অর্থমন্ত্রক

কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ে অনলাইন পঠনপাঠন ব্যবস্থাপনা একটি বিরাট পথ দেখিয়েছে : আর্থিক সমীক্ষা ২০২০-২১

Posted On: 29 JAN 2021 3:43PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ২৯ জানুয়ারি, ২০২১
 
          কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে ২০২০-২১ অর্থ বর্ষের আর্থিক সমীক্ষা পেশ করেছেন। তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ে অনলাইন পঠনপাঠন ব্যবস্থাপনা একটি বিরাট পথ দেখিয়েছে। গত বছর অক্টোবরে প্রকাশিত বার্ষিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিবেদন (এএসইআর) ২০২০ ওয়েব-১ (গ্রামীণ) উল্লেখ করে শ্রীমতি সীতারমন সমীক্ষায় জানিয়েছেন গ্রামীণ ভারতে সরকারি এবং বেসরকারী বিদ্যালয়ে নাম নথিভুক্ত শিশুদের নিজের স্মার্ট ফোন ব্যবহারের হার ২০১৮ সালে ৩৬.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬১.৮ শতাংশ হয়েছে। সমীক্ষায় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে যদি এই হারে এগোন যায় তাহলে গ্রাম এবং শহর, লিঙ্গ, বয়স ও আয়ভুক্ত শ্রেণীর মধ্যে ডিজিটাল বিভাজন দূর করা সম্ভব হবে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য হ্রাস পাবে।
 
      কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকার দেশের সকল শিশুদের শিক্ষার সুযোগ করে দিতে একাধিক কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরই অঙ্গ হিসেবে পিএম ই-বিদ্যা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাপনা ন্যায়সঙ্গত শিক্ষা প্রদান সম্ভবপর হয়েছে। স্বয়ম এমওওসি-র আওতায় ৯২টি পাঠক্রম চালু করা হয়েছে এবং ১.৫ কোটি ছাত্রছাত্রী নাম নথিভুক্ত করেছেন।
 
কোভিড-১৯ মহামারী প্রভাব ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় সমস্যা দূরীকরণে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ৮১৮.১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ২৬৭.৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে মানসিক সহায়তা প্রদানের জন্য ‘মান দর্পণ’ উদ্যোগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
 
      ২০২০-২১ আর্থিক সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে পরবর্তী দশকে বিশ্বের মধ্যে ভারতে তরুণদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হতে চলেছে। ২০১৮-১৯এর ইউ-ডিআইএসই অনুযায়ী ৯.৭২ লক্ষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিকাঠামগত উন্নতিসাধন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯০.০২ শতাংশ মেয়েদের শৌচালয়, ৯৩.৭ শতাংশ ছেলেদের শৌচালয়, ৯৫.৯ শতাংশ পানীয় জলের সুবিধা, ৮৪.২ শতাংশ চিকিৎসা ব্যবস্থার সুবিধা, ২০.৭ শতাংশ কম্পিউটার, ৬৭.৪ শতাংশ বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
 
এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে ভারতে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্তরে স্বাক্ষরতার হার প্রায় ৯৬ শতাংশ। জাতীয় নমুনা সমীক্ষা অনুযায়ী ৭ বছর এবং তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় স্তরে স্বাক্ষরতার হার ৭৭.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সরকারি বিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানে সাশ্রয়ী মূল্যে, প্রতিযোগিতামূলক ভিত্তিতে সমান শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য সরকার নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ কথা ঘোষণা করেছে। ১৯৮৬র পুরনো জাতীয় শিক্ষা নীতির বদল করা হয়েছে। নতুন শিক্ষা নীতিতে দেশের বিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল সংস্কারের পথ প্রশস্ত করা হয়েছে। প্রান্তিক, সুবিধাহীন গোষ্ঠী মানুষেরা যাতে সমান শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন তার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। সমগ্র শিক্ষা, শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয় সহ একাধিক কর্মসূচি ২০২০-২১ বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
 
২০২০-২১ অর্থবর্ষের আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে ১৫-৫৯ বছর বয়সী কর্মীদের মধ্যে মাত্র ২.৪ শতাংশ কর্মীদেরই একমাত্র প্রাথমিক বৃত্তিমূলক/প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ রয়েছে। ৮.৯ শতাংশ শ্রমজীবী সুনির্দিষ্ট মাধ্যম থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীর মধ্যে বেশিরভাগই ছেলে অথবা মেয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বা তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এর পাশাপাশি বৈদ্যুতিক, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কৌশলগত উৎপাদন কার্যালয় ও বাণিজ্য সংক্রান্ত কাজ, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন অনেকে।
 
সরকার সম্প্রতি দক্ষতা উন্নয়ন ক্ষেত্রে একাধিক নীতি সংস্কার করেছে। প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা ৩.০এর আওতায় ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পরিযায়ী শ্রমিক সহ ৮ লক্ষ প্রার্থীর দক্ষতা উন্নয়নে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আইটিআই-এর মানোন্নয়নের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ বছরে বিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষার ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা প্রদানে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। নতুন শিক্ষানীতি ২০২০-তে পেশাগত শিক্ষা ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সঙ্গে প্রশিক্ষণের বিষয়টিকে সংযুক্ত করা হয়েছে।
 
***
 
 
 
 
CG/SS/NS

(Release ID: 1693387) Visitor Counter : 8297