প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময়ে (৯-ই অক্টোবর,২০২১) ভারত – ডেনমার্ক যৌথ বিবৃতি

Posted On: 09 OCT 2021 3:40PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৯ অক্টোবর, ২০২১

 

ভারতীয় সাধারণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাগত জানিয়েছেন, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শ্রীমতি মেট ফেডেরিকসেনকে ৯ থেকে ১১-ই অক্টোবর, ২০২১ তাঁর ভারত সফরের সময়ে । 

দুই প্রধানমন্ত্রী ভারত ও ডেনমার্কের মধ্যে উষ্ণ এবং বন্ধুত্বের সম্পর্কে জোর দিয়েছেন যার ভিত্তি  হল উভয়ের একই নীতি এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের জন্য শ্রদ্ধার ভাবনা । তারা বলেছেন , ভারত এবং ডেনমার্ক স্বাভাবিক এবং নিকট অংশীদার । তারা দিক নির্ণয়ের স্বাধীনতা সহ বিধিভিত্তিক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং বহুমুখিতাকে শক্তিশালী করতে এবং সংস্কারের প্রয়াসকে বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়েছেন । প্রধানমন্ত্রীরা সন্তোষের সঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে, ২০২০-তে ২৮-শে সেপ্টেম্বর তাদের ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের সময়ে ভারত এবং ডেনমার্কের মধ্যে গ্রীন স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্বের সূচনার সময় থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচক এবং উৎসাহজনক অগ্রগতি হয়েছে । প্রধানমন্ত্রীরা তাদের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করে জানান যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগামী বছরগুলিতে আরও শক্তিশালী হবে  পারস্পরিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে বিশেষ করে সবুজ ক্ষেত্রে  । এছাড়াও স্বাস্থ্য সহ অন্যান্য অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সহযোগিতার বিষয়েও দুই প্রধানমন্ত্রী পুনরায় সাংস্কৃতিক সহযোগিতার গুরুত্বের উল্লেখ করেছেন এবং ভারত ও ডেনমার্কের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় আরও জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন । 
     
গ্রীন স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্বের জন্য পঞ্চবার্ষিক কর্মপরিকল্পনা 

দুই প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশাযুক্ত এবং ফলাফল সম্পৃক্ত গ্রীন স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্বে তাদের দায়বদ্ধতা সম্পর্কে  পুনঃআশ্বাস দিয়েছেন । তারা বিস্তারিত পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকে (২০২১-২০২৬) স্বাগত জানিয়েছেন এবং এটি রূপায়ণে অগ্রগতির উল্লেখ করেছেন । তারা সম্মত হয়েছেন যে, গ্রীন স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্ব জোরদার করলে তা গ্রীন গ্রোথের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি পৌঁছে দেবে পারস্পরিক উপকারিতাযুক্ত সহযোগিতায় । তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,  ভবিষ্যতে উপযুক্ত অনুষ্ঠানে অগ্রগতি খতিয়ে দেখবেন এবং গ্রীন স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্ব আরও বাড়াতে এবং জোরদার করার পথগুলি বিবেচনা করবেন । 

দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন এবং গ্রীন গ্রোথ 

প্রধানমন্ত্রীরা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রতিফলিত গ্রীন এবং কার্বনহীন উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পন্থায় আলোকপাত করেছেন । এর মধ্যে আছে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলি :  জল, পরিবেশ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং এটিকে গ্রীডের সঙ্গে যুক্ত করা, জলবায়ু পরিকল্পনা, সম্পদের সঠিক ব্যবহার এবং চক্রাকার অর্থনীতি, দীর্ঘস্থায়ী এবং স্মার্টসিটি, বাণিজ্য, মেধাস্বত্ব অধিকারে সহযোগিতা সহ ব্যবসা ও লগ্নি, সমুদ্র সহযোগিতা ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা, খাদ্য ও কৃষি, বিজ্ঞান – প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, স্বাস্থ্য ও জীবন বিজ্ঞান, বহুমুখী সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতা, এছাড়া সাংস্কৃতিক ও মানুষে মানুষে সংযোগ । 

