নারীওশিশুবিকাশমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি শিশু অধিকার সম্পর্কিত জাতীয় কর্মশিবিরের উদ্বোধন করেছেন

গণতন্ত্রের সর্বোত্তম পরীক্ষাই হল আমরা যদি নাগরিক হিসেবে, জাতি হিসেবে আমাদের শিশুদের ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে পারি : শ্রীমতী ইরানি

Posted On: 21 NOV 2021 5:28PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২১ নভেম্বর,  ২০২১
 
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানি বলেছেন, আমরা যদি নাগরিক হিসেবে, জাতি হিসেবে আমাদের শিশুদের কাছে সুবিচার পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে সেটাই গণতন্ত্রের সর্বোত্তম পরীক্ষা। শিশু অধিকার সম্পর্কিত জাতীয় স্তরের এক কর্মশিবিরে ভাষণ দিতে গিয়ে শ্রীমতী ইরানি শিশু সুরক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক সম্পর্কে গুরুত্ব দেন। জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন আয়োজিত এই কর্মশিবির আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে। শ্রীমতী ইরানি আরও বলেন, একটি গণতন্ত্রের প্রকৃত পরিচয় হল, কিভাবে সে শিশুদের সুরক্ষা দিয়ে থাকে। 
 
মন্ত্রী আরও বলেন, শিশু অধিকার সুরক্ষা সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরী, যাতে সমগ্র সমাজ শিশুদের সুরক্ষা ও পুনর্বাসনে এগিয়ে আসতে পারে। শিশু অধিকার সুরক্ষায় মন্ত্রক একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়ে ইতিমধ্যেই সংসদে শিশুদের যৌন নিগ্রহ থেকে সুরক্ষার জন্য পক্সো আইন এবং নাবালক সুবিচার (শিশুদের পরিচর্যা ও সুরক্ষা) আইন সংশোধন করা হয়েছে। অবশ্য, সমাজ ক্রমশ পরিবর্তনশীল, প্রশাসনিক নিয়ম-নীতিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাচ্ছে। তাই, এটা আমাদের দায়িত্ব যে পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতেও প্রস্তুত থাকা। 
 
শ্রীমতী ইরানি আরও বলেন, অনেকের মনে এরকম ধারণা রয়েছে যে, দুর্ব্যবহার কেবল দরিদ্র পরিবারের মধ্যেই সীমিত। আসলে শিশুদের উপর দুর্ব্যবহার কেবল দারিদ্রের জন্যই নয়, বরং স্বচ্ছল পরিবারগুলিতেও এধরণের ঘটনা ঘটে থাকে। তিনি কর্মশিবিরে অংশগ্রহণকারী সকলকে দারিদ্রের কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলির ওপর নজর রাখার পাশাপাশি স্বচ্ছল পরিবারগুলিতে শিশুদের ওপর অমানবিক আচরণের ঘটনার প্রতি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। 
 
স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এই কর্মশিবিরে শ্রীমতী ইরানি বলেন, আপনাদের কাঁধে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাধীনতা রয়েছে, যাতে তারা নির্ভয়ে বেড়ে উঠতে পারে, যাতে তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলতে পারে। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি সুবিচার চায় তবে তা দেওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে এই বিশ্বাস নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে, শিশুদের সুরক্ষায় আপনি যে কর্তব্য পালন করছেন, তা ভবিষ্যতেও সেই প্রজন্মের ক্ষেত্রে অটুট থাকবে। তিনি শিশুদের ওপর দুর্ব্যবহার এবং দুর্ব্যবহারের ঘটনা জানানো সম্পর্কে সচেতন করে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন। 
 
স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক গত ১৪ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত মহিলা ও শিশু কল্যাণে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সারা দেশে এধরণের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে শিশুদের অধিকার, তাদের পুষ্টি এবং চাইল্ড কেয়ার প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী এধরণের কর্মসূচি গ্রহণের উদ্দেশ্যই ছিল শিশু অধিকার এবং তাদের সুরক্ষায় সচেতনতা গড়ে তোলা। 
 
CG/BD/AS/

(Release ID: 1773835) Visitor Counter : 209