ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় পোর্টালে ১১ হাজারের বেশি মজুতদার ডালশস্য মজুতের কথা ঘোষণা করেছেন

Posted On: 30 SEP 2021 2:26PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

 

কেন্দ্রীয় গ্রাহক বিষয়ক দপ্তরের সরকারি পোর্টালে অন্ততপক্ষে ১১ হাজার ৬৩৫ জন মজুতদারংত ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ লক্ষ ৯৭ হাজার ৬৯৪.৪২ মেটিক টন ডালশস্য মজুতের কথা ঘোষণা করেছেন।

গ্রাহক বিষয়ক দপ্তর ২২টি অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের খুচরো ও পাইকারী বিক্রয়মূল্যর ওপর নজরদারী করে থাকে। এই নজরদারীর ফলে কালোবাজারি বন্ধ, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করে যোগান বাড়ানো এবং আমদানিতে উৎসাহ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। একইভাবে, ডালশস্যের অতিরিক্ত মজুত গড়ে তুলে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি কমাতে সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হয়েছে। খোলা বাজারে ডালশস্যের যোগান সম্পর্কিত তথ্য নথিবদ্ধ করে রাখা অত্যন্ত  জরুরি। এই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় গ্রাহক বিষয়ক, খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল মজুতদারদের ডালশস্য মজুতের ব্যাপারে তথ্য জানাতে উৎসাহিত করতে দপ্তরকে একটি পোর্টাল চালু করার নির্দেশ দেন। এই পোর্টালের মাধ্যমে মজুতদার, কল মালিক, আমদানিকারক ও ডিলাররা মজুত ডালশস্যের তথ্য উল্লেখ করতে পারছেন। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী, কল মালিক, আমদানিকারক ও ওয়্যারহাউজগুলির মাধ্যমে মজুত সম্পর্কে তথ্য জানা যাচ্ছে এবং এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ডেটাব্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে। এই ডেটাব্যাঙ্ক প্রকৃতপক্ষে সরকারকে প্রকৃত মজুত সম্পর্কে জানতে সাহায্য করছে। একইভাবে, অবৈধভাবে ডালশস্য মজুত ও কৃত্রিম উপায়ে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ফারাক তৈরি করার মতো অসাধু পন্থা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে।

যে কোনও ব্যক্তি দপ্তরের ওই পোর্টাল (https://fcainfoweb.nic.in/psp) থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। মজুতদাররা এই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন এবং নিজস্ব অ্যাকাউন্ট খুলে তা পরিচালনা করতে পারেন। অবশ্য, নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে এককালীন ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড আসবে। এই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী বা মজুতদার ডালশস্যের মজুত সম্পর্কে যাবতীয় নথিভুক্ত করতে পারবেন। এমনকি মজুতদাররা তাঁদের মজুত এবং মজুতের ক্ষেত্রে ঘাটতি সম্পর্কিত তথ্য পোর্টালে দিতে পারবেন।

পোর্টালে নথিভুক্ত যে কোনও মজুতদারের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখা হবে। কেবল সংশ্লিষ্ট মজুতদার তা প্রকাশ করলেই তা জনসমক্ষে প্রচারিত হবে। এমনকি, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার মজুতদারের সম্মতির ভিত্তিতেই তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য জানতে পারবে।

গ্রাহক বিষয়ক দপ্তর জাতীয় স্তরে খাদ্যশস্যের যোগান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিতে নজরদারি করে থাকে। সেই অনুসারে দেশের কোনও অঞ্চলে খাদ্যশস্যের সম্ভাব্য ঘাটতি নজরে পড়লে দ্রুত যোগান দেওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সেই অঞ্চলে খাদ্যশস্যের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রীয় মজুতভাণ্ডার থেকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়ে থাকে। দপ্তরের এই পোর্টালের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সরকার সুলভে ডালশস্যের যোগান সুনিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। পক্ষান্তরে সাধারণ ক্রেতারাই লাভবান হবেন।

 

CG/BD/DM/



(Release ID: 1759737) Visitor Counter : 168