PIB Headquarters
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি-র সংবাদ
Posted On:
20 MAY 2021 2:55PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ২০ মে, ২০২১
► পর পর ৭ দিন আরোগ্য লাভের সংখ্যা নতুন সংক্রমিতের থেকে বেশি
►প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য ও জেলা স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
►রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ২১ কোটিরও বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
► প্রায় ২০০টি অক্সিজেন এক্সপ্রেস জরুরি ভিত্তিতে গন্তব্যে পৌঁছেছে।
পর পর ৭ দিন আরোগ্য লাভের সংখ্যা নতুন সংক্রমিতের থেকে বেশি
►পর পর ৪ দিন নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ৩ লক্ষের কম
►ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০.৫৫ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে- যা একটি নতুন রেকর্ড।
►দৈনিক সংক্রমণের হার ১৩.৪৪ শতাংশ
►জাতীয় স্তরে সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার ১.১১ শতাংশ
►গত ২৪ ঘণ্টায় ৩,৮৭৪ জন মারা গেছেন
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1720347
প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য ও জেলা স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্য ও জেলা স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তাঁরা তাঁদের জেলায় কিভাবে কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিস্থিতির ওপর সবসময় নজর রাখা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে আধিকারিকরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন।
জনসাধারণের অংশীদারিত্ব এবং সচেনতনা বাড়াতে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রত্যেককে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাস প্রত্যেকের কাজকে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সমাধানের জন্য নতুন ধরণের কৌশল নিতে হবে।
বিগত কয়েকদিন ধরে সংক্রমিত চিকিৎসাধীনের সংখ্যা দেশ জুড়ে কমতে শুরু করেছে। কিন্তু শ্রী মোদী সকলকে সতর্ক করে বলেছেন, অতি ক্ষুদ্র আকারে এই সংক্রমণ থাকলেও আশঙ্কা দূর হবেনা।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1720335
কোভিড-১৯ সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙার ক্ষেত্রে নানদেদ জেলার ভোসি গ্রাম নতুন পন্থা উদ্ভাবন করেছে
গ্রামাঞ্চলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিহত করা একটু জটিল বিষয়। শহরাঞ্চলে যেমন নমুনা পরীক্ষা বা স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ আছে গ্রামাঞ্চলে সেটি নেই। কিন্তু নানদেদ জেলার ভোকার তালুকের ভোসি গ্রামের ৬ হাজার মানুষ কোভিড-১৯এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শুধু নিজেরা আলাদা থেকেছে অর্থাৎ আইসোলেশনে ছিলেন।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1720206
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ২১ কোটিরও বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে
কেন্দ্র এ পর্যন্ত ২১,০৭,৩১,১৩০ টি টিকার ডোজ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দিয়েছে। এরমধ্যে খরচ হয়েছে ১৯,০৯,৬০,৫৭৫টি ডোজ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে এখনও ১,৯৭,৭০,৫৫৫টি টিকার ডোজ আছে। আগামী ৩ দিনে ২৫,৯৮,৭৬০টি টিকার ডোজ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ-
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1720342
প্রায় ২০০টি অক্সিজেন এক্সপ্রেস জরুরি ভিত্তিতে গন্তব্যে পৌঁছেছে
৭৭৫টির বেশি ট্যাঙ্কার ১২,৬৩০ মেট্রিক টন চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত তরল অক্সিজেন পরিবহণ করেছে। অক্সিজেন এক্সপ্রেস নামে এই উদ্যোগে বর্তমানে ৪৫টি ট্যাঙ্কার নিয়ে ১০টি অক্সিজেন এক্সপ্রেস দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটে চলেছে। এই ট্রেনগুলি মোট ৭৮৪ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন পরিবহণ করছে। প্রতিদিন ৮০০ মেট্রিক টনের বেশি তরল অক্সিজেন পরিবহণ করা হয়। অক্সিজেন এক্সপ্রেসগুলি উত্তরাখন্ড, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, কেরালা, দিল্লী ও উত্তরপ্রদেশে তরল অক্সিজেন পৌঁছে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ-
https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1720223
কেন্দ্রের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে মাস্ক পরুন, দূরত্ব বজায় রাখুন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও খোলামেলা জায়গায় থাকুন
কেন্দ্রের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে খুব সাধারণ কয়েকটি নিয়মাবলী প্রকাশ করা হয়েছে- ‘সংক্রমণ প্রতিহত করুন, মহামারীকে পরাস্থ করুন- মাস্ক পরুন, দূরত্ব বজায় রাখুন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও খোলামেলা জায়গায় থাকুন। এভাবেই সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণ আটকানো যায়।’ যেহেতু মহামারী ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পরেছে তাই আমাদের একে প্রতিহত করতে এই সাধারণ নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে।
এই নির্দেশিকায় খোলামেলা জায়গার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেসব বাড়ি-অফিস ইত্যাদি জায়গায় হাওয়া-বাতাস কম ঢোকে সেখানে ভাইরাল লোড কমে না। একজন সংক্রমিতের থেকে অন্য লোকেদের সংক্রমণ খোলামেলা জায়গায় কম হয়, কারণ সেখানে বাতাসের প্রবাহ বজায় থাকে।
যেমন ধরুন ঘরে কোথায় গন্ধ থাকলে, সেই ঘরটির খোলা জানলা-দরজা দিয়ে বায়ু প্রবাহের ফলে ওই গন্ধ আস্তে আস্তে চলে যায়। একইভাবে ভাইরাল লোডও বাতাস প্রবাহের মাধ্যমে ক্রমশ কমে যায়।
তাই বাড়িতে অথবা কাজের জায়গায় খোলামেলা জায়গা থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অফিস-বাড়ি অথবা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ্য স্থানে হাওয়া-বাতাস বায়ু প্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। শহরাঞ্চল বা গ্রামাঞ্চল সব জায়গায় বায়ু প্রবাহের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এ কারণে ঘরে এমন জায়গায় ফ্যান রাখা দরকার বা দরজা-জানলা খুলে রাখা প্রয়োজন যাতে বাইরে থেকে বাতাস ঘরে ঢুকতে পারে এবং ঘরের বাতাস বাইরে বেরিয়ে যায়। যেসব বাড়িতে সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশন ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে এয়ার ফিলট্রেশন ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। অফিস, শপিংমল ইত্যাদি জায়গায় ফিল্টার ঘন ঘন পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
সংক্রমিত ব্যক্তির থুতু বা নাক দিয়ে জল পরলে অথবা তিনি যখন কথা বলবেন, গান গাইবেন, হাসবেন, কাশবেন বা নাক ঝাড়বেন- এসবের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পরে। উপসর্গহীন সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকেও এভাবেই ভাইরাস ছড়াই। সকলের তাই মাস্ক, দুটি মাস্ক বা এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
সার্স-কোভ-২ ভাইরাস যখন মানবদেহে প্রবেশ করে তখন মানুষের শরীরে সে তার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে। এই ভাইরাস অন্য কারুর দেহে সংক্রমণ আটকালে সংক্রমণের হার ক্রমশ কমে যায়। মনে রাখা প্রয়োজন ধারক দেহের বাইরে ভাইরাস বেশিক্ষণ বাঁচেনা। এটি খানিক্ষণ পরে মরে যায়। তাই ব্যক্তিগত, সম্প্রদায়গত, স্থানীয় প্রশাসন- সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে যাতে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতা যায়।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ-
https://static.pib.gov.in/WriteReadData/specificdocs/documents/2021/may/doc202151941.pdf
CG/CB/NS
(Release ID: 1720440)
Visitor Counter : 158