট অবস্থা থেকে বাঁচাতে পারে। তিনি বলেন, বহুকাল ধরে সমস্যা এড়ানোর একটা প্রবণতা ছিল। কিন্তু আজকের নতুন ভারত সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করে, ভারত সমস্যা এড়ায় না।
প্রধানমন্ত্রী জানান যে, ভারতে ব্যাঙ্ক আমানতকারীদের জন্য বীমা ব্যবস্থা ৬০-এর দশকে চালু হয়েছিল। এর আগে, ব্যাঙ্কে জমা করা টাকার পরিমাণের মধ্যে কেবলমাত্র ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়। অর্থাৎ ব্যাঙ্ক ডুবে গেলে আমানতকারীদের মাত্র ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফেরত পাওয়ার বিধান ছিল। এই টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো সময়সীমা ছিল না। গরিবদের কথা চিন্তা করে, মধ্যবিত্তের কথা চিন্তা করে এই অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
শ্রী মোদী বলেন, আইন সংশোধন করে আরও একটি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। আগে যেখানে অর্থ ফেরত দেওয়ার কোনো সময়সীমা ছিল না, এখন সরকার ৯০ দিনের মধ্যে অর্থ ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। অর্থাৎ তিন মাস। কাজেই একটি ব্যাঙ্ক ডুবে গেলেও আমানতকারীরা তাঁদের টাকা ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন যে, দেশের সমৃদ্ধিতে ব্যাঙ্কের ভূমিকা প্রধান। তেমনি ব্যাঙ্কের সমৃদ্ধির জন্য আমানতকারীদের অর্থ নিরাপদ থাকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি ব্যাঙ্ককে বাঁচাতে চাই তাহলেই কিন্তু আমানতকারীদের রক্ষা করা সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, বেশ কয়েক বছর ধরে অনেক ছোট ছোট সরকারি ব্যাংককে বড় ব্যাঙ্কগুলির সাথে একীভূত করার মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা ও সামর্থ্য এবং স্বচ্ছতা জোরদার করা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যখন ব্যাঙ্কগুলিকে পর্যবেক্ষণ করে তখন এটি সাধারণ আমানতকারীদের আস্থা বাড়ায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমস্যা শুধু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে নয়, প্রত্যন্ত গ্রামে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা ছিল। আজ দেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামে ব্যাঙ্কের শাখা বা ব্যাঙ্কিং সুবিধা পৌঁছে গেছে। আজকের ভারতের সাধারণ নাগরিকরা ২৪ ঘন্টা যেকোনো স্থান থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন করতে সক্ষম। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন অনেক সংস্কার করা হয়েছে যা ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে প্রভূত সাহায্য করেছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলি যখন তাদের নাগরিকদের সহায়তা দেওয়ার জন্য লড়াই করছিল, তখন ভারত দ্রুতগতিতে দেশের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারি সহায়তা দিয়েছে। বিশেষ করে বিপর্যয় অবস্থার সময়।
প্রধানমন্ত্রী জানান যে, গত কয়েক বছরে গৃহীত পদক্ষেপগুলির ফলে বীমা, ব্যাঙ্ক, ঋণ এবং আর্থিক ক্ষমতায়নের মতো সুবিধাগুলি দরিদ্র মহিলা থেকে শুরু করে রাস্তা ও ফুটপাতের হকার এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের একটি বড় অংশের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি বলেন যে, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র এর আগে কোনো উল্লেখযোগ্য উপায় দেশের মহিলাদের কাছে পৌঁছায়নি। তাই সরকারেকে অগ্রাধিকার হিসেবে নিয়েছে। জন ধন যোজনার অধীনে খোলা কোটি কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মহিলাদের। এই অ্যাকাউন্টগুলির ফলে মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন হয়েছে। সাম্প্রতিক জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষাতেও এটি দেখা গেছে।
আমানত বা বীমা সবই ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে কভার করে। ব্যাঙ্ক বর্তমানে আমানতকারীদের জন্য ৫ লাখ টাকার আমানত বীমা কভারেজ সহ আগের আর্থিক বছরের শেষে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৮০ শতাংশের আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্কের চেয়ে ৯৮.১ শতাংশ করেছে।
এর পাশাপাশি, ১৬ টি শহরাঞ্চলীয় সমবায় ব্যাংকের আমানতকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত দাবির ভিত্তিতে ডিপোজিট ইন্সুরেন্স এবং ক্রেডিট গ্যারান্টির বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। যা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বিধিনিষেধের মধ্যেই রয়েছে। বিকল্প ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট গুলি থেকে ১ লাখ আমানতকারীকে চাহিদা অনুযায়ী ১৩০০ কোটি টাকারও বেশি প্রদান করা হয়েছে।
 
 
CG/ SB

(Release ID: 1780747) Visitor Counter : 255