প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

আমেদাবাদ মেট্রো প্রোজেক্ট ফেজ-২ এবং সুরাট মেট্রো প্রোজেক্টের ভূমি পূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 18 JAN 2021 2:29PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৮ জানুয়ারি, ২০২১

নমস্কার!

গুজরাটের রাজ্যপাল শ্রী আচার্য দেবব্রতজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহযোগী ভাই অমিত শাহজি, হরদীপ সিং পুরীজি, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানিজি, উপস্থিত গুজরাট সরকারের মন্ত্রীগণ, সাংসদ ও বিধায়কগণ, আমার আমেদাবাদ ও সুরাটের প্রিয় ভাই ও বোনেরা।

 

উত্তরায়ণের শুরুতেই আজ আমেদাবাদ এবং সুরাট অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপহার পাচ্ছে। দেশের দুটি বড় বাণিজ্য কেন্দ্র আমেদাবাদ এবং সুরাটে মেট্রো রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। গতকালই কেভাড়িয়ামুখী নতুন রেলপথ এবং অনেক ক'টি নতুন ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। আমেদাবাদ থেকেও আধুনিক জনশতাব্দী এক্সপ্রেস এখন কেভাড়িয়া পর্যন্ত যাবে। এই শুভ সূচনার জন্য আমি গুজরাটের জনগণকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই, অভিনন্দন জানাই।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

আজ ১৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হচ্ছে। ১৭ হাজার কোটি টাকা এটা দেখায় যে করোনার এই সঙ্কটকালেও নতুন পরিকাঠামো নির্মাণ নিয়ে দেশের প্রচেষ্টা লাগাতার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত কয়েক দিনের মধ্যেই সারা দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পরিকাঠামো উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে কিংবা শিলান্যাস করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

আমেদাবাদ ও সুরাট, দুটিই গুজরাট তথা ভারতের আত্মনির্ভরতাকে মজবুত করে তুলছে। আমার মনে পড়ে, যখন আমেদাবাদে মেট্রো রেল শুরু হয়েছিল, সেই দিন কত অদ্ভূত দৃশ্য সৃষ্টি করেছিল। সাধারণ মানুষ কাতারে কাতারে বাড়ির ছাদে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রত্যেকের চেহারায় এত আনন্দের ঝলক ছিল যা হয়তো কেউ কোনদিন ভুলতে পারবে না। আমি এটাও দেখছি যে আমেদাবাদের স্বপ্নগুলি সেখানকার পরিচয়কে কিভাবে নিজেদের মেট্রোর সঙ্গে যুক্ত করে নিয়েছে। আজ থেকে আমেদাবাদ মেট্রোর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে। আমেদাবাদ মেট্রো রেল প্রকল্প এখন মোতেরা স্টেডিয়াম থেকে মহাত্মা মন্দির পর্যন্ত একটি করিডর হবে, আর দ্বিতীয় করিডরের মাধ্যমে জিএনএলইউ এবং গিফট সিটি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হবে। এর ফলে শহরের লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।

 

বন্ধুগণ,

 

আমেদাবাদের পর গুজরাটের দ্বিতীয় বড় শহর হল সুরাট। এই শহরটি এখন থেকে মেট্রো রেলের মতো আধুনিক সরকারি যানবাহন পরিষেবার ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্ত হবে। সুরাটে মেট্রো নেটওয়ার্ক এক প্রকার গোটা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্রগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করবে। একটি করিডর সরথনাকে ড্রিম সিটির সঙ্গে যুক্ত করবে, আর দ্বিতীয় করিডরটি ভেসনকে সরোলীর লাইনের সঙ্গে যুক্ত করবে। মেট্রোর এই প্রকল্পগুলির সবচাইতে বড় বৈশিষ্ট্য হল এগুলি আগামী বছরগুলির সম্ভাব্য প্রয়োজনের কথা ভেবে তৈরি করা হচ্ছে। অর্থাৎ, আজ যে বিনিয়োগ হচ্ছে, তা থেকে আমাদের শহরগুলি আগামী অনেক বছর ধরে উন্নত পরিষেবা পাবে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