দুই প্রধানমন্ত্রী  ভারতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনে প্রভূত সম্ভাবনার উল্লেখ করেছেন এবং এই প্রসঙ্গে গুজরাট এবং তামিলনাড়ুতে ড্যানিস কোম্পানীগুলির নতুন উৎপাদন এবং প্রযুক্তির লগ্নিকে স্বাগত জানিয়েছেন । তারা উৎসাহিত বায়ু শক্তি সহ  শক্তিক্ষেত্রে, পাওয়ার মডেলিং এবং গ্রীড সংহতি ক্ষেত্রে বিস্তারিত এবং বহুমুখী সহযোগিতায় ২০২০-র সেপ্টেম্বরে তাদের মধ্যে ভার্চুয়াল শিখর সম্মেলন থেকে উল্লেখযোগ্য গতিতে যা বর্ধিত হয়েছে । দুই প্রধানমন্ত্রী সম্মত হয়েছেন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়াতে বিশেষ করে গ্রীন হাইড্রোজেন, ই-মোবিলিটি এবং স্টোরেজ ক্ষেত্রে । দুই প্রধানমন্ত্রী ই-ইউ হরাইজন কর্মসূচী এবং মিশন ইনভোশেনের অধীনে সহ নতুন গ্রীন এনার্জি প্রযুক্তিতে সক্রিয় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উল্লেখ করেছেন । জোর দিয়েছেন কম কার্বন নিঃসরণের জন্য ভারত-ডেনমার্ক অংশীদারিত্বে পাশাপাশি গ্রীন হাইড্রোজেন সহ গ্রীন জ্বালানী ক্ষেত্রে গবেষণা এবং উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য পরিকল্পিত যৌথ উদ্যোগে । 

দুই প্রধানমন্ত্রীই জোর দিয়েছেন জল ক্ষেত্রে সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর। এবং শহর ও গ্রামে জল, বর্জ্য জল ব্যবস্থাপনা এবং নদী পুনরুজ্জীবন ক্ষেত্রে দুই সরকারের যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন । দুই প্রধানমন্ত্রী জল সরবরাহ, বর্জ্য জল ব্যবস্থাপনা এবং নদী পুনরুজ্জীবনে কাজকর্ম বাড়ানোর সম্ভাবনার উল্লেখ করেছেন শহর স্তর থেকে রাজ্যস্তর/অববাহিকা স্তর পর্যন্ত । সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাহায্যে বিষয়টি নিয়ে আরও চর্চায় উৎসাহিত করেছেন তারা । দুজনেই স্বীকার করেন যে, যৌথ উদ্যোগে দীর্ঘস্থায়ী জল সরবরাহের উন্নতি হতে পারে । যার মধ্যে আছে জলের ক্ষতি কমানো, জল সম্পদের ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য জল ব্যবস্থাপনা থেকে ভারতে সম্পদ পুনরুদ্ধারে রূপান্তর । 

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফেডেরিকসেন ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স আইএসএ-তে ডেনমার্কের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন । তিনি বলেন, এই উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনার লক্ষ্য আন্তর্জাতিক স্তরে একযোগে জলবায়ু সংক্রান্ত কাজকর্ম, যার মধ্যে থাকবে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির সমস্ত উৎসকে তুলে ধরতে যৌথ উদ্যোগ । লিড আইটি-র সদস্য ভারত এবং ডেনমার্ক । তাই দুই প্রধানমন্ত্রীই শিল্প রূপান্তরে নেতৃত্ব গোষ্ঠীর সম্পর্কে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়েছেন । 

প্যারিস চুক্তি এবং রাষ্ট্রসংঘের সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস্ – এসডিজি-র লক্ষ্য অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনে আন্তর্জাতিক সমস্যা মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগের পুনরাশ্বাস দিয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী । প্রধানমন্ত্রীরা বলেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন একটি আন্তর্জাতিক সঙ্কট, যার জন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব । ডেনমার্ক এবং ভারত বলেছে যে, আরও সবুজ এবং দীর্ঘস্থায়ী ভবিষ্যতে স্বচ্ছ এবং ন্যায্য রূপান্তর অর্জন করতে দ্রুতগতি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন । এর জন্য প্রয়োজন জাতীয় পরিস্থিতির এবং সাম্যের নীতির ভিত্তিতে অভিন্ন কর্মসূচি এবং প্যারিস চুক্তির অধীনে দায়বদ্ধতা । প্রধানমন্ত্রীরা বলেন, কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক উচ্চাশা যুক্ত কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন, যার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে সেরা বিজ্ঞান এবং ইন্টারগভর্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর ষষ্ঠ পর্যালোচনা প্রতিবেদনের বক্তব্যগুলিকে । প্রধানমন্ত্রীরা আরও সম্মত হন যে, অতিমারি পরবর্তী অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সহযোগিতা প্রযোজন । দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয় গ্লাসগোয় আসন্ন কপ-২৬ নিয়ে । তাদের আশা কপ-২৬ থেকে সঠিক ফল পাওয়া যাবে এবং এই লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে হবে । 

