আদিবাসীবিষয়কমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগামীকাল মণিপুরের তামেংলং জেলার লুয়াঙকাও গ্রামে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী রানী গাইদিনল্যু নামাঙ্কিত সংগ্রহশালার শিলান্যাস করবেন।

Posted On: 21 NOV 2021 5:31PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২১ নভেম্বর, ২০২১

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগামীকাল মণিপুরের তামেংলং জেলার লুয়াঙকাও গ্রামে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী রানী গাইদিনল্যু নামাঙ্কিত সংগ্রহশালার শিলান্যাস করবেন। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী নংথোম্বাম বীরেন সিং, কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী অর্জুন মুন্ডা প্রমূখ।

এই প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকারের আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রকের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছে। এজন্য আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। মণিপুর রাজ্যের মন্ত্রী সভা তামেংলং জেলার লুয়াঙকাও গ্রামে এই সংগ্রহশালা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই লুয়াঙকাও গ্রামে হচ্ছে প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী রানী গাইদিনল্যুর জন্মস্থান। আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রকের উদ্যোগে গত ১৫ নভেম্বর থেকে আজাদী কি অমৃত মহোৎসব সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে। যা জনজাতীয় গৌরব দিবসে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সূচনা করেছিলেন।

রানী গাইদিনল্যু ১৯১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি জাদোনাং-য়ের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তাঁর সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আন্দোলনে তাঁর লেফটেন্যান্ট হয়েছিলেন। জাদোনাঙ্গের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর গাইদিনল্যু আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এরপর তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেন। ব্রিটিশদের হাতে তিনি ১৪ বছর কারাবন্দী ছিলেন। অবশেষে ১৯৪৭ সালে মুক্তি পান। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য তিনি "রানী" হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। ১৯৯৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি তাঁর জন্মস্থান লুয়াঙকাও গ্রামে পরলোকগমন করেন। ১৯৭২ সালে তিনি ভারত সরকার কর্তৃক তাম্রপত্র গ্রহণ করেন। ১৯৮২ সালে পদ্মভূষণ লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি বিবেকানন্দ সেবা সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৯১ সালে শ্রী শক্তি পুরস্কার গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ সালে তাকে মরণোত্তর ভগবান বীরসা মুন্ডা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

 

CG/ SB


(Release ID: 1773903) Visitor Counter : 179