পূর্ববর্তী সরকারগুলির যে দৃষ্টিকোণ ছিল, আর আমাদের কাজ করার দৃষ্টিকোণ সম্পূর্ণ ভিন্ন। এর সবচাইতে প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল এই মেট্রো রেলের বিস্তার। ২০১৪ সালের আগের ১০-১২ বছরে মাত্র ২০০ কিলোমিটার মেট্রো লাইন চালু ছিল। আর গত ছয় বছরে ৪,৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি মেট্রো লাইন চালু হয়েছে। এই সময় দেশের ২৭টি শহরে ১ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি নতুন মেট্রো নেটওয়ার্কের কাজ চলছে।

 

বন্ধুগণ,

 

একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশে মেট্রো নির্মাণ নিয়ে কোনও আধুনিক ভাবনা ছিল না। দেশের মেট্রো রেল সংক্রান্ত কোনও নীতি ছিল না। ফলস্বরূপ, ভিন্ন ভিন্ন শহরে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের মেট্রো, ভিন্ন ভিন্ন প্রযুক্তি এবং ব্যবস্থাসম্পন্ন মেট্রো গড়ে উঠেছিল। দ্বিতীয় সমস্যা ছিল শহরের অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে মেট্রোর কোনও সামঞ্জস্য ছিল না। আজ আমরা শহরগুলিতে পরিবহণ ব্যবস্থাকে একটি সংহত ব্যবস্থা রূপে বিকশিত করে তুলছি। অর্থাৎ, বাস-মেট্রো-রেল সব নিজের নিজের মতো করে যাতায়াত করবে না। একটি সামগ্রিক ব্যবস্থা রূপে পরস্পরের পরিপূরক হয়ে উঠবে। যেমন এই আমেদাবাদ মেট্রোতেই যে ন্যাশনাল কমন মোবিলিটি কার্ড আমরা সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর চালু হয়েছে, সেটি যে কোনও যানবাহনে কাজে লাগবে। ভবিষ্যতে এই ইন্টিগ্রেশন সর্বত্র মানুষের সহায়ক হয়ে উঠতে চলেছে।

 

বন্ধুগণ,

 

আমাদের শহরগুলিতে আজ কি প্রয়োজন? আগামী ১০-২০ বছরে কেমন প্রয়োজন হবে? এই দূরদৃষ্টি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। যেমন সুরাট আর গান্ধীনগরের দৃষ্টান্তই নিন না। দু'দশক আগে সুরাট নিয়ে কোথাও আলোচনা হলে উন্নয়নের থেকে বেশি করে প্লেগ মহামারী নিয়ে আলোচনা হত। কিন্তু সুরাটবাসীদের চরিত্রে সবাইকে বুকে জড়িয়ে ধরার স্বাভাবিক গুণ রয়েছে। এই চরিত্রই সেখানকার পরিস্থিতিকে বদলাতে শুরু করে দিয়েছে। প্রত্যেক উদ্যোগকে বুকে করে নেওয়ার সুরাটের যে প্রাণশক্তি আমরা সেটির ওপর জোর দিয়েছি। আজ সুরাট জনসংখ্যার নিরিখে একদিকে দেশের অষ্টম বড় শহর। কিন্তু বিশ্বের মধ্যে সবচাইতে দ্রুতগতিতে উন্নয়নের নিরিখে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। বিশ্বের প্রত্যেক ১০টি হীরার মধ্যে নয়টিরই প্রক্রিয়াকরণ সুরাটে হয়। আজ দেশের মোট হাতে তৈরি ফ্যাব্রিকের ৪০ শতাংশ আর হাতে তৈরি ফাইবারের ৩০ শতাংশ উৎপাদন সুরাটে হয়। আজ সুরাট দেশের দ্বিতীয় পরিচ্ছন্নতম শহর।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

