প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী স্বামী চিদ্ভাবানন্দজির টীকা সম্বলিত ভাগবত গীতার কিন্ডেল সংস্করণের উদ্বোধন করেছেন


গীতা আমাদের ভাবতে শেখায়, প্রশ্ন করতে অনুপ্রাণিত করে, বিতর্কের অংশ নিতে উৎসাহ যোগায় এবং মনকে উন্মুক্ত করে : প্রধানমন্ত্রী

Posted On: 11 MAR 2021 11:25AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১১ মার্চ, ২০২১

            প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী স্বামী চিদ্ভাবানন্দজির টীকা সম্বলিত ভাগবত গীতার কিন্ডেল সংস্করণটির আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন।  

        ই-বুক (বৈদ্যুতিন পুস্তক) সংস্করণটির উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এর ফলে গীতার মহান ভাবনার সঙ্গে যুব সম্প্রদায়কে আরও বেশি করে যুক্ত করা যাবে। এর মাধ্যমে ঐতিহ্য ও প্রযুক্তির মেলবন্ধন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই ই-বুক শাশ্বত গীতার সঙ্গে গৌরবজ্জ্বল তামিল সংস্কৃতির যোগসূত্রকে আরও নিবিড় করেছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা তামিল সম্প্রদায়ের মানুষরা সহজেই এই ই-বুক পড়তে পারবেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তামিল সম্প্রদায় সাফল্যের নতুন উচ্চতায় পৌঁছানো সত্ত্বেও যেখানেই তাঁরা যান সেখানে নিজের মহান সংস্কৃতিকে বজায় রাখেন। প্রধানমন্ত্রী এই মানসিকতার প্রশংসা করেছেন।

        স্বামী চিদ্ভাবানন্দজির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বামী চিদ্ভাবানন্দজি ভারতের পুনরুজ্জীবনের জন্য তাঁর মন, দেহ, হৃদয় ও আত্মাকে উৎসর্গ করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের ম্যাড্রাস লেকচার পড়ে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। সবকিছুর থেকে দেশকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি জনসাধারণের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। শ্রী মোদী বলেছেন, একদিকে স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে স্বামী চিদ্ভাবানন্দজি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, অন্যদিকে তাঁর মহৎ কার্যের মাধ্যমে সারা বিশ্ব অনুপ্রাণিত হয়েছে। মানবজাতির সেবা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় শ্রী রামকৃষ্ণ মিশনের কাজের প্রশংসা করে স্বামী চিদ্ভাবানন্দজির মহান কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।    

        প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গীতার মাহাত্ম্য, তার অন্তর্নিহিত অর্থ, বৈচিত্র্য ও নমনীয়তার মধ্যে বিরাজমান। আচার্য বিনোবা ভাবে গীতাকে একজন মায়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন౼ যে মা তার সন্তান হোঁচট খেয়ে পরলে সেই সন্তানকে বুকে তুলে নেন। মহাত্মা গান্ধী, লোকমান্য তিলক, মহাকবি সুব্রহ্মনিয়া ভারতীর মতো দিকপাল নেতৃবৃন্দ গীতার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। গীতা আমাদের ভাবতে শেখায়, প্রশ্ন করতে অনুপ্রাণিত করে, বিতর্কে অংশ নিতে উৎসাহিত করে এবং মনের দরজা খুলে দেয়। কেউ যদি গীতার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হন তাহলে তিনি প্রকৃতিকে ভালোবাসবেন এবং গণতান্ত্রিক মনস্ক হবেন।   

        শ্রী মোদী বলেছেন, শ্রীমদ ভগবত গীতা দ্বন্দ্ব ও বিষাদের সময় সৃষ্টি হয়েছে। আজ মানবজাতি একই ধরণের দ্বন্দ্ব ও সংকটের সম্মুখীন। বিষাদ থেকে বিজয়ের যাত্রাপথে ভগবত গীতা মানুষকে ভাবতে সাহায্য করে। যখন সারা বিশ্ব একটি মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং এরফলে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পরেছে সেই সময়ে শ্রীমদ ভগবত গীতার দেখানো পথ  আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে  । মানবজাতি যে সংকটের সম্মুখীন, তার থেকে বিজয়ী হয়ে বেরিয়ে আসার জন্য শ্রীমদ ভগবত গীতা শক্তি যোগায় ও পথনির্দেশ করে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি সংক্রান্ত একটি জার্নালের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেখানে কোভিড মহামারীর সময়েও গীতার প্রাসঙ্গিকতা কতটা তা নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখা আছে।

        প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শ্রীমদ ভগবত গীতার মূল বাণী হল সক্রিয় হও, কারণ নিষ্ক্রিয় থাকার থেকে সক্রিয় থাকা অনেক ভালো। একইভাবে আত্মনির্ভর ভারতের ভাবনা হল শুধু আমাদের নিজেদের জন্য সম্পদ সৃষ্টি করা নয়,  সমগ্র মানব জাতির জন্য এই সম্পদ সহায়ক হবে। আমরা বিশ্বাস করি আত্মনির্ভর ভারত সারা পৃথিবীর জন্য ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে। কোভিডের জন্য আমাদের বিজ্ঞানীরা কত দ্রুত টীকা উদ্ভাবন করেছেন সেই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গীতার ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব জাতিকে রোগমুক্ত করে সাহায্য করতে ভারত উদ্যোগী হয়েছে।

        প্রধানমন্ত্রী জনসাধারণকে বিশেষত যুব সম্প্রদায়কে গীতা পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন, গীতার মাধ্যমে চূড়ান্ত বাস্তব ও ভরসা যোগ্য শিক্ষালাভ সম্ভব। দ্রুত পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে গীতা শান্তির মরুদ্যানের ভূমিকা পালন করে, ব্যার্থতার আশঙ্কা থেকে আমাদের মনকে মুক্ত করে এবং আমরা যাতে সক্রিয় হই সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করে। গীতার প্রতিটি অধ্যায় মনের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনায় ভাবতে উৎসাহ যোগায়।  

***

 

 

CG/CB/NS



(Release ID: 1704192) Visitor Counter : 229