দুই প্রধানমন্ত্রীই দীর্ঘস্থায়ী আর্থিক সহায়তা এবং লগ্নির সংশ্লিষ্ট উৎসগুলি চিহ্নিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন । বেসরকারি আর্থিক সহায়তাদানকারি সংস্থাগুলির মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহ এবং দায়বদ্ধতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা । দুই প্রধানমন্ত্রী তাদের দায়বদ্ধতা জানান বিনিয়োগ এবং প্রকল্প রূপায়ণের প্রসার ঘটাতে আরও আলোচনা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে সহায়ক কাঠামোগত পরিস্থিতির মধ্যে । এছাড়া প্রধানমন্ত্রীরা মনে করেন উদ্ভাবন এবং সহজে প্রাপ্য প্রযুক্তি হস্তান্তর জরুরি, কম কার্বনের শক্তি এবং শিল্প রূপান্তরের প্রসারে । প্রধানমন্ত্রীরা একটি অভিন্ন উচ্চাশা ব্যক্ত করেন, যা হল ই-মোবিলিটি, অফশোর উইন্ড, ফুয়েল টেকনোলজি – যার মধ্যে আছে গ্রীন হাইড্রোজেন এবং গ্রীন মিথানল ইত্যাদি – এই সব ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক সহযোগিতা প্রসারে । 

দুই প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, ২০২২-এ ভারতের বেঙ্গালুরুতে আনলিশ উদ্যোগের সূচনা হবে । দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগকামীতাকে লালন করতে যুব সমাজের ভূমিকাকে সাহায্য করবে এটি । সেজন্য দুই প্রধানমন্ত্রী নীতিআয়োগ – অটল ইনোভেশন মিশন এবং ইনোভেশন সেন্টার ডেনমার্ক ‘ওয়াটার চ্যালেঞ্জ ইন ২০২২ অ্যান্ড ২০২৩’-এর অধীনে দীর্ঘস্থায়ী জল উদ্যোগকে স্বাগত জানান । 

গ্রীন স্ট্র্যাটেজিক সহযোগিতা রূপান্তর করতে গৃহীত পদক্ষেপগুলিকে স্বাগত জানান দুই প্রধানমন্ত্রী । যার মধ্যে আছে জলজীবন মিশনকে সাহায্য করতে দীর্ঘস্থায়ী জল সরবরাহ নিয়ে তিন বছরের কর্ম-পরিকল্পনা, আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক এবং ডেনমার্ক সরকারের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী এবং স্মার্ট নগর জল ক্ষেত্রে ২০২১-এর ৫-ই জুলাইয়ের লেটার অফ ইনটেন্ট এবং তার পাশাপাশি সেন্টার ফর গঙ্গা রিভার বেসিন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, কানপুর এবং ডেনমার্কের ইনোভেশন সেন্টারের মধ্যে মৌ স্বাক্ষর, গঙ্গা নদীর জল পরিস্কার করতে প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়তা । 

স্বাস্থ্য, টিকাকরণ অংশীদারিত্ব এবং কোভিড – ১৯ 

কোভিড-১৯ অতিমারির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীরা তাদের মত বিনিময় করেন এবং উভয়েই সম্মত হন – বিশ্বের সকল দেশের উপকারের জন্য টিকা অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তায় । টিকা উৎপাদনে ভারতের মজবুত অবস্থান এবং সারা বিশ্বে যে দেশের প্রয়োজন, তাকে টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভারতকে অনন্য স্থান করে দিয়েছে, তারই ভিত্তিতে এই প্রস্তাব । প্রধানমন্ত্রীরা বলেন যে, ভারতের বিজ্ঞান সংস্থান এবং ডেনমার্কের নোভো নরডিস্ক ফাউন্ডেশনের মধ্যে সহযোগিতা স্থাপন করা উচিত দুদেশের । যাতে উভয়েরই সমান অবদান থাকে কার্ডিওভাস্কুলার এবং মেটাবলিক ব্যাধির ক্ষেত্রে গবেষণা এবং উন্নয়নের জন্য । দুই প্রধানমন্ত্রী দুদেশের মধ্যে যাতায়াত সহজ করতে টিকা শংসাপত্রে পারস্পরিক স্বীকৃতি সংক্রান্ত সুযোগ খোঁজার সিদ্ধান্ত নেন । 

দুই প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য বিষয়ে নব স্বাক্ষরিত সমঝোতা পত্রে তাদের সমর্থন জানান এবং তারা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রথম যৌথ কর্মীগোষ্ঠি ইতিমধ্যেই স্থাপিত হয়েছে । এই সমঝোতার সম্ভাবনার উল্লেখ করে তারা বলেন, ডিজিটাল হেল্থ, ক্রনিক ব্যাধি পাশাপাশি টিকা এবং অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল রেজিসটেন্সের বৃদ্ধি সহ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রভূত সম্ভাবনার ওপর জোর দেন তারা । কোভিড-১৯-এর মোকাবিলার পক্ষে এটি উল্লেখযোগ্য । 