এইসব কিছু উন্নত পরিকল্পনা এবং সম্পূর্ণতার ভাবনা নিয়ে কাজ করার ফলে সম্ভব হয়েছে। আগে সুরাটে প্রায় ২০ শতাংশ জনসংখ্যা বস্তিতে বসবাস করত। এখন গরীবদের পাকা বাড়ি করে দেওয়ার ফলে এই হার হ্রাস পেয়ে ৬ শতাংশে এসেছে। শহরকে ভিড় ও যানজটমুক্ত করার জন্য উন্নত ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা সহ আরও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজ সুরাটে ১০০টিরও বেশি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে ৮০টিরও বেশি বিগত ২০ বছরে তৈরি করা হয়েছে। আরও আটটি সেতুর কাজ চলছে। এভাবে পয়ঃপ্রণালী পরিশোধন প্রকল্পগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আজ সুরাটে প্রায় এক ডজন পয়ঃপ্রণালী পরিশোধন প্রকল্প কাজ করছে। পয়ঃপ্রণালী পরিশোধনের মাধ্যমেই সুরাট প্রতি বছর প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করছে। বিগত বছরগুলিতে সুরাটে বেশ কিছু উন্নতমানের আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। এসব প্রচেষ্টার মাধ্যমে সুরাটে 'ইজ অফ লিভিং' উন্নত হয়েছে। আজ আমরা দেখছি যে সুরাট 'এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত'-এর কত প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এখানে আমরা পূর্বাঞ্চল, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব ভারত ও দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্ত থেকে নিজের ভাগ্য অন্বেষণে আসা অসংখ্য মানুষকে দেখতে পাই। আমাদের উদ্যমী জনগণ, শিষ্টাচার এবং সমর্পণভাব নিয়ে কাজ করা মানুষজন,  দু'চোখে স্বপ্ন নিয়ে সুরাটের মিনি ভারতে একটি নতুন সংস্কৃতি অঙ্কুরিত হচ্ছে। সকলেই মিলেমিশে সুরাটের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতা প্রদানের জন্য এই মিনি ভারতের মানুষ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন।

 

বন্ধুগণ,

 

এভাবে গান্ধীনগর আগে এর পরিচয় কেমন ছিল? এই শহর আগে সরকারি চাকুরিজীবীদের শহর ছিল, অবসরপ্রাপ্ত মানুষদের শহর ছিল। ঢিলেঢালা, ধীরগতির এমন একটি অঞ্চল হয়ে উঠেছিল যাকে আর শহরই বলা যায় না। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে আমরা গান্ধীনগরের সেই চিত্র দ্রুতগতিতে পরিবর্তিত হতে দেখেছি। এখন যেখানেই যান, গান্ধীনগরে আপনারা নবীন প্রজন্মের মানুষদের দেখবেন, যুব সম্প্রদায়কে কাজ করতে দেখবেন, তাঁদের দু'চোখ ভরা স্বপ্ন দেখবেন। আজ গান্ধীনগরের পরিচয় হয়ে উঠেছে - আইআইটি গান্ধীনগর, গুজরাট ন্যাশনাল ল' ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, রক্ষা শক্তি ইউনিভার্সিটি, এনআইএফটি। এছাড়াও পণ্ডিত দীনদয়াল পেট্রোলিয়াম ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টিচার এডুকেশন, ধীরুভাই আম্বানি ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইন, বাইসেগ – এরকম অসংখ্য অসংখ্য নাম বলতে পারি। এত কম সময়ে ভবিষ্যতে ভারতের ভাগ্য নির্ধারণকারী মানুষদের গড়ে তোলা কাজ গান্ধীনগরের মাটিতে হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলি শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবর্তন আনেনি, এই প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সাথে বিভিন্ন কোম্পানির ক্যাম্পাসও এখানে আসা শুরু হয়েছে। গান্ধীনগরের যুব সম্প্রদায়ের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে। এভাবে গান্ধীনগরে মহাত্মা মন্দির থাকার ফলে কনফারেন্স ট্যুরিজমও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন সারা দেশ থেকে অনেক পেশাদার মানুষ কূটনীতিক, চিন্তাবিদ এবং নেতারা এখানে এসে কনফারেন্স করেন। এর ফলে শহরের একটি নতুন পরিচিতি তৈরি হচ্ছে। আর এই পরিচিতিই শহরটিকে উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাচ্ছে। আজ গান্ধীনগরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি, আধুনিক রেল স্টেশন, গিফট সিটি, অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্প, পরিকাঠামোর অনেক আধুনিক প্রকল্প – এইসব কিছু মিলেমিশে গান্ধীনগরকে সজীব করে তুলেছে। এক প্রকার স্বপ্ননীল শহরে পরিণত করেছে।

