স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

ভারতে মোট টিকাকরণ ৭.৩ কোটি ডোজ ছাড়িয়েছে ৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাতার বৃদ্ধি কয়েকটি রাজ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের ঘটনা অপ্রত্যাশিত ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ক্যাবিনেট সচিব

Posted On: 03 APR 2021 11:29AM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৩ এপ্রিল, ২০২১

 

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য হিসেবে দেশে আজ মোট টিকাকরণ ৭ কোটি ৩০ লক্ষ ডোজ ছাড়িয়েছে। আজ সকাল সাতটা পর্যন্ত প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ৭ কোটি ৩০ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৯৫টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে, ৮৯ লক্ষ ৩২ হাজার ৬৪২ জন স্বাস্থ্যকর্মী টিকার প্রথম ডোজ, ৫২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬৬৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। অন্যদিকে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রভাগে থাকা ৯৫ লক্ষ ৭১ হাজার ৬১০ জন কর্মী প্রথম ডোজ, ৩৯ লক্ষ ৯২ হাজার ৯৪ জন কর্মী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। এছাড়াও ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ৪ কোটি ৪৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৩৭ জন সুফলভোগী প্রথম ডোজ এবং ৬ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৪৬ জন সুফলভোগী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। 

দেশে মোট ৬ কোটির বেশি টিকাকরণের মধ্যে ৬ কোটি ৩০ লক্ষ ৮১ হাজার ৫৮৯ জন প্রথম ডোজ এবং ৯৯ লক্ষ ৭২ হাজার ৭০৬ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। 

কোভিড টিকাকরণ অভিযানের ৭৭-তম দিনে (দোসরা এপ্রিল) ৩০ লক্ষ ৯৩ হাজার ৭৯৫টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ৭৭৯ জন সুফলভোগী প্রথম ডোজ এবং ২ লক্ষ ৬ হাজার ১৬ জন সুফলভোগী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। 

মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, দিল্লি, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও মধ্যপ্রদেশ সহ ৮টি রাজ্যে দৈনিক করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার বাড়ছে। ৮টি রাজ্যেই আক্রান্তের হার ৮১.৪২ শতাংশ। 

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ হাজার ১২৯ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে একদিনে সর্বাধিক ৪৭ হাজার ৯১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। কর্ণাটকে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৯১। অন্যদিকে, ছত্তিশগড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৭৪ জন। উপরোক্ত ৮টি রাজ্য বাদে হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ ও কেরালাতেও দৈনিক আক্রান্তের ঘটনা বেড়েই চলেছে। 

ভারতে সুস্পষ্টভাবে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯০৯। এই সংখ্যা দেশে মোট আক্রান্তের ৫.৩২ শতাংশ। অবশ্য গত ২৪ ঘন্টায় সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ হাজার ২১৩টি কমেছে। 

দেশে গত ২ মাসে ১০টি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষ্যণীয় হারে বেড়েছে। এরমধ্যে কেবল মহারাষ্ট্রেই আক্রান্তের হার বেড়ে নয় গুণ। অবশ্য শতাংশের দিক থেকে পাঞ্জাবে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। দেশে ৫টি রাজ্যে – মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, কেরালা এবং পাঞ্জাবে মোট আক্রান্তের হার ৭৭.৩ শতাংশ। কেবল মহারাষ্ট্রেই আক্রান্তের হার ৫৯.৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে, ১০টি জেলায় আক্রান্তের হার ৫০ শতাংশ। 

ক্যাবিনেট সচিব শ্রী রাজীব গৌবা গতকাল সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব, পুলিশ মহানির্দেশক এবং স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হন। এই বৈঠকে যে ১১টি রাজ্য  ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা গত দু-সপ্তাহে লাগাতার বেড়েছে সেবিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে রয়েছে। তাই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, পরিস্থিতির দ্রুত মোকাবিলায় নমুনা পরীক্ষার হার বাড়াতে হবে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা অন্যদের দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে এবং সর্বপরি কোভিড আদর্শ আচরণগুলি কঠোরভাবে মেনে চলা সুনিশ্চিত করতে হবে। বৈঠকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সবরকম সহায়সম্পদ যোগান দেওয়া অব্যাহত থাকবে। 

এদিকে, দেশে আজ করোনায় সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৪১। জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার ৯৩.৩৬ শতাংশ। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৪ হাজার ২০২ জন। অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে করোনায় মারা গেছেন ৭১৪ জন। এরমধ্যে ৬টি রাজ্যে মৃত্যু হার ৮৫.৮৫ শতাংশ। কেবল মহারাষ্ট্রেই মারা গেছেন ৪৮১ জন। পাঞ্জাবে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। 

দেশে ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যুর খবর নেই। এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে – ওড়িশা, আসাম, লাদাখ, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মণিপুর, ত্রিপুরা, সিকিম, লাক্ষাদ্বীপ, অরুণাচল প্রদেশ প্রভৃতি। 

 

CG/BD/AS

 



(Release ID: 1709352) Visitor Counter : 236