নতুন চুক্তি 

দুই প্রধানমন্ত্রী নিম্নলিখিত চুক্তিগুলির সাক্ষী থাকলেন :
কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ এবং ড্যানিস পেটেন্ট এবং ট্রেডমার্ক অফিসের মধ্যে ট্রাডিশনাল নলেজ, ডিজিটাল লাইব্রেরী অ্যাকসেস চুক্তি । 

ভারত সরকারের দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোগ মন্ত্রক এবং ডেনমার্ক সরকারের মধ্যে জয়েন্ট লেটার অফ ইনটেন্ট ।

ভূ-পৃষ্ঠের জলের উৎস এবং অ্যাকুইফারের মানচিত্র তৈরি করার জন্য কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ, ন্যাশনাল জিও ফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট হায়দ্রাবাদ, ডেনমার্কের অ্যারহাস বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডেনমার্ক ও গ্রীনল্যান্ডের জিওলজিক্যাল সার্ভের মধ্যে সমঝোতা । 

সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি সহ নিরক্ষীয় জলবায়ুর জন্য স্বাভাবিক রেফ্রিজারেন্টসের লক্ষ্যে একটি উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়তে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সাযেন্স এবং ড্যানফস ইন্ডাস্ট্রিস প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা । 

বহুমুখী সহযোগিতা 

কোভিড-১৯-এর যথাযথ মোকাবিলায় বহুমুখী সহযোগিতা জোরদার করার গুরুত্বের উল্লেখ করেন দুই প্রধানমন্ত্রী । এর মধ্যে আছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কার এবং বলবৃদ্ধিকরণ এবং আন্তর্জাতিক আপৎকালিন প্রস্তুতি । তার পাশাপাশি স্বচ্ছ ও সবুজ উপায় তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা । 

প্রধানমন্ত্রী ফেডেরিকসেন ভারতকে অভিনন্দন জানান, অগাস্টে রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সফল পৌরোহিত্যের জন্য । রা্ষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার, প্রসার ও ভারতের স্থায়ী সদস্য পদে ডেনমার্কের সমর্থনের কথা জানান । প্রধানমন্ত্রী মোদীও ২০২৫-২৬-এর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য পদের জন্য ডেনমার্ককে, ভারতের সমর্থনের কথা জানান । 

আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি 

দুই প্রধানমন্ত্রী তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিত ভাগ করে নেন, যেমন আফগানিস্তানের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি । যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তারা সম্মত হন সেগুলি হল – ১) আঞ্চলিক অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, ২) মৌলবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সংযোগ সহ আঞ্চলিক বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি, ৩) মৌলিক অধিকারে অগ্রগতি বজায় রাখা । তারা আফগানিস্তানের মানুষকে সাহায্য চালিয়ে যাওয়ার দায়বদ্ধতা প্রকাশ করেন । তারা আফগানিস্তানে সকলের অন্তর্ভুক্তিকরণ, জঙ্গি মোকাবিলার নিশ্চয়তা, মানবাধিকার বিশেষ করে মহিলাদের অধিকারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন ।  

দুই প্রধানমন্ত্রী ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক ঘোষণাকে স্বাগত জানান এবং এই অঞ্চলে ইউরোপের দেশগুলির অধিক সংখ্যায় উপস্থিতির পরিকল্পনার উল্লেখ করেন । 

দুই প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন যে, ২০২১-এর মে মাসে পর্তুগালে আয়োজিত ইন্ডিয়া ই-ইউ লিডার মিট, ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৌশলগত অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক । আলোচনা পূনরায় শুরু করার সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানান । এটি ভারত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির অনুকূল । এছাড়া আলাদা লগ্নি চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরুকেও স্বাগত জানিয়েছেন তারা । দুই প্রধানমন্ত্রী এই আলোচনা দ্রুত শুরু করার পক্ষে । ভারত – ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংযোগ চুক্তিকেও স্বাগত জানিয়েছেন তারা । দ্বিপাক্ষিক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্তরে সংযোগ প্রকল্পে উদ্যোগ নেওয়াতেও সহমত হয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী । 

প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০২২-এর কোপেনহেগেনে দ্বিতীয় ইন্ডিয়া-নর্ডিক শিখর সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ফেডেরিকসেনকে ধন্যবাদ জানান । 

 

CG/AP/NR



(Release ID: 1763328) Visitor Counter : 199