 

বন্ধুগণ,

 

গান্ধীনগরের পাশাপাশি, আমেদাবাদেও এ ধরনের অনেক প্রকল্প কার্যকর হয়েছে যা আজ শহরের পরিচিতি বদলাচ্ছে। সবরমতী রিভার ফ্রন্ট থেকে শুরু করে কাঙ্কারিয়া লেক ফ্রন্ট, ওয়াটার এরোড্রোম, বাস র‍্যাপিড ট্র্যানজিট সিস্টেম, মোতেরায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্টেডিয়াম, সরখেজে ছয় লেনবিশিষ্ট গান্ধীনগর হাইওয়ে - এরকম অসংখ্য প্রকল্প বিগত বছরগুলিতে শহরের চিত্র বদলে দিয়েছে। অন্যভাবে বলতে গেলে আমেদাবাদের পুরনো ঐতিহ্য বজায় রেখে শহরটিকে আধুনিকতার আবরণ পরানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আমেদাবাদকে ভারতের প্রথম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন আমেদাবাদের অদূরেই ধোলেরাতে নতুন বিমানবন্দর গড়ে উঠছে। এই বিমানবন্দর থেকে আমেদাবাদের মধ্যে উন্নত যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আমেদাবাদ-ধোলেরা মোনোরেল প্রকল্প সম্প্রতি মঞ্জুর করা হয়েছে। এভাবে আমেদাবাদ এবং সুরাটকে দেশের আর্থিক রাজধানী মুম্বাইয়ের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

 

বন্ধুগণ,

 

গুজরাটের শহরগুলির পাশাপাশি গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রেও বিগত বছরগুলিতে অভূতপূর্ব কাজ হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামীণ সড়ক, বিদ্যুৎ সরবরাহ, জল সরবরাহ যেভাবে বিগত দুই দশকে উন্নত হয়েছে তা গুজরাটের উন্নয়ন যাত্রার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আজ গুজরাটের প্রতিটি গ্রামে সব মরশুমে চলাচলের উপযোগী রাস্তা রয়েছে। জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলির গ্রামে গ্রামেও এই সব মরশুমে চলাচলের উপযোগী রাস্তা পৌঁছে গেছে।

 

বন্ধুগণ,

 

আমাদের মধ্যে অধিকাংশই সেই দিনগুলি দেখেছি যখন গুজরাটের গ্রামে গ্রামে ট্রেন এবং ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল পৌঁছতে হত। আজ গুজরাটের প্রতিটি গ্রামে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে গেছে। শুধু তাই নয়, আজ প্রায় ৮০ শতাংশ বাড়িতেও নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে গেছে। জল জীবন মিশনের মাধ্যমে রাজ্যে ১০ লক্ষ নতুন জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত গুজরাটের প্রত্যেক বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে যাবে।

 

বন্ধুগণ,

 

শুধু পানীয় জল নয়, সেচের জলের জন্য আজ গুজরাটের সেই অঞ্চলগুলিতে জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যেখানে কখনও সেচের সুবিধা অকল্পনীয় ছিল, স্বপ্নেও কেউ ভাবতেন না। সর্দার সরোবর বাঁধ থেকে শুরু করে সৌওনী পরিকল্পনা, ওয়াটার গ্রিডের নেটওয়ার্ক, গুজরাটের খরাগ্রস্ত এলাকাগুলিকে সবুজ করার জন্য ব্যাপক কাজ করা হয়েছে। মা নর্মদার জল এখন শত শত কিলোমিটার দূরবর্তী কচ্ছ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ক্ষুদ্র সেচের ক্ষেত্রেও গুজরাট এখন দেশের অগ্রণী রাজ্যগুলির অন্যতম হয়ে উঠেছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

