অর্থমন্ত্রক

অর্থনীতিতে অতিমারির প্রভাব:অত্যাবশ্যক ত্রাণে অতিরিক্ত ব্যয় একই সঙ্গে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি

Posted On: 01 FEB 2021 1:54PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লী, ১ লা ফেব্রুয়ারি ২০২১



কেন্দ্রীয় অর্থ এবং কর্পোরেট বিষয়কমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারামন আজ সংসদে বাজেট পেশ করে বলেছেন যে অতিমারীর প্রভাব অর্থনীতিতে পড়েছে ।এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি।একই সঙ্গে দেশের দুর্বল শ্রেনীর মানুষ বিশেষত দরিদ্র,মহিলা,তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের অত্যাবশ্যকীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে অতিরিক্ত ব্যয় করা হয়েছে।

সংশোধিত বরাদ্দ(আর ই) ২০২০-২১

শ্রীমতী সীতারামন বলেছেন,অতিমারী কালে পরিস্থিতি বিচার করে মধ্য মাপের একাধিক প্যাকেজ বেছে নেওয়া হয়।এর মাধ্যমে একদিকে যেমন প্রয়োজনে সাড়া দেওয়া গেছে,অপরদিকে লক্ষ্যমাত্রা বেছে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ক্রমাগত স্থিতিশীল হওয়ায় এবং লকডাউন ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে চাঙ্গা করতে ক্রমাগত সরকারী ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে।এর ফলে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রস্তাবিত বাজেট ব্যয় বরাদ্দ ৩০.৪২ লক্ষ কোটি টাকার বদলে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সংশোধিত ব্যয় হয়েছে ৩৪.৫০ লক্ষ কোটি টাকা। তবে এই অতিরিক্ত ব্যয় সঠিক খাতে হয়েছে এবং এর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্রস্তাবিত মূলধনী ব্যয় ৪.১২ লক্ষ কোটি টাকার পরিবর্তে   সংশোধিত ব্যয়ের পরিমাণ ৪.৩৯ লক্ষ কোটি টাকা ।
অর্থমন্ত্রী বলেন,২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতির পরিমান মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের(জিডিপি) ৯.৫ শতাংশে দাঁড়াবে। এই ঘাটতি মেটাতে সরকারি ঋণ,ক্ষুদ্র সঞ্চয় তহবিল এবং স্বল্প মেয়াদি ঋণ নেবে। আরও ৮০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন,যা আগামী ২ মাসে বাজার থেকে তোলার চেষ্টা করা হবে।
২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাবনায়
শ্রীমতী সীতারামন বলেছেন,অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৩৪.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।যার মধ্যে মূলধনী ব্যয়ের পরিমান ৫.৫৪ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২০-২১ সালের তুলনায় তা ৩৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতির পরিমান ধরা হয়েছে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের(জিডিপি) ৬.৮ শতাংশ। খোলা বাজার থেকে আগামী বছরে ঋণের পরিমান দাঁড়াবে ১২ লক্ষ কোটি টাকা।

রাজ্যগুলির জন্য ঋণ:
শ্রীমতী সীতারামন বলেছেন,পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে ,রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের(জিএসডিপি)  ৪ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার অনুমোদন করতে পারে। এটিই ঋণ নেওয়ার সর্বোচ্চ সীমা। তবে পরিস্থিতি বিচার করে জিএসডিপির ওপর আরও ০.৫ শতাংশ ঋণ নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে। তবে রাজ্য গুলিকে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে  জিএসডিপির ৩ শতাংশ রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্য ছুঁতে হবে।

বাজেটের অতিরিক্ত সংস্থান:

অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন,২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষের জুলাই মাসের পেশ করা বাজেটে অতিরিক্ত অর্থ সংস্থানের প্রস্তাব রাখা হয়।২০২০-২১ সালের বাজেটে এর সুযোগ আরও বাড়ানো হয়।বাজেটে এফসিআই কে সরকার ঋণ দেবে বলে জানান হয়। একধাপ এগিয়ে এর সঙ্গে এই বছরের বাজেট প্রস্তাবে এনএসএসএফ কে সরিয়ে খাদ্যে ভরতুকি দিতে বাজেটেই সংস্থান রাখা হয়েছে।

এফআরএমবি আইনের সংশোধন :

শ্রীমতী সীতারামন আজ তাঁর বাজেট প্রস্তাবনায় সংসদকে অবহিত করেছেন যে রাজকোষ ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে সরকার এফআরএমবি আইন সংশোধন করতে চায়।
অর্থমন্ত্রী কমিশনের সুপারিশ করে বলেন ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতি অনুদান খাতে ১৪ টি রাজ্যকে ৭৪,৩৪০ কোটি দেওয়া হয়েছিল।২০২১-২২ অর্থবর্ষে এর পরিমান বাড়িয়ে ১৭ টি রাজ্যকে এই খাতে ১,১৮,৪৫২ কোটি টাকা দেওয়া হবে।

***

 


CG/PPM


(Release ID: 1694169) Visitor Counter : 269