শ্রমওকর্মসংস্থানমন্ত্রক
কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী শ্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার মহামারীর সময় শ্রমিক ও পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে গৃহীত একগুচ্ছ ব্যবস্থার বর্ণনা সম্পর্কিত প্রচারপত্র প্রকাশ করেছেন
সরকার শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের সুস্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও কল্যাণে অঙ্গীকারবদ্ধ
Posted On:
18 JUN 2021 2:54PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৮ জুন, ২০২১
কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী শ্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গোয়ার বলেছেন, শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের সুস্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও কল্যাণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। মহামারীর সময় শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের কল্যাণে গৃহীত একগুচ্ছ ব্যবস্থার বর্ণনা সম্পর্কিত প্রচারপত্র প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকারের উদ্দেশ্যই হ’ল সেইসব মানুষের কাছে সুফল পৌঁছে দেওয়া, যাঁদের জন্য কল্যাণমূলক কর্মসূচিগুলি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মহামারীজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকার অবগত রয়েছে। এমনকি, প্রয়োজন-সাপেক্ষে তাঁর মন্ত্রক শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নেবে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা শ্রমিক পরিবারটির কাছে সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেবে।
শ্রী গাঙ্গোয়ার বলেন, মন্ত্রক শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা সম্পর্কিত সুযোগ-সুবিধাগুলি আরও বিন্যস্ত ও সম্প্রসারিত করেছে। এজন্য নিয়োগকর্তাদের অতিরিক্ত কোনও আর্থিক বোঝা বহন করতে হবে না। সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় ইএসআইসি এবং ইপিএফও কর্মসূচিগুলির নিয়মনীতি আরও সরল করা হয়েছে, যাতে শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকা সম্পর্কিত ভয় ও উদ্বেগগুলি দূর করা যায়। ইপিএফও-র এমপ্লোয়িজ ডিপোজিট লিঙ্কড ইন্স্যুরেন্স কর্মসূচির আওতায় একটি শ্রমিক পরিবারের নির্ভরশীল সকলেই এই কর্মসূচির সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এই প্রেক্ষিতে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত কোনো শ্রমিকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা এখন থেকে ৬ লক্ষ টাকার পরিবর্তে ৭ লক্ষ টাকার আর্থিক সুবিধা পাবেন। এমনকি, প্রয়াত শ্রমিকের যোগ্য পরিবারের সদস্যরাও ন্যূনতম ২.৫ লক্ষ টাকার বিমার সুবিধা পাবেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী আগামী তিন বছরে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ পর্যন্ত পরিবারের বৈধ সদস্যরা এই বিমা খাতে অতিরিক্ত ২ হাজার ১৮৫ কোটি টাকার আর্থিক সুবিধা পাবেন। এমনকি, কর্মসূচির আওতায় কোনও শ্রমিকের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে দাবি-দাওয়ার সংখ্যা বার্ষিক ৫০ হাজার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইএসআইসি-র সুযোগ-সুবিধার আওতায় বিমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁর স্ত্রী দৈনিক গড় মজুরির ৯০ শতাংশ সমতুল হারে পেনশন পাবেন। এছাড়াও, কোনও বিধবা মা এবং ২৫ বছর বয়স পূর্ণ করা না পর্যন্ত শিশুরাও একই হারে পেনশনের সুবিধা পাবে। অন্যদিকে, কন্যা শিশুরা বিয়ের আগে পর্যন্ত এই আর্থিক সুবিধা নিতে পারবে।
শ্রী গাঙ্গোয়ার আরও জানান, ২০২০-র মার্চ মাস থেকেই এই আর্থিক সুবিধা দু’বছরের জন্য মিলবে। এমনকি, ইএসআইসি এবং ইপিএফও সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান ৭-১৫ দিনের মধ্যেও করা হবে বলে তিনি জানান। এই প্রচারপত্র প্রকাশ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শ্রম সচিব শ্রী অপূর্ব চন্দ্র, শ্রম ও কর্মসংস্থান সম্পর্কিত বরিষ্ঠ উপদেষ্টা শ্রী ডিপিএস নেগি, মন্ত্রকের যুগ্মসচিব শ্রী আর কে গুপ্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
CG/BD/SB
(Release ID: 1728372)
Visitor Counter : 248