গুজরাটে এক সময় ভীষণ বিদ্যুতের সঙ্কট ছিল। এই সঙ্কট গ্রামগুলিতে তো ভয়ঙ্কর ছিল। কিন্তু আজ গুজরাটে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়, আর বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুজরাট দেশের অগ্রণী রাজ্যগুলির অন্যতম। কিছুদিন আগেই কচ্ছ-এ বিশ্বের বৃহত্তম পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের প্রকল্প নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে যেখানে সৌরশক্তি ও বায়ুশক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে। আজ কৃষকদের কাছে সর্বোদয় যোজনার মাধ্যমে সেচের জন্য স্বতন্ত্রভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রথম রাজ্য হয়ে উঠেছে গুজরাট। আরোগ্যের ক্ষেত্রে গুজরাট গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে নিরন্তর মজবুত করেছে। বিগত ছয় বছরে দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত যে প্রকল্পগুলি চালু হয়েছে সেগুলি থেকেও গুজরাটের মানুষ উপকৃত হয়েছেন। আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে গুজরাটের ২১ লক্ষ মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছেন। সুলভে ওষুধ বিক্রি করার জন্য ৫২৫টিরও বেশি জনঔষধি কেন্দ্র আজ গুজরাটে কাজ করছে। এগুলির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বিশেষ করে, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবারগুলির ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০ কোটি টাকার সাশ্রয় হয়েছে। গ্রামের গরীবদের সুলভে গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে গুজরাট দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। পিএম আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-এর মাধ্যমে গুজরাটের গ্রামে গ্রামে ২.৫ লক্ষেরও বেশি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এভাবে স্বচ্ছ ভারত মিশনের মাধ্যমে গুজরাটের গ্রামে গ্রামে ৩৫ লক্ষেরও বেশি শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে। গুজরাটের গ্রামগুলির উন্নয়নের কাজ কত দ্রুতগতিতে হচ্ছে তার আরেকটি উদাহরণ হল 'ডিজিটাল সেবা সেতু'। এর মাধ্যমে রেশন কার্ড, জমির দলিল, পেনশন স্কিম এবং আরও অনেক ধরনের শংসাপত্র ও সংশ্লিষ্ট অনেক পরিষেবা গ্রামের মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই 'ডিজিটাল সেবা সেতু' গত বছর অক্টোবর মাসেই উদ্বোধন করা হয়েছিল। অর্থাৎ, মাত্র ৪-৫ আগে। আর আমাকে বলা হয়েছে যে অতি শীঘ্রই এই 'ডিজিটাল সেবা সেতু' ৮ হাজার গ্রামে পৌঁছে যাবে। এর মাধ্যমে ৫০-এরও বেশি সরকারি পরিষেবা সরাসরি গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছবে। আমি এই কাজের দ্রুত রূপায়ণের জন্য গুজরাট সরকারের পুরো টিমকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।

 

বন্ধুগণ,

 

আজ ভারত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আর সেই সিদ্ধান্তগুলি রূপায়ণের কাজও দ্রুতগতিতে করছে। আজ ভারতে শুধু পরিমানগত দিক থেকেই বেশি কাজ হচ্ছে না, উৎকৃষ্ট কাজও হচ্ছে। আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ মূর্তি ভারতে রয়েছে। আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ সুলভ গৃহ নির্মাণ অভিযান ভারতে চলছে। আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ হেলথকেয়ার অ্যাস্যুরেন্স প্রোগ্রামও ভারতে চলছে। ৬ লক্ষ গ্রামকে দ্রুতগতিতে ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে যুক্ত করার বিরাট কাজও ভারতে হচ্ছে। গত পরশুই করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযানও ভারতে শুরু হয়েছে।

 

এখানে গুজরাটে বিগত দিনে দুটি এমন কাজ সম্পন্ন হয়েছে যার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই। এই সাফল্য থেকে প্রমাণিত হয়, কিভাবে দ্রুতগতিতে কোনও প্রকল্প বাস্তবায়িত করলে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনা যায়। প্রথমটি হল ঘোঘা এবং হাজিরার মধ্যে রো-প্যাক্স পরিষেবা, আর দ্বিতীয়টি হল গিরনার রোপওয়ে।

 

বন্ধুগণ,

 

