স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
কোভিড-১৯ টিকাকরণ : অসত্য ও প্রকৃত তথ্য
Posted On:
01 JUL 2021 4:41PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ০১ জুলাই, ২০২১
ভারতের জাতীয় কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচি বিজ্ঞান সম্মত ও পূর্ববর্তী মহামারী থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা তথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতি নির্দেশিকা এবং বিশ্বের সর্বাধুনিক পন্থা পদ্ধতিগুলির ওপর ভিত্তি করে গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচি সুসংবদ্ধ উপায়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী রূপায়িত হচ্ছে যাতে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সক্রিয় সহযোগিতায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষের টিকাকরণ সম্ভব হয়। টিকাকরণ কর্মসূচিতে ভারত সরকার একেবারে গোড়া থেকেই অটল এবং সক্রিয় মনোভাব দেখিয়ে এসেছে।
ভারতের টিকাকরণ কৌশলে বয়স্ক এবং অসুরক্ষিত শ্রেণীর মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন এবং টিকাকরণে ধনি বা সমৃদ্ধ শ্রেণীর মানুষ লাভবান হয়েছেন বলে দাবি করে একশ্রেণীর সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রেক্ষিতে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এটা সুস্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, বিজ্ঞান সম্মত এবং পূর্ববর্তী মহামারীগুলি থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা ও প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে দেশে কোভিড-১৯ টিকাকরণ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত শ্রেণীর কর্মী ও আধিকারিকদের টিকা দিয়ে দেশের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সমাজের অসুরক্ষিত শ্রেণীর মানুষের টিকাকরণেও ততধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই অটল অঙ্গিকারের ফলে দেশে ইতিমধ্যেই ৮৭.৪ শতাংশের বেশি স্বাস্থ্য কর্মী টিকার প্রথম ডোজ এবং করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রভাগে থাকা প্রায় ৯০.৮ শতাংশ কর্মী প্রথম ডোজ পেয়েছেন। এর ফলে কোভিড-১৯ মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা অটুট থেকেছে। এমনকি, অধিকাংশ স্বাস্থ্য কর্মীর টিকাকরণের ফলে সার্বিক সুরক্ষা কবচ আরও মজবুত হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত দেশে টিকাকরণ অভিযানে ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ৪৫.১ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। এর পাশাপাশি ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং একাধিক উপসর্গ বিশিষ্ট ৪৫-৫৯ বছর বয়সী ৪৯.৩৫ শতাংশের বেশি ব্যক্তির টিকাকরণ হয়েছে।
সংশোধীত জাতীয় কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচি গত ২১ জুন থেকে রূপায়িত হচ্ছে। টিকা উৎপাদক সংস্থাগুলি যাতে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে আরও বেশি সংখ্যক টিকার ডোজ সরবরাহ করতে পারে তার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। আগে টিকা উৎপাদক সংস্থাগুলি মাসিক উৎপাদনের ২৫ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে সরবরাহ করতে পারতো। উপার্জন নির্বেশেষে দেশের সমস্ত নাগরিক বিনামূল্যে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পরিচালিত টিকাকরণ অভিযানে নিখর্চায় টিকা নেওয়ার যোগ্য। একইভাবে যে সমস্ত ব্যক্তি টিকা নেওয়ার জন্য খরচ করতে সামর্থ্য তাদের বেসরকারি হাসপাতালগুলির টিকাকরণ কেন্দ্রে টিকা নিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
টিকার ডোজের যোগানে বড় ও ছোট মাপের বেসরকারি হাসপাতাল এবং আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বেসরকারি হাসপাতালে টিকার চাহিদা নিরুপন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টিকার চাহিদা সম্পর্কিত তথ্য ভারত সরকারকে জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, বেসরকারি হাসপাতালগুলি প্রতিটি টিকার ডোজে পরিষেবা শুল্ক বাবদ সর্বাধিক ১৫০ টাকা মাশুল ধার্য করতে পারে।
‘জনকল্যাণ’-এর মানসিকতাকে বিবেচনায় রেখে প্রত্যেক ভারতীয়কে বেসরকারি কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্রে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষের টিকাকরণের জন্য অর্থ সহায়তা দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। জাতীয় কোভিড টিকাকরণ অভিযানের আওতায় সমুদায় ভিত্তিক - নমনীয় ও নাগরিক-কেন্দ্রিক প্রয়াস গ্রহণে নীতি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বয়স্ক ও ভিন্নভাবে সক্ষমভাবে ব্যক্তিদের যাতে বাড়ির কাছেই কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্রে টিকার সুবিধা দেওয়া যায় তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ভারত সরকার প্রত্যেক ব্যক্তির কোভিড-১৯ টিকাকরণের চাহিদার বিষয়টিতে সচেতন রয়েছে। সমাজের অসুরক্ষিত ও বঞ্চিত শ্রেণীর মানুষ, মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তি, বয়স্ক ব্যক্তি এবং ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের টিকাকরণের জন্য সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। জেলাস্তরীয় টাক্সফোর্সগুলিকে এধণের ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চিহ্নিতকরণের কাজে জেলা টাক্সফোর্সগুলি সংখ্যালঘু বিষয়ক, সামাজিক ন্যায় বিচার, সামাজিক কল্যাণ প্রভৃতি দপ্তর বা সংগঠনের সাহায্য নিতে পারে।
ভারত সরকার টিকাকরণের পরিধি বাড়াতে আন্তজেলা বা আন্তরাজ্য কর্মক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করে সেখানে সরকারি ও বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে উৎসাহ দিচ্ছে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী কর্মচারিরা কর্মক্ষেত্রের নিকটে গড়ে ওঠা টিকাকরণ কেন্দ্রে তাদের পরিবারের সদস্যদেরও টিকা নেওয়ার সুযোগ করে দিতে পারেন।
CG/BD/SKD/
(Release ID: 1732094)
Visitor Counter : 337