গত বছর নভেম্বর মাসে অর্থাৎ, আজ থেকে চার মাস আগেই ঘোঘা আর হাজিরার মধ্যে রো-প্যাক্স পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাট উভয় এলাকার জনগণের অনেক বছরের অপেক্ষা শেষ হয়েছে। সেখানকার মানুষ এর দ্বারা অত্যন্ত লাভবান হচ্ছেন। এই পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে ঘোঘা আর হাজিরার মধ্যে ৩৭৫ কিলোমিটারেরও বেশি যাত্রাপথ সমুদ্রপথে ৯০ কিলোমিটারে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, যে দূরত্ব যেতে আগে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা লাগত এখন ৪ থেকে ৫ ঘন্টাতেই সেই দূরত্ব অতিক্রম করা যাচ্ছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষের সময় সাশ্রয় হচ্ছে, পেট্রোল-ডিজেলের খরচ বাঁচছে, সড়কপথে যাতায়াত কম হওয়ায় পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রেও অনেক লাভ হচ্ছে। মাত্র দু'মাসে আমাকে যেমন বলা হয়েছে, মাত্র দু'মাসে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই পরিষেবা দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। ১৪ হাজারেরও বেশি গাড়ি এই রো-প্যাক্স ফেরির মাধ্যমে পারাপার করেছে। সুরাটের সঙ্গে সৌরাষ্ট্রের এই নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা সৌরাষ্ট্রের কৃষক ও পশুপালকদের ফল, সব্জি ও দুধ সুরাট পৌঁছনোর পথ সহজ করে দিয়েছে। আগে সড়কপথে ফল, সব্জি ও দুধ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকত। এখন সমুদ্রপথে কৃষকরা তাঁদের ফসল দ্রুতগতিতে সুরাটের শহরগুলিতে পৌঁছে দিতে পারছেন। তেমনই সুরাটের ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক বন্ধুদের জীবনেক অনেক সহজ করে তুলেছে এই ফেরি পরিষেবা।

 

বন্ধুগণ,

 

এই ফেরি পরিষেবা যে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই শুরু হয়েছে তা এখন সেখানকার মানুষকে দেখলে বোঝা যাবে না। সবাই এই যাত্রাপথকে এত দ্রুত আপন করে নিয়েছেন যে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। গত বছর অক্টোবর মাসে গিরনারে যে রোপওয়ে শুরু হয়েছিল, সেটাও তো মাত্র ৪-৫ মাসই হল। আগে গিরনার পর্বত দর্শন করতে হলে ৯ হাজার সিঁড়ি চড়ে যেতে হত। আর কোনও বিকল্প ছিল না। এখন এই রোপওয়ের মাধ্যমে তীর্থযাত্রীরা আরেকটি পরিষেবা পেয়ে গেছেন। ফলে, আগে মন্দিরে যেতে যে ৫-৬ ঘন্টা সময় লাগত, তা এখন তীর্থযাত্রীরা মাত্র কয়েক মিনিটে যেতে পারছেন। আমাকে বলা হয়েছে যে গত আড়াই মাসে ২ লক্ষ ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ এই পরিষেবার সুযোগ নিয়ে তীর্থযাত্রায় গেছেন। আপনারা কল্পনা করতে পারেন মাত্র আড়াই মাসে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ? এ থেকে বোঝা যায় যে এই পরিষেবাটির কত প্রয়োজন ছিল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বিশেষ করে বয়স্ক মা-বোনেদের জন্য, অন্যান্য বয়স্কদের জন্যও এই পরিষেবা চালু হওয়ায় তাঁরা আমাদের দু'হাত ভরে আশীর্বাদ দিচ্ছেন। আর সেই আশীর্বাদ থেকে আমরা আরও অনেক কাজ করার শক্তি পাচ্ছি।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

নতুন ভারতের এই লক্ষ্য, জনগণের প্রয়োজনীয়তা বুঝে, জনমানসের আকাঙ্ক্ষা বুঝে দ্রুতগতিতে কাজ করার মাধ্যমেই বাস্তবায়িত করা সম্ভব। এই লক্ষ্যে আরেকটি প্রচেষ্টা হল, যা নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না কিন্তু হওয়া উচিৎ। এই প্রচেষ্টাটি হল কেন্দ্রীয় স্তরে 'প্রগতি' নামক ব্যবস্থা। যখন আমি গুজরাটে ছিলাম, তখন 'স্বাগত' কর্মসূচির অনেক চর্চা হত। কিন্তু আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর 'প্রগতি' নামে যে কর্মসূচি চালু করেছি সেটি দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প, পরিকাঠামো প্রকল্প রূপায়ণ ত্বরান্বিত করতে এই 'প্রগতি' মঞ্চের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যুক্ত সবাই জানেন, এই 'প্রগতি' বৈঠকগুলিতে আমি স্বয়ং ঘন্টার পর ঘন্টা রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বসে এক একটি প্রকল্প নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করি, আর তাদের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য চেষ্টা করি। 'প্রগতি' বৈঠকে আমি চেষ্টা করি যাতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে অনেক দশক ধরে আটকে থাকা প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করা যায়। বিগত পাঁচ বছরে এই 'প্রগতি'র বৈঠকগুলির মাধ্যমে ১৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি প্রকল্পের সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এই বৈঠকগুলিতে দেশের জন্য জরুরি কিন্তু অনেক বছর ধরে অসম্পূর্ণ হয়ে থাকা প্রকল্পগুলি পুনর্বিবেচনা করার পর সেগুলির যথোচিত সমাধান করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

অনেক বছর ধরে আটকে থাকা ও ঝুলে থাকা প্রকল্পগুলিকে গতি প্রদান করায় আমাদের সুরাটের মতো শহরগুলির দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব হয়। আমাদের উদ্যোগগুলি, বিশেষ করে ক্ষুদ্রশিল্প, যেমন অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হওয়ার ফলে যেমন বিশ্বের বড় বাজারে প্রতিযোগিতায় নামতে পারছে, তেমনই তাদের কাছে উন্নত দেশগুলির মতো পরিকাঠামোও রয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের মাধ্যমে এই ক্ষুদ্র শিল্পগুলির জন্য অনেক বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র শিল্পগুলিকে সঙ্কট থেকে বের করে আনার জন্য একদিকে হাজার হাজার কোটি টাকা সহজ ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, অন্যদিকে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিকে অধিক সুযোগ দেওয়ার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সরকার সবথেকে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পরিভাষা বদলে দিয়ে তাদের বিনিয়োগের সীমা বাড়িয়েছে। আগে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীরা তাঁদের শিল্পোদ্যোগ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে তেমন সাহস পেতেন না। কিন্তু এখন সরকারের আনুকূল্য থাকায় তাঁরা সেই সাহস পাচ্ছেন। সরকার অনেক প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে এই শিল্পোদ্যোগগুলির জন্য নতুন নতুন পথ খুলে দিয়েছে। পাশাপাশি নতুন পরিভাষায় উৎপাদন ক্ষেত্র এবং পরিষেবা ক্ষেত্রগুলির মধ্যে বৈষম্য দূর করে দিয়েছে। ফলে পরিষেবা ক্ষেত্রের নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তেমনই সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রেও দেশের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি যেন বেশি সুযোগ পায়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসবের মাধ্যমে এই চেষ্টা করা হয়েছে যাতে আমাদের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির খুব উন্নতি হয়, আর সেখানে কর্মরত শ্রমিক বন্ধুরাও উন্নত সুযোগ-সুবিধা পান এবং তাঁদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হয়।

 

বন্ধুগণ,

 

এই বিশাল কর্মযজ্ঞ ও বহুমুখী প্রচেষ্টার পেছনে রয়েছে একবিংশ শতাব্দীর যুব সম্প্রদায়, ভারতের অগণিত যুবক-যুবতীদের আকাঙ্ক্ষা। সেই আকাঙ্ক্ষাগুলি বুনিয়াদি পরিষেবা এবং সুরক্ষার অভাবে বাস্তবায়িত করা কঠিন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই কঠিন বিষয়গুলিকে দূর করতে যুব সম্প্রদায়ের স্বপ্নগুলিকে সামর্থ্য দিতে সঙ্কল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করে যেতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমেদাবাদ এবং সুরাটের এই মেট্রো প্রকল্পও এই শহর দুটির প্রত্যেক বন্ধুর আকাঙ্ক্ষা এবং প্রত্যাশা পূরণ করবে।

 

এই বিশ্বাস নিয়ে গুজরাটের সকল ভাই-বোনেদের বিশেষ করে, আমেদাবাদ ও সুরাটের ভাই-বোনেদের আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন।

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

***

 

 

 

CG/SB/DM



(Release ID: 1689860) Visitor